ইজাজুল হক

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আমার ওপর ও আমার ভাইয়ের ওপর ছাড়া আমি কোনো ক্ষমতা রাখি না। অতএব আপনি আমাদের ও অবাধ্য জাতির মধ্যে ফায়সালা করে দিন।’ (সুরা মায়িদা: ২৫)
আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন। বনি ইসরাইলকে ৪০ বছর পর্যন্ত একটি খোলা ময়দানে অবরুদ্ধ করে রাখার শাস্তি দিলেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘এ দেশটি (ফিলিস্তিন ও শাম) চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। এই সময়ে তারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে। অতএব তুমি অবাধ্য জাতির জন্য দুঃখ করো না।’ (সুরা মায়িদা: ২৬)
সেই খোলা ময়দানের নাম তিহ। আরবি তিহ শব্দের অর্থ পথ হারিয়ে ঘোরাফেরা করা। এই ঘটনা থেকেই মূলত এই ময়দানের নাম হয়েছে তিহ। এই ময়দানে কোনো সীমানা প্রাচীর ছিল না। ছিল না কোনো নিরাপত্তারক্ষী। বনি ইসরাইলের লোকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে মিসরের দিকে রওনা হতো। সারা দিন চলার পর রাতে আগের জায়গায় ফিরে আসত তারা। ৪০ বছর পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা এই ময়দানের বাইরে যেতে পারেনি। এই ছিল আল্লাহর শাস্তি।
অবাধ্যতার কারণে আল্লাহর আজাবে বনি ইসরাইলের ধ্বংস হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। তবে আল্লাহ তাদের আরও সুযোগ দেন। এই ৪০ বছরে তাদের আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এখানে কয়েকটির কথা তুলে ধরা হলো—
মেঘের ছায়া
তিহের ছায়াশূন্য ময়দানে বনি ইসরাইল সম্প্রদায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায় এবং মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে যে, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য ছায়ার আবেদন করুন। মুসা (আ.) দয়াপরবশ হয়ে তাদের জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য ছায়া পাঠালেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘স্মরণ করো সেই কথা, যখন আমরা তোমাদের মেঘমালার মাধ্যমে ছায়া দিয়েছিলাম।’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
১২টি ঝরনা
ছায়া তো পাওয়া গেল। কিন্তু ময়দানে তিহে পানির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল বনি ইসরাইল। তখন তারা পানির জন্য মুসা (আ.)-এর কাছে আবেদন করলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ বনি ইসরাইলের ১২টি গোত্রের জন্য ১২টি ঝরনা প্রবাহিত করে দিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মুসা যখন তার জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো। এরপর তা থেকে বেরিয়ে এল ১২টি ঝরনা। তাদের সব গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট। (আমি বললাম) তোমরা আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও এবং পান করো। খবরদার! পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া
ময়দানে তিহে কয়েক দিনের মধ্যেই বনি ইসরাইলের খাদ্য শেষ হয়ে যায়। তখন তারা মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে। মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং তাদের জন্য জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া পাঠান। মান্না এক প্রকার খাবার, যা দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। আর সালওলা হলো এক প্রকারের পাখি। (ইবনে কাসির)
রুটির বদলে মান্না এবং মাংসের বদলে সালওয়া পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য মান্না-সালওয়া খাবার হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (আমি বললাম) এসব পবিত্র বস্তু খাও। …’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
তবে বনি ইসরাইল মান্না-সালওয়া বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বললে, হে মুসা, আমরা একই ধরনের খাদ্যে কখনোই ধৈর্য ধরতে পারব না। আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের হয়ে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদের এমন খাদ্য-শস্য দান করেন, যা জমিতে উৎপন্ন হয়; যেমন, তরি-তরকারি, কাঁকুড় (ধুন্দল জাতীয় সবজি), গম, রসুন, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদি। মুসা বললেন, তোমরা উত্তম খাদ্যের বদলে নিম্নমানের খাদ্য পেতে চাও? তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরে চলে যাও। সেখানে তোমরা তোমাদের চাহিদা মোতাবেক সবকিছু পাবে।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পাশের জনপদে
মান্না-সালওয়ার বদলে তরি-তরকারি খেতে চাওয়ায় আল্লাহ তাদের পাশে জনপদে যেতে বলেন। ওখানে প্রবেশের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনেরও নির্দেশ দেন। তবে তারা তাঁর আদেশ শোনেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমরা বললাম, এই নগরে প্রবেশ করো। এতে যেখানে খুশি খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করো এবং নগরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢোকার সময় সিজদা করো এবং বলতে থাকো—হিত্তাতুন তথা আমাদের ক্ষমা করে দিন, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সৎকর্মশীলদের সত্বর অতিরিক্ত দান করব।’ (সুরা বাকারা: ৫৮)
তারা আল্লাহর নির্দেশিত বাক্য ‘হিত্তাতুন’ না বলে ‘হিনতাতুন’ তথা গম গম বলে ডাকতে লাগল এবং মাথা নিচু করে প্রবেশও করল না। (বুখারি: ৩৪০৩)
এভাবেই অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে ময়দানে তিহ-এ বনি ইসরাইলের চল্লিশ বছরের দুর্বিষহ জীবনের ইতি ঘটল। ঐতিহাসিকেরা বলেন, এই চল্লিশ বছরে হারুন (আ.)-এর মৃত্যু হয়, এর তিন বছর পর মুসা (আ.)-এরও মৃত্যু হয়। শাস্তির মেয়াদ শেষে আল্লাহর নবী ইউশা ইবনে নুন (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইল বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করেছিল।
ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘নবীদের কাহিনী’ অবলম্বনে

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আমার ওপর ও আমার ভাইয়ের ওপর ছাড়া আমি কোনো ক্ষমতা রাখি না। অতএব আপনি আমাদের ও অবাধ্য জাতির মধ্যে ফায়সালা করে দিন।’ (সুরা মায়িদা: ২৫)
আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন। বনি ইসরাইলকে ৪০ বছর পর্যন্ত একটি খোলা ময়দানে অবরুদ্ধ করে রাখার শাস্তি দিলেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘এ দেশটি (ফিলিস্তিন ও শাম) চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। এই সময়ে তারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে। অতএব তুমি অবাধ্য জাতির জন্য দুঃখ করো না।’ (সুরা মায়িদা: ২৬)
সেই খোলা ময়দানের নাম তিহ। আরবি তিহ শব্দের অর্থ পথ হারিয়ে ঘোরাফেরা করা। এই ঘটনা থেকেই মূলত এই ময়দানের নাম হয়েছে তিহ। এই ময়দানে কোনো সীমানা প্রাচীর ছিল না। ছিল না কোনো নিরাপত্তারক্ষী। বনি ইসরাইলের লোকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে মিসরের দিকে রওনা হতো। সারা দিন চলার পর রাতে আগের জায়গায় ফিরে আসত তারা। ৪০ বছর পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা এই ময়দানের বাইরে যেতে পারেনি। এই ছিল আল্লাহর শাস্তি।
অবাধ্যতার কারণে আল্লাহর আজাবে বনি ইসরাইলের ধ্বংস হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। তবে আল্লাহ তাদের আরও সুযোগ দেন। এই ৪০ বছরে তাদের আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এখানে কয়েকটির কথা তুলে ধরা হলো—
মেঘের ছায়া
তিহের ছায়াশূন্য ময়দানে বনি ইসরাইল সম্প্রদায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায় এবং মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে যে, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য ছায়ার আবেদন করুন। মুসা (আ.) দয়াপরবশ হয়ে তাদের জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য ছায়া পাঠালেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘স্মরণ করো সেই কথা, যখন আমরা তোমাদের মেঘমালার মাধ্যমে ছায়া দিয়েছিলাম।’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
১২টি ঝরনা
ছায়া তো পাওয়া গেল। কিন্তু ময়দানে তিহে পানির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল বনি ইসরাইল। তখন তারা পানির জন্য মুসা (আ.)-এর কাছে আবেদন করলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ বনি ইসরাইলের ১২টি গোত্রের জন্য ১২টি ঝরনা প্রবাহিত করে দিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মুসা যখন তার জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো। এরপর তা থেকে বেরিয়ে এল ১২টি ঝরনা। তাদের সব গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট। (আমি বললাম) তোমরা আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও এবং পান করো। খবরদার! পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া
ময়দানে তিহে কয়েক দিনের মধ্যেই বনি ইসরাইলের খাদ্য শেষ হয়ে যায়। তখন তারা মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে। মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং তাদের জন্য জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া পাঠান। মান্না এক প্রকার খাবার, যা দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। আর সালওলা হলো এক প্রকারের পাখি। (ইবনে কাসির)
রুটির বদলে মান্না এবং মাংসের বদলে সালওয়া পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য মান্না-সালওয়া খাবার হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (আমি বললাম) এসব পবিত্র বস্তু খাও। …’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
তবে বনি ইসরাইল মান্না-সালওয়া বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বললে, হে মুসা, আমরা একই ধরনের খাদ্যে কখনোই ধৈর্য ধরতে পারব না। আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের হয়ে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদের এমন খাদ্য-শস্য দান করেন, যা জমিতে উৎপন্ন হয়; যেমন, তরি-তরকারি, কাঁকুড় (ধুন্দল জাতীয় সবজি), গম, রসুন, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদি। মুসা বললেন, তোমরা উত্তম খাদ্যের বদলে নিম্নমানের খাদ্য পেতে চাও? তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরে চলে যাও। সেখানে তোমরা তোমাদের চাহিদা মোতাবেক সবকিছু পাবে।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পাশের জনপদে
মান্না-সালওয়ার বদলে তরি-তরকারি খেতে চাওয়ায় আল্লাহ তাদের পাশে জনপদে যেতে বলেন। ওখানে প্রবেশের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনেরও নির্দেশ দেন। তবে তারা তাঁর আদেশ শোনেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমরা বললাম, এই নগরে প্রবেশ করো। এতে যেখানে খুশি খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করো এবং নগরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢোকার সময় সিজদা করো এবং বলতে থাকো—হিত্তাতুন তথা আমাদের ক্ষমা করে দিন, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সৎকর্মশীলদের সত্বর অতিরিক্ত দান করব।’ (সুরা বাকারা: ৫৮)
তারা আল্লাহর নির্দেশিত বাক্য ‘হিত্তাতুন’ না বলে ‘হিনতাতুন’ তথা গম গম বলে ডাকতে লাগল এবং মাথা নিচু করে প্রবেশও করল না। (বুখারি: ৩৪০৩)
এভাবেই অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে ময়দানে তিহ-এ বনি ইসরাইলের চল্লিশ বছরের দুর্বিষহ জীবনের ইতি ঘটল। ঐতিহাসিকেরা বলেন, এই চল্লিশ বছরে হারুন (আ.)-এর মৃত্যু হয়, এর তিন বছর পর মুসা (আ.)-এরও মৃত্যু হয়। শাস্তির মেয়াদ শেষে আল্লাহর নবী ইউশা ইবনে নুন (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইল বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করেছিল।
ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘নবীদের কাহিনী’ অবলম্বনে
ইজাজুল হক

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আমার ওপর ও আমার ভাইয়ের ওপর ছাড়া আমি কোনো ক্ষমতা রাখি না। অতএব আপনি আমাদের ও অবাধ্য জাতির মধ্যে ফায়সালা করে দিন।’ (সুরা মায়িদা: ২৫)
আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন। বনি ইসরাইলকে ৪০ বছর পর্যন্ত একটি খোলা ময়দানে অবরুদ্ধ করে রাখার শাস্তি দিলেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘এ দেশটি (ফিলিস্তিন ও শাম) চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। এই সময়ে তারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে। অতএব তুমি অবাধ্য জাতির জন্য দুঃখ করো না।’ (সুরা মায়িদা: ২৬)
সেই খোলা ময়দানের নাম তিহ। আরবি তিহ শব্দের অর্থ পথ হারিয়ে ঘোরাফেরা করা। এই ঘটনা থেকেই মূলত এই ময়দানের নাম হয়েছে তিহ। এই ময়দানে কোনো সীমানা প্রাচীর ছিল না। ছিল না কোনো নিরাপত্তারক্ষী। বনি ইসরাইলের লোকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে মিসরের দিকে রওনা হতো। সারা দিন চলার পর রাতে আগের জায়গায় ফিরে আসত তারা। ৪০ বছর পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা এই ময়দানের বাইরে যেতে পারেনি। এই ছিল আল্লাহর শাস্তি।
অবাধ্যতার কারণে আল্লাহর আজাবে বনি ইসরাইলের ধ্বংস হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। তবে আল্লাহ তাদের আরও সুযোগ দেন। এই ৪০ বছরে তাদের আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এখানে কয়েকটির কথা তুলে ধরা হলো—
মেঘের ছায়া
তিহের ছায়াশূন্য ময়দানে বনি ইসরাইল সম্প্রদায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায় এবং মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে যে, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য ছায়ার আবেদন করুন। মুসা (আ.) দয়াপরবশ হয়ে তাদের জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য ছায়া পাঠালেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘স্মরণ করো সেই কথা, যখন আমরা তোমাদের মেঘমালার মাধ্যমে ছায়া দিয়েছিলাম।’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
১২টি ঝরনা
ছায়া তো পাওয়া গেল। কিন্তু ময়দানে তিহে পানির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল বনি ইসরাইল। তখন তারা পানির জন্য মুসা (আ.)-এর কাছে আবেদন করলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ বনি ইসরাইলের ১২টি গোত্রের জন্য ১২টি ঝরনা প্রবাহিত করে দিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মুসা যখন তার জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো। এরপর তা থেকে বেরিয়ে এল ১২টি ঝরনা। তাদের সব গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট। (আমি বললাম) তোমরা আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও এবং পান করো। খবরদার! পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া
ময়দানে তিহে কয়েক দিনের মধ্যেই বনি ইসরাইলের খাদ্য শেষ হয়ে যায়। তখন তারা মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে। মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং তাদের জন্য জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া পাঠান। মান্না এক প্রকার খাবার, যা দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। আর সালওলা হলো এক প্রকারের পাখি। (ইবনে কাসির)
রুটির বদলে মান্না এবং মাংসের বদলে সালওয়া পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য মান্না-সালওয়া খাবার হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (আমি বললাম) এসব পবিত্র বস্তু খাও। …’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
তবে বনি ইসরাইল মান্না-সালওয়া বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বললে, হে মুসা, আমরা একই ধরনের খাদ্যে কখনোই ধৈর্য ধরতে পারব না। আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের হয়ে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদের এমন খাদ্য-শস্য দান করেন, যা জমিতে উৎপন্ন হয়; যেমন, তরি-তরকারি, কাঁকুড় (ধুন্দল জাতীয় সবজি), গম, রসুন, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদি। মুসা বললেন, তোমরা উত্তম খাদ্যের বদলে নিম্নমানের খাদ্য পেতে চাও? তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরে চলে যাও। সেখানে তোমরা তোমাদের চাহিদা মোতাবেক সবকিছু পাবে।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পাশের জনপদে
মান্না-সালওয়ার বদলে তরি-তরকারি খেতে চাওয়ায় আল্লাহ তাদের পাশে জনপদে যেতে বলেন। ওখানে প্রবেশের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনেরও নির্দেশ দেন। তবে তারা তাঁর আদেশ শোনেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমরা বললাম, এই নগরে প্রবেশ করো। এতে যেখানে খুশি খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করো এবং নগরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢোকার সময় সিজদা করো এবং বলতে থাকো—হিত্তাতুন তথা আমাদের ক্ষমা করে দিন, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সৎকর্মশীলদের সত্বর অতিরিক্ত দান করব।’ (সুরা বাকারা: ৫৮)
তারা আল্লাহর নির্দেশিত বাক্য ‘হিত্তাতুন’ না বলে ‘হিনতাতুন’ তথা গম গম বলে ডাকতে লাগল এবং মাথা নিচু করে প্রবেশও করল না। (বুখারি: ৩৪০৩)
এভাবেই অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে ময়দানে তিহ-এ বনি ইসরাইলের চল্লিশ বছরের দুর্বিষহ জীবনের ইতি ঘটল। ঐতিহাসিকেরা বলেন, এই চল্লিশ বছরে হারুন (আ.)-এর মৃত্যু হয়, এর তিন বছর পর মুসা (আ.)-এরও মৃত্যু হয়। শাস্তির মেয়াদ শেষে আল্লাহর নবী ইউশা ইবনে নুন (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইল বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করেছিল।
ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘নবীদের কাহিনী’ অবলম্বনে

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আমার ওপর ও আমার ভাইয়ের ওপর ছাড়া আমি কোনো ক্ষমতা রাখি না। অতএব আপনি আমাদের ও অবাধ্য জাতির মধ্যে ফায়সালা করে দিন।’ (সুরা মায়িদা: ২৫)
আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন। বনি ইসরাইলকে ৪০ বছর পর্যন্ত একটি খোলা ময়দানে অবরুদ্ধ করে রাখার শাস্তি দিলেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘এ দেশটি (ফিলিস্তিন ও শাম) চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। এই সময়ে তারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে। অতএব তুমি অবাধ্য জাতির জন্য দুঃখ করো না।’ (সুরা মায়িদা: ২৬)
সেই খোলা ময়দানের নাম তিহ। আরবি তিহ শব্দের অর্থ পথ হারিয়ে ঘোরাফেরা করা। এই ঘটনা থেকেই মূলত এই ময়দানের নাম হয়েছে তিহ। এই ময়দানে কোনো সীমানা প্রাচীর ছিল না। ছিল না কোনো নিরাপত্তারক্ষী। বনি ইসরাইলের লোকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে মিসরের দিকে রওনা হতো। সারা দিন চলার পর রাতে আগের জায়গায় ফিরে আসত তারা। ৪০ বছর পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা এই ময়দানের বাইরে যেতে পারেনি। এই ছিল আল্লাহর শাস্তি।
অবাধ্যতার কারণে আল্লাহর আজাবে বনি ইসরাইলের ধ্বংস হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। তবে আল্লাহ তাদের আরও সুযোগ দেন। এই ৪০ বছরে তাদের আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এখানে কয়েকটির কথা তুলে ধরা হলো—
মেঘের ছায়া
তিহের ছায়াশূন্য ময়দানে বনি ইসরাইল সম্প্রদায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায় এবং মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে যে, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য ছায়ার আবেদন করুন। মুসা (আ.) দয়াপরবশ হয়ে তাদের জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য ছায়া পাঠালেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘স্মরণ করো সেই কথা, যখন আমরা তোমাদের মেঘমালার মাধ্যমে ছায়া দিয়েছিলাম।’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
১২টি ঝরনা
ছায়া তো পাওয়া গেল। কিন্তু ময়দানে তিহে পানির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল বনি ইসরাইল। তখন তারা পানির জন্য মুসা (আ.)-এর কাছে আবেদন করলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ বনি ইসরাইলের ১২টি গোত্রের জন্য ১২টি ঝরনা প্রবাহিত করে দিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মুসা যখন তার জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো। এরপর তা থেকে বেরিয়ে এল ১২টি ঝরনা। তাদের সব গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট। (আমি বললাম) তোমরা আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও এবং পান করো। খবরদার! পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া
ময়দানে তিহে কয়েক দিনের মধ্যেই বনি ইসরাইলের খাদ্য শেষ হয়ে যায়। তখন তারা মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে। মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং তাদের জন্য জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া পাঠান। মান্না এক প্রকার খাবার, যা দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। আর সালওলা হলো এক প্রকারের পাখি। (ইবনে কাসির)
রুটির বদলে মান্না এবং মাংসের বদলে সালওয়া পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য মান্না-সালওয়া খাবার হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (আমি বললাম) এসব পবিত্র বস্তু খাও। …’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
তবে বনি ইসরাইল মান্না-সালওয়া বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বললে, হে মুসা, আমরা একই ধরনের খাদ্যে কখনোই ধৈর্য ধরতে পারব না। আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের হয়ে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদের এমন খাদ্য-শস্য দান করেন, যা জমিতে উৎপন্ন হয়; যেমন, তরি-তরকারি, কাঁকুড় (ধুন্দল জাতীয় সবজি), গম, রসুন, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদি। মুসা বললেন, তোমরা উত্তম খাদ্যের বদলে নিম্নমানের খাদ্য পেতে চাও? তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরে চলে যাও। সেখানে তোমরা তোমাদের চাহিদা মোতাবেক সবকিছু পাবে।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পাশের জনপদে
মান্না-সালওয়ার বদলে তরি-তরকারি খেতে চাওয়ায় আল্লাহ তাদের পাশে জনপদে যেতে বলেন। ওখানে প্রবেশের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনেরও নির্দেশ দেন। তবে তারা তাঁর আদেশ শোনেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমরা বললাম, এই নগরে প্রবেশ করো। এতে যেখানে খুশি খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করো এবং নগরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢোকার সময় সিজদা করো এবং বলতে থাকো—হিত্তাতুন তথা আমাদের ক্ষমা করে দিন, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সৎকর্মশীলদের সত্বর অতিরিক্ত দান করব।’ (সুরা বাকারা: ৫৮)
তারা আল্লাহর নির্দেশিত বাক্য ‘হিত্তাতুন’ না বলে ‘হিনতাতুন’ তথা গম গম বলে ডাকতে লাগল এবং মাথা নিচু করে প্রবেশও করল না। (বুখারি: ৩৪০৩)
এভাবেই অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে ময়দানে তিহ-এ বনি ইসরাইলের চল্লিশ বছরের দুর্বিষহ জীবনের ইতি ঘটল। ঐতিহাসিকেরা বলেন, এই চল্লিশ বছরে হারুন (আ.)-এর মৃত্যু হয়, এর তিন বছর পর মুসা (আ.)-এরও মৃত্যু হয়। শাস্তির মেয়াদ শেষে আল্লাহর নবী ইউশা ইবনে নুন (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইল বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করেছিল।
ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘নবীদের কাহিনী’ অবলম্বনে

‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
৩ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আম
১৫ জুন ২০২৩
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আম
১৫ জুন ২০২৩
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আম
১৫ জুন ২০২৩
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
৩ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
৪ ঘণ্টা আগে
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’ (সুরা বাকারা: ২৬৯)
রাসুল (সা.) কৃপণতার নিন্দা করেছেন। কৃপণতাকে মারাত্মক রোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং উম্মতকে কৃপণতা থেকে সতর্ক করেছেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে বনু সালামা, তোমাদের নেতা কে?’ আমরা বললাম, ‘জুদ ইবনে কায়েস। অবশ্য আমরা তাকে কৃপণ বলি।’ তিনি বলেন, ‘কৃপণতার চেয়ে মারাত্মক রোগ আর কী হতে পারে?’ (আদাবুল মুফরাদ: ২৯৬)
একদিন রাসুল (সা.) ভাষণ দেন এবং বলেন, ‘তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা কৃপণতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদের কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে তারা কৃপণতা করেছে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৯৮)
রাসুল (সা.) মহান আল্লাহর কাছে সর্বদা এই অভ্যাস থেকে আশ্রয় চাইতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কৃপণতা ও বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই কবরের শাস্তি থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন ও মরণের বিপদাপদ থেকে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫৪০)
একজন মুমিন কখনো কৃপণ হতে পারে না। যে ব্যক্তির চরিত্রে এই অভ্যাস থাকবে, সেই নিকৃষ্ট মানুষ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তির চরিত্রে কৃপণতা, ভীরুতা ও হীন মানসিকতা রয়েছে, সে খুবই নিকৃষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫১১) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের মধ্যে দুটি স্বভাব একত্রে জমা থাকতে পারে না—কৃপণতা ও অসদাচরণ।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ১৮৭২)

কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’ (সুরা বাকারা: ২৬৯)
রাসুল (সা.) কৃপণতার নিন্দা করেছেন। কৃপণতাকে মারাত্মক রোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং উম্মতকে কৃপণতা থেকে সতর্ক করেছেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে বনু সালামা, তোমাদের নেতা কে?’ আমরা বললাম, ‘জুদ ইবনে কায়েস। অবশ্য আমরা তাকে কৃপণ বলি।’ তিনি বলেন, ‘কৃপণতার চেয়ে মারাত্মক রোগ আর কী হতে পারে?’ (আদাবুল মুফরাদ: ২৯৬)
একদিন রাসুল (সা.) ভাষণ দেন এবং বলেন, ‘তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা কৃপণতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদের কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে তারা কৃপণতা করেছে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৯৮)
রাসুল (সা.) মহান আল্লাহর কাছে সর্বদা এই অভ্যাস থেকে আশ্রয় চাইতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কৃপণতা ও বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই কবরের শাস্তি থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন ও মরণের বিপদাপদ থেকে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫৪০)
একজন মুমিন কখনো কৃপণ হতে পারে না। যে ব্যক্তির চরিত্রে এই অভ্যাস থাকবে, সেই নিকৃষ্ট মানুষ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তির চরিত্রে কৃপণতা, ভীরুতা ও হীন মানসিকতা রয়েছে, সে খুবই নিকৃষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫১১) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের মধ্যে দুটি স্বভাব একত্রে জমা থাকতে পারে না—কৃপণতা ও অসদাচরণ।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ১৮৭২)

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আম
১৫ জুন ২০২৩
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
৩ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে