মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
বিয়ে পবিত্র বন্ধন। এর মাধ্যমে দুজন মানুষ সারা জীবন একসঙ্গে থাকার সংকল্প করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। এভাবেই যুগ যুগ ধরে পৃথিবীতে মানবসভ্যতা টিকে রয়েছে। বৈবাহিক সম্পর্ক স্থায়ী না হলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জীবনে মরাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই বিয়ের আগে সবকিছু দেখেশুনে, উভয় পক্ষের সামাজিক অবস্থান ও মিল-অমিল বিবেচনা করে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক এতটা খারাপ হয় যে দুজন একসঙ্গে থাকলে বহুমুখী ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ইসলাম তালাকের বৈধতা দিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি তুচ্ছ কারণে তালাক দেওয়ার প্রতি কঠিনভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা করো, তাদের সদুপদেশ দাও। (তাতে কাজ না হলে) তারপর তাদের শয্যা বর্জন করো। (তাতেও না শোধরালে) তাদের (মৃদুভাবে) প্রহার করো। যদি তাতে তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যায়, তাহলে তাদের জন্য অন্য কোনো পথ (তালাক) অনুসন্ধান কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান, শ্রেষ্ঠ।
তোমরা যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টির আশঙ্কা করো, তবে পুরুষের পরিবার থেকে একজন সালিস এবং নারীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা দুজন যদি মীমাংসা করতে চায়, তবে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে দেবেন।’ (সুরা নিসা: ৩৪-৩৫)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তালাকের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো বস্তুকে হালাল করেননি।’ (আবু দাউদ) আলী (রা.) বলেন, ‘তোমরা তুচ্ছ কারণে তালাক দিয়ো না। কারণ, এতে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে।’ (তাফসিরে কুরতুবি) উমর (রা.) বলেন, ‘দাম্পত্য সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা ও আবেগ নয়, বরং মানবিকতা ও দায়িত্ববোধই এ সম্পর্কের মূল ভিত্তি।’ (সাইদুল ফাওয়ায়িদ)
বিয়ে পবিত্র বন্ধন। এর মাধ্যমে দুজন মানুষ সারা জীবন একসঙ্গে থাকার সংকল্প করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। এভাবেই যুগ যুগ ধরে পৃথিবীতে মানবসভ্যতা টিকে রয়েছে। বৈবাহিক সম্পর্ক স্থায়ী না হলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জীবনে মরাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই বিয়ের আগে সবকিছু দেখেশুনে, উভয় পক্ষের সামাজিক অবস্থান ও মিল-অমিল বিবেচনা করে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক এতটা খারাপ হয় যে দুজন একসঙ্গে থাকলে বহুমুখী ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ইসলাম তালাকের বৈধতা দিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি তুচ্ছ কারণে তালাক দেওয়ার প্রতি কঠিনভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা করো, তাদের সদুপদেশ দাও। (তাতে কাজ না হলে) তারপর তাদের শয্যা বর্জন করো। (তাতেও না শোধরালে) তাদের (মৃদুভাবে) প্রহার করো। যদি তাতে তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যায়, তাহলে তাদের জন্য অন্য কোনো পথ (তালাক) অনুসন্ধান কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান, শ্রেষ্ঠ।
তোমরা যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টির আশঙ্কা করো, তবে পুরুষের পরিবার থেকে একজন সালিস এবং নারীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা দুজন যদি মীমাংসা করতে চায়, তবে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে দেবেন।’ (সুরা নিসা: ৩৪-৩৫)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তালাকের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো বস্তুকে হালাল করেননি।’ (আবু দাউদ) আলী (রা.) বলেন, ‘তোমরা তুচ্ছ কারণে তালাক দিয়ো না। কারণ, এতে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে।’ (তাফসিরে কুরতুবি) উমর (রা.) বলেন, ‘দাম্পত্য সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা ও আবেগ নয়, বরং মানবিকতা ও দায়িত্ববোধই এ সম্পর্কের মূল ভিত্তি।’ (সাইদুল ফাওয়ায়িদ)
দৃষ্টিশক্তি হৃদয়ের অন্যতম প্রবেশপথ। এর অপব্যবহারের ফলে মানবহৃদয়ে নানা ধরনের কুবাসনা প্রবেশ করে এবং মানুষের মধ্যে পাপাচারের আগ্রহ জন্মায়। এ জন্য মুসলমানদের অবশ্যকর্তব্য হলো, এমন সব বস্তু থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, যা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও হারাম।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ করে যারা আগেভাগে মসজিদে আসে এবং খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনে—তাদের জন্য রয়েছে অতুলনীয় সওয়াবের প্রতিশ্রুতি। এমনকি কারও নামের পাশে লেখা হতে পারে উট সদকার সওয়াবও! হাদিস ও কোরআনের আলোকে আমরা জেনে নিতে পারি—এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কীভাবে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়।
১ দিন আগেজুমার নামাজ, যা ‘শুক্রবারের নামাজ’ নামে পরিচিত, ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ‘জুমুআহ’ শব্দের অর্থ একত্রিত হওয়া বা কাতারবদ্ধ হওয়া। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এটি আদায় করেন, তাই একে জুমার নামাজ বলা হয়।
১ দিন আগেআল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
১ দিন আগে