আবদুল আযীয কাসেমি

‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
তাঁর পূর্ণ নাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ বিন মুসলিম বিন ওয়ারদ আল কুশাইরি নিশাপুরি। তৎকালীন খোরাসানের সমৃদ্ধ শহর ‘নিশাপুর’–এ ২০৪ হিজরিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম মুসলিম ছিলেন সুগঠিত দেহ ও সুন্দর চেহারার অধিকারী। সব সময় পরিপাটি থাকতে পছন্দ করতেন। স্বভাবে খানিকটা কঠোরতা ছিল। অনেকটা একরোখা ও জেদি ছিলেন। এ জেদই তাঁকে জ্ঞানের জগতে এগিয়ে যেতে দারুণভাবে সহায়তা করেছে।
শিক্ষা–দীক্ষা
প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন একেবারে শৈশবেই। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে হাদিস শিক্ষায় হাতেখড়ি হয়। তাঁর প্রথম হাদিসের শিক্ষক ছিলেন ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া আত তামিমি। মাত্র ষোলো বছর বয়সে তিনি হজে যান। হজ সমাপ্ত করে সেখানকার শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনা শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ শিক্ষক ছিলেন ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মাসলামা আল কা ‘নাবি। এরপর তিনি হাদিস শেখার উদ্দেশ্যে মদিনা, কুফা, বসরা ও মিসরে ভ্রমণ করেন। তাঁর শিক্ষক অসংখ্য। ইমাম বুখারি, ইমাম যুহলি ও ইসহাক বিন রাহুয়াহ তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে জগদ্বিখ্যাত। ছাত্রজীবনে তিনি ৩ লাখ হাদিস মুখস্থ করেন।
কর্মজীবন
কর্মজীবনও তিনি বিলিয়ে দিয়েছিলেন প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের প্রচার–প্রসারে। তাঁর ছাত্রের সংখ্যার কোনো সীমা নেই! ছাত্রদের মধ্যে ইমাম আবু ইসা তিরমিজি, সালিহ বিন মুহাম্মাদ জাযারাহ, আহমাদ বিন মোবারক আল মুসতামলি পৃথিবী বিখ্যাত। তাঁর সমকালীন মনীষী প্রায় সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। হাদিস শাস্ত্রের দুই বিখ্যাত দিকপাল ইমাম আবুযুরআ ও আবুহাতিম তাঁকে সমকালীন মুহাদ্দিসদের থেকে এগিয়ে রাখতেন।
তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম কর্ম—তাঁর সুবিখ্যাত সংকলন ‘সহিহ্ মুসলিম’। ৩ লাখ হাদিস থেকে বাছাই করে এ গ্রন্থটি প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবির মতে মুসলিম শরিফের মোট হাদিস সংখ্যা ১২ হাজার। ইমাম মুসলিম এ গ্রন্থটি সংকলন করতে পনেরো বছর সময় ব্যয় করেছিলেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ছোট ছোট গ্রন্থও তিনি রচনা করেছেন।
সামগ্রিক বিচারে ইমাম মুসলিমের সংকলিত ‘সহিহ্ মুসলিমের’ তুলনায় ‘সহিহ্ বুখারি’কে এগিয়ে রাখেন শাস্ত্রজ্ঞরা। তবে প্রায় সবাই এ কথা স্বীকার করেছেন অকুণ্ঠচিত্তে যে, সহিহ্ মুসলিম বিন্যাসের সৌন্দর্যে সহিহ্ বুখারি থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। এমনকি ইমাম আবু আলি নিশাপুরি মন্তব্য করেছেন, ‘আকাশের নিচে এ তল্লাটে কোরআনের পর সহিহ্ মুসলিম থেকে বিশুদ্ধ কোনো গ্রন্থ নেই।’ সহিহ্ মুসলিম অধ্যয়নকারী যে কেউ বিষয়টি সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন।
মৃত্যু
ইমাম মুসলিম (রহ.) প্রচণ্ড মেধাবী হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন বিপুল পরিশ্রমীও। তাঁর মনোবল ছিল আকাশচুম্বী। একবার রাতের বেলায় দরসে হাদিসের আসর বসেছে। একজন একটি হাদিস জিজ্ঞেস করলেন ইমাম মুসলিমকে। ঘটনাক্রমে তাৎক্ষণিক তাঁর হাদিসটি মোটেও মনে পড়ছিল না। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফিরে এলেন। ঘরে আলো জ্বালালেন। একাকী বসে শুরু করলেন হাদিসটির সন্ধান। ঘরের লোকেরা বাটিভর্তি খেজুর রাখলেন তাঁর সামনে। তিনি হাদিসটির সন্ধানও চালিয়ে যেতে থাকলেন পাশাপাশি খেজুরও খাচ্ছিলেন। রাতভর তিনি হাদিসটির সন্ধানে ব্যাপৃত থাকার পর ঠিক ভোরের সময় হাদিসটি পাওয়া গেল। এদিকে বাটিতে থাকা খেজুরও সমাপ্ত হয়ে গেল। বলাবাহুল্য, এতগুলো খেজুর খাওয়ার পর স্থির থাকা কঠিন ব্যাপার। এ ঘটনায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ পীড়ায়ই তিনি ইন্তেকাল করেন। (তাহযিবুত তাহযিব)
মৃত্যুকালে তাঁর বয়েস হয়েছিল মাত্র ৫৭ বছর। ২৬১ হিজরির রজব মাসে নিশাপুরেই তিনি ইন্তেকাল করেন। সেখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। আজও মানুষ ভক্তি সহকারে তাঁর কবর জিয়ারত করে।

‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
তাঁর পূর্ণ নাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ বিন মুসলিম বিন ওয়ারদ আল কুশাইরি নিশাপুরি। তৎকালীন খোরাসানের সমৃদ্ধ শহর ‘নিশাপুর’–এ ২০৪ হিজরিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম মুসলিম ছিলেন সুগঠিত দেহ ও সুন্দর চেহারার অধিকারী। সব সময় পরিপাটি থাকতে পছন্দ করতেন। স্বভাবে খানিকটা কঠোরতা ছিল। অনেকটা একরোখা ও জেদি ছিলেন। এ জেদই তাঁকে জ্ঞানের জগতে এগিয়ে যেতে দারুণভাবে সহায়তা করেছে।
শিক্ষা–দীক্ষা
প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন একেবারে শৈশবেই। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে হাদিস শিক্ষায় হাতেখড়ি হয়। তাঁর প্রথম হাদিসের শিক্ষক ছিলেন ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া আত তামিমি। মাত্র ষোলো বছর বয়সে তিনি হজে যান। হজ সমাপ্ত করে সেখানকার শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনা শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ শিক্ষক ছিলেন ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মাসলামা আল কা ‘নাবি। এরপর তিনি হাদিস শেখার উদ্দেশ্যে মদিনা, কুফা, বসরা ও মিসরে ভ্রমণ করেন। তাঁর শিক্ষক অসংখ্য। ইমাম বুখারি, ইমাম যুহলি ও ইসহাক বিন রাহুয়াহ তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে জগদ্বিখ্যাত। ছাত্রজীবনে তিনি ৩ লাখ হাদিস মুখস্থ করেন।
কর্মজীবন
কর্মজীবনও তিনি বিলিয়ে দিয়েছিলেন প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের প্রচার–প্রসারে। তাঁর ছাত্রের সংখ্যার কোনো সীমা নেই! ছাত্রদের মধ্যে ইমাম আবু ইসা তিরমিজি, সালিহ বিন মুহাম্মাদ জাযারাহ, আহমাদ বিন মোবারক আল মুসতামলি পৃথিবী বিখ্যাত। তাঁর সমকালীন মনীষী প্রায় সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। হাদিস শাস্ত্রের দুই বিখ্যাত দিকপাল ইমাম আবুযুরআ ও আবুহাতিম তাঁকে সমকালীন মুহাদ্দিসদের থেকে এগিয়ে রাখতেন।
তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম কর্ম—তাঁর সুবিখ্যাত সংকলন ‘সহিহ্ মুসলিম’। ৩ লাখ হাদিস থেকে বাছাই করে এ গ্রন্থটি প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবির মতে মুসলিম শরিফের মোট হাদিস সংখ্যা ১২ হাজার। ইমাম মুসলিম এ গ্রন্থটি সংকলন করতে পনেরো বছর সময় ব্যয় করেছিলেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ছোট ছোট গ্রন্থও তিনি রচনা করেছেন।
সামগ্রিক বিচারে ইমাম মুসলিমের সংকলিত ‘সহিহ্ মুসলিমের’ তুলনায় ‘সহিহ্ বুখারি’কে এগিয়ে রাখেন শাস্ত্রজ্ঞরা। তবে প্রায় সবাই এ কথা স্বীকার করেছেন অকুণ্ঠচিত্তে যে, সহিহ্ মুসলিম বিন্যাসের সৌন্দর্যে সহিহ্ বুখারি থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। এমনকি ইমাম আবু আলি নিশাপুরি মন্তব্য করেছেন, ‘আকাশের নিচে এ তল্লাটে কোরআনের পর সহিহ্ মুসলিম থেকে বিশুদ্ধ কোনো গ্রন্থ নেই।’ সহিহ্ মুসলিম অধ্যয়নকারী যে কেউ বিষয়টি সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন।
মৃত্যু
ইমাম মুসলিম (রহ.) প্রচণ্ড মেধাবী হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন বিপুল পরিশ্রমীও। তাঁর মনোবল ছিল আকাশচুম্বী। একবার রাতের বেলায় দরসে হাদিসের আসর বসেছে। একজন একটি হাদিস জিজ্ঞেস করলেন ইমাম মুসলিমকে। ঘটনাক্রমে তাৎক্ষণিক তাঁর হাদিসটি মোটেও মনে পড়ছিল না। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফিরে এলেন। ঘরে আলো জ্বালালেন। একাকী বসে শুরু করলেন হাদিসটির সন্ধান। ঘরের লোকেরা বাটিভর্তি খেজুর রাখলেন তাঁর সামনে। তিনি হাদিসটির সন্ধানও চালিয়ে যেতে থাকলেন পাশাপাশি খেজুরও খাচ্ছিলেন। রাতভর তিনি হাদিসটির সন্ধানে ব্যাপৃত থাকার পর ঠিক ভোরের সময় হাদিসটি পাওয়া গেল। এদিকে বাটিতে থাকা খেজুরও সমাপ্ত হয়ে গেল। বলাবাহুল্য, এতগুলো খেজুর খাওয়ার পর স্থির থাকা কঠিন ব্যাপার। এ ঘটনায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ পীড়ায়ই তিনি ইন্তেকাল করেন। (তাহযিবুত তাহযিব)
মৃত্যুকালে তাঁর বয়েস হয়েছিল মাত্র ৫৭ বছর। ২৬১ হিজরির রজব মাসে নিশাপুরেই তিনি ইন্তেকাল করেন। সেখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। আজও মানুষ ভক্তি সহকারে তাঁর কবর জিয়ারত করে।
আবদুল আযীয কাসেমি

‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
তাঁর পূর্ণ নাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ বিন মুসলিম বিন ওয়ারদ আল কুশাইরি নিশাপুরি। তৎকালীন খোরাসানের সমৃদ্ধ শহর ‘নিশাপুর’–এ ২০৪ হিজরিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম মুসলিম ছিলেন সুগঠিত দেহ ও সুন্দর চেহারার অধিকারী। সব সময় পরিপাটি থাকতে পছন্দ করতেন। স্বভাবে খানিকটা কঠোরতা ছিল। অনেকটা একরোখা ও জেদি ছিলেন। এ জেদই তাঁকে জ্ঞানের জগতে এগিয়ে যেতে দারুণভাবে সহায়তা করেছে।
শিক্ষা–দীক্ষা
প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন একেবারে শৈশবেই। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে হাদিস শিক্ষায় হাতেখড়ি হয়। তাঁর প্রথম হাদিসের শিক্ষক ছিলেন ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া আত তামিমি। মাত্র ষোলো বছর বয়সে তিনি হজে যান। হজ সমাপ্ত করে সেখানকার শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনা শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ শিক্ষক ছিলেন ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মাসলামা আল কা ‘নাবি। এরপর তিনি হাদিস শেখার উদ্দেশ্যে মদিনা, কুফা, বসরা ও মিসরে ভ্রমণ করেন। তাঁর শিক্ষক অসংখ্য। ইমাম বুখারি, ইমাম যুহলি ও ইসহাক বিন রাহুয়াহ তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে জগদ্বিখ্যাত। ছাত্রজীবনে তিনি ৩ লাখ হাদিস মুখস্থ করেন।
কর্মজীবন
কর্মজীবনও তিনি বিলিয়ে দিয়েছিলেন প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের প্রচার–প্রসারে। তাঁর ছাত্রের সংখ্যার কোনো সীমা নেই! ছাত্রদের মধ্যে ইমাম আবু ইসা তিরমিজি, সালিহ বিন মুহাম্মাদ জাযারাহ, আহমাদ বিন মোবারক আল মুসতামলি পৃথিবী বিখ্যাত। তাঁর সমকালীন মনীষী প্রায় সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। হাদিস শাস্ত্রের দুই বিখ্যাত দিকপাল ইমাম আবুযুরআ ও আবুহাতিম তাঁকে সমকালীন মুহাদ্দিসদের থেকে এগিয়ে রাখতেন।
তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম কর্ম—তাঁর সুবিখ্যাত সংকলন ‘সহিহ্ মুসলিম’। ৩ লাখ হাদিস থেকে বাছাই করে এ গ্রন্থটি প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবির মতে মুসলিম শরিফের মোট হাদিস সংখ্যা ১২ হাজার। ইমাম মুসলিম এ গ্রন্থটি সংকলন করতে পনেরো বছর সময় ব্যয় করেছিলেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ছোট ছোট গ্রন্থও তিনি রচনা করেছেন।
সামগ্রিক বিচারে ইমাম মুসলিমের সংকলিত ‘সহিহ্ মুসলিমের’ তুলনায় ‘সহিহ্ বুখারি’কে এগিয়ে রাখেন শাস্ত্রজ্ঞরা। তবে প্রায় সবাই এ কথা স্বীকার করেছেন অকুণ্ঠচিত্তে যে, সহিহ্ মুসলিম বিন্যাসের সৌন্দর্যে সহিহ্ বুখারি থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। এমনকি ইমাম আবু আলি নিশাপুরি মন্তব্য করেছেন, ‘আকাশের নিচে এ তল্লাটে কোরআনের পর সহিহ্ মুসলিম থেকে বিশুদ্ধ কোনো গ্রন্থ নেই।’ সহিহ্ মুসলিম অধ্যয়নকারী যে কেউ বিষয়টি সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন।
মৃত্যু
ইমাম মুসলিম (রহ.) প্রচণ্ড মেধাবী হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন বিপুল পরিশ্রমীও। তাঁর মনোবল ছিল আকাশচুম্বী। একবার রাতের বেলায় দরসে হাদিসের আসর বসেছে। একজন একটি হাদিস জিজ্ঞেস করলেন ইমাম মুসলিমকে। ঘটনাক্রমে তাৎক্ষণিক তাঁর হাদিসটি মোটেও মনে পড়ছিল না। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফিরে এলেন। ঘরে আলো জ্বালালেন। একাকী বসে শুরু করলেন হাদিসটির সন্ধান। ঘরের লোকেরা বাটিভর্তি খেজুর রাখলেন তাঁর সামনে। তিনি হাদিসটির সন্ধানও চালিয়ে যেতে থাকলেন পাশাপাশি খেজুরও খাচ্ছিলেন। রাতভর তিনি হাদিসটির সন্ধানে ব্যাপৃত থাকার পর ঠিক ভোরের সময় হাদিসটি পাওয়া গেল। এদিকে বাটিতে থাকা খেজুরও সমাপ্ত হয়ে গেল। বলাবাহুল্য, এতগুলো খেজুর খাওয়ার পর স্থির থাকা কঠিন ব্যাপার। এ ঘটনায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ পীড়ায়ই তিনি ইন্তেকাল করেন। (তাহযিবুত তাহযিব)
মৃত্যুকালে তাঁর বয়েস হয়েছিল মাত্র ৫৭ বছর। ২৬১ হিজরির রজব মাসে নিশাপুরেই তিনি ইন্তেকাল করেন। সেখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। আজও মানুষ ভক্তি সহকারে তাঁর কবর জিয়ারত করে।

‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
তাঁর পূর্ণ নাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ বিন মুসলিম বিন ওয়ারদ আল কুশাইরি নিশাপুরি। তৎকালীন খোরাসানের সমৃদ্ধ শহর ‘নিশাপুর’–এ ২০৪ হিজরিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম মুসলিম ছিলেন সুগঠিত দেহ ও সুন্দর চেহারার অধিকারী। সব সময় পরিপাটি থাকতে পছন্দ করতেন। স্বভাবে খানিকটা কঠোরতা ছিল। অনেকটা একরোখা ও জেদি ছিলেন। এ জেদই তাঁকে জ্ঞানের জগতে এগিয়ে যেতে দারুণভাবে সহায়তা করেছে।
শিক্ষা–দীক্ষা
প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন একেবারে শৈশবেই। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে হাদিস শিক্ষায় হাতেখড়ি হয়। তাঁর প্রথম হাদিসের শিক্ষক ছিলেন ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া আত তামিমি। মাত্র ষোলো বছর বয়সে তিনি হজে যান। হজ সমাপ্ত করে সেখানকার শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনা শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ শিক্ষক ছিলেন ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মাসলামা আল কা ‘নাবি। এরপর তিনি হাদিস শেখার উদ্দেশ্যে মদিনা, কুফা, বসরা ও মিসরে ভ্রমণ করেন। তাঁর শিক্ষক অসংখ্য। ইমাম বুখারি, ইমাম যুহলি ও ইসহাক বিন রাহুয়াহ তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে জগদ্বিখ্যাত। ছাত্রজীবনে তিনি ৩ লাখ হাদিস মুখস্থ করেন।
কর্মজীবন
কর্মজীবনও তিনি বিলিয়ে দিয়েছিলেন প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের প্রচার–প্রসারে। তাঁর ছাত্রের সংখ্যার কোনো সীমা নেই! ছাত্রদের মধ্যে ইমাম আবু ইসা তিরমিজি, সালিহ বিন মুহাম্মাদ জাযারাহ, আহমাদ বিন মোবারক আল মুসতামলি পৃথিবী বিখ্যাত। তাঁর সমকালীন মনীষী প্রায় সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। হাদিস শাস্ত্রের দুই বিখ্যাত দিকপাল ইমাম আবুযুরআ ও আবুহাতিম তাঁকে সমকালীন মুহাদ্দিসদের থেকে এগিয়ে রাখতেন।
তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম কর্ম—তাঁর সুবিখ্যাত সংকলন ‘সহিহ্ মুসলিম’। ৩ লাখ হাদিস থেকে বাছাই করে এ গ্রন্থটি প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবির মতে মুসলিম শরিফের মোট হাদিস সংখ্যা ১২ হাজার। ইমাম মুসলিম এ গ্রন্থটি সংকলন করতে পনেরো বছর সময় ব্যয় করেছিলেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ছোট ছোট গ্রন্থও তিনি রচনা করেছেন।
সামগ্রিক বিচারে ইমাম মুসলিমের সংকলিত ‘সহিহ্ মুসলিমের’ তুলনায় ‘সহিহ্ বুখারি’কে এগিয়ে রাখেন শাস্ত্রজ্ঞরা। তবে প্রায় সবাই এ কথা স্বীকার করেছেন অকুণ্ঠচিত্তে যে, সহিহ্ মুসলিম বিন্যাসের সৌন্দর্যে সহিহ্ বুখারি থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। এমনকি ইমাম আবু আলি নিশাপুরি মন্তব্য করেছেন, ‘আকাশের নিচে এ তল্লাটে কোরআনের পর সহিহ্ মুসলিম থেকে বিশুদ্ধ কোনো গ্রন্থ নেই।’ সহিহ্ মুসলিম অধ্যয়নকারী যে কেউ বিষয়টি সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন।
মৃত্যু
ইমাম মুসলিম (রহ.) প্রচণ্ড মেধাবী হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন বিপুল পরিশ্রমীও। তাঁর মনোবল ছিল আকাশচুম্বী। একবার রাতের বেলায় দরসে হাদিসের আসর বসেছে। একজন একটি হাদিস জিজ্ঞেস করলেন ইমাম মুসলিমকে। ঘটনাক্রমে তাৎক্ষণিক তাঁর হাদিসটি মোটেও মনে পড়ছিল না। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফিরে এলেন। ঘরে আলো জ্বালালেন। একাকী বসে শুরু করলেন হাদিসটির সন্ধান। ঘরের লোকেরা বাটিভর্তি খেজুর রাখলেন তাঁর সামনে। তিনি হাদিসটির সন্ধানও চালিয়ে যেতে থাকলেন পাশাপাশি খেজুরও খাচ্ছিলেন। রাতভর তিনি হাদিসটির সন্ধানে ব্যাপৃত থাকার পর ঠিক ভোরের সময় হাদিসটি পাওয়া গেল। এদিকে বাটিতে থাকা খেজুরও সমাপ্ত হয়ে গেল। বলাবাহুল্য, এতগুলো খেজুর খাওয়ার পর স্থির থাকা কঠিন ব্যাপার। এ ঘটনায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ পীড়ায়ই তিনি ইন্তেকাল করেন। (তাহযিবুত তাহযিব)
মৃত্যুকালে তাঁর বয়েস হয়েছিল মাত্র ৫৭ বছর। ২৬১ হিজরির রজব মাসে নিশাপুরেই তিনি ইন্তেকাল করেন। সেখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। আজও মানুষ ভক্তি সহকারে তাঁর কবর জিয়ারত করে।

নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
০৩ মার্চ ২০২৫
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
০৩ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
০৩ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
০৩ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে