মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

জিলহজ হিজরি সনের দ্বাদশ মাস। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত চার পবিত্র ও সম্মানিত মাসের অন্যতম। জিলহজের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অংশ এর ১০ দিন। ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইবাদত হজ ও কোরবানি এ সময়েই পালিত হয়। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে এ দশকের বিশেষ ফজিলত ও আমলের কথা 
বর্ণিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এ দশকের নামে শপথ করে এর অসামান্য মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘শপথ ভোরের, শপথ দশ রাতের।’ (সুরা ফজর: ১-২) ইবনে আব্বাস (রা.) ইবনে জুবাইর (রা.), মুজাহিদ (রহ.)-সহ অধিকাংশ তাফসিরবিদের মতে, এখানে ‘দশ রাত’ থেকে জিলহজের প্রথম দশককেই বোঝানো হয়েছে।(তাফসিরে ইবনে কাসির)
হাদিস শরিফে এই দশককে সেরা দশক বলে অভিহিত করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়ার সর্বোত্তম দিন জিলহজের (প্রথম) দশ দিন।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করা দিনগুলোও কি এর সমতুল্য নয়?’ উত্তরে বললেন, ‘না, তাও এর সমতুল্য নয়। তবে যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে নিজের চেহারা ধুলোমলিন করেছেন এবং শহীদ হয়েছেন, তার ব্যাপারে বিষয়টি ভিন্ন।’ (মুসনাদে বাজ্জার)
কোরআন-হাদিসে জিলহজের প্রথম দশকের ফজিলত যেমন বর্ণিত হয়েছে, তেমনি এ দশকের আমলের বিশেষ ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহে তারা যেন আল্লাহর নাম জিকির করে।’ (সুরা হজ: ২৮) ইবনে আব্বাস (রা.), ইবনে উমর (রা.), হাসান বসরি (রহ.), আতা (রহ.), ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ইমাম শাফেয়ি (রহ.), ইমাম আহমদ (রহ.)-সহ অধিকাংশ আলিমের মতে, এখানে ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ’ থেকে জিলহজের প্রথম দশকই উদ্দেশ্য। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
এই ১০ দিনের বিশেষ কিছু আমলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
নখ ও চুল ইত্যাদি না কাটা: জিলহজের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি দেওয়া পর্যন্ত চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি না কাটা মুসতাহাব। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি জিলহজের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।’ (নাসায়ি) অন্য হাদিস থেকে বোঝা যায়, যাদের কোরবানি করার সামর্থ্য নেই, তারাও এ আমল পালন করবে। (মুসনাদে আহমদ)
রোজা: এই দশকের প্রথম নয় দিন রোজা রাখা মুসতাহাব। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) জিলহজের প্রথম নয় দিন রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ) জিলহজের ৯ তারিখের রোজাটি সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিন (জিলহজের নবম তারিখের) রোজার বিষয়ে আমি আশা করি যে, আল্লাহ এর বিনিময়ে গত এক বছর ও আগামী এক বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেবেন।’ (মুসলিম)
অধিক হারে জিকির: রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের আমলের চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি পরিমাণে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবর পাঠ করো।’ (মুসনাদে আহমদ)

জিলহজ হিজরি সনের দ্বাদশ মাস। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত চার পবিত্র ও সম্মানিত মাসের অন্যতম। জিলহজের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অংশ এর ১০ দিন। ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইবাদত হজ ও কোরবানি এ সময়েই পালিত হয়। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে এ দশকের বিশেষ ফজিলত ও আমলের কথা 
বর্ণিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এ দশকের নামে শপথ করে এর অসামান্য মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘শপথ ভোরের, শপথ দশ রাতের।’ (সুরা ফজর: ১-২) ইবনে আব্বাস (রা.) ইবনে জুবাইর (রা.), মুজাহিদ (রহ.)-সহ অধিকাংশ তাফসিরবিদের মতে, এখানে ‘দশ রাত’ থেকে জিলহজের প্রথম দশককেই বোঝানো হয়েছে।(তাফসিরে ইবনে কাসির)
হাদিস শরিফে এই দশককে সেরা দশক বলে অভিহিত করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়ার সর্বোত্তম দিন জিলহজের (প্রথম) দশ দিন।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করা দিনগুলোও কি এর সমতুল্য নয়?’ উত্তরে বললেন, ‘না, তাও এর সমতুল্য নয়। তবে যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে নিজের চেহারা ধুলোমলিন করেছেন এবং শহীদ হয়েছেন, তার ব্যাপারে বিষয়টি ভিন্ন।’ (মুসনাদে বাজ্জার)
কোরআন-হাদিসে জিলহজের প্রথম দশকের ফজিলত যেমন বর্ণিত হয়েছে, তেমনি এ দশকের আমলের বিশেষ ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহে তারা যেন আল্লাহর নাম জিকির করে।’ (সুরা হজ: ২৮) ইবনে আব্বাস (রা.), ইবনে উমর (রা.), হাসান বসরি (রহ.), আতা (রহ.), ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ইমাম শাফেয়ি (রহ.), ইমাম আহমদ (রহ.)-সহ অধিকাংশ আলিমের মতে, এখানে ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ’ থেকে জিলহজের প্রথম দশকই উদ্দেশ্য। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
এই ১০ দিনের বিশেষ কিছু আমলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
নখ ও চুল ইত্যাদি না কাটা: জিলহজের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি দেওয়া পর্যন্ত চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি না কাটা মুসতাহাব। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি জিলহজের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।’ (নাসায়ি) অন্য হাদিস থেকে বোঝা যায়, যাদের কোরবানি করার সামর্থ্য নেই, তারাও এ আমল পালন করবে। (মুসনাদে আহমদ)
রোজা: এই দশকের প্রথম নয় দিন রোজা রাখা মুসতাহাব। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) জিলহজের প্রথম নয় দিন রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ) জিলহজের ৯ তারিখের রোজাটি সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিন (জিলহজের নবম তারিখের) রোজার বিষয়ে আমি আশা করি যে, আল্লাহ এর বিনিময়ে গত এক বছর ও আগামী এক বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেবেন।’ (মুসলিম)
অধিক হারে জিকির: রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের আমলের চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি পরিমাণে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবর পাঠ করো।’ (মুসনাদে আহমদ)
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

জিলহজ হিজরি সনের দ্বাদশ মাস। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত চার পবিত্র ও সম্মানিত মাসের অন্যতম। জিলহজের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অংশ এর ১০ দিন। ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইবাদত হজ ও কোরবানি এ সময়েই পালিত হয়। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে এ দশকের বিশেষ ফজিলত ও আমলের কথা 
বর্ণিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এ দশকের নামে শপথ করে এর অসামান্য মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘শপথ ভোরের, শপথ দশ রাতের।’ (সুরা ফজর: ১-২) ইবনে আব্বাস (রা.) ইবনে জুবাইর (রা.), মুজাহিদ (রহ.)-সহ অধিকাংশ তাফসিরবিদের মতে, এখানে ‘দশ রাত’ থেকে জিলহজের প্রথম দশককেই বোঝানো হয়েছে।(তাফসিরে ইবনে কাসির)
হাদিস শরিফে এই দশককে সেরা দশক বলে অভিহিত করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়ার সর্বোত্তম দিন জিলহজের (প্রথম) দশ দিন।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করা দিনগুলোও কি এর সমতুল্য নয়?’ উত্তরে বললেন, ‘না, তাও এর সমতুল্য নয়। তবে যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে নিজের চেহারা ধুলোমলিন করেছেন এবং শহীদ হয়েছেন, তার ব্যাপারে বিষয়টি ভিন্ন।’ (মুসনাদে বাজ্জার)
কোরআন-হাদিসে জিলহজের প্রথম দশকের ফজিলত যেমন বর্ণিত হয়েছে, তেমনি এ দশকের আমলের বিশেষ ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহে তারা যেন আল্লাহর নাম জিকির করে।’ (সুরা হজ: ২৮) ইবনে আব্বাস (রা.), ইবনে উমর (রা.), হাসান বসরি (রহ.), আতা (রহ.), ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ইমাম শাফেয়ি (রহ.), ইমাম আহমদ (রহ.)-সহ অধিকাংশ আলিমের মতে, এখানে ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ’ থেকে জিলহজের প্রথম দশকই উদ্দেশ্য। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
এই ১০ দিনের বিশেষ কিছু আমলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
নখ ও চুল ইত্যাদি না কাটা: জিলহজের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি দেওয়া পর্যন্ত চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি না কাটা মুসতাহাব। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি জিলহজের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।’ (নাসায়ি) অন্য হাদিস থেকে বোঝা যায়, যাদের কোরবানি করার সামর্থ্য নেই, তারাও এ আমল পালন করবে। (মুসনাদে আহমদ)
রোজা: এই দশকের প্রথম নয় দিন রোজা রাখা মুসতাহাব। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) জিলহজের প্রথম নয় দিন রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ) জিলহজের ৯ তারিখের রোজাটি সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিন (জিলহজের নবম তারিখের) রোজার বিষয়ে আমি আশা করি যে, আল্লাহ এর বিনিময়ে গত এক বছর ও আগামী এক বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেবেন।’ (মুসলিম)
অধিক হারে জিকির: রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের আমলের চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি পরিমাণে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবর পাঠ করো।’ (মুসনাদে আহমদ)

জিলহজ হিজরি সনের দ্বাদশ মাস। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত চার পবিত্র ও সম্মানিত মাসের অন্যতম। জিলহজের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অংশ এর ১০ দিন। ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইবাদত হজ ও কোরবানি এ সময়েই পালিত হয়। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে এ দশকের বিশেষ ফজিলত ও আমলের কথা 
বর্ণিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এ দশকের নামে শপথ করে এর অসামান্য মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘শপথ ভোরের, শপথ দশ রাতের।’ (সুরা ফজর: ১-২) ইবনে আব্বাস (রা.) ইবনে জুবাইর (রা.), মুজাহিদ (রহ.)-সহ অধিকাংশ তাফসিরবিদের মতে, এখানে ‘দশ রাত’ থেকে জিলহজের প্রথম দশককেই বোঝানো হয়েছে।(তাফসিরে ইবনে কাসির)
হাদিস শরিফে এই দশককে সেরা দশক বলে অভিহিত করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়ার সর্বোত্তম দিন জিলহজের (প্রথম) দশ দিন।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করা দিনগুলোও কি এর সমতুল্য নয়?’ উত্তরে বললেন, ‘না, তাও এর সমতুল্য নয়। তবে যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে নিজের চেহারা ধুলোমলিন করেছেন এবং শহীদ হয়েছেন, তার ব্যাপারে বিষয়টি ভিন্ন।’ (মুসনাদে বাজ্জার)
কোরআন-হাদিসে জিলহজের প্রথম দশকের ফজিলত যেমন বর্ণিত হয়েছে, তেমনি এ দশকের আমলের বিশেষ ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহে তারা যেন আল্লাহর নাম জিকির করে।’ (সুরা হজ: ২৮) ইবনে আব্বাস (রা.), ইবনে উমর (রা.), হাসান বসরি (রহ.), আতা (রহ.), ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ইমাম শাফেয়ি (রহ.), ইমাম আহমদ (রহ.)-সহ অধিকাংশ আলিমের মতে, এখানে ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ’ থেকে জিলহজের প্রথম দশকই উদ্দেশ্য। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
এই ১০ দিনের বিশেষ কিছু আমলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
নখ ও চুল ইত্যাদি না কাটা: জিলহজের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি দেওয়া পর্যন্ত চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি না কাটা মুসতাহাব। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি জিলহজের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।’ (নাসায়ি) অন্য হাদিস থেকে বোঝা যায়, যাদের কোরবানি করার সামর্থ্য নেই, তারাও এ আমল পালন করবে। (মুসনাদে আহমদ)
রোজা: এই দশকের প্রথম নয় দিন রোজা রাখা মুসতাহাব। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) জিলহজের প্রথম নয় দিন রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ) জিলহজের ৯ তারিখের রোজাটি সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিন (জিলহজের নবম তারিখের) রোজার বিষয়ে আমি আশা করি যে, আল্লাহ এর বিনিময়ে গত এক বছর ও আগামী এক বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেবেন।’ (মুসলিম)
অধিক হারে জিকির: রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের আমলের চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি পরিমাণে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবর পাঠ করো।’ (মুসনাদে আহমদ)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
১৮ ঘণ্টা আগে
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ | 
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮ মিনিট | 
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট | 
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট | 
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট | 
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট | 
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট | 
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ | 
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮ মিনিট | 
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট | 
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট | 
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট | 
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট | 
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট | 
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জিলহজ হিজরি সনের দ্বাদশ মাস। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত চার পবিত্র ও সম্মানিত মাসের অন্যতম। জিলহজের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অংশ এর ১০ দিন। ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইবাদত হজ ও কোরবানি এ সময়েই পালিত হয়। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে এ দশকের বিশেষ ফজিলত
১৬ জুন ২০২৩
দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
১৮ ঘণ্টা আগে
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো:
১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও স্মরণ: মানসিক প্রশান্তির মূল ভিত্তি হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। যখন মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জীবনের সব ভালো-মন্দ আল্লাহর হাতে, তখন সে জাগতিক ভয় ও চাপ থেকে মুক্তি পায়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
তাই নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম।
২. ধৈর্য ও শোকর: ইসলাম মানুষকে শিখিয়েছে, কষ্টকে বোঝা হিসেবে না দেখে, ইমানের পরীক্ষা হিসেবে দেখা উচিত এবং এসময় ধৈর্যধারণ করা উচিত। কারণ, ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতা (শোকর) মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি যদি নিয়ামত লাভ করে, তবে সে শুকরিয়া আদায় করে...। আর যদি সে কোনো সংকটে পতিত হয়, তবে ধৈর্য ধারণ করে। আর তা তার জন্য কল্যাণকর।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৯৯)
এছাড়া কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন, ‘নিশ্চয় কষ্টের সাথেই স্বস্তি রয়েছে।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫)
৩. নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কেবল একটি ফরজ ইবাদত নয়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরতি। এটি জাগতিক ব্যস্ততা থেকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে মনকে শান্ত ও স্থির করে।
হাদিসে এসেছে, যখনই রাসুল (সা.) কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেন, তখন তিনি বিলাল (রা.)-কে বলতেন—‘হে বিলাল, নামাজের ব্যবস্থা করো। এর মাধ্যমে আমি স্বস্তি লাভ করি।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৮৫)
৪. সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নিঃসঙ্গতা ক্ষতিকর। এজন্য ইসলাম আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেও উৎসাহিত করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমার শরীরেরও তোমার ওপর অধিকার রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬৮)
পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমিত খাদ্য এবং শারীরিক ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এখানে শারীরিক ব্যায়ামটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়ে যায়।
৫. প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ: মানসিক অসুস্থতাও শারীরিক অসুস্থতার মতোই একটি রোগ। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তাওয়াক্কুলের (আল্লাহর ওপর ভরসা) পরিপন্থী নয়।
কারণ, নবীজি (সা.) বলেন, আল্লাহ এমন কোনো রোগ দেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। (সহিহ্ বুখারি: ৫৬৭৮)
সুতরাং, দুশ্চিন্তা বা হতাশা তীব্র হলে চিকিৎসা গ্রহণ করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ এবং কাম্য।
ইসলামি জীবনধারা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি শেখায়। আল্লাহর স্মরণ, বিপদে ধৈর্যধারণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিকার গ্রহণ করার মাধ্যমেই একজন মুমিন এই দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো:
১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও স্মরণ: মানসিক প্রশান্তির মূল ভিত্তি হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। যখন মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জীবনের সব ভালো-মন্দ আল্লাহর হাতে, তখন সে জাগতিক ভয় ও চাপ থেকে মুক্তি পায়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
তাই নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম।
২. ধৈর্য ও শোকর: ইসলাম মানুষকে শিখিয়েছে, কষ্টকে বোঝা হিসেবে না দেখে, ইমানের পরীক্ষা হিসেবে দেখা উচিত এবং এসময় ধৈর্যধারণ করা উচিত। কারণ, ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতা (শোকর) মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি যদি নিয়ামত লাভ করে, তবে সে শুকরিয়া আদায় করে...। আর যদি সে কোনো সংকটে পতিত হয়, তবে ধৈর্য ধারণ করে। আর তা তার জন্য কল্যাণকর।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৯৯)
এছাড়া কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন, ‘নিশ্চয় কষ্টের সাথেই স্বস্তি রয়েছে।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫)
৩. নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কেবল একটি ফরজ ইবাদত নয়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরতি। এটি জাগতিক ব্যস্ততা থেকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে মনকে শান্ত ও স্থির করে।
হাদিসে এসেছে, যখনই রাসুল (সা.) কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেন, তখন তিনি বিলাল (রা.)-কে বলতেন—‘হে বিলাল, নামাজের ব্যবস্থা করো। এর মাধ্যমে আমি স্বস্তি লাভ করি।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৮৫)
৪. সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নিঃসঙ্গতা ক্ষতিকর। এজন্য ইসলাম আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেও উৎসাহিত করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমার শরীরেরও তোমার ওপর অধিকার রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬৮)
পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমিত খাদ্য এবং শারীরিক ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এখানে শারীরিক ব্যায়ামটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়ে যায়।
৫. প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ: মানসিক অসুস্থতাও শারীরিক অসুস্থতার মতোই একটি রোগ। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তাওয়াক্কুলের (আল্লাহর ওপর ভরসা) পরিপন্থী নয়।
কারণ, নবীজি (সা.) বলেন, আল্লাহ এমন কোনো রোগ দেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। (সহিহ্ বুখারি: ৫৬৭৮)
সুতরাং, দুশ্চিন্তা বা হতাশা তীব্র হলে চিকিৎসা গ্রহণ করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ এবং কাম্য।
ইসলামি জীবনধারা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি শেখায়। আল্লাহর স্মরণ, বিপদে ধৈর্যধারণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিকার গ্রহণ করার মাধ্যমেই একজন মুমিন এই দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

জিলহজ হিজরি সনের দ্বাদশ মাস। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত চার পবিত্র ও সম্মানিত মাসের অন্যতম। জিলহজের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অংশ এর ১০ দিন। ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইবাদত হজ ও কোরবানি এ সময়েই পালিত হয়। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে এ দশকের বিশেষ ফজিলত
১৬ জুন ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
১৮ ঘণ্টা আগে
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
দানের মাধ্যমে মানুষ আপন স্বার্থের সীমানা ছাড়িয়ে অপরের সুখ-দুঃখে একাকার হয়ে যায়। ধনী-গরিবের মাঝে গড়ে ওঠে আত্মিক মেলবন্ধন। কখনো একটি ছোট দান কারও জীবনে বড় কল্যাণের কারণ হয়ে ওঠে, কখনো হয় কারও মুখে হাসির উৎস। দানের সৌন্দর্য এখানেই—দানকারী হয়তো ভুলে যায়, কিন্তু প্রাপক তা জীবনভর মনে রাখে।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আজকের সমাজে দানের এ মহান সৌন্দর্যে দাগ লেগেছে। কিছু মানুষ দানের মুখোশ পরে মানুষের হৃদয়ে আঘাত করে, করুণার নামে ফাঁদ পাতে, দানের আগে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে। তারা মানুষকে এমন পরীক্ষার মুখে দাঁড় করায়, যেন দয়া পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য দরিদ্রকে তাদের কঠিন মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে। এটি ইসলামের শিক্ষা নয়। এটি মানবতারও শিক্ষা নয়।
রাসুল (সা.) স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন: ‘তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, মানুষকে বিমুখ করো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৯৩৮; সহিহ্ মুসলিম: ১৭৩৪)
যারা দানের আগে মানুষকে প্রশ্নের বেড়াজালে আবদ্ধ করে, তারা তো কাজটিকে কঠিনই করে তুলেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি সুস্পষ্ট অন্যায়। মানুষের গোপন দোষ খোঁজা কিংবা তাকে অপমান করার কোনো অধিকার কারও নেই। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের পার্থিব কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার আখিরাতের কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। যে ব্যক্তি অন্যের কষ্ট সহজ করে দেবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার কষ্ট সহজ করে দেবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহও ততক্ষণ তাকে সাহায্যের চাদরে ঢেকে রাখবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৯৯)
আজ আমরা দেখতে পাই, কিছু মানুষ দানের নাম করে দানগ্রহীতাকে প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তার দুঃখ-ব্যথার গভীরতা যাচাই করতে চায়। এ যেন দানের আড়ালে অপমানের নির্মম খেলা। এটি কি সত্যিই দান? এটি কি করুণা, না নির্মমতার মুখোশ? হাদিসে এসেছে: ‘কেয়ামতের দিন জাহান্নামিদের মধ্যে প্রথম বিচার হবে তিনজনের। তাদের একজন হলো সেই ব্যক্তি, যে দান করেছিল শুধু লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে। তার এই দান তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।’ (তিরমিজি: ২৩৮২)
তাদের প্রশ্ন কি সত্যিই দরিদ্রের উপকারের জন্য, না নিজেদের খ্যাতি ও বাহবা অর্জনের জন্য? দান যদি মানুষের সম্মানহানি ঘটায়, তবে তা বাহ্যিক দান বই কিছু নয়। প্রকৃতপক্ষে তা এক আত্মগর্বিত প্রদর্শনী মাত্র। এ যেন করুণার মশালের নিচে আঁধারের ছায়া।
দান করতে গিয়ে কখনো মানুষকে হেয় করা যাবে না, এমনকি এমন আচরণও করা যাবে না, যাতে অন্য কারও জন্য তাকে হেয় করার আশঙ্কা তৈরি হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অপরকে হেয় করো না। এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করবে না, তাকে অপমান করবে না, তাকে হেয় করবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৪৩৫)
দান হলো গোপন ইবাদত: আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, (যদি লোকদেখানোর জন্য না হয়), তবে তাও ভালো। আর যদি গোপনে দান করো এবং গরিবদের দাও, তবে এটি তোমাদের জন্য অধিক উত্তম।’ (সুরা বাকারা: ২৭১)
ইসলামে গোপনে দান করাই সর্বোচ্চ মহত্ত্বের কাজ। তাই দানের আগে প্রাপককে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা, পরীক্ষা করা কিংবা তার আত্মসম্মানে আঘাত হানার মতো কোনো কাজ করা ইসলামের শিক্ষা নয়। দান কখনো কারও আত্মমর্যাদা ভাঙার বাহানা হতে পারে না। দান হলো করুণা, দান হলো সহানুভূতি, দান হলো হৃদয়ের নিঃশব্দ ভালোবাসা।
যারা দানের আড়ালে মানুষের আত্মাকে পিষে ফেলে, যারা করুণার প্রদীপের নিচে আঁধারের ছায়া সৃষ্টি করে—তাদের দান আসলে দান নয়, তা তো এক ঘৃণ্য আত্মপ্রদর্শনী মাত্র।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এমন দানের তৌফিক দিন, যা মানুষের সম্মান বাঁচায়, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয় এবং যা আমাদের জান্নাতের পথে এগিয়ে দেয়।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।

দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
দানের মাধ্যমে মানুষ আপন স্বার্থের সীমানা ছাড়িয়ে অপরের সুখ-দুঃখে একাকার হয়ে যায়। ধনী-গরিবের মাঝে গড়ে ওঠে আত্মিক মেলবন্ধন। কখনো একটি ছোট দান কারও জীবনে বড় কল্যাণের কারণ হয়ে ওঠে, কখনো হয় কারও মুখে হাসির উৎস। দানের সৌন্দর্য এখানেই—দানকারী হয়তো ভুলে যায়, কিন্তু প্রাপক তা জীবনভর মনে রাখে।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আজকের সমাজে দানের এ মহান সৌন্দর্যে দাগ লেগেছে। কিছু মানুষ দানের মুখোশ পরে মানুষের হৃদয়ে আঘাত করে, করুণার নামে ফাঁদ পাতে, দানের আগে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে। তারা মানুষকে এমন পরীক্ষার মুখে দাঁড় করায়, যেন দয়া পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য দরিদ্রকে তাদের কঠিন মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে। এটি ইসলামের শিক্ষা নয়। এটি মানবতারও শিক্ষা নয়।
রাসুল (সা.) স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন: ‘তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, মানুষকে বিমুখ করো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৯৩৮; সহিহ্ মুসলিম: ১৭৩৪)
যারা দানের আগে মানুষকে প্রশ্নের বেড়াজালে আবদ্ধ করে, তারা তো কাজটিকে কঠিনই করে তুলেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি সুস্পষ্ট অন্যায়। মানুষের গোপন দোষ খোঁজা কিংবা তাকে অপমান করার কোনো অধিকার কারও নেই। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের পার্থিব কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার আখিরাতের কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। যে ব্যক্তি অন্যের কষ্ট সহজ করে দেবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার কষ্ট সহজ করে দেবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহও ততক্ষণ তাকে সাহায্যের চাদরে ঢেকে রাখবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৯৯)
আজ আমরা দেখতে পাই, কিছু মানুষ দানের নাম করে দানগ্রহীতাকে প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তার দুঃখ-ব্যথার গভীরতা যাচাই করতে চায়। এ যেন দানের আড়ালে অপমানের নির্মম খেলা। এটি কি সত্যিই দান? এটি কি করুণা, না নির্মমতার মুখোশ? হাদিসে এসেছে: ‘কেয়ামতের দিন জাহান্নামিদের মধ্যে প্রথম বিচার হবে তিনজনের। তাদের একজন হলো সেই ব্যক্তি, যে দান করেছিল শুধু লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে। তার এই দান তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।’ (তিরমিজি: ২৩৮২)
তাদের প্রশ্ন কি সত্যিই দরিদ্রের উপকারের জন্য, না নিজেদের খ্যাতি ও বাহবা অর্জনের জন্য? দান যদি মানুষের সম্মানহানি ঘটায়, তবে তা বাহ্যিক দান বই কিছু নয়। প্রকৃতপক্ষে তা এক আত্মগর্বিত প্রদর্শনী মাত্র। এ যেন করুণার মশালের নিচে আঁধারের ছায়া।
দান করতে গিয়ে কখনো মানুষকে হেয় করা যাবে না, এমনকি এমন আচরণও করা যাবে না, যাতে অন্য কারও জন্য তাকে হেয় করার আশঙ্কা তৈরি হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অপরকে হেয় করো না। এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করবে না, তাকে অপমান করবে না, তাকে হেয় করবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৪৩৫)
দান হলো গোপন ইবাদত: আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, (যদি লোকদেখানোর জন্য না হয়), তবে তাও ভালো। আর যদি গোপনে দান করো এবং গরিবদের দাও, তবে এটি তোমাদের জন্য অধিক উত্তম।’ (সুরা বাকারা: ২৭১)
ইসলামে গোপনে দান করাই সর্বোচ্চ মহত্ত্বের কাজ। তাই দানের আগে প্রাপককে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা, পরীক্ষা করা কিংবা তার আত্মসম্মানে আঘাত হানার মতো কোনো কাজ করা ইসলামের শিক্ষা নয়। দান কখনো কারও আত্মমর্যাদা ভাঙার বাহানা হতে পারে না। দান হলো করুণা, দান হলো সহানুভূতি, দান হলো হৃদয়ের নিঃশব্দ ভালোবাসা।
যারা দানের আড়ালে মানুষের আত্মাকে পিষে ফেলে, যারা করুণার প্রদীপের নিচে আঁধারের ছায়া সৃষ্টি করে—তাদের দান আসলে দান নয়, তা তো এক ঘৃণ্য আত্মপ্রদর্শনী মাত্র।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এমন দানের তৌফিক দিন, যা মানুষের সম্মান বাঁচায়, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয় এবং যা আমাদের জান্নাতের পথে এগিয়ে দেয়।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।

জিলহজ হিজরি সনের দ্বাদশ মাস। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত চার পবিত্র ও সম্মানিত মাসের অন্যতম। জিলহজের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অংশ এর ১০ দিন। ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইবাদত হজ ও কোরবানি এ সময়েই পালিত হয়। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে এ দশকের বিশেষ ফজিলত
১৬ জুন ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮)
নিজেকে, নিজের সন্তানসন্ততি ও ধনসম্পদকে সব সময় মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তাআলার কাছে মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। বদনজর থেকে বাঁচতে হাদিস শরিফে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিন কুল তথা সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার করে পড়ার কথা বলা হয়েছে। (জামে তিরমিজি: ৩৫৭৫)
এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে এই দোয়া শিখিয়েছেন, ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি, ওয়া হুওয়াস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (আশ্রয় নিচ্ছি), যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’ (জামে তিরমিজি: ৩৩৩৫)
প্রত্যেক মা-বাবা শিশুর নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করেন। তাঁরা চান সন্তান সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকুক। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। তাদের সুরক্ষার জন্য মাঝেমধ্যে এ দোয়া পড়ে গায়ে ফুঁ দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে হাসান-হুসাইন (রা.)-কে ফুঁ দিয়ে দিতেন, ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাহ, মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ অর্থ: ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে শয়তানের সব আক্রমণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণীর ও বদনজরের অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩১৯১)
এই আমলগুলো নিয়মিত করলে বদনজর থেকে সুরক্ষা মিলবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর।

বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮)
নিজেকে, নিজের সন্তানসন্ততি ও ধনসম্পদকে সব সময় মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তাআলার কাছে মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। বদনজর থেকে বাঁচতে হাদিস শরিফে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিন কুল তথা সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার করে পড়ার কথা বলা হয়েছে। (জামে তিরমিজি: ৩৫৭৫)
এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে এই দোয়া শিখিয়েছেন, ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি, ওয়া হুওয়াস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (আশ্রয় নিচ্ছি), যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’ (জামে তিরমিজি: ৩৩৩৫)
প্রত্যেক মা-বাবা শিশুর নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করেন। তাঁরা চান সন্তান সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকুক। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। তাদের সুরক্ষার জন্য মাঝেমধ্যে এ দোয়া পড়ে গায়ে ফুঁ দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে হাসান-হুসাইন (রা.)-কে ফুঁ দিয়ে দিতেন, ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাহ, মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ অর্থ: ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে শয়তানের সব আক্রমণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণীর ও বদনজরের অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩১৯১)
এই আমলগুলো নিয়মিত করলে বদনজর থেকে সুরক্ষা মিলবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর।

জিলহজ হিজরি সনের দ্বাদশ মাস। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত চার পবিত্র ও সম্মানিত মাসের অন্যতম। জিলহজের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অংশ এর ১০ দিন। ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইবাদত হজ ও কোরবানি এ সময়েই পালিত হয়। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে এ দশকের বিশেষ ফজিলত
১৬ জুন ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
১৮ ঘণ্টা আগে