কাউসার লাবীব
তসবি জিকির-আজকারের গুরুত্বপূর্ণ এক উপকরণ। আল্লাহর স্মরণে মুমিনদের সাহায্য করে এই জপমালা। হাতে তসবি, মুখে জিকির—মুমিনের হৃদয়ে ওঠে আল্লাহর প্রেম। যুগ যুগ ধরেই জিকির-আজকারে মুসলমানরা তসবি ব্যবহার করে আসছে। যেমন তুরস্কের কেসেরি প্রদেশের ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদে ৭০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এক তসবি।
১২৮১ সালে নির্মিত হয় ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদ। মসজিদটি উদ্বোধনের দিন তৎকালীন সেলজুক সাম্রাজ্যের রাজধানী কোনিয়া থেকে পাঠানো হয় জুনিপারগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি ১৩ মিটার লম্বা এই তসবি, যাতে রয়েছে ১ হাজার ১১১টি সুনিপুণ দানা। এর ওজন প্রায় পাঁচ কেজি। ধুলাবালি থেকে নিরাপদ রাখতে তসবিটি মসজিদের ভেতরে এক কাচের বাক্সে রাখা হয়, যেন মানুষ তা দেখে চোখ জুড়াতে পারে এবং এর মনোরম সুবাসে হৃদয় বিমোহিত করতে পারে। এই তসবি মুসল্লিরা সব সময় ব্যবহার করতে পারেন না। বছরের বিশেষ বিশেষ দিন, ইবাদতের রাত এবং রমজান মাসে মানুষজন এটি দিয়ে জিকির-আজকার করার সুযোগ পান।
‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদের ইমাম শায়খ মাহমুদ সামি বলেন, ঐতিহাসিক এই মসজিদের নির্মাণশৈলী অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এ ছাড়া এটি এ অঞ্চলের আকর্ষণীয় স্থাপনাগুলোর অন্যতম। এই মসজিদের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হলো, ৭০০ বছর পুরোনো এই তসবি। তসবিটি যুগ যুগ ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে। জুনিপারগাছের কাঠ দিয়ে সুনিপুণভাবে তৈরির কারণে এতে পচন ধরে না। এ ছাড়া যত্নের সঙ্গে ব্যবহারের ফলে ধুলাবালি মিশে এটি নষ্টও হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মসজিদ এবং তসবি দেখার জন্য দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন। অন্য রকম এক আধ্যাত্মিকতায় ছুঁয়ে যায় তাঁদের মন। তাঁরা আবেগাপ্লুত হয়ে ফিরে যান।
মসজিদটির নিয়মিত মুসল্লি ২৩ বছর বয়সী নুরুল্লাহ কুলাই বলেন, ‘ছেলেবেলা থেকেই মসজিদে এই তসবিটি দেখে আসছি। ইমাম সাহেব খুব সচেতনতার সঙ্গে এর যত্ন নেন। আমরা রমজান এবং ধর্মীয় উপলক্ষগুলোতে এই তসবি দিয়ে প্রার্থনা ও জিকিরে নিবিষ্ট হই।’
মসজিদ মহল্লার প্রবীণ বাসিন্দা উসমান শাম জানান, ‘আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এই তসবি নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি। বছরের গুরুত্বপূর্ণ দিন কিংবা ভূমিকম্প-দুর্যোগের সময় জিকির-আজকারের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।’
৭ শতাব্দী পুরোনো ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদের এই তসবিটি কেবল ইতিহাসের এক অমূল্য রত্ন নয়, বরং আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতা এবং ধর্মীয় একাগ্রতার এক অনন্য প্রতীক হয়ে সুবাস ছড়াচ্ছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
তসবি জিকির-আজকারের গুরুত্বপূর্ণ এক উপকরণ। আল্লাহর স্মরণে মুমিনদের সাহায্য করে এই জপমালা। হাতে তসবি, মুখে জিকির—মুমিনের হৃদয়ে ওঠে আল্লাহর প্রেম। যুগ যুগ ধরেই জিকির-আজকারে মুসলমানরা তসবি ব্যবহার করে আসছে। যেমন তুরস্কের কেসেরি প্রদেশের ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদে ৭০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এক তসবি।
১২৮১ সালে নির্মিত হয় ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদ। মসজিদটি উদ্বোধনের দিন তৎকালীন সেলজুক সাম্রাজ্যের রাজধানী কোনিয়া থেকে পাঠানো হয় জুনিপারগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি ১৩ মিটার লম্বা এই তসবি, যাতে রয়েছে ১ হাজার ১১১টি সুনিপুণ দানা। এর ওজন প্রায় পাঁচ কেজি। ধুলাবালি থেকে নিরাপদ রাখতে তসবিটি মসজিদের ভেতরে এক কাচের বাক্সে রাখা হয়, যেন মানুষ তা দেখে চোখ জুড়াতে পারে এবং এর মনোরম সুবাসে হৃদয় বিমোহিত করতে পারে। এই তসবি মুসল্লিরা সব সময় ব্যবহার করতে পারেন না। বছরের বিশেষ বিশেষ দিন, ইবাদতের রাত এবং রমজান মাসে মানুষজন এটি দিয়ে জিকির-আজকার করার সুযোগ পান।
‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদের ইমাম শায়খ মাহমুদ সামি বলেন, ঐতিহাসিক এই মসজিদের নির্মাণশৈলী অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এ ছাড়া এটি এ অঞ্চলের আকর্ষণীয় স্থাপনাগুলোর অন্যতম। এই মসজিদের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হলো, ৭০০ বছর পুরোনো এই তসবি। তসবিটি যুগ যুগ ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে। জুনিপারগাছের কাঠ দিয়ে সুনিপুণভাবে তৈরির কারণে এতে পচন ধরে না। এ ছাড়া যত্নের সঙ্গে ব্যবহারের ফলে ধুলাবালি মিশে এটি নষ্টও হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মসজিদ এবং তসবি দেখার জন্য দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন। অন্য রকম এক আধ্যাত্মিকতায় ছুঁয়ে যায় তাঁদের মন। তাঁরা আবেগাপ্লুত হয়ে ফিরে যান।
মসজিদটির নিয়মিত মুসল্লি ২৩ বছর বয়সী নুরুল্লাহ কুলাই বলেন, ‘ছেলেবেলা থেকেই মসজিদে এই তসবিটি দেখে আসছি। ইমাম সাহেব খুব সচেতনতার সঙ্গে এর যত্ন নেন। আমরা রমজান এবং ধর্মীয় উপলক্ষগুলোতে এই তসবি দিয়ে প্রার্থনা ও জিকিরে নিবিষ্ট হই।’
মসজিদ মহল্লার প্রবীণ বাসিন্দা উসমান শাম জানান, ‘আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এই তসবি নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি। বছরের গুরুত্বপূর্ণ দিন কিংবা ভূমিকম্প-দুর্যোগের সময় জিকির-আজকারের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।’
৭ শতাব্দী পুরোনো ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদের এই তসবিটি কেবল ইতিহাসের এক অমূল্য রত্ন নয়, বরং আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতা এবং ধর্মীয় একাগ্রতার এক অনন্য প্রতীক হয়ে সুবাস ছড়াচ্ছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ পালনে এবার প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে সমবেত হয়েছেন। বুধবার আরাফাতের ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কেউ কেউ হেঁটেই সেখানে পৌঁছান। তাপমাত্রা তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত বছর বিদেশি হাজির সংখ্যা ছিল ১৬ লাখের বেশি।
২ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজি (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন।’ (সুরা কাউসার: ২)
৭ ঘণ্টা আগেইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর পঞ্চমটি হলো হজ। ইমান, নামাজ, জাকাত ও রোজার পরই হজের অবস্থান। সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর হজ ফরজ। অনেকেই শারীরিক ও আর্থিক অপারগতার কারণে হজ করার সামর্থ্য রাখে না। হজে যেতে না পারলেও মুসলমানদের জন্য এমন কিছু আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই হজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেআরাফাহ হলো আরবি বর্ষপঞ্জির ১২তম মাসের ৯ তারিখ—যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ছাড়া এটি ঈদুল আজহার আগের দিন হওয়ায় মুসলমানরা ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতিও এই দিন নিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
১০ ঘণ্টা আগে