মুফতি হাসান আরিফ
রেলওয়ে বা ট্রেন এক আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক ভ্রমণের মাধ্যম। ট্রেনে বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে দেখা যায় সবুজ খেত, নদী, গ্রামের সৌন্দর্য ও প্রকৃতির রূপ। এতে এক ভিন্ন অনুভূতি জাগে মনে। ট্রেনের গতি মসৃণ হওয়ায় দীর্ঘ ভ্রমণও আরামদায়ক হয়। তাই ভ্রমণে অনেকেরই প্রথম পছন্দ ট্রেন। কিন্তু অনেককে দেখা যায়, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় রাষ্ট্রীয় এই বাহন দিয়ে আরামে যাতায়াত করে ঠিকই, কিন্তু টিকিট কাটে না! এভাবে টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ করলে কি গুনাহ হবে?
এ বিষয়ে ইসলামের বিধান হলো, টিকিট না কেটে ট্রেনে ভ্রমণ করা বৈধ নয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় আইনেও এটা অপরাধ। বিনা টিকিটে ভ্রমণের ফলে রাষ্ট্রীয় এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। রেলওয়ে রাজস্ব হারায়, যা উন্নয়নকাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। সর্বোপরি বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ মারাত্মক পর্যায়ের খেয়ানতের মধ্যে পড়ে। আর খেয়ানতকারীর বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোনো নবীর জন্য খিয়ানত করা শোভনীয় নয়। আর যে ব্যক্তি খিয়ানত করবে, সে কিয়ামতের দিন তার খিয়ানতের বস্তুসহ উপস্থিত হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের পূর্ণ প্রতিদান পাবে। তাদের প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬১)
কেউ কেউ টিকিট না কেটে ট্রেনের ভেতরে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের কিছু টাকা দিয়ে ভ্রমণ করার কথাও শোনা যায়। নিয়মতান্ত্রিক টিকিট না কেটে ট্রেনের দায়িত্বশীল কাউকে কিছু টাকা দিয়ে ভ্রমণ করলে তা ভাড়া হিসেবে গণ্য হবে না। বরং সেটা হবে ঘুষ, যা ইসলামে সম্পূর্ণ অবৈধ। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারী দুজনকেই আল্লাহর রাসুল অভিসম্পাত করেছেন। (জামে তিরমিজি: ১৩৩৭)
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অথবা অপারগ হয়ে কখনো টিকিট ছাড়া কেউ ট্রেনে ভ্রমণ করে থাকলে, সমপরিমাণ মূল্যের সিটবিহীন অর্থাৎ স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে ছিঁড়ে ফেলে দেবেন। এতে আপনি ওই অপরাধ থেকে মুক্ত হতে পারবেন বলে আশা করা যায়। (ফাতহুল কাদির: ৬ / ৩৫৯, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩ / ৪৪৫, তাফসিরে মাজহারি: ৩ / ১৪৫)
রেলওয়ে বা ট্রেন এক আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক ভ্রমণের মাধ্যম। ট্রেনে বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে দেখা যায় সবুজ খেত, নদী, গ্রামের সৌন্দর্য ও প্রকৃতির রূপ। এতে এক ভিন্ন অনুভূতি জাগে মনে। ট্রেনের গতি মসৃণ হওয়ায় দীর্ঘ ভ্রমণও আরামদায়ক হয়। তাই ভ্রমণে অনেকেরই প্রথম পছন্দ ট্রেন। কিন্তু অনেককে দেখা যায়, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় রাষ্ট্রীয় এই বাহন দিয়ে আরামে যাতায়াত করে ঠিকই, কিন্তু টিকিট কাটে না! এভাবে টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ করলে কি গুনাহ হবে?
এ বিষয়ে ইসলামের বিধান হলো, টিকিট না কেটে ট্রেনে ভ্রমণ করা বৈধ নয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় আইনেও এটা অপরাধ। বিনা টিকিটে ভ্রমণের ফলে রাষ্ট্রীয় এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। রেলওয়ে রাজস্ব হারায়, যা উন্নয়নকাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। সর্বোপরি বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ মারাত্মক পর্যায়ের খেয়ানতের মধ্যে পড়ে। আর খেয়ানতকারীর বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোনো নবীর জন্য খিয়ানত করা শোভনীয় নয়। আর যে ব্যক্তি খিয়ানত করবে, সে কিয়ামতের দিন তার খিয়ানতের বস্তুসহ উপস্থিত হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের পূর্ণ প্রতিদান পাবে। তাদের প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬১)
কেউ কেউ টিকিট না কেটে ট্রেনের ভেতরে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের কিছু টাকা দিয়ে ভ্রমণ করার কথাও শোনা যায়। নিয়মতান্ত্রিক টিকিট না কেটে ট্রেনের দায়িত্বশীল কাউকে কিছু টাকা দিয়ে ভ্রমণ করলে তা ভাড়া হিসেবে গণ্য হবে না। বরং সেটা হবে ঘুষ, যা ইসলামে সম্পূর্ণ অবৈধ। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারী দুজনকেই আল্লাহর রাসুল অভিসম্পাত করেছেন। (জামে তিরমিজি: ১৩৩৭)
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অথবা অপারগ হয়ে কখনো টিকিট ছাড়া কেউ ট্রেনে ভ্রমণ করে থাকলে, সমপরিমাণ মূল্যের সিটবিহীন অর্থাৎ স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে ছিঁড়ে ফেলে দেবেন। এতে আপনি ওই অপরাধ থেকে মুক্ত হতে পারবেন বলে আশা করা যায়। (ফাতহুল কাদির: ৬ / ৩৫৯, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩ / ৪৪৫, তাফসিরে মাজহারি: ৩ / ১৪৫)
ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ পালনে এবার প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে সমবেত হয়েছেন। বুধবার আরাফাতের ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কেউ কেউ হেঁটেই সেখানে পৌঁছান। তাপমাত্রা তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত বছর বিদেশি হাজির সংখ্যা ছিল ১৬ লাখের বেশি।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজি (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন।’ (সুরা কাউসার: ২)
১০ ঘণ্টা আগেইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর পঞ্চমটি হলো হজ। ইমান, নামাজ, জাকাত ও রোজার পরই হজের অবস্থান। সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর হজ ফরজ। অনেকেই শারীরিক ও আর্থিক অপারগতার কারণে হজ করার সামর্থ্য রাখে না। হজে যেতে না পারলেও মুসলমানদের জন্য এমন কিছু আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই হজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেআরাফাহ হলো আরবি বর্ষপঞ্জির ১২তম মাসের ৯ তারিখ—যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ছাড়া এটি ঈদুল আজহার আগের দিন হওয়ায় মুসলমানরা ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতিও এই দিন নিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
১৪ ঘণ্টা আগে