সাকী মাহবুব
আল্লাহর দান করা অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে চোখ একটি অনন্য ও অতুলনীয় দান। চোখ মানুষের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গ এমন এক নিয়ামত, যার মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ, রঙের বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রিয়জনের মুখাবয়ব এবং আল্লাহর সৃষ্টির অপার বিস্ময় দেখতে পায়। চোখ ছাড়া জীবন কল্পনা করাও দুঃসহ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং (হে মানুষ,) তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কান, চোখ ও অন্তর। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সুরা সিজদা: ৯)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, চোখ শুধু ব্যবহার করার বস্তু নয়—বরং এটি একটি নিয়ামত, যার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুটি নিয়ামত রয়েছে, যেগুলোর মূল্য মানুষ কিয়ামতের দিন বুঝতে পারবে, একটি হলো অবসর, অপরটি হলো সুস্থতা। (সহিহ্ বুখারি: ৬৪১২)। চোখের সুস্থতা ও সক্ষমতা এই দুইয়ের মধ্যে অন্যতম।
চোখের ব্যবহারেও ইসলামের নির্দেশনা রয়েছে। চোখ দিয়ে ভালো কিছু দেখা যেমন ইবাদত, তেমনি চোখ দিয়ে খারাপ কিছু দেখা পাপ। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সুরা নুরে পুরুষ ও নারীকে দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। হারাম জিনিস দেখা থেকে চোখ সংযত রাখাই হচ্ছে এই নিয়ামতের যথাযথ মূল্যায়ন ও কৃতজ্ঞতা আদায় করা।
একজন মুমিনের কর্তব্য হলো চোখ দিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করা, ভালো কিছু অধ্যয়ন করা, প্রকৃতির সৌন্দর্যে আল্লাহর কুদরতের চিন্তা করা, মা-বাবার মুখের দিকে শ্রদ্ধাভরে তাকানো, জীবনসঙ্গীর দিকে ভালোবাসার নজর দেওয়া, সন্তানের দিকে স্নেহমাখা দৃষ্টি দেওয়া, অসহায়ের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টি দেওয়া এবং হারাম থেকে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া।
হারাম থেকে দৃষ্টি সংযত রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ের মাধ্যমে আমরা এই অপূর্ব নিয়ামতের যথার্থ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন।
আল্লাহর দান করা অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে চোখ একটি অনন্য ও অতুলনীয় দান। চোখ মানুষের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গ এমন এক নিয়ামত, যার মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ, রঙের বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রিয়জনের মুখাবয়ব এবং আল্লাহর সৃষ্টির অপার বিস্ময় দেখতে পায়। চোখ ছাড়া জীবন কল্পনা করাও দুঃসহ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং (হে মানুষ,) তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কান, চোখ ও অন্তর। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সুরা সিজদা: ৯)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, চোখ শুধু ব্যবহার করার বস্তু নয়—বরং এটি একটি নিয়ামত, যার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুটি নিয়ামত রয়েছে, যেগুলোর মূল্য মানুষ কিয়ামতের দিন বুঝতে পারবে, একটি হলো অবসর, অপরটি হলো সুস্থতা। (সহিহ্ বুখারি: ৬৪১২)। চোখের সুস্থতা ও সক্ষমতা এই দুইয়ের মধ্যে অন্যতম।
চোখের ব্যবহারেও ইসলামের নির্দেশনা রয়েছে। চোখ দিয়ে ভালো কিছু দেখা যেমন ইবাদত, তেমনি চোখ দিয়ে খারাপ কিছু দেখা পাপ। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সুরা নুরে পুরুষ ও নারীকে দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। হারাম জিনিস দেখা থেকে চোখ সংযত রাখাই হচ্ছে এই নিয়ামতের যথাযথ মূল্যায়ন ও কৃতজ্ঞতা আদায় করা।
একজন মুমিনের কর্তব্য হলো চোখ দিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করা, ভালো কিছু অধ্যয়ন করা, প্রকৃতির সৌন্দর্যে আল্লাহর কুদরতের চিন্তা করা, মা-বাবার মুখের দিকে শ্রদ্ধাভরে তাকানো, জীবনসঙ্গীর দিকে ভালোবাসার নজর দেওয়া, সন্তানের দিকে স্নেহমাখা দৃষ্টি দেওয়া, অসহায়ের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টি দেওয়া এবং হারাম থেকে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া।
হারাম থেকে দৃষ্টি সংযত রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ের মাধ্যমে আমরা এই অপূর্ব নিয়ামতের যথার্থ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে