তানবিরুল হক আবিদ
মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম কোরবানি। কোরবানির গোশত নিজে এবং ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে খাওয়ানো যায়। আল্লাহ তাআলার জন্য পশু জবাই করা হলেও তার মাংস আমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা থেকে তোমরা নিজেরা খাও এবং হতদরিদ্রদের খাওয়াও।’ (সুরা হজ ২৮)।
পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তা থেকে খাও এবং মিসকিন ও ফকিরকে খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)।
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ মনে করেন, কোরবানির মাংস তিন ভাগে বণ্টন করা আবশ্যক। এবং এতে সামান্য ত্রুটি করলেও কোরবানি হবে না। সঙ্গে এটাও মনে করেন—এ বণ্টন হতে হবে মেপে মেপে। এ তিন ভাগ ওজনে সমান হতে হবে। কোনো কমবেশি চলবে না।
এ বিষয়ে ইসলামের বিধান হলো—‘কোরবানির মাংস তিন ভাগে বণ্টন করা আবশ্যক’ এমন ধারণা ঠিক নয়। বরং এমনটি করা উত্তম। আবশ্যক নয়। ইচ্ছে হলে নিজেই সব মাংস খাওয়া যাবে বা সব সদকা করে দেওয়া যাবে অথবা তিন ভাগ করে বণ্টন করা যাবে।
উত্তম পদ্ধতি অবলম্বন করে তিন ভাগ করলে—এক অংশ সদকা করবে, এক অংশ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও গরিব প্রতিবেশীকে দেবে এবং আরেক অংশ নিজের জন্য রাখবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ২২৪, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৫ / ৩০০)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কোরবানির পদ্ধতি বর্ণনা করে বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল কোরবানির মাংসের এক-তৃতীয়াংশ নিজের পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতেন, এক-তৃতীয়াংশ গরিব প্রতিবেশীদের খাওয়াতেন এবং এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থনাকারীদের দান করতেন।
আরও পড়ুন:
মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম কোরবানি। কোরবানির গোশত নিজে এবং ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে খাওয়ানো যায়। আল্লাহ তাআলার জন্য পশু জবাই করা হলেও তার মাংস আমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা থেকে তোমরা নিজেরা খাও এবং হতদরিদ্রদের খাওয়াও।’ (সুরা হজ ২৮)।
পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তা থেকে খাও এবং মিসকিন ও ফকিরকে খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)।
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ মনে করেন, কোরবানির মাংস তিন ভাগে বণ্টন করা আবশ্যক। এবং এতে সামান্য ত্রুটি করলেও কোরবানি হবে না। সঙ্গে এটাও মনে করেন—এ বণ্টন হতে হবে মেপে মেপে। এ তিন ভাগ ওজনে সমান হতে হবে। কোনো কমবেশি চলবে না।
এ বিষয়ে ইসলামের বিধান হলো—‘কোরবানির মাংস তিন ভাগে বণ্টন করা আবশ্যক’ এমন ধারণা ঠিক নয়। বরং এমনটি করা উত্তম। আবশ্যক নয়। ইচ্ছে হলে নিজেই সব মাংস খাওয়া যাবে বা সব সদকা করে দেওয়া যাবে অথবা তিন ভাগ করে বণ্টন করা যাবে।
উত্তম পদ্ধতি অবলম্বন করে তিন ভাগ করলে—এক অংশ সদকা করবে, এক অংশ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও গরিব প্রতিবেশীকে দেবে এবং আরেক অংশ নিজের জন্য রাখবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ২২৪, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৫ / ৩০০)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কোরবানির পদ্ধতি বর্ণনা করে বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল কোরবানির মাংসের এক-তৃতীয়াংশ নিজের পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতেন, এক-তৃতীয়াংশ গরিব প্রতিবেশীদের খাওয়াতেন এবং এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থনাকারীদের দান করতেন।
আরও পড়ুন:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে