Ajker Patrika

ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে যে দোয়া পড়বেন

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ভূমিকম্প জনমানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কী নগর, কী গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে হুলুস্থুল। প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের পলকে নিঃশেষ করে দিতে পারে স্বপ্নিল জীবন। পূর্বাভাস ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচাকার করে দিতে পারে পুরো বিশ্ব।

এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা। স্বীয় গোলামকে তিনি ফিরিয়ে আনতে চান আপন ইবাদতে। শিরকের (অংশীদারত্বের) সামান্য ছিটেফোঁটা তিনি সহ্য করতে পারেন না। বান্দার কাজ-কর্মে লোকদেখানো মানসিকতাও তাঁর কাছে অমার্জনীয় অপরাধ। পার্থিব জগতে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বালা-মুসিবত দিয়ে তিনি বান্দাকে পরকালীন কঠিন আজাব থেকে বাঁচাতে চান।

সুরা সাজদায় তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি অবশ্যই তাদের (কিয়ামতের) বড় শাস্তির স্বাদ আস্বাদনের আগে লঘু শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাব, যেন তারা (আমার আনুগত্যের দিকে) ফিরে আসে।’ (সুরা সাজদাহ: ২১)

ফেরেশতা ইসরাফিল (আ.)-এর ফুৎকারের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে ভয়ানক ভূকম্পন। সংঘটিত হবে কিয়ামত। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘শপথ তাদের (সেই ফেরেশতাদের), যারা (কাফেরদের প্রাণ) কঠোরভাবে টেনে বের করে এবং যারা (মুমিনদের প্রাণের) বন্ধন খুলে কোমলভাবে। তারপর (শূন্যে) তীব্রগতিতে সাঁতার কেটে যায়। তারপর দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়। তারপর যে আদেশ পায় তার (বাস্তবায়নের) ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যেদিন প্রকম্পিত (শিঙ্গাধ্বনি সবকিছু) কাঁপিয়ে দেবে। তার পেছনে আসবে পরবর্তীটি। সেদিন বহু হৃদয় হবে প্রকম্পিত। তাদের চোখ থাকবে অবনত।’ (সুরা নাজিয়াত: ১-৯)

উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাআলা পাঁচটি শপথ করে মহাপ্রলয়ের ভয়াবহ অবস্থার বিবরণ পেশ করেছেন। ভূকম্পন থেকে বাঁচার জন্য নবীজি (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। হজরত জুবাইর ইবনে আবি সুলাইমান থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘আমি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে বলতে শুনেছি, নবীজি (সা.) সকাল-বিকেল এ দোয়া পড়া থেকে কখনো বিরত থাকতেন না।’ দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাহ্ফাজনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আন ইয়ামিনি, ওয়া আন শিমালি, ওয়া মিন ফাওকি, ওয়া আউজু বি আজমাতিকা আন আগতালা মিন তাহতি।’

অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আমার সামনের দিক থেকে পেছনের দিক থেকে, আমার ডান পাশ থেকে বাম পাশ থেকে, আমার ওপর থেকে আমাকে হেফাজত করেন, আর আমি নিচ থেকে আক্রান্ত হওয়া (ভূগর্ভে বিলীন হওয়া) থেকে আপনার মহিমার কাছে আশ্রয় চাই।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৪৭৮৫)

সকাল-বিকেল ও বিশেষ সময়ের দোয়া-দরুদ হতে পারে আমাদের জীবনে বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়। ভূমিকম্প থেকে বাঁচার জন্য উক্ত দোয়া সব সময় পাঠ করা যেতে পারে।

লেখক: মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আন নোমান আরীফী, সিনিয়র ওস্তাদ, মারকাযুল উলুম আল ইসলামিয়া বনশ্রী, ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ