ইসলাম ডেস্ক
৬২২ সালের নভেম্বর মাস তথা প্রথম হিজরির ৪ রমজান সংগঠিত হয় ইসলামের ইতিহাসের প্রথম বিজয়াভিযান সারিয়া হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব। এই অভিযানটি ইতিহাসে সিইফুল বাহার অভিযান নামেও পরিচিত। কুরাইশের একটি কাফেলা আটকাতে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। এতে মক্কা থেকে বিতাড়িত সাহাবিরাই কেবল অংশ নিয়েছিলেন।
মক্কার ৩০০ জনের একটি কাফেলা নিয়ে আবু জাহেল মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকা ‘আল-ইস’-এ অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে মহানবী (সা.) তাদের গতিরোধ করতে এই অভিযান পরিচালনার অনুমতি দেন। প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নবীজির চাচা হামজা ইবনে আবদুল-মুত্তালিব। তবে ইমাম বুখারির মতে, এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সাহাবি আবু ওবাইদা ইবনুল জাররাহ। ৩০ থেকে ৪০ জন মুহাজির সাহাবি এতে অংশ নিয়েছিলেন।
তবে এই অভিযানে কুরাইশের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি মাজদি ইবনে আমর আল-জুহানির মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষ এড়াতে সম্মত হয়। ফলে উভয় দল লড়াই না করেই আলাদা হয়ে যায়। হামজা মদিনায় ফিরে যান এবং আবু জাহেল মক্কার দিকে চলে যায়। এই যুদ্ধেই প্রথম ইসলামের পতাকা বহন করা হয়। পতাকাটির রং ছিল সাদা। কিনাজ ইবনে হোসাইন আল-ঘানাভি পতাকা বহনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
এ অভিযানের ফলে ইসলামের শত্রু আবু জাহেল ও তার অনুসারীদের মনে ভীতির সঞ্চয় হয়। ইমাম বুখারি এই অভিযান সম্পর্কে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.)-এর একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। সেখানে সাহাবিদের বড় একটি মাছ পাওয়ার ঘটনাও বিবৃত হয়েছে। হাদিসে অভিযানের বিস্তারিত উঠে এসেছে। হাদিসটি হলো—
রাসুলুল্লাহ (সা.) সমুদ্রতীরের দিকে একটি সৈন্যবাহিনী পাঠালেন। আবু ওবাইদা ইবনুল জাররাহকে তাঁদের আমির নিযুক্ত করে দিলেন। শত্রুরা সংখ্যায় ছিল ৩০০। (বর্ণনাকারী বলেন) ‘আমরা বেরিয়ে পড়লাম। আমরা পথেই ছিলাম, তখন আমাদের রসদপত্র শেষ হয়ে গেল, তখন আবু ওবাইদা (রা.) পুরো সেনাদলের অবশিষ্ট পাথেয় একত্রিত করার আদেশ দিলেন। সব একত্রিত করা হলো। মাত্র দুই থলে খেজুর পাওয়া গেল। এরপর তিনি তা থেকে প্রতিদিন অল্প অল্প করে আমাদের খাদ্য সরবরাহ করতে লাগলেন। যখন তাও শেষ হয়ে গেল, তখন কেবল একটি করে খেজুর আমরা পেতাম।’
জাবির (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘একটি করে খেজুর খেয়ে আপনাদের কতটুকু ক্ষুধা মিটত?’ তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, একটি খেজুর পাওয়াও বন্ধ হয়ে গেলে আমরা একটির কদরও বুঝতে পারলাম। এরপর আমরা সমুদ্র পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম। তখন আমরা পর্বতের মতো বড় একটি মাছ পেয়ে গেলাম। বাহিনীর সকলে আঠারো দিন পর্যন্ত তা খেলেন। তারপর আবু ওবাইদা (রা.) মাছটির পাঁজরের দুটি হাড় সঙ্গে নিয়ে আসতে আদেশ দেন। (দুটি হাড় আনা হলে) সেগুলো দাঁড় করানো হয়। এরপর তিনি একটি বাহন প্রস্তুত করতে বললেন। দেখা গেল হাড় দুটির নিচ দিয়ে বাহনটি যেতে পারছে—হাড় দুটি স্পর্শ না করেই।’
সূত্র: আর-রাহিকুল মাখতুম ও বুখারি: ৪৩৬১
৬২২ সালের নভেম্বর মাস তথা প্রথম হিজরির ৪ রমজান সংগঠিত হয় ইসলামের ইতিহাসের প্রথম বিজয়াভিযান সারিয়া হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব। এই অভিযানটি ইতিহাসে সিইফুল বাহার অভিযান নামেও পরিচিত। কুরাইশের একটি কাফেলা আটকাতে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। এতে মক্কা থেকে বিতাড়িত সাহাবিরাই কেবল অংশ নিয়েছিলেন।
মক্কার ৩০০ জনের একটি কাফেলা নিয়ে আবু জাহেল মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকা ‘আল-ইস’-এ অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে মহানবী (সা.) তাদের গতিরোধ করতে এই অভিযান পরিচালনার অনুমতি দেন। প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নবীজির চাচা হামজা ইবনে আবদুল-মুত্তালিব। তবে ইমাম বুখারির মতে, এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সাহাবি আবু ওবাইদা ইবনুল জাররাহ। ৩০ থেকে ৪০ জন মুহাজির সাহাবি এতে অংশ নিয়েছিলেন।
তবে এই অভিযানে কুরাইশের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি মাজদি ইবনে আমর আল-জুহানির মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষ এড়াতে সম্মত হয়। ফলে উভয় দল লড়াই না করেই আলাদা হয়ে যায়। হামজা মদিনায় ফিরে যান এবং আবু জাহেল মক্কার দিকে চলে যায়। এই যুদ্ধেই প্রথম ইসলামের পতাকা বহন করা হয়। পতাকাটির রং ছিল সাদা। কিনাজ ইবনে হোসাইন আল-ঘানাভি পতাকা বহনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
এ অভিযানের ফলে ইসলামের শত্রু আবু জাহেল ও তার অনুসারীদের মনে ভীতির সঞ্চয় হয়। ইমাম বুখারি এই অভিযান সম্পর্কে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.)-এর একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। সেখানে সাহাবিদের বড় একটি মাছ পাওয়ার ঘটনাও বিবৃত হয়েছে। হাদিসে অভিযানের বিস্তারিত উঠে এসেছে। হাদিসটি হলো—
রাসুলুল্লাহ (সা.) সমুদ্রতীরের দিকে একটি সৈন্যবাহিনী পাঠালেন। আবু ওবাইদা ইবনুল জাররাহকে তাঁদের আমির নিযুক্ত করে দিলেন। শত্রুরা সংখ্যায় ছিল ৩০০। (বর্ণনাকারী বলেন) ‘আমরা বেরিয়ে পড়লাম। আমরা পথেই ছিলাম, তখন আমাদের রসদপত্র শেষ হয়ে গেল, তখন আবু ওবাইদা (রা.) পুরো সেনাদলের অবশিষ্ট পাথেয় একত্রিত করার আদেশ দিলেন। সব একত্রিত করা হলো। মাত্র দুই থলে খেজুর পাওয়া গেল। এরপর তিনি তা থেকে প্রতিদিন অল্প অল্প করে আমাদের খাদ্য সরবরাহ করতে লাগলেন। যখন তাও শেষ হয়ে গেল, তখন কেবল একটি করে খেজুর আমরা পেতাম।’
জাবির (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘একটি করে খেজুর খেয়ে আপনাদের কতটুকু ক্ষুধা মিটত?’ তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, একটি খেজুর পাওয়াও বন্ধ হয়ে গেলে আমরা একটির কদরও বুঝতে পারলাম। এরপর আমরা সমুদ্র পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম। তখন আমরা পর্বতের মতো বড় একটি মাছ পেয়ে গেলাম। বাহিনীর সকলে আঠারো দিন পর্যন্ত তা খেলেন। তারপর আবু ওবাইদা (রা.) মাছটির পাঁজরের দুটি হাড় সঙ্গে নিয়ে আসতে আদেশ দেন। (দুটি হাড় আনা হলে) সেগুলো দাঁড় করানো হয়। এরপর তিনি একটি বাহন প্রস্তুত করতে বললেন। দেখা গেল হাড় দুটির নিচ দিয়ে বাহনটি যেতে পারছে—হাড় দুটি স্পর্শ না করেই।’
সূত্র: আর-রাহিকুল মাখতুম ও বুখারি: ৪৩৬১
সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
১২ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
১৩ ঘণ্টা আগেআমাদের অফিসের টপ ফ্লোরে নামাজের জন্য নির্ধারিত জায়গা আছে। সেখানে নির্ধারিত আলেম ইমামের মাধ্যমে জামাতের সঙ্গে ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করা হয়। কিন্তু আমরা জুমার নামাজ আদায় করি পাশের একটি বড় মসজিদে। অফিসের নামাজ আদায়ের স্থানটি ওয়াক্ফ করা নয়। এ অবস্থায় আমরা কি ইচ্ছে করলে সেখানে জুমার নামাজের আয়োজন...
১৩ ঘণ্টা আগে