মাহমুদ হাসান ফাহিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানবসেবা নিঃসন্দেহে উত্তম কাজ। কিন্তু তা হতে হবে একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য এবং যথাসম্ভব গোপনে। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা ভালো; আর যদি গোপনে করো এবং অভাবগ্রস্তদের দাও, তা তোমাদের জন্য আরও ভালো। এতে তিনি তোমাদের বহু পাপ মুছে দেবেন। আর তোমরা যা-ই করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।’ (সুরা বাকারা: ২৭১)
অসহায় মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার পেছনে খরচ করাকে আল্লাহ তাআলা বিনিয়োগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে উত্তম কর্জ প্রদান করবে? তাহলে তিনি সেই কর্জকে তার জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে ফেরত দেবেন এবং আল্লাহই সীমিত ও প্রসারিত করে থাকেন এবং তাঁর দিকেই তোমরা ফিরে যাবে।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
দান-সদকায় কোনো স্বার্থ ও বৈষয়িক সুবিধা থাকলে তা দানের মহিমা ক্ষুণ্ন করে। আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীলদের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘তারা খাবারের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, এতিম ও বন্দীকে খাবার দেয়। তারা বলে, আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের খাবার দিই। আমরা তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও না।...’ (সুরা দাহর: ৫-১১)
দান যখন শুধু লৌকিকতামুক্ত হবে, তখন তা ‘আল্লাহর পথে ব্যয়’ বলে কবুল হবে, যখন দানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্বার্থ উদ্ধারের চিন্তা থাকবে না, আত্মপ্রচার ও প্রদর্শনেচ্ছা থাকবে না, খোঁটা দেওয়া ও কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা থাকবে না এবং আত্মপ্রচার করা যাবে না, আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো চিন্তা না থাকলেই ওই দান কবুল হবে আশা করা যায়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যারা লোকদেখানোর জন্য নিজেদের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে (আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন না)...।’ (সুরা নিসা: ৩৮)
মানবসেবা নিঃসন্দেহে উত্তম কাজ। কিন্তু তা হতে হবে একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য এবং যথাসম্ভব গোপনে। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা ভালো; আর যদি গোপনে করো এবং অভাবগ্রস্তদের দাও, তা তোমাদের জন্য আরও ভালো। এতে তিনি তোমাদের বহু পাপ মুছে দেবেন। আর তোমরা যা-ই করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।’ (সুরা বাকারা: ২৭১)
অসহায় মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার পেছনে খরচ করাকে আল্লাহ তাআলা বিনিয়োগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে উত্তম কর্জ প্রদান করবে? তাহলে তিনি সেই কর্জকে তার জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে ফেরত দেবেন এবং আল্লাহই সীমিত ও প্রসারিত করে থাকেন এবং তাঁর দিকেই তোমরা ফিরে যাবে।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
দান-সদকায় কোনো স্বার্থ ও বৈষয়িক সুবিধা থাকলে তা দানের মহিমা ক্ষুণ্ন করে। আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীলদের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘তারা খাবারের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, এতিম ও বন্দীকে খাবার দেয়। তারা বলে, আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের খাবার দিই। আমরা তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও না।...’ (সুরা দাহর: ৫-১১)
দান যখন শুধু লৌকিকতামুক্ত হবে, তখন তা ‘আল্লাহর পথে ব্যয়’ বলে কবুল হবে, যখন দানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্বার্থ উদ্ধারের চিন্তা থাকবে না, আত্মপ্রচার ও প্রদর্শনেচ্ছা থাকবে না, খোঁটা দেওয়া ও কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা থাকবে না এবং আত্মপ্রচার করা যাবে না, আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো চিন্তা না থাকলেই ওই দান কবুল হবে আশা করা যায়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যারা লোকদেখানোর জন্য নিজেদের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে (আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন না)...।’ (সুরা নিসা: ৩৮)
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হলো রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
২ ঘণ্টা আগেলজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
১৩ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ...
১৫ ঘণ্টা আগেইসলামে বিশ্বাস ও তাওহিদের ভিত্তিতে মানবজীবন পরিচালিত হয়। সেই বিশ্বাসে জাদু বা জাদুটোনার কোনো স্থান নেই—বরং এটি একটি ঘৃণিত, হারাম এবং গুনাহে কবিরা, অর্থাৎ বড় পাপ হিসেবে চিহ্নিত। জাদুবিদ্যা কেবল একজন মানুষকে শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার ইমান ও আত্মিক ভারসাম্যকেও ভেঙে দিতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে