ইসলাম ডেস্ক

সম্প্রতি ভূমিকম্প জনমানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কী নগর, কী গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে হুলুস্থুল। প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের পলকে নিঃশেষ করে দিতে পারে স্বপ্নিল জীবন। পূর্বাভাস ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচাকার করে দিতে পারে পুরো বিশ্ব।
এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা। স্বীয় গোলামকে তিনি ফিরিয়ে আনতে চান আপন ইবাদতে। শিরকের (অংশীদারত্বের) সামান্য ছিটেফোঁটা তিনি সহ্য করতে পারেন না। বান্দার কাজ-কর্মে লোকদেখানো মানসিকতাও তাঁর কাছে অমার্জনীয় অপরাধ। পার্থিব জগতে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বালা-মুসিবত দিয়ে তিনি বান্দাকে পরকালীন কঠিন আজাব থেকে বাঁচাতে চান।
সুরা সাজদায় তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি অবশ্যই তাদের (কিয়ামতের) বড় শাস্তির স্বাদ আস্বাদনের আগে লঘু শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাব, যেন তারা (আমার আনুগত্যের দিকে) ফিরে আসে।’ (সুরা সাজদাহ: ২১)
ফেরেশতা ইসরাফিল (আ.)-এর ফুৎকারের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে ভয়ানক ভূকম্পন। সংঘটিত হবে কিয়ামত। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘শপথ তাদের (সেই ফেরেশতাদের), যারা (কাফেরদের প্রাণ) কঠোরভাবে টেনে বের করে এবং যারা (মুমিনদের প্রাণের) বন্ধন খুলে কোমলভাবে। তারপর (শূন্যে) তীব্রগতিতে সাঁতার কেটে যায়। তারপর দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়। তারপর যে আদেশ পায় তার (বাস্তবায়নের) ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যেদিন প্রকম্পিত (শিঙ্গাধ্বনি সবকিছু) কাঁপিয়ে দেবে। তার পেছনে আসবে পরবর্তীটি। সেদিন বহু হৃদয় হবে প্রকম্পিত। তাদের চোখ থাকবে অবনত।’ (সুরা নাজিয়াত: ১-৯)
উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাআলা পাঁচটি শপথ করে মহাপ্রলয়ের ভয়াবহ অবস্থার বিবরণ পেশ করেছেন। ভূকম্পন থেকে বাঁচার জন্য নবীজি (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। হজরত জুবাইর ইবনে আবি সুলাইমান থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘আমি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে বলতে শুনেছি, নবীজি (সা.) সকাল-বিকেল এ দোয়া পড়া থেকে কখনো বিরত থাকতেন না।’ দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাহ্ফাজনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আন ইয়ামিনি, ওয়া আন শিমালি, ওয়া মিন ফাওকি, ওয়া আউজু বি আজমাতিকা আন আগতালা মিন তাহতি।’
অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আমার সামনের দিক থেকে পেছনের দিক থেকে, আমার ডান পাশ থেকে বাম পাশ থেকে, আমার ওপর থেকে আমাকে হেফাজত করেন, আর আমি নিচ থেকে আক্রান্ত হওয়া (ভূগর্ভে বিলীন হওয়া) থেকে আপনার মহিমার কাছে আশ্রয় চাই।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৪৭৮৫)
সকাল-বিকেল ও বিশেষ সময়ের দোয়া-দরুদ হতে পারে আমাদের জীবনে বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়। ভূমিকম্প থেকে বাঁচার জন্য উক্ত দোয়া সব সময় পাঠ করা যেতে পারে।
লেখক: মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আন নোমান আরীফী, সিনিয়র ওস্তাদ, মারকাযুল উলুম আল ইসলামিয়া বনশ্রী, ঢাকা।

সম্প্রতি ভূমিকম্প জনমানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কী নগর, কী গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে হুলুস্থুল। প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের পলকে নিঃশেষ করে দিতে পারে স্বপ্নিল জীবন। পূর্বাভাস ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচাকার করে দিতে পারে পুরো বিশ্ব।
এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা। স্বীয় গোলামকে তিনি ফিরিয়ে আনতে চান আপন ইবাদতে। শিরকের (অংশীদারত্বের) সামান্য ছিটেফোঁটা তিনি সহ্য করতে পারেন না। বান্দার কাজ-কর্মে লোকদেখানো মানসিকতাও তাঁর কাছে অমার্জনীয় অপরাধ। পার্থিব জগতে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বালা-মুসিবত দিয়ে তিনি বান্দাকে পরকালীন কঠিন আজাব থেকে বাঁচাতে চান।
সুরা সাজদায় তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি অবশ্যই তাদের (কিয়ামতের) বড় শাস্তির স্বাদ আস্বাদনের আগে লঘু শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাব, যেন তারা (আমার আনুগত্যের দিকে) ফিরে আসে।’ (সুরা সাজদাহ: ২১)
ফেরেশতা ইসরাফিল (আ.)-এর ফুৎকারের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে ভয়ানক ভূকম্পন। সংঘটিত হবে কিয়ামত। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘শপথ তাদের (সেই ফেরেশতাদের), যারা (কাফেরদের প্রাণ) কঠোরভাবে টেনে বের করে এবং যারা (মুমিনদের প্রাণের) বন্ধন খুলে কোমলভাবে। তারপর (শূন্যে) তীব্রগতিতে সাঁতার কেটে যায়। তারপর দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়। তারপর যে আদেশ পায় তার (বাস্তবায়নের) ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যেদিন প্রকম্পিত (শিঙ্গাধ্বনি সবকিছু) কাঁপিয়ে দেবে। তার পেছনে আসবে পরবর্তীটি। সেদিন বহু হৃদয় হবে প্রকম্পিত। তাদের চোখ থাকবে অবনত।’ (সুরা নাজিয়াত: ১-৯)
উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাআলা পাঁচটি শপথ করে মহাপ্রলয়ের ভয়াবহ অবস্থার বিবরণ পেশ করেছেন। ভূকম্পন থেকে বাঁচার জন্য নবীজি (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। হজরত জুবাইর ইবনে আবি সুলাইমান থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘আমি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে বলতে শুনেছি, নবীজি (সা.) সকাল-বিকেল এ দোয়া পড়া থেকে কখনো বিরত থাকতেন না।’ দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাহ্ফাজনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আন ইয়ামিনি, ওয়া আন শিমালি, ওয়া মিন ফাওকি, ওয়া আউজু বি আজমাতিকা আন আগতালা মিন তাহতি।’
অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আমার সামনের দিক থেকে পেছনের দিক থেকে, আমার ডান পাশ থেকে বাম পাশ থেকে, আমার ওপর থেকে আমাকে হেফাজত করেন, আর আমি নিচ থেকে আক্রান্ত হওয়া (ভূগর্ভে বিলীন হওয়া) থেকে আপনার মহিমার কাছে আশ্রয় চাই।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৪৭৮৫)
সকাল-বিকেল ও বিশেষ সময়ের দোয়া-দরুদ হতে পারে আমাদের জীবনে বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়। ভূমিকম্প থেকে বাঁচার জন্য উক্ত দোয়া সব সময় পাঠ করা যেতে পারে।
লেখক: মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আন নোমান আরীফী, সিনিয়র ওস্তাদ, মারকাযুল উলুম আল ইসলামিয়া বনশ্রী, ঢাকা।
ইসলাম ডেস্ক

সম্প্রতি ভূমিকম্প জনমানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কী নগর, কী গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে হুলুস্থুল। প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের পলকে নিঃশেষ করে দিতে পারে স্বপ্নিল জীবন। পূর্বাভাস ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচাকার করে দিতে পারে পুরো বিশ্ব।
এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা। স্বীয় গোলামকে তিনি ফিরিয়ে আনতে চান আপন ইবাদতে। শিরকের (অংশীদারত্বের) সামান্য ছিটেফোঁটা তিনি সহ্য করতে পারেন না। বান্দার কাজ-কর্মে লোকদেখানো মানসিকতাও তাঁর কাছে অমার্জনীয় অপরাধ। পার্থিব জগতে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বালা-মুসিবত দিয়ে তিনি বান্দাকে পরকালীন কঠিন আজাব থেকে বাঁচাতে চান।
সুরা সাজদায় তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি অবশ্যই তাদের (কিয়ামতের) বড় শাস্তির স্বাদ আস্বাদনের আগে লঘু শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাব, যেন তারা (আমার আনুগত্যের দিকে) ফিরে আসে।’ (সুরা সাজদাহ: ২১)
ফেরেশতা ইসরাফিল (আ.)-এর ফুৎকারের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে ভয়ানক ভূকম্পন। সংঘটিত হবে কিয়ামত। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘শপথ তাদের (সেই ফেরেশতাদের), যারা (কাফেরদের প্রাণ) কঠোরভাবে টেনে বের করে এবং যারা (মুমিনদের প্রাণের) বন্ধন খুলে কোমলভাবে। তারপর (শূন্যে) তীব্রগতিতে সাঁতার কেটে যায়। তারপর দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়। তারপর যে আদেশ পায় তার (বাস্তবায়নের) ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যেদিন প্রকম্পিত (শিঙ্গাধ্বনি সবকিছু) কাঁপিয়ে দেবে। তার পেছনে আসবে পরবর্তীটি। সেদিন বহু হৃদয় হবে প্রকম্পিত। তাদের চোখ থাকবে অবনত।’ (সুরা নাজিয়াত: ১-৯)
উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাআলা পাঁচটি শপথ করে মহাপ্রলয়ের ভয়াবহ অবস্থার বিবরণ পেশ করেছেন। ভূকম্পন থেকে বাঁচার জন্য নবীজি (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। হজরত জুবাইর ইবনে আবি সুলাইমান থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘আমি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে বলতে শুনেছি, নবীজি (সা.) সকাল-বিকেল এ দোয়া পড়া থেকে কখনো বিরত থাকতেন না।’ দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাহ্ফাজনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আন ইয়ামিনি, ওয়া আন শিমালি, ওয়া মিন ফাওকি, ওয়া আউজু বি আজমাতিকা আন আগতালা মিন তাহতি।’
অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আমার সামনের দিক থেকে পেছনের দিক থেকে, আমার ডান পাশ থেকে বাম পাশ থেকে, আমার ওপর থেকে আমাকে হেফাজত করেন, আর আমি নিচ থেকে আক্রান্ত হওয়া (ভূগর্ভে বিলীন হওয়া) থেকে আপনার মহিমার কাছে আশ্রয় চাই।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৪৭৮৫)
সকাল-বিকেল ও বিশেষ সময়ের দোয়া-দরুদ হতে পারে আমাদের জীবনে বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়। ভূমিকম্প থেকে বাঁচার জন্য উক্ত দোয়া সব সময় পাঠ করা যেতে পারে।
লেখক: মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আন নোমান আরীফী, সিনিয়র ওস্তাদ, মারকাযুল উলুম আল ইসলামিয়া বনশ্রী, ঢাকা।

সম্প্রতি ভূমিকম্প জনমানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কী নগর, কী গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে হুলুস্থুল। প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের পলকে নিঃশেষ করে দিতে পারে স্বপ্নিল জীবন। পূর্বাভাস ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচাকার করে দিতে পারে পুরো বিশ্ব।
এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা। স্বীয় গোলামকে তিনি ফিরিয়ে আনতে চান আপন ইবাদতে। শিরকের (অংশীদারত্বের) সামান্য ছিটেফোঁটা তিনি সহ্য করতে পারেন না। বান্দার কাজ-কর্মে লোকদেখানো মানসিকতাও তাঁর কাছে অমার্জনীয় অপরাধ। পার্থিব জগতে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বালা-মুসিবত দিয়ে তিনি বান্দাকে পরকালীন কঠিন আজাব থেকে বাঁচাতে চান।
সুরা সাজদায় তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি অবশ্যই তাদের (কিয়ামতের) বড় শাস্তির স্বাদ আস্বাদনের আগে লঘু শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাব, যেন তারা (আমার আনুগত্যের দিকে) ফিরে আসে।’ (সুরা সাজদাহ: ২১)
ফেরেশতা ইসরাফিল (আ.)-এর ফুৎকারের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে ভয়ানক ভূকম্পন। সংঘটিত হবে কিয়ামত। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘শপথ তাদের (সেই ফেরেশতাদের), যারা (কাফেরদের প্রাণ) কঠোরভাবে টেনে বের করে এবং যারা (মুমিনদের প্রাণের) বন্ধন খুলে কোমলভাবে। তারপর (শূন্যে) তীব্রগতিতে সাঁতার কেটে যায়। তারপর দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়। তারপর যে আদেশ পায় তার (বাস্তবায়নের) ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যেদিন প্রকম্পিত (শিঙ্গাধ্বনি সবকিছু) কাঁপিয়ে দেবে। তার পেছনে আসবে পরবর্তীটি। সেদিন বহু হৃদয় হবে প্রকম্পিত। তাদের চোখ থাকবে অবনত।’ (সুরা নাজিয়াত: ১-৯)
উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাআলা পাঁচটি শপথ করে মহাপ্রলয়ের ভয়াবহ অবস্থার বিবরণ পেশ করেছেন। ভূকম্পন থেকে বাঁচার জন্য নবীজি (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। হজরত জুবাইর ইবনে আবি সুলাইমান থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘আমি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে বলতে শুনেছি, নবীজি (সা.) সকাল-বিকেল এ দোয়া পড়া থেকে কখনো বিরত থাকতেন না।’ দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাহ্ফাজনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আন ইয়ামিনি, ওয়া আন শিমালি, ওয়া মিন ফাওকি, ওয়া আউজু বি আজমাতিকা আন আগতালা মিন তাহতি।’
অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আমার সামনের দিক থেকে পেছনের দিক থেকে, আমার ডান পাশ থেকে বাম পাশ থেকে, আমার ওপর থেকে আমাকে হেফাজত করেন, আর আমি নিচ থেকে আক্রান্ত হওয়া (ভূগর্ভে বিলীন হওয়া) থেকে আপনার মহিমার কাছে আশ্রয় চাই।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৪৭৮৫)
সকাল-বিকেল ও বিশেষ সময়ের দোয়া-দরুদ হতে পারে আমাদের জীবনে বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়। ভূমিকম্প থেকে বাঁচার জন্য উক্ত দোয়া সব সময় পাঠ করা যেতে পারে।
লেখক: মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আন নোমান আরীফী, সিনিয়র ওস্তাদ, মারকাযুল উলুম আল ইসলামিয়া বনশ্রী, ঢাকা।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
১৪ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের অধীনে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পুরোনো সাথিদের জোড় ইজতেমা। সকালে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। দোয়ায় অংশ নেন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মুসল্লি।
১৮ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর পালিত হয়। এটি দাসত্ব ও শোষণ দূরীকরণের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। মানুষের স্বাধীনতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ০৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৫ মিনিট | ০৬: ২৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৯ মিনিট | ০৩: ৩৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৫: ০৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ০৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৫ মিনিট | ০৬: ২৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৯ মিনিট | ০৩: ৩৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৫: ০৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সম্প্রতি ভূমিকম্প জনমানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কী নগর, কী গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে হুলুস্থুল। প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের পলকে নিঃশেষ করে দিতে পারে স্বপ্নিল জীবন। পূর্বাভাস ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচাকার করে দিতে পারে পুরো বিশ্ব।
৬ দিন আগে
উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
১৪ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের অধীনে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পুরোনো সাথিদের জোড় ইজতেমা। সকালে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। দোয়ায় অংশ নেন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মুসল্লি।
১৮ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর পালিত হয়। এটি দাসত্ব ও শোষণ দূরীকরণের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। মানুষের স্বাধীনতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
১ দিন আগেকাউসার লাবীব

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
ইসলাম আজ আয়ারল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। দেশটিতে দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হিসেবে ইতিমধ্যেই ইসলাম জায়গা করে নিয়েছে। ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে আয়ারল্যান্ডে মসজিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এই ফিচারে সেই অসংখ্য মসজিদের মধ্য কয়েকটির বর্ণনা তুলে ধরা হলো। তবে এ তালিকাটি কোনো নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে সাজানো হয়নি।

১. ডাবলিন মসজিদ: এটি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। যা ডাবলিনের দক্ষিণ সার্কুলার সড়কের পাশে অবস্থিত। এটিই হলো আয়ারল্যান্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর।
মসজিদের আগে এখানে একটি গির্জা ছিল। ১৩শ শতাব্দীর ইংরেজ গির্জার শৈলীতে ১৮৬০-এর দশকে ডোনোর প্রেসবিটারিয়ান গির্জাটি নির্মিত হয়। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ সার্কুলার সড়কের এ ভবনটি আয়ারল্যান্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিনে নেয় এবং মসজিদে রূপান্তরিত করে। এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ৫০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে।

২. ব্ল্যাকপিটস মসজিদ: আয়ারল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইসমাইল খোটওয়াল এই মসজিদের ইমাম। ১৯৯২ সালে প্রথম এই মসজিদটি একটি গুদামঘরে চালু হলেও, বর্তমানে এটি একই স্থানে নবনির্মিত একটি ভবনের নিচতলায় রয়েছে। ওপরের তলাগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লিই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। যারা মসজিদের আশপাশে বসবাস করেন। এটি ডাবলিনের ব্ল্যাকপিটস, মার্চেন্ট কায়ে অবস্থিত।

৩. কর্ক মসজিদ: ২০১৩ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন হওয়া এই মসজিদটি বেশ বড় এবং প্রায়ই এটিকে ‘মেগা মসজিদ’ বলা হয়। এর নির্মাণ ব্যয় বহন করেছে কাতার সরকার। এটি শুধু উপাসনার স্থান নয়, বরং ধর্মীয় জ্ঞান ও এর শিক্ষা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও এক প্রাণবন্ত কেন্দ্র। কর্কের অন্যান্য মসজিদের তুলনায় এটি বেশ জনপ্রিয় এবং টারামোর রোড টার্নার্স ক্রসে অবস্থিত।

৪. বালিহাউনিস মসজিদ: এটি ডাবলিনের বাইরে আয়ারল্যান্ডের প্রথম মসজিদ; যা ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়। শের রফিক নামে এক মুসলিম ব্যবসায়ী এটি নির্মাণ করেছিলেন। যিনি একটি হালাল মাংস কারখানার মালিক ছিলেন। এর সবুজ গম্বুজের জন্য মসজিদটি সহজেই চোখে পড়ে। ভেতরে প্রায় ১৫০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। এটি ব্লেয়ার রোডের কাছে অবস্থিত।

৫. ক্লোনস্কে মসজিদ: এটি আয়ারল্যান্ডের বৃহত্তম মসজিদ। ১৯৯৬ সালে দুবাইয়ের হামদান বিন রশিদ আল মাকতুম এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সুন্নি মতাদর্শের এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। এটি একটি বৃহৎ ইসলামিক কমপ্লেক্সের অংশ, যেখানে নামাজের স্পেস, একটি লাইব্রেরি, মিটিং রুম, ১০টি অ্যাপার্টমেন্ট, একটি রেস্তোরাঁ, একটি দোকান, লন্ড্রি সুবিধা, প্রশাসনিক অফিস এবং একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এটি ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডাবলিনের পাশে ফ্রিয়ারল্যান্ডে অবস্থিত।

৬. বেলফাস্ট ইসলামিক সেন্টার: উত্তর আয়ারল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই প্রার্থনা কেন্দ্রটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কেবল ইবাদতের স্থান নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষা, বিয়ে, জানাজা এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। এটি বেলফাস্টের ওয়েলিংটন পার্কে অবস্থিত এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ছয়টি মসজিদের মধ্যে অন্যতম।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল ট্রায়েঙ্গেল, উইকিপিডিয়া

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
ইসলাম আজ আয়ারল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। দেশটিতে দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হিসেবে ইতিমধ্যেই ইসলাম জায়গা করে নিয়েছে। ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে আয়ারল্যান্ডে মসজিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এই ফিচারে সেই অসংখ্য মসজিদের মধ্য কয়েকটির বর্ণনা তুলে ধরা হলো। তবে এ তালিকাটি কোনো নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে সাজানো হয়নি।

১. ডাবলিন মসজিদ: এটি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। যা ডাবলিনের দক্ষিণ সার্কুলার সড়কের পাশে অবস্থিত। এটিই হলো আয়ারল্যান্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর।
মসজিদের আগে এখানে একটি গির্জা ছিল। ১৩শ শতাব্দীর ইংরেজ গির্জার শৈলীতে ১৮৬০-এর দশকে ডোনোর প্রেসবিটারিয়ান গির্জাটি নির্মিত হয়। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ সার্কুলার সড়কের এ ভবনটি আয়ারল্যান্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিনে নেয় এবং মসজিদে রূপান্তরিত করে। এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ৫০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে।

২. ব্ল্যাকপিটস মসজিদ: আয়ারল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইসমাইল খোটওয়াল এই মসজিদের ইমাম। ১৯৯২ সালে প্রথম এই মসজিদটি একটি গুদামঘরে চালু হলেও, বর্তমানে এটি একই স্থানে নবনির্মিত একটি ভবনের নিচতলায় রয়েছে। ওপরের তলাগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লিই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। যারা মসজিদের আশপাশে বসবাস করেন। এটি ডাবলিনের ব্ল্যাকপিটস, মার্চেন্ট কায়ে অবস্থিত।

৩. কর্ক মসজিদ: ২০১৩ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন হওয়া এই মসজিদটি বেশ বড় এবং প্রায়ই এটিকে ‘মেগা মসজিদ’ বলা হয়। এর নির্মাণ ব্যয় বহন করেছে কাতার সরকার। এটি শুধু উপাসনার স্থান নয়, বরং ধর্মীয় জ্ঞান ও এর শিক্ষা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও এক প্রাণবন্ত কেন্দ্র। কর্কের অন্যান্য মসজিদের তুলনায় এটি বেশ জনপ্রিয় এবং টারামোর রোড টার্নার্স ক্রসে অবস্থিত।

৪. বালিহাউনিস মসজিদ: এটি ডাবলিনের বাইরে আয়ারল্যান্ডের প্রথম মসজিদ; যা ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়। শের রফিক নামে এক মুসলিম ব্যবসায়ী এটি নির্মাণ করেছিলেন। যিনি একটি হালাল মাংস কারখানার মালিক ছিলেন। এর সবুজ গম্বুজের জন্য মসজিদটি সহজেই চোখে পড়ে। ভেতরে প্রায় ১৫০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। এটি ব্লেয়ার রোডের কাছে অবস্থিত।

৫. ক্লোনস্কে মসজিদ: এটি আয়ারল্যান্ডের বৃহত্তম মসজিদ। ১৯৯৬ সালে দুবাইয়ের হামদান বিন রশিদ আল মাকতুম এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সুন্নি মতাদর্শের এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। এটি একটি বৃহৎ ইসলামিক কমপ্লেক্সের অংশ, যেখানে নামাজের স্পেস, একটি লাইব্রেরি, মিটিং রুম, ১০টি অ্যাপার্টমেন্ট, একটি রেস্তোরাঁ, একটি দোকান, লন্ড্রি সুবিধা, প্রশাসনিক অফিস এবং একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এটি ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডাবলিনের পাশে ফ্রিয়ারল্যান্ডে অবস্থিত।

৬. বেলফাস্ট ইসলামিক সেন্টার: উত্তর আয়ারল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই প্রার্থনা কেন্দ্রটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কেবল ইবাদতের স্থান নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষা, বিয়ে, জানাজা এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। এটি বেলফাস্টের ওয়েলিংটন পার্কে অবস্থিত এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ছয়টি মসজিদের মধ্যে অন্যতম।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল ট্রায়েঙ্গেল, উইকিপিডিয়া

সম্প্রতি ভূমিকম্প জনমানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কী নগর, কী গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে হুলুস্থুল। প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের পলকে নিঃশেষ করে দিতে পারে স্বপ্নিল জীবন। পূর্বাভাস ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচাকার করে দিতে পারে পুরো বিশ্ব।
৬ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের অধীনে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পুরোনো সাথিদের জোড় ইজতেমা। সকালে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। দোয়ায় অংশ নেন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মুসল্লি।
১৮ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর পালিত হয়। এটি দাসত্ব ও শোষণ দূরীকরণের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। মানুষের স্বাধীনতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের অধীনে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পুরোনো সাথিদের জোড় ইজতেমা। সকালে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। দোয়ায় অংশ নেন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মুসল্লি।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে দোয়া শুরু হয়ে ৯টা ১৩ মিনিটে শেষ হয়। আমিন, আমিন ধ্বনিতে কম্পিত হতে থাকে সমগ্র টঙ্গী ময়দান। দোয়ার মুহূর্তে মাঠজুড়ে কান্নার রোল পড়ে যায়। দোয়া পরিচালনা করেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমেদ বাটলা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এবারের জোড়ে ২৭টি দেশ থেকে ৭৩২ জন বিদেশি মেহমান অংশগ্রহণ করেছেন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, ইয়েমেন, কানাডা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, তিউনিসিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নাইজার, আফগানিস্তান, জার্মানি, জাপান, চাঁদ, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মিসর, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, জোড় চলাকালে ছয় মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
দোয়া শেষে কয়েক হাজার এক চিল্লা ও তিন চিল্লার জামাত আগামী বছরের ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় খুরুজের জোড়ের প্রস্তুতির জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে যায়। অন্য মুসল্লিরা মোকামি কাজ ও আনেওয়ালা জোড়ের মেহনত নিয়ে নিজ নিজ মহল্লায় ফিরে যান।
সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের অধীনে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পুরোনো সাথিদের জোড় ইজতেমা। সকালে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। দোয়ায় অংশ নেন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মুসল্লি।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে দোয়া শুরু হয়ে ৯টা ১৩ মিনিটে শেষ হয়। আমিন, আমিন ধ্বনিতে কম্পিত হতে থাকে সমগ্র টঙ্গী ময়দান। দোয়ার মুহূর্তে মাঠজুড়ে কান্নার রোল পড়ে যায়। দোয়া পরিচালনা করেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমেদ বাটলা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এবারের জোড়ে ২৭টি দেশ থেকে ৭৩২ জন বিদেশি মেহমান অংশগ্রহণ করেছেন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, ইয়েমেন, কানাডা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, তিউনিসিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নাইজার, আফগানিস্তান, জার্মানি, জাপান, চাঁদ, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মিসর, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, জোড় চলাকালে ছয় মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
দোয়া শেষে কয়েক হাজার এক চিল্লা ও তিন চিল্লার জামাত আগামী বছরের ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় খুরুজের জোড়ের প্রস্তুতির জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে যায়। অন্য মুসল্লিরা মোকামি কাজ ও আনেওয়ালা জোড়ের মেহনত নিয়ে নিজ নিজ মহল্লায় ফিরে যান।
সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সম্প্রতি ভূমিকম্প জনমানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কী নগর, কী গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে হুলুস্থুল। প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের পলকে নিঃশেষ করে দিতে পারে স্বপ্নিল জীবন। পূর্বাভাস ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচাকার করে দিতে পারে পুরো বিশ্ব।
৬ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
১৪ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর পালিত হয়। এটি দাসত্ব ও শোষণ দূরীকরণের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। মানুষের স্বাধীনতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর পালিত হয়। এটি দাসত্ব ও শোষণ দূরীকরণের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। মানুষের স্বাধীনতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
ইসলামও মানবাধিকার রক্ষা, দাসত্ব বিলোপ ও মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়েছে। পবিত্র কোরআনুল করিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মানুষকে মর্যাদা প্রদান করেছেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৫)। এই আয়াত সকল মানুষের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করে। এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দাসকে মুক্তি দেয়, আল্লাহ তাকে জান্নাতে স্থান দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম)। এই হাদিস দাস মুক্তি দেওয়ার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব প্রকাশ করে।
অন্য হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি একজন মুমিন দাসকে আজাদ করে দেবে, এর বিনিময়ে তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করে দেওয়া হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)। এভাবেই ইসলামে দাসদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দাসদের মুক্তি প্রদানে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পবিত্র কোরআন ও হাদিসে নববী দাস-দাসীদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।
আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশুশ্রম, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন নিগ্রহ ও মানব পাচারের মতো দাসত্ব বিদ্যমান। ইসলামি মূল্যবোধে এগুলো অনৈতিক এবং অপরাধমূলক। ইসলামে মানবমুক্তি, ন্যায় ও মর্যাদা রক্ষা করা নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দাসত্বের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি ও নিপীড়িতদের মর্যাদা রক্ষা সমাজকে ন্যায়পরায়ণ ও সুসংহত করে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর পালিত হয়। এটি দাসত্ব ও শোষণ দূরীকরণের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। মানুষের স্বাধীনতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
ইসলামও মানবাধিকার রক্ষা, দাসত্ব বিলোপ ও মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়েছে। পবিত্র কোরআনুল করিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মানুষকে মর্যাদা প্রদান করেছেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৫)। এই আয়াত সকল মানুষের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করে। এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দাসকে মুক্তি দেয়, আল্লাহ তাকে জান্নাতে স্থান দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম)। এই হাদিস দাস মুক্তি দেওয়ার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব প্রকাশ করে।
অন্য হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি একজন মুমিন দাসকে আজাদ করে দেবে, এর বিনিময়ে তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করে দেওয়া হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)। এভাবেই ইসলামে দাসদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দাসদের মুক্তি প্রদানে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পবিত্র কোরআন ও হাদিসে নববী দাস-দাসীদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।
আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশুশ্রম, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন নিগ্রহ ও মানব পাচারের মতো দাসত্ব বিদ্যমান। ইসলামি মূল্যবোধে এগুলো অনৈতিক এবং অপরাধমূলক। ইসলামে মানবমুক্তি, ন্যায় ও মর্যাদা রক্ষা করা নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দাসত্বের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি ও নিপীড়িতদের মর্যাদা রক্ষা সমাজকে ন্যায়পরায়ণ ও সুসংহত করে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

সম্প্রতি ভূমিকম্প জনমানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কী নগর, কী গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে হুলুস্থুল। প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে চোখের পলকে নিঃশেষ করে দিতে পারে স্বপ্নিল জীবন। পূর্বাভাস ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচাকার করে দিতে পারে পুরো বিশ্ব।
৬ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
১৪ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের অধীনে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পুরোনো সাথিদের জোড় ইজতেমা। সকালে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। দোয়ায় অংশ নেন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মুসল্লি।
১৮ ঘণ্টা আগে