Ajker Patrika

ইসলামের দৃষ্টিতে মানবমুক্তি ও মর্যাদা

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর পালিত হয়। এটি দাসত্ব ও শোষণ দূরীকরণের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। মানুষের স্বাধীনতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।

ইসলামও মানবাধিকার রক্ষা, দাসত্ব বিলোপ ও মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়েছে। পবিত্র কোরআনুল করিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মানুষকে মর্যাদা প্রদান করেছেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৫)। এই আয়াত সকল মানুষের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করে। এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দাসকে মুক্তি দেয়, আল্লাহ তাকে জান্নাতে স্থান দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম)। এই হাদিস দাস মুক্তি দেওয়ার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব প্রকাশ করে।

অন্য হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি একজন মুমিন দাসকে আজাদ করে দেবে, এর বিনিময়ে তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করে দেওয়া হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)। এভাবেই ইসলামে দাসদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দাসদের মুক্তি প্রদানে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পবিত্র কোরআন ও হাদিসে নববী দাস-দাসীদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।

আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশুশ্রম, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন নিগ্রহ ও মানব পাচারের মতো দাসত্ব বিদ্যমান। ইসলামি মূল্যবোধে এগুলো অনৈতিক এবং অপরাধমূলক। ইসলামে মানবমুক্তি, ন্যায় ও মর্যাদা রক্ষা করা নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দাসত্বের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি ও নিপীড়িতদের মর্যাদা রক্ষা সমাজকে ন্যায়পরায়ণ ও সুসংহত করে।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ