নাঈমুল হাসান তানযীম
গালি দেওয়া নিকৃষ্ট অভ্যাস। এটি কোনো সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। যারা কথায় কথায় মানুষকে গালিগালাজ করে, তাদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি এসেছে কোরআন-হাদিসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।’ (আল আহজাব: ৫৮) গালি দেওয়া কেমন গুনাহ সে সম্পর্কে রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি এবং তার সঙ্গে লড়াই করা কুফরি।’ (বুখারি: ৪৮)
অন্যকে গালি দেওয়া মানে নিজেই নিজেকে গালি দেওয়া। আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: ‘একজন অপরজনকে ফাসিক বলে যেন গালি না দেয় এবং কাফির বলে যেন অপবাদ না দেয়। কেননা, যদি সে বাস্তবেই তা না হয়ে থাকে, তবে তা তার ওপরই পতিত হবে।’ (বুখারি: ৬০৪৫)
গালিগালাজ করা বড় গুনাহের কাজ। তাই রাগের বশে হোক বা মজার ছলে—গালি দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘কবিরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় গুনাহ নিজের মা-বাবাকে লানত করা।’
জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপন মা-বাবাকে কেউ লানত করতে পারে?’ তিনি বললেন, ‘সে যখন অন্য কোনো লোকের বাবাকে গালি দেয়, তখন সে নিজের বাবাকেই গালি দেয় এবং সে অন্যের মাকে গালি দেয়, ফলে সে তার মাকেই গালি দেয়।’ (বুখারি: ৫৯৭৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
গালি দেওয়া নিকৃষ্ট অভ্যাস। এটি কোনো সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। যারা কথায় কথায় মানুষকে গালিগালাজ করে, তাদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি এসেছে কোরআন-হাদিসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।’ (আল আহজাব: ৫৮) গালি দেওয়া কেমন গুনাহ সে সম্পর্কে রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি এবং তার সঙ্গে লড়াই করা কুফরি।’ (বুখারি: ৪৮)
অন্যকে গালি দেওয়া মানে নিজেই নিজেকে গালি দেওয়া। আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: ‘একজন অপরজনকে ফাসিক বলে যেন গালি না দেয় এবং কাফির বলে যেন অপবাদ না দেয়। কেননা, যদি সে বাস্তবেই তা না হয়ে থাকে, তবে তা তার ওপরই পতিত হবে।’ (বুখারি: ৬০৪৫)
গালিগালাজ করা বড় গুনাহের কাজ। তাই রাগের বশে হোক বা মজার ছলে—গালি দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘কবিরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় গুনাহ নিজের মা-বাবাকে লানত করা।’
জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপন মা-বাবাকে কেউ লানত করতে পারে?’ তিনি বললেন, ‘সে যখন অন্য কোনো লোকের বাবাকে গালি দেয়, তখন সে নিজের বাবাকেই গালি দেয় এবং সে অন্যের মাকে গালি দেয়, ফলে সে তার মাকেই গালি দেয়।’ (বুখারি: ৫৯৭৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
লজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
৮ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ...
১০ ঘণ্টা আগেইসলামে বিশ্বাস ও তাওহিদের ভিত্তিতে মানবজীবন পরিচালিত হয়। সেই বিশ্বাসে জাদু বা জাদুটোনার কোনো স্থান নেই—বরং এটি একটি ঘৃণিত, হারাম এবং গুনাহে কবিরা, অর্থাৎ বড় পাপ হিসেবে চিহ্নিত। জাদুবিদ্যা কেবল একজন মানুষকে শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার ইমান ও আত্মিক ভারসাম্যকেও ভেঙে দিতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগেশয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লা
২১ ঘণ্টা আগে