মোহাম্মদ আবদুল্লাহ

ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। এক. হিজরতের পরপরই মহানবী (সা.)-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এটির সূচনা হয়। দুই. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এটির সূচনা হয়। ইবনে শিহাব জুহরি বলেন, এ দিন থেকেই রাসুল (সা.)-এর নির্দেশে ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়। মদিনায় আগমনের পর সবাইকে তাঁর হিজরতের মাস রবিউল আউয়াল থেকে দিন গণনার নির্দেশ দেন। বর্ণনাটি ইমাম হাকেম ‘ইকলিল’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তবে এই বর্ণনার সত্যতা নিয়ে আপত্তি থাকায় ইসলামি চিন্তাবিদগণ গ্রহণ করেননি।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয় মতটিই নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত, সর্বাধিক প্রসিদ্ধ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। শাবি ও মুহাম্মদ ইবনে সিরিন বর্ণনা করেন, একবার হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) হজরত ওমর (রা.)-এর খেলাফতকালে তাঁকে লিখে পাঠান—আপনার বিভিন্ন আদেশনামা আমাদের হস্তগত হয়, কিন্তু কোনোটিতেই কোনো তারিখ উল্লেখ করা থাকে না। তখন একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রণয়ন নিয়ে পরামর্শ করার জন্য ওমর (রা.) কয়েকজন সাহাবিকে ডাকেন। একেকজন একেকটি পরামর্শ দেন। ওমর (রা.) হিজরতের সময় থেকে গণনা শুরু করার মতটি পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘হিজরতের মাধ্যমে ইসলামি বর্ষের সূচনা হওয়াই আমার দৃষ্টিতে যথাযথ। কেননা, হিজরতের মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে গেছে এবং ইসলামের সম্মান, মর্যাদা ও বিজয়ের সূচনা হয়েছে।’ সবাই তাঁর এই মতামত পছন্দ করেন।
যেহেতু রাসুল (সা.) রবিউল আউয়াল মাসে মদিনায় হিজরত করেছিলেন, তাই হিসাব অনুযায়ী হিজরি বর্ষের সূচনা রবিউল আউয়াল মাস থেকে হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে মহররম থেকে হিসাব করা হয়েছে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) মহররম মাসেই হিজরতের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে মদিনা থেকে আগত সাহাবিগণ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন এবং মাসব্যাপী হজের কার্যক্রম সমাপ্ত করে মদিনায় ফিরে যান। তারা চলে যাওয়ার কিছুদিন পরই হুজুর (সা.) হিজরতের মনোভাব ব্যক্ত করেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে হিজরতের অনুমতি প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হিজরি বর্ষের সূচনা মহররম থেকেই হিসাব করা হয়েছে। হজরত ওসমান ও আলি (রা.) ওমরকে মহররম থেকে বর্ষ শুরুর পরামর্শ প্রদান করেছিলেন। অবশ্য কারও কারও প্রস্তাব ছিল, রমজান মাস থেকে বর্ষ শুরুর হিসাব করা হোক। কিন্তু হজরত ওমর জবাবে বলেন, ‘বরং মহররমই হিসাব রাখার জন্য অধিক শোভনীয়। কেননা, লোকজন হজ সমাপ্ত করে মহররম মাসেই বাড়িঘরে ফিরে যায়। তাঁর এই জবাব সবাই পছন্দ করেন এবং মহররম থেকে বর্ষ শুরু করার বিষয়ে সবাই একমত হন।
ইমাম সারাখসি (রহ.) সিয়ারে কবির গ্রন্থের ব্যাখ্যায় আরেকটু বিস্তারিত বয়ান করে লেখেন, হজরত ওমর (রা.) যখন ইসলামি বর্ষ নির্ধারণকল্পে সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ সভায় বসেন, তখন কারও পক্ষ থেকে এই পরামর্শ দেওয়া হয় যে রাসুল (সা.)-এর জন্মমুহূর্ত থেকে বর্ষ গণনার সূচনা হোক। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘তাহলে বিষয়টি খ্রিষ্টানদের সঙ্গে মিলে যায়। কেননা, তারা খ্রিষ্টীয় সাল ঈসা (আ.)-এর জন্মমুহূর্ত থেকে গণনা করে।’ এ বিষয়ে কারও প্রস্তাব ছিল, নবীজির ইন্তেকালের ঘটনা থেকে বর্ষ গণনা শুরু করা হোক। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) এটিও পছন্দ করলেন না। তিনি বললেন, ‘এটি এক বিরাট দুঃখজনক শোকাবহ ঘটনা এবং আমাদের জন্য বড় বিপর্যয়ের দিন। তাই বর্ষ শুরুর মতো এক বিশেষ ঘটনাকে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না করাই উত্তম।’ এভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে হিজরতের সূচনাকালেই সবাই ঐকমত্য পোষণ করেন।
লেখক: প্রশিক্ষক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, রাজশাহী

ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। এক. হিজরতের পরপরই মহানবী (সা.)-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এটির সূচনা হয়। দুই. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এটির সূচনা হয়। ইবনে শিহাব জুহরি বলেন, এ দিন থেকেই রাসুল (সা.)-এর নির্দেশে ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়। মদিনায় আগমনের পর সবাইকে তাঁর হিজরতের মাস রবিউল আউয়াল থেকে দিন গণনার নির্দেশ দেন। বর্ণনাটি ইমাম হাকেম ‘ইকলিল’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তবে এই বর্ণনার সত্যতা নিয়ে আপত্তি থাকায় ইসলামি চিন্তাবিদগণ গ্রহণ করেননি।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয় মতটিই নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত, সর্বাধিক প্রসিদ্ধ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। শাবি ও মুহাম্মদ ইবনে সিরিন বর্ণনা করেন, একবার হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) হজরত ওমর (রা.)-এর খেলাফতকালে তাঁকে লিখে পাঠান—আপনার বিভিন্ন আদেশনামা আমাদের হস্তগত হয়, কিন্তু কোনোটিতেই কোনো তারিখ উল্লেখ করা থাকে না। তখন একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রণয়ন নিয়ে পরামর্শ করার জন্য ওমর (রা.) কয়েকজন সাহাবিকে ডাকেন। একেকজন একেকটি পরামর্শ দেন। ওমর (রা.) হিজরতের সময় থেকে গণনা শুরু করার মতটি পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘হিজরতের মাধ্যমে ইসলামি বর্ষের সূচনা হওয়াই আমার দৃষ্টিতে যথাযথ। কেননা, হিজরতের মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে গেছে এবং ইসলামের সম্মান, মর্যাদা ও বিজয়ের সূচনা হয়েছে।’ সবাই তাঁর এই মতামত পছন্দ করেন।
যেহেতু রাসুল (সা.) রবিউল আউয়াল মাসে মদিনায় হিজরত করেছিলেন, তাই হিসাব অনুযায়ী হিজরি বর্ষের সূচনা রবিউল আউয়াল মাস থেকে হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে মহররম থেকে হিসাব করা হয়েছে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) মহররম মাসেই হিজরতের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে মদিনা থেকে আগত সাহাবিগণ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন এবং মাসব্যাপী হজের কার্যক্রম সমাপ্ত করে মদিনায় ফিরে যান। তারা চলে যাওয়ার কিছুদিন পরই হুজুর (সা.) হিজরতের মনোভাব ব্যক্ত করেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে হিজরতের অনুমতি প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হিজরি বর্ষের সূচনা মহররম থেকেই হিসাব করা হয়েছে। হজরত ওসমান ও আলি (রা.) ওমরকে মহররম থেকে বর্ষ শুরুর পরামর্শ প্রদান করেছিলেন। অবশ্য কারও কারও প্রস্তাব ছিল, রমজান মাস থেকে বর্ষ শুরুর হিসাব করা হোক। কিন্তু হজরত ওমর জবাবে বলেন, ‘বরং মহররমই হিসাব রাখার জন্য অধিক শোভনীয়। কেননা, লোকজন হজ সমাপ্ত করে মহররম মাসেই বাড়িঘরে ফিরে যায়। তাঁর এই জবাব সবাই পছন্দ করেন এবং মহররম থেকে বর্ষ শুরু করার বিষয়ে সবাই একমত হন।
ইমাম সারাখসি (রহ.) সিয়ারে কবির গ্রন্থের ব্যাখ্যায় আরেকটু বিস্তারিত বয়ান করে লেখেন, হজরত ওমর (রা.) যখন ইসলামি বর্ষ নির্ধারণকল্পে সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ সভায় বসেন, তখন কারও পক্ষ থেকে এই পরামর্শ দেওয়া হয় যে রাসুল (সা.)-এর জন্মমুহূর্ত থেকে বর্ষ গণনার সূচনা হোক। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘তাহলে বিষয়টি খ্রিষ্টানদের সঙ্গে মিলে যায়। কেননা, তারা খ্রিষ্টীয় সাল ঈসা (আ.)-এর জন্মমুহূর্ত থেকে গণনা করে।’ এ বিষয়ে কারও প্রস্তাব ছিল, নবীজির ইন্তেকালের ঘটনা থেকে বর্ষ গণনা শুরু করা হোক। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) এটিও পছন্দ করলেন না। তিনি বললেন, ‘এটি এক বিরাট দুঃখজনক শোকাবহ ঘটনা এবং আমাদের জন্য বড় বিপর্যয়ের দিন। তাই বর্ষ শুরুর মতো এক বিশেষ ঘটনাকে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না করাই উত্তম।’ এভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে হিজরতের সূচনাকালেই সবাই ঐকমত্য পোষণ করেন।
লেখক: প্রশিক্ষক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, রাজশাহী
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ

ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। এক. হিজরতের পরপরই মহানবী (সা.)-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এটির সূচনা হয়। দুই. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এটির সূচনা হয়। ইবনে শিহাব জুহরি বলেন, এ দিন থেকেই রাসুল (সা.)-এর নির্দেশে ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়। মদিনায় আগমনের পর সবাইকে তাঁর হিজরতের মাস রবিউল আউয়াল থেকে দিন গণনার নির্দেশ দেন। বর্ণনাটি ইমাম হাকেম ‘ইকলিল’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তবে এই বর্ণনার সত্যতা নিয়ে আপত্তি থাকায় ইসলামি চিন্তাবিদগণ গ্রহণ করেননি।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয় মতটিই নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত, সর্বাধিক প্রসিদ্ধ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। শাবি ও মুহাম্মদ ইবনে সিরিন বর্ণনা করেন, একবার হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) হজরত ওমর (রা.)-এর খেলাফতকালে তাঁকে লিখে পাঠান—আপনার বিভিন্ন আদেশনামা আমাদের হস্তগত হয়, কিন্তু কোনোটিতেই কোনো তারিখ উল্লেখ করা থাকে না। তখন একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রণয়ন নিয়ে পরামর্শ করার জন্য ওমর (রা.) কয়েকজন সাহাবিকে ডাকেন। একেকজন একেকটি পরামর্শ দেন। ওমর (রা.) হিজরতের সময় থেকে গণনা শুরু করার মতটি পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘হিজরতের মাধ্যমে ইসলামি বর্ষের সূচনা হওয়াই আমার দৃষ্টিতে যথাযথ। কেননা, হিজরতের মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে গেছে এবং ইসলামের সম্মান, মর্যাদা ও বিজয়ের সূচনা হয়েছে।’ সবাই তাঁর এই মতামত পছন্দ করেন।
যেহেতু রাসুল (সা.) রবিউল আউয়াল মাসে মদিনায় হিজরত করেছিলেন, তাই হিসাব অনুযায়ী হিজরি বর্ষের সূচনা রবিউল আউয়াল মাস থেকে হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে মহররম থেকে হিসাব করা হয়েছে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) মহররম মাসেই হিজরতের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে মদিনা থেকে আগত সাহাবিগণ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন এবং মাসব্যাপী হজের কার্যক্রম সমাপ্ত করে মদিনায় ফিরে যান। তারা চলে যাওয়ার কিছুদিন পরই হুজুর (সা.) হিজরতের মনোভাব ব্যক্ত করেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে হিজরতের অনুমতি প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হিজরি বর্ষের সূচনা মহররম থেকেই হিসাব করা হয়েছে। হজরত ওসমান ও আলি (রা.) ওমরকে মহররম থেকে বর্ষ শুরুর পরামর্শ প্রদান করেছিলেন। অবশ্য কারও কারও প্রস্তাব ছিল, রমজান মাস থেকে বর্ষ শুরুর হিসাব করা হোক। কিন্তু হজরত ওমর জবাবে বলেন, ‘বরং মহররমই হিসাব রাখার জন্য অধিক শোভনীয়। কেননা, লোকজন হজ সমাপ্ত করে মহররম মাসেই বাড়িঘরে ফিরে যায়। তাঁর এই জবাব সবাই পছন্দ করেন এবং মহররম থেকে বর্ষ শুরু করার বিষয়ে সবাই একমত হন।
ইমাম সারাখসি (রহ.) সিয়ারে কবির গ্রন্থের ব্যাখ্যায় আরেকটু বিস্তারিত বয়ান করে লেখেন, হজরত ওমর (রা.) যখন ইসলামি বর্ষ নির্ধারণকল্পে সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ সভায় বসেন, তখন কারও পক্ষ থেকে এই পরামর্শ দেওয়া হয় যে রাসুল (সা.)-এর জন্মমুহূর্ত থেকে বর্ষ গণনার সূচনা হোক। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘তাহলে বিষয়টি খ্রিষ্টানদের সঙ্গে মিলে যায়। কেননা, তারা খ্রিষ্টীয় সাল ঈসা (আ.)-এর জন্মমুহূর্ত থেকে গণনা করে।’ এ বিষয়ে কারও প্রস্তাব ছিল, নবীজির ইন্তেকালের ঘটনা থেকে বর্ষ গণনা শুরু করা হোক। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) এটিও পছন্দ করলেন না। তিনি বললেন, ‘এটি এক বিরাট দুঃখজনক শোকাবহ ঘটনা এবং আমাদের জন্য বড় বিপর্যয়ের দিন। তাই বর্ষ শুরুর মতো এক বিশেষ ঘটনাকে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না করাই উত্তম।’ এভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে হিজরতের সূচনাকালেই সবাই ঐকমত্য পোষণ করেন।
লেখক: প্রশিক্ষক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, রাজশাহী

ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। এক. হিজরতের পরপরই মহানবী (সা.)-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এটির সূচনা হয়। দুই. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এটির সূচনা হয়। ইবনে শিহাব জুহরি বলেন, এ দিন থেকেই রাসুল (সা.)-এর নির্দেশে ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়। মদিনায় আগমনের পর সবাইকে তাঁর হিজরতের মাস রবিউল আউয়াল থেকে দিন গণনার নির্দেশ দেন। বর্ণনাটি ইমাম হাকেম ‘ইকলিল’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তবে এই বর্ণনার সত্যতা নিয়ে আপত্তি থাকায় ইসলামি চিন্তাবিদগণ গ্রহণ করেননি।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয় মতটিই নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত, সর্বাধিক প্রসিদ্ধ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। শাবি ও মুহাম্মদ ইবনে সিরিন বর্ণনা করেন, একবার হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) হজরত ওমর (রা.)-এর খেলাফতকালে তাঁকে লিখে পাঠান—আপনার বিভিন্ন আদেশনামা আমাদের হস্তগত হয়, কিন্তু কোনোটিতেই কোনো তারিখ উল্লেখ করা থাকে না। তখন একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রণয়ন নিয়ে পরামর্শ করার জন্য ওমর (রা.) কয়েকজন সাহাবিকে ডাকেন। একেকজন একেকটি পরামর্শ দেন। ওমর (রা.) হিজরতের সময় থেকে গণনা শুরু করার মতটি পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘হিজরতের মাধ্যমে ইসলামি বর্ষের সূচনা হওয়াই আমার দৃষ্টিতে যথাযথ। কেননা, হিজরতের মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে গেছে এবং ইসলামের সম্মান, মর্যাদা ও বিজয়ের সূচনা হয়েছে।’ সবাই তাঁর এই মতামত পছন্দ করেন।
যেহেতু রাসুল (সা.) রবিউল আউয়াল মাসে মদিনায় হিজরত করেছিলেন, তাই হিসাব অনুযায়ী হিজরি বর্ষের সূচনা রবিউল আউয়াল মাস থেকে হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে মহররম থেকে হিসাব করা হয়েছে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) মহররম মাসেই হিজরতের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে মদিনা থেকে আগত সাহাবিগণ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন এবং মাসব্যাপী হজের কার্যক্রম সমাপ্ত করে মদিনায় ফিরে যান। তারা চলে যাওয়ার কিছুদিন পরই হুজুর (সা.) হিজরতের মনোভাব ব্যক্ত করেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে হিজরতের অনুমতি প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হিজরি বর্ষের সূচনা মহররম থেকেই হিসাব করা হয়েছে। হজরত ওসমান ও আলি (রা.) ওমরকে মহররম থেকে বর্ষ শুরুর পরামর্শ প্রদান করেছিলেন। অবশ্য কারও কারও প্রস্তাব ছিল, রমজান মাস থেকে বর্ষ শুরুর হিসাব করা হোক। কিন্তু হজরত ওমর জবাবে বলেন, ‘বরং মহররমই হিসাব রাখার জন্য অধিক শোভনীয়। কেননা, লোকজন হজ সমাপ্ত করে মহররম মাসেই বাড়িঘরে ফিরে যায়। তাঁর এই জবাব সবাই পছন্দ করেন এবং মহররম থেকে বর্ষ শুরু করার বিষয়ে সবাই একমত হন।
ইমাম সারাখসি (রহ.) সিয়ারে কবির গ্রন্থের ব্যাখ্যায় আরেকটু বিস্তারিত বয়ান করে লেখেন, হজরত ওমর (রা.) যখন ইসলামি বর্ষ নির্ধারণকল্পে সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ সভায় বসেন, তখন কারও পক্ষ থেকে এই পরামর্শ দেওয়া হয় যে রাসুল (সা.)-এর জন্মমুহূর্ত থেকে বর্ষ গণনার সূচনা হোক। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘তাহলে বিষয়টি খ্রিষ্টানদের সঙ্গে মিলে যায়। কেননা, তারা খ্রিষ্টীয় সাল ঈসা (আ.)-এর জন্মমুহূর্ত থেকে গণনা করে।’ এ বিষয়ে কারও প্রস্তাব ছিল, নবীজির ইন্তেকালের ঘটনা থেকে বর্ষ গণনা শুরু করা হোক। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) এটিও পছন্দ করলেন না। তিনি বললেন, ‘এটি এক বিরাট দুঃখজনক শোকাবহ ঘটনা এবং আমাদের জন্য বড় বিপর্যয়ের দিন। তাই বর্ষ শুরুর মতো এক বিশেষ ঘটনাকে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না করাই উত্তম।’ এভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে হিজরতের সূচনাকালেই সবাই ঐকমত্য পোষণ করেন।
লেখক: প্রশিক্ষক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, রাজশাহী

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। এক. হিজরতের পরপরই মহানবী (সা.)-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এটির সূচনা হয়। দুই. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এটির সূচনা হয়। ইবনে শিহাব জুহরি বলেন, এ দিন থেকেই রাসুল (সা.)-এর নির্দেশে ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়। মদিনায় আগমনের
০৫ জুলাই ২০২৪
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। এক. হিজরতের পরপরই মহানবী (সা.)-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এটির সূচনা হয়। দুই. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এটির সূচনা হয়। ইবনে শিহাব জুহরি বলেন, এ দিন থেকেই রাসুল (সা.)-এর নির্দেশে ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়। মদিনায় আগমনের
০৫ জুলাই ২০২৪
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। এক. হিজরতের পরপরই মহানবী (সা.)-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এটির সূচনা হয়। দুই. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এটির সূচনা হয়। ইবনে শিহাব জুহরি বলেন, এ দিন থেকেই রাসুল (সা.)-এর নির্দেশে ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়। মদিনায় আগমনের
০৫ জুলাই ২০২৪
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। এক. হিজরতের পরপরই মহানবী (সা.)-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এটির সূচনা হয়। দুই. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এটির সূচনা হয়। ইবনে শিহাব জুহরি বলেন, এ দিন থেকেই রাসুল (সা.)-এর নির্দেশে ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়। মদিনায় আগমনের
০৫ জুলাই ২০২৪
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে