মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
সুরা কোরাইশ পবিত্র কোরআনের ১০৬তম সুরা। কোরাইশ মূলত রাসুল (সা.)-এর দ্বাদশ পুরুষ নজর বিন কিনানাহর উপাধি। পরে তাঁর বংশধরেরা কোরাইশ নামে পরিচিতি লাভ করেন। এ সুরায় কোরাইশদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তাই এর নাম ‘কোরাইশ’ রাখা হয়েছে।
মক্কায় অবতীর্ণ সুরাটিতে আল্লাহ তাআলা কোরাইশদের প্রতি তাঁর বিশেষ নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের একমাত্র তাঁরই ইবাদত করার নির্দেশ দেন। ইরশাদ করেন, ‘যেহেতু কোরাইশের লোকেরা অভ্যস্ত, অর্থাৎ তারা শীত ও গ্রীষ্মকালে (ইয়েমেন ও সিরিয়ায়) সফর করতে অভ্যস্ত, তাই তারা যেন এই ঘরের (পবিত্র কাবাঘরের) মালিকের ইবাদত করে, যিনি তাদের ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং ভয়ভীতি থেকে নিরাপদ রেখেছেন।’ (সুরা কোরাইশ: ১-৪)
মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগে আরব অঞ্চলে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ছিল না। কিন্তু কোরাইশরা যেহেতু বায়তুল্লাহ শরিফের আশপাশে বাস করত এবং তার সেবা করত, তাই আরবের সব লোক তাদের সেবা করত। তারা কোথাও সফর করলে তাদের কেউ ক্ষতি করত না। এই সুবাদে তারা প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে ইয়েমেনে এবং শীতকালে সিরিয়ায় নিরাপদে বাণিজ্যিক সফর করত। মক্কায় কোনো খেত-খামার ছিল না। তা সত্ত্বেও এসব সফরের কল্যাণে তারা সচ্ছল জীবন যাপন করত। আল্লাহ তাআলা এই সুরায় তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তারা যে নিরাপত্তা ও সচ্ছলতা উপভোগ করছে, তা পবিত্র কাবাঘরের প্রতিবেশী হওয়ার কল্যাণেই। সুতরাং অন্যান্য দেব-দেবীর উপাসনা বাদ দিয়ে একমাত্র এই পবিত্র ঘরের মালিক মহান আল্লাহরই ইবাদত করা উচিত তাদের।
সুরা কোরাইশ থেকে আমাদের শেখার বিষয় হলো—
এক. আমাদের নিরাপত্তা ও রিজিকদাতা একমাত্র আল্লাহ তাআলা। সুতরাং একমাত্র তাঁরই ইবাদত করা বাঞ্ছনীয়।
দুই. ধর্মীয় কারণে যারা সাধারণ মানুষের সমীহ পায়, তাদের অন্যদের তুলনায় অধিক পরিমাণে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত।
তিন. উপকারকারীর উপকার স্বীকার না করা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করা নিন্দনীয়।
চার. নিজ শহরে পর্যাপ্ত উৎপাদনের ব্যবস্থা না থাকলে ভিন্ন শহরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।
সুরা কোরাইশ পবিত্র কোরআনের ১০৬তম সুরা। কোরাইশ মূলত রাসুল (সা.)-এর দ্বাদশ পুরুষ নজর বিন কিনানাহর উপাধি। পরে তাঁর বংশধরেরা কোরাইশ নামে পরিচিতি লাভ করেন। এ সুরায় কোরাইশদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তাই এর নাম ‘কোরাইশ’ রাখা হয়েছে।
মক্কায় অবতীর্ণ সুরাটিতে আল্লাহ তাআলা কোরাইশদের প্রতি তাঁর বিশেষ নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের একমাত্র তাঁরই ইবাদত করার নির্দেশ দেন। ইরশাদ করেন, ‘যেহেতু কোরাইশের লোকেরা অভ্যস্ত, অর্থাৎ তারা শীত ও গ্রীষ্মকালে (ইয়েমেন ও সিরিয়ায়) সফর করতে অভ্যস্ত, তাই তারা যেন এই ঘরের (পবিত্র কাবাঘরের) মালিকের ইবাদত করে, যিনি তাদের ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং ভয়ভীতি থেকে নিরাপদ রেখেছেন।’ (সুরা কোরাইশ: ১-৪)
মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগে আরব অঞ্চলে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ছিল না। কিন্তু কোরাইশরা যেহেতু বায়তুল্লাহ শরিফের আশপাশে বাস করত এবং তার সেবা করত, তাই আরবের সব লোক তাদের সেবা করত। তারা কোথাও সফর করলে তাদের কেউ ক্ষতি করত না। এই সুবাদে তারা প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে ইয়েমেনে এবং শীতকালে সিরিয়ায় নিরাপদে বাণিজ্যিক সফর করত। মক্কায় কোনো খেত-খামার ছিল না। তা সত্ত্বেও এসব সফরের কল্যাণে তারা সচ্ছল জীবন যাপন করত। আল্লাহ তাআলা এই সুরায় তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তারা যে নিরাপত্তা ও সচ্ছলতা উপভোগ করছে, তা পবিত্র কাবাঘরের প্রতিবেশী হওয়ার কল্যাণেই। সুতরাং অন্যান্য দেব-দেবীর উপাসনা বাদ দিয়ে একমাত্র এই পবিত্র ঘরের মালিক মহান আল্লাহরই ইবাদত করা উচিত তাদের।
সুরা কোরাইশ থেকে আমাদের শেখার বিষয় হলো—
এক. আমাদের নিরাপত্তা ও রিজিকদাতা একমাত্র আল্লাহ তাআলা। সুতরাং একমাত্র তাঁরই ইবাদত করা বাঞ্ছনীয়।
দুই. ধর্মীয় কারণে যারা সাধারণ মানুষের সমীহ পায়, তাদের অন্যদের তুলনায় অধিক পরিমাণে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত।
তিন. উপকারকারীর উপকার স্বীকার না করা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করা নিন্দনীয়।
চার. নিজ শহরে পর্যাপ্ত উৎপাদনের ব্যবস্থা না থাকলে ভিন্ন শহরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।
সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
১২ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
১২ ঘণ্টা আগেআমাদের অফিসের টপ ফ্লোরে নামাজের জন্য নির্ধারিত জায়গা আছে। সেখানে নির্ধারিত আলেম ইমামের মাধ্যমে জামাতের সঙ্গে ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করা হয়। কিন্তু আমরা জুমার নামাজ আদায় করি পাশের একটি বড় মসজিদে। অফিসের নামাজ আদায়ের স্থানটি ওয়াক্ফ করা নয়। এ অবস্থায় আমরা কি ইচ্ছে করলে সেখানে জুমার নামাজের আয়োজন...
১২ ঘণ্টা আগে