ইসলাম ডেস্ক
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে সওয়াব অর্জনেরও সুযোগ রয়েছে। খাবার গ্রহণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদব নিচে তুলে ধরা হলো:
হাত ধুয়ে নেওয়া: হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) পানাহারের আগে কবজি পর্যন্ত উভয় হাত ধুয়ে নিতেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
বিসমিল্লাহ বলা: নবী করিম (সা.) সাহাবিদের বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে ডান হাতে খাবার খাও এবং তোমার দিক থেকে খাও।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫১৬৭)
বিসমিল্লাহ ভুলে গেলে: যদি কেউ খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়, তাহলে মাঝখানে মনে পড়লে এ দোয়াটি পড়বে, ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহ।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৭)
ডান হাতে খাওয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাতে পানাহার করো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৩৭৬)
খাবারের দোষ না ধরা: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫১৯৮)
পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খাবার খাওয়ার সময় যদি তা পড়ে যায়, তাহলে পরিষ্কার করে তা ভক্ষণ করো।’ (জামে তিরমিজি: ১৯১৫)
আঙুল চেটে খাওয়া: নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার খাবে, তখন আঙুল চেটে খাও। কেননা বরকত কোথায় রয়েছে তা তোমরা জানো না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৯১৪)
হাত ও মুখ পরিষ্কার করা: খাবার শেষে মহানবী (সা.) ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতেন এবং কুলি করতেন। (মুসনাদে আহমাদ)
খাবার শেষের দোয়া: খাবার গ্রহণের পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত। রাসুল (সা.) বিভিন্ন দোয়া পড়তেন। এর মধ্যে একটি হলো: ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আত-আমানা ওয়া সাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৪৫৮)
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে সওয়াব অর্জনেরও সুযোগ রয়েছে। খাবার গ্রহণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদব নিচে তুলে ধরা হলো:
হাত ধুয়ে নেওয়া: হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) পানাহারের আগে কবজি পর্যন্ত উভয় হাত ধুয়ে নিতেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
বিসমিল্লাহ বলা: নবী করিম (সা.) সাহাবিদের বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে ডান হাতে খাবার খাও এবং তোমার দিক থেকে খাও।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫১৬৭)
বিসমিল্লাহ ভুলে গেলে: যদি কেউ খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়, তাহলে মাঝখানে মনে পড়লে এ দোয়াটি পড়বে, ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহ।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৭)
ডান হাতে খাওয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাতে পানাহার করো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৩৭৬)
খাবারের দোষ না ধরা: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫১৯৮)
পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খাবার খাওয়ার সময় যদি তা পড়ে যায়, তাহলে পরিষ্কার করে তা ভক্ষণ করো।’ (জামে তিরমিজি: ১৯১৫)
আঙুল চেটে খাওয়া: নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার খাবে, তখন আঙুল চেটে খাও। কেননা বরকত কোথায় রয়েছে তা তোমরা জানো না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৯১৪)
হাত ও মুখ পরিষ্কার করা: খাবার শেষে মহানবী (সা.) ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতেন এবং কুলি করতেন। (মুসনাদে আহমাদ)
খাবার শেষের দোয়া: খাবার গ্রহণের পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত। রাসুল (সা.) বিভিন্ন দোয়া পড়তেন। এর মধ্যে একটি হলো: ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আত-আমানা ওয়া সাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৪৫৮)
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
১ দিন আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১ দিন আগে