মুফতি হাসান আরিফ
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য খুবই বরকত ও ফজিলতপূর্ণ দিন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে এ দিনের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। এই দিনের নামে একটি সুরাও স্থান পেয়েছে কোরআনুল কারিমে।
জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন- ‘হে ইমানদারগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়—তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত বেরিয়ে পড়, আর সব লেনদেন (বেচাকেনা) তখন বন্ধ করে দাও।’ (সুরা জুমা: ৯)।
এই আয়াতের সূত্র ধরে ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা বলেন, জুমার দিন দ্বিতীয় আজানের পর যে কোনো কাজ তথা লেনদেন (কেনাবেচা) সম্পূর্ণরূপে হারাম বা নিষিদ্ধ।
জুমার নামাজ ত্যাগের শাস্তি বিষয়ে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘লোকদের জুমার নামাজ ত্যাগ করা হতে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। নতুবা আল্লাহ তাআলা তাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেবেন। এরপর তারা অনন্তকাল ধরে অলসতায় আচ্ছন্ন থাকবে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
ক্রীতদাস, নারী, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক ও অসুস্থ ব্যক্তি—এই চার ধরনের মানুষ ছাড়া সব মুসলমানকেই নির্ধারিত সময়ে জুমার নামাজে উপস্থিত হওয়া আবশ্যক।
জুমাবারের ফজিলত বর্ণনা করে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়—ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিন হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এই দিনই তাঁকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছে। আর জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া হাদিসে এসেছে জুমার দিন মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের জন্য জুমার দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। সুতরাং জুমায় শরিক হওয়ার পূর্বে গোসল করে নেবে। সুগন্ধি থাকলে, ব্যবহার করবে। আর অবশ্যই মিসওয়াক করবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)
তবে জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত বোঝাতে গিয়ে অনেকে এই দিনকে গরিবের হজের দিন বলে আখ্যায়িত করে থাকে! এমনটি বলা একেবারেই অনুচিত। জুমাবার গরিবের হজের দিন—এ কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। (ফাওয়ায়িদুল মাজমুআ: ৪৩৭, মাউজুআতে সাগানি: ৫০, কিতাবুল মাজরুহিন: ২/৪৩৮, কিতাবুল মাউজুআত: ৩/১৪৩, মিজানুল ইতিদাল: ৪/৩০১০, তাহজিবুত তাহজিব: ১১/৪৮, তারতিবুল মাউজুআত: ২১৮)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য খুবই বরকত ও ফজিলতপূর্ণ দিন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে এ দিনের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। এই দিনের নামে একটি সুরাও স্থান পেয়েছে কোরআনুল কারিমে।
জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন- ‘হে ইমানদারগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়—তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত বেরিয়ে পড়, আর সব লেনদেন (বেচাকেনা) তখন বন্ধ করে দাও।’ (সুরা জুমা: ৯)।
এই আয়াতের সূত্র ধরে ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা বলেন, জুমার দিন দ্বিতীয় আজানের পর যে কোনো কাজ তথা লেনদেন (কেনাবেচা) সম্পূর্ণরূপে হারাম বা নিষিদ্ধ।
জুমার নামাজ ত্যাগের শাস্তি বিষয়ে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘লোকদের জুমার নামাজ ত্যাগ করা হতে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। নতুবা আল্লাহ তাআলা তাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেবেন। এরপর তারা অনন্তকাল ধরে অলসতায় আচ্ছন্ন থাকবে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
ক্রীতদাস, নারী, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক ও অসুস্থ ব্যক্তি—এই চার ধরনের মানুষ ছাড়া সব মুসলমানকেই নির্ধারিত সময়ে জুমার নামাজে উপস্থিত হওয়া আবশ্যক।
জুমাবারের ফজিলত বর্ণনা করে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়—ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিন হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এই দিনই তাঁকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছে। আর জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া হাদিসে এসেছে জুমার দিন মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের জন্য জুমার দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। সুতরাং জুমায় শরিক হওয়ার পূর্বে গোসল করে নেবে। সুগন্ধি থাকলে, ব্যবহার করবে। আর অবশ্যই মিসওয়াক করবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)
তবে জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত বোঝাতে গিয়ে অনেকে এই দিনকে গরিবের হজের দিন বলে আখ্যায়িত করে থাকে! এমনটি বলা একেবারেই অনুচিত। জুমাবার গরিবের হজের দিন—এ কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। (ফাওয়ায়িদুল মাজমুআ: ৪৩৭, মাউজুআতে সাগানি: ৫০, কিতাবুল মাজরুহিন: ২/৪৩৮, কিতাবুল মাউজুআত: ৩/১৪৩, মিজানুল ইতিদাল: ৪/৩০১০, তাহজিবুত তাহজিব: ১১/৪৮, তারতিবুল মাউজুআত: ২১৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) নবুওয়াতের আগে থেকেই সততার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেন। ব্যবসা ও লেনদেনে তিনি কখনো প্রতারণা করেননি। তাঁর কাছে যত সম্পদ ও আমানত রাখা হতো, তিনি সব নিখুঁতভাবে ফিরিয়ে দিতেন। এমনকি মক্কার মানুষ তাঁর বিরোধী হলেও আমানত রাখার জন্য প্রথমে তাঁর কাছেই ছুটে যেতেন। কারণ, তাঁকে ছাড়া যে আর কাউকে...
১ মিনিট আগেগিবত বা পরনিন্দা ইসলামে অত্যন্ত গুরুতর ও ভয়াবহ কবিরা গুনাহ। এর আভিধানিক অর্থ হলো কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষ বা অপছন্দের বিষয় অন্যের সামনে বলা। কোরআনে গিবতকে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যা চরম ঘৃণিত কাজ।
১৬ মিনিট আগেসর্বশেষ নাজিল হওয়া আসমানি গ্রন্থ পবিত্র কোরআন। বিশ্বমানবের হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে এর আগমন। ইসলামের অনুপম নিদর্শন এবং চিরসত্যের ঐশী বাণী। যার তিলাওয়াত মনে প্রশান্তি আনে। অন্তরে রবের প্রকৃত ভালোবাসা এবং অফুরান তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়। ইমান সতেজ ও সবল করে।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে