ইসলাম ডেস্ক
মহানবী (সা.) ছিলেন পুরো বিশ্বের জন্য শান্তির দূত। কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানবজাতির কাছে হিদায়াতের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁকেই অর্পণ করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই উম্মতের প্রতি দরদ থেকে তিনি জীবনের শেষ দিনগুলোতে অনেক মূল্যবান অসিয়ত করে গেছেন। এখানে গুরুত্বপূর্ণ আটটি অসিয়তের কথা তুলে ধরা হলো—
১. নামাজ আদায়
আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর অন্তিম মুহূর্তে তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং তাঁর মুখের ভাষায় এ অসিয়ত ছিল যে, ‘সালাত সালাত’ (অর্থাৎ নামাজ আদায় করবে। (মুসনাদে আহমদ: ২৬৬৮৪)
২. অধীনদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার
আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অন্তিম মুহূর্তে তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং তাঁর মুখের ভাষায় এই অসিয়ত ছিল যে ‘...তোমাদের দাস-দাসীর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে (অর্থাৎ তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে)।’ (ইবনে হিব্বান: ৬৬০৫)
৩. কোরআন-সুন্নাহর অনুসরণ
বিদায় হজের ভাষণে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘... অবশ্যই আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি; যদি তা দৃঢ়ভাবে ধারণ করো, কখনোই তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না; আর তা হলো আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর নবীর সুন্নাহ।’ (হাকেম: ৩১৮)
৪. আমানত রক্ষা
রাসুল (সা.) বলেন, ‘সাবধান! কারও কাছে অন্যের আমানত থাকলে সে যেন তা আমানতদাতার কাছে দিয়ে দেয়।’ (মুসনাদে আহমদ: ২০৬৯৫)
৫. শিরকের পথ পরিহার
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, যে রোগ থেকে রাসুলুল্লাহ (সা.) আর সুস্থ হয়ে ওঠেননি, সেই রোগাবস্থায় তিনি বলেছেন, ইহুদিদের প্রতি আল্লাহ লানত করেছেন, তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে মসজিদে পরিণত করেছে। (মুসলিম: ৫২৯)
৬. সুদ বর্জন
বিদায় হজের ভাষণে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আর জাহেলি যুগের সুদ প্রথা বাতিল ঘোষিত হলো।...’ (মুসলিম: ১২১৮)
৭. নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো। কেননা, তোমরা তাদের আল্লাহর দেওয়া নিরাপত্তার মাধ্যমে গ্রহণ করেছ। আর তাদের লজ্জাস্থান তোমরা হালাল করেছ আল্লাহর কলেমা তথা ওয়াদার মাধ্যমে।’ (মুসলিম: ১২১৮)
৮. ফিতনা থেকে দূরে থাকা
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামত কায়েম হবে না, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং খুনখারাবি বাড়বে।’ (বুখারি: ১০৩৬)
মহানবী (সা.) ছিলেন পুরো বিশ্বের জন্য শান্তির দূত। কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানবজাতির কাছে হিদায়াতের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁকেই অর্পণ করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই উম্মতের প্রতি দরদ থেকে তিনি জীবনের শেষ দিনগুলোতে অনেক মূল্যবান অসিয়ত করে গেছেন। এখানে গুরুত্বপূর্ণ আটটি অসিয়তের কথা তুলে ধরা হলো—
১. নামাজ আদায়
আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর অন্তিম মুহূর্তে তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং তাঁর মুখের ভাষায় এ অসিয়ত ছিল যে, ‘সালাত সালাত’ (অর্থাৎ নামাজ আদায় করবে। (মুসনাদে আহমদ: ২৬৬৮৪)
২. অধীনদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার
আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অন্তিম মুহূর্তে তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং তাঁর মুখের ভাষায় এই অসিয়ত ছিল যে ‘...তোমাদের দাস-দাসীর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে (অর্থাৎ তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে)।’ (ইবনে হিব্বান: ৬৬০৫)
৩. কোরআন-সুন্নাহর অনুসরণ
বিদায় হজের ভাষণে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘... অবশ্যই আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি; যদি তা দৃঢ়ভাবে ধারণ করো, কখনোই তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না; আর তা হলো আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর নবীর সুন্নাহ।’ (হাকেম: ৩১৮)
৪. আমানত রক্ষা
রাসুল (সা.) বলেন, ‘সাবধান! কারও কাছে অন্যের আমানত থাকলে সে যেন তা আমানতদাতার কাছে দিয়ে দেয়।’ (মুসনাদে আহমদ: ২০৬৯৫)
৫. শিরকের পথ পরিহার
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, যে রোগ থেকে রাসুলুল্লাহ (সা.) আর সুস্থ হয়ে ওঠেননি, সেই রোগাবস্থায় তিনি বলেছেন, ইহুদিদের প্রতি আল্লাহ লানত করেছেন, তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে মসজিদে পরিণত করেছে। (মুসলিম: ৫২৯)
৬. সুদ বর্জন
বিদায় হজের ভাষণে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আর জাহেলি যুগের সুদ প্রথা বাতিল ঘোষিত হলো।...’ (মুসলিম: ১২১৮)
৭. নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো। কেননা, তোমরা তাদের আল্লাহর দেওয়া নিরাপত্তার মাধ্যমে গ্রহণ করেছ। আর তাদের লজ্জাস্থান তোমরা হালাল করেছ আল্লাহর কলেমা তথা ওয়াদার মাধ্যমে।’ (মুসলিম: ১২১৮)
৮. ফিতনা থেকে দূরে থাকা
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামত কায়েম হবে না, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং খুনখারাবি বাড়বে।’ (বুখারি: ১০৩৬)
সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
১৩ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
১৩ ঘণ্টা আগেআমাদের অফিসের টপ ফ্লোরে নামাজের জন্য নির্ধারিত জায়গা আছে। সেখানে নির্ধারিত আলেম ইমামের মাধ্যমে জামাতের সঙ্গে ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করা হয়। কিন্তু আমরা জুমার নামাজ আদায় করি পাশের একটি বড় মসজিদে। অফিসের নামাজ আদায়ের স্থানটি ওয়াক্ফ করা নয়। এ অবস্থায় আমরা কি ইচ্ছে করলে সেখানে জুমার নামাজের আয়োজন...
১৩ ঘণ্টা আগে