শরিফ আহমাদ
দৃষ্টি সংযত রাখা প্রত্যেক মুসলমানের নৈতিক দায়িত্ব। কোরআন-হাদিসে এ ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ নজরের হেফাজত না করার কারণে গুনাহের পথ খুলে যায়। ইসলামে যেসব বিষয়ে দৃষ্টি সংযত করতে বলা হয়েছে, তাতে অনিচ্ছাকৃত দৃষ্টি পড়ে গেলে কোনো গুনাহ নেই। তবে পরে ইচ্ছাকৃত দৃষ্টি দিলে বা বারবার দেখলে গুনাহ হবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য অধিক পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সব কাজের খবর রাখেন।’ (সুরা নুর: ৩০)
দৃষ্টি সংযত করার অনেক উপায় আছে। এর মধ্যে বড় একটি উপায় হলো বিয়ে করা। এটি মানুষের চরিত্র গঠনেও সাহায্য করে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের বলেছেন, ‘হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যে বৈবাহিক জীবনের ব্যয়ভার বহনে সক্ষম, সে যেন বিয়ে করে। কারণ তা দৃষ্টিকে নিচু করে দেয় এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। আর যে (ভরণপোষণে) সমর্থ নয়, সে যেন রোজা পালন করে। কারণ তা তার যৌনকামনা দমনকারী।’ (মুসলিম: ৩২৭০)
গায়রে মাহরাম নারীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া থেকে বিরত হতে পারলে হৃদয় আলোকিত হয়। ইবাদতে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে মুসলমানের কোনো নারীর সৌন্দর্যের প্রতি হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যায়, এরপর সে নিজ চক্ষু নিচু করে নেয়, তবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য এক ইবাদতের সুযোগ সৃষ্টি করেন, যাতে সে অনন্য স্বাদ পায়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২২২৭৮)
শরিফ আহমাদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
দৃষ্টি সংযত রাখা প্রত্যেক মুসলমানের নৈতিক দায়িত্ব। কোরআন-হাদিসে এ ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ নজরের হেফাজত না করার কারণে গুনাহের পথ খুলে যায়। ইসলামে যেসব বিষয়ে দৃষ্টি সংযত করতে বলা হয়েছে, তাতে অনিচ্ছাকৃত দৃষ্টি পড়ে গেলে কোনো গুনাহ নেই। তবে পরে ইচ্ছাকৃত দৃষ্টি দিলে বা বারবার দেখলে গুনাহ হবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য অধিক পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সব কাজের খবর রাখেন।’ (সুরা নুর: ৩০)
দৃষ্টি সংযত করার অনেক উপায় আছে। এর মধ্যে বড় একটি উপায় হলো বিয়ে করা। এটি মানুষের চরিত্র গঠনেও সাহায্য করে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের বলেছেন, ‘হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যে বৈবাহিক জীবনের ব্যয়ভার বহনে সক্ষম, সে যেন বিয়ে করে। কারণ তা দৃষ্টিকে নিচু করে দেয় এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। আর যে (ভরণপোষণে) সমর্থ নয়, সে যেন রোজা পালন করে। কারণ তা তার যৌনকামনা দমনকারী।’ (মুসলিম: ৩২৭০)
গায়রে মাহরাম নারীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া থেকে বিরত হতে পারলে হৃদয় আলোকিত হয়। ইবাদতে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে মুসলমানের কোনো নারীর সৌন্দর্যের প্রতি হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যায়, এরপর সে নিজ চক্ষু নিচু করে নেয়, তবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য এক ইবাদতের সুযোগ সৃষ্টি করেন, যাতে সে অনন্য স্বাদ পায়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২২২৭৮)
শরিফ আহমাদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
বাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
২০ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
২০ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
২১ ঘণ্টা আগেআরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণীর প্রচার-প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা...
২১ ঘণ্টা আগে