মুফতি আবু দারদা
ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোনো মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশই ভালোবাসা। তবে সাধারণত ভালোবাসা বলতে নারী-পুরুষের পারস্পরিক আকর্ষণ, ভালো লাগা, প্রণয় ও পরিণয় ইত্যাদিকেই বোঝানো হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই ভালোবাসা দোষের কিছু নয়, যদি তা ইসলামের বিধিবদ্ধ নিয়ম মেনে হয়ে থাকে।
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের বৈধ ভালোবাসার একমাত্র পথ বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হয়ে একে অন্যকে ভালোবাসবে, যৌনক্ষুধা নিবারণ করবে এবং আদর্শ পরিবার গঠন করবে—এটিই ইসলামের শিক্ষা। মহানবী (সা.) ও সব নবীগণ বিয়ে করেছেন। তাঁরা স্ত্রীদের গভীরভাবে ভালোবাসতেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সে ব্যক্তি পূর্ণ মুমিন, যার চরিত্র সুন্দর, তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।’ (রিয়াদুস সালিহিন: ১/১৯৭)
তবে পবিত্র কোরআনে বিয়েবহির্ভূত যৌনতাকে নিষেধ করা হয়েছে। এতে উৎসাহ দেয় এমন কাজ থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। কেননা, এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩২০) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘বলে দাও, আমার পালনকর্তা হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা, আর পাপ ও অসংগত বিরোধিতা, কোনো কিছুকে আল্লাহর শরিক করা যার কোনো সনদ তিনি পাঠাননি এবং আল্লাহ সম্পর্কে এমন কিছু বলা, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা আরাফ: ৩৩)
ইসলামবিষয়ক গবেষক
ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোনো মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশই ভালোবাসা। তবে সাধারণত ভালোবাসা বলতে নারী-পুরুষের পারস্পরিক আকর্ষণ, ভালো লাগা, প্রণয় ও পরিণয় ইত্যাদিকেই বোঝানো হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই ভালোবাসা দোষের কিছু নয়, যদি তা ইসলামের বিধিবদ্ধ নিয়ম মেনে হয়ে থাকে।
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের বৈধ ভালোবাসার একমাত্র পথ বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হয়ে একে অন্যকে ভালোবাসবে, যৌনক্ষুধা নিবারণ করবে এবং আদর্শ পরিবার গঠন করবে—এটিই ইসলামের শিক্ষা। মহানবী (সা.) ও সব নবীগণ বিয়ে করেছেন। তাঁরা স্ত্রীদের গভীরভাবে ভালোবাসতেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সে ব্যক্তি পূর্ণ মুমিন, যার চরিত্র সুন্দর, তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।’ (রিয়াদুস সালিহিন: ১/১৯৭)
তবে পবিত্র কোরআনে বিয়েবহির্ভূত যৌনতাকে নিষেধ করা হয়েছে। এতে উৎসাহ দেয় এমন কাজ থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। কেননা, এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩২০) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘বলে দাও, আমার পালনকর্তা হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা, আর পাপ ও অসংগত বিরোধিতা, কোনো কিছুকে আল্লাহর শরিক করা যার কোনো সনদ তিনি পাঠাননি এবং আল্লাহ সম্পর্কে এমন কিছু বলা, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা আরাফ: ৩৩)
ইসলামবিষয়ক গবেষক
কথা বলা একটি মহান নিয়ামত, কিন্তু সেই নিয়ামতকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা আমাদের দায়িত্ব। অতিরিক্ত কথা বলা শুধু ব্যক্তিগতভাবে নয়, সামাজিকভাবেও নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের উচিত, কথার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা, সত্য কথা বলা এবং অন্যের প্রতি সদয় হওয়া। কম কথা বলা এবং নিজের কাজ ও কথার...
৮ মিনিট আগেমাশাআল্লাহ বলা শুধু একটি সুন্দর অভ্যাস নয়, এর পেছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আল্লাহর ওপর বিশ্বাস এবং শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার আশাবাদ। বদ নজর বা খারাপ দৃষ্টির ক্ষতি থেকে আমাদের এবং আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করার জন্য এই শব্দটি খুবই কার্যকর। শয়তান আমাদের ভালোর প্রতি হিংসা করতে পারে, তাই...
২ ঘণ্টা আগেবদনজর বা খারাপ দৃষ্টি এমন একটি অভিশাপ যা মানুষের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি কারও সৌন্দর্য, ধন-সম্পদ, বা জীবনের যেকোনো ভালো কিছু দেখে বা জেনে হিংসা থেকে উদ্ভূত হয়। ইসলামে বদনজরের অস্তিত্ব এবং এর প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট আলোকপাত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং মুমিনের আত্মিক প্রশান্তি, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার একটি মহান উপায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
১২ ঘণ্টা আগে