আসআদ শাহীন
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত একটি শব্দ ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী। চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনকারীদের এই নামে ডাকা হয়। বর্তমান বিশ্বে এটির জন্য আন্দোলন-সংগ্রামও করছে একদল মানুষ। ট্রান্সজেন্ডারবাদ বা রূপান্তরকামিতার সংজ্ঞা মতে, একজন পুরুষের যদি নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী বলেই বিবেচনা করবে। একইভাবে কোনো নারীরও যদি নিজেকে পুরুষ মনে হয়, তাহলে সে পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তারা চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামে অনুমোদিত নয়।
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার, তা হলো ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া মোটেও এক নয়। ট্রান্সজেন্ডার আন্দোলন মোটেও হিজড়া বা জন্মগত তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নয়। এই দুটি জিনিস একেবারেই আলাদা। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ হয় সম্পূর্ণ পুরুষ অথবা নারী। যাদের দেহ শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি, তারা পুরুষ আর যাদের দেহ ডিম্বাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি, তারা নারী। এটা শুধু বাহ্যিক অঙ্গপ্রতঙ্গের বিষয় নয়, পুরো প্রজননব্যবস্থার বিষয়। সুতরাং এখন যারা জন্মগতভাবে অস্বাভাবিক এবং কিছু যৌন ত্রুটি বা জটিলতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, তারা হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ। ইংরেজিতে বলা হয় ইন্টারসেক্স। হিজড়াদের বিধান ও অধিকার ইসলামে স্বীকৃত।
ট্রান্সজেন্ডাররা ইন্টারসেক্স নয়, তারা সম্পূর্ণরূপে পুরুষ বা নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে ওই লিঙ্গের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এটি ইসলামে দেহ বিকৃতির শামিল। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আমি (আল্লাহ) মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতম গঠনে’। (সুরা ত্বিন: ৪) তিনি মানুষকে যে স্বাভাবিক দেহাবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, সেটাই তার জন্য উৎকৃষ্ট নিয়ামত। ইসলামি বিধিবিধানের বাইরে গিয়ে একে পরিবর্তন-পরিবর্ধনের অধিকার কারোর নেই। লিঙ্গ পরিবর্তন ইসলামে জঘন্যতম হারাম ও কবিরা গুনাহ। এটার সঙ্গে আপস করার সুযোগ নেই।
হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পাত করেছেন।’ (বুখারি: ৫৮৮৫) সব মাজহাবের ফকিহগণ এ বিষয়ে একমত যে ট্রান্সজেন্ডারবাদ আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধন, যা সুস্পষ্ট হারাম। আবার অনেকের ভাষ্যমতে এটি কুফরি। তাফসিরে কুরতবিতে ইমাম কুরতবি (রহ.) বলেন, আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে কোনোরূপ পরিবর্তন করা নাজায়েজ। (তাফসিরে কুরতুবি: ৫ / ৩৯৩)
লেখক: অনুবাদক ও গবেষক
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত একটি শব্দ ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী। চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনকারীদের এই নামে ডাকা হয়। বর্তমান বিশ্বে এটির জন্য আন্দোলন-সংগ্রামও করছে একদল মানুষ। ট্রান্সজেন্ডারবাদ বা রূপান্তরকামিতার সংজ্ঞা মতে, একজন পুরুষের যদি নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী বলেই বিবেচনা করবে। একইভাবে কোনো নারীরও যদি নিজেকে পুরুষ মনে হয়, তাহলে সে পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তারা চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামে অনুমোদিত নয়।
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার, তা হলো ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া মোটেও এক নয়। ট্রান্সজেন্ডার আন্দোলন মোটেও হিজড়া বা জন্মগত তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নয়। এই দুটি জিনিস একেবারেই আলাদা। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ হয় সম্পূর্ণ পুরুষ অথবা নারী। যাদের দেহ শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি, তারা পুরুষ আর যাদের দেহ ডিম্বাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি, তারা নারী। এটা শুধু বাহ্যিক অঙ্গপ্রতঙ্গের বিষয় নয়, পুরো প্রজননব্যবস্থার বিষয়। সুতরাং এখন যারা জন্মগতভাবে অস্বাভাবিক এবং কিছু যৌন ত্রুটি বা জটিলতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, তারা হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ। ইংরেজিতে বলা হয় ইন্টারসেক্স। হিজড়াদের বিধান ও অধিকার ইসলামে স্বীকৃত।
ট্রান্সজেন্ডাররা ইন্টারসেক্স নয়, তারা সম্পূর্ণরূপে পুরুষ বা নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে ওই লিঙ্গের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এটি ইসলামে দেহ বিকৃতির শামিল। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আমি (আল্লাহ) মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতম গঠনে’। (সুরা ত্বিন: ৪) তিনি মানুষকে যে স্বাভাবিক দেহাবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, সেটাই তার জন্য উৎকৃষ্ট নিয়ামত। ইসলামি বিধিবিধানের বাইরে গিয়ে একে পরিবর্তন-পরিবর্ধনের অধিকার কারোর নেই। লিঙ্গ পরিবর্তন ইসলামে জঘন্যতম হারাম ও কবিরা গুনাহ। এটার সঙ্গে আপস করার সুযোগ নেই।
হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পাত করেছেন।’ (বুখারি: ৫৮৮৫) সব মাজহাবের ফকিহগণ এ বিষয়ে একমত যে ট্রান্সজেন্ডারবাদ আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধন, যা সুস্পষ্ট হারাম। আবার অনেকের ভাষ্যমতে এটি কুফরি। তাফসিরে কুরতবিতে ইমাম কুরতবি (রহ.) বলেন, আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে কোনোরূপ পরিবর্তন করা নাজায়েজ। (তাফসিরে কুরতুবি: ৫ / ৩৯৩)
লেখক: অনুবাদক ও গবেষক
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।
২০ ঘণ্টা আগেজীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
২ দিন আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
৩ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
৩ দিন আগে