
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা, মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দেন, আবার কাউকে সম্পদ না দিয়ে পরীক্ষা করেন। ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের অধিকার রয়েছে। তাই দান-সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা মুমিনের কর্তব্য। তবে দান হতে হবে মহানবী (সা.)-এর বাতলানো পদ্ধতিতে। অন্যথায় তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না।
হালাল সম্পদ দান করা
হালাল সম্পদ থেকে দান-সদকা করা আবশ্যক। কারণ, আল্লাহ হালাল ও পবিত্র বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিতে উৎপন্ন করি, তা থেকে পবিত্র বস্তু ব্যয় করো।’
(সুরা বাকারা: ২৬৭)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া কোনো কিছু গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম) এমনকি অবৈধ আয় থেকে দান করলে তা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পাপের মাধ্যমে আয় করে তা দিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে বা তা দান করে বা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তা একত্র করে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন।’ (সহিহুত তারগিব)
উত্তম সম্পদ দান করা
নিজের পছন্দের সম্পদ দান করে দিলে সওয়াব বেশি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কখনোই কল্যাণ লাভ করবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে দান করবে।’ (সুরা আল ইমরান: ৯২)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘আর সেখান থেকে নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প কোরো না, যা তোমরা নিজেরা গ্রহণ করো না চোখ বন্ধ না করে। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাবমুক্ত ও চির প্রশংসিত।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)
আওফ ইবন মালেক (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) একদিন লাঠি হাতে মসজিদে প্রবেশ করেন। এ সময় মসজিদে নিকৃষ্ট মানের খেজুর ঝোলানো ছিল। তিনি লাঠি দিয়ে খেজুরে আঘাত করে বললেন, ‘দানকারী এর চেয়ে ভালো খেজুর দান করতে পারত। এর কারণে কিয়ামতে দানকারীকে নিকৃষ্ট ফল খেতে হবে।’ (আবু দাউদ)
যে ব্যক্তি পাপের মাধ্যমে আয় করে তা দিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে বা তা দান করে বা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তা একত্র করে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন। (সহিহুত তারগিব)
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করা
কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান-সদকা না করলে তা কবুল হয় না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কাজের প্রাপ্য নির্ধারিত হয় নিয়ত অনুসারে, আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে।’ (বুখারি)। তিনি আরও বলেন, ‘তুমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে যা-ই ব্যয় করো না কেন, তোমাকে তার প্রতিদান নিশ্চিতরূপে দেওয়া হবে। এমনকি তোমার স্ত্রীর মুখে যে (খাবার) তুলে দাও, তারও।’ (বুখারি)
গোপনে দান করতে উৎসাহ
প্রকাশ্য ও গোপন উভয়ভাবে দান করা যায়। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে এমনভাবে দান করা উত্তম, যাতে ডান হাত দান করলে বাঁ হাত না জানে। তবে লৌকিকতা পরিহার করে অন্যকে উৎসাহিত করতে প্রকাশ্যে দান করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি সদকা প্রকাশ করো, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন করে দরিদ্রদের দাও, তাহলে তা-ও তোমাদের জন্য উত্তম এবং তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ মুছে দেবেন। আর তোমরা যে আমল করো, আল্লাহ তা সম্পর্কে সম্যক অবগত।’ (সুরা বাকারা: ২৭১) তবে জাকাত ও অন্যান্য ফরজ সদকা প্রকাশ্যে করা উত্তম।
প্রকৃত হকদারকে দান করা
দান-সদকা গ্রহণ করতে পারে এমন ব্যক্তিকে দান করলে যেমন সওয়াব পাওয়া যায়, তেমনি গ্রহীতাও উপকৃত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘(অনাত্মীয়) গরিব-মিসকিনকে দান করলে তাতে সদকার সওয়াব পাওয়া যায়, আর আত্মীয় গরিবকে দান করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়। একটি দানের, অন্যটি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার।’ (ইবনে মাজাহ)
যৌবনেই দান করা
দান-সদকা করার ইচ্ছা করলে তা দ্রুতই করা উচিত। এক সাহাবি মহানবী (সা.)কে উত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘সুস্থ ও কার্পণ্য অবস্থায় দান করো, যখন তুমি দারিদ্র্যের আশঙ্কা করো এবং ধনী হওয়ার আশা করো। সদকা করতে এ পর্যন্ত বিলম্ব করবে না, যখন তোমার প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে।’ (বুখারি)
দান করে খোঁটা না দেওয়া
দান-সদকা করে খোঁটা দিলে তার সওয়াব বাতিল হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে তোমাদের সদকা বাতিল কোরো না। ওই ব্যক্তির মতো, যে তার সম্পদ ব্যয় করে সুনাম কুড়ানোর জন্য এবং বিশ্বাস করে না আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি।’ (সুরা বাকারা: ২৬৪)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির লোকের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না। যে দান করে খোঁটা দেয়, যে মিথ্যা শপথ করে ক্রয়-বিক্রয় করে এবং যে পায়ের গিঁটের নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা, মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দেন, আবার কাউকে সম্পদ না দিয়ে পরীক্ষা করেন। ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের অধিকার রয়েছে। তাই দান-সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা মুমিনের কর্তব্য। তবে দান হতে হবে মহানবী (সা.)-এর বাতলানো পদ্ধতিতে। অন্যথায় তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না।
হালাল সম্পদ দান করা
হালাল সম্পদ থেকে দান-সদকা করা আবশ্যক। কারণ, আল্লাহ হালাল ও পবিত্র বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিতে উৎপন্ন করি, তা থেকে পবিত্র বস্তু ব্যয় করো।’
(সুরা বাকারা: ২৬৭)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া কোনো কিছু গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম) এমনকি অবৈধ আয় থেকে দান করলে তা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পাপের মাধ্যমে আয় করে তা দিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে বা তা দান করে বা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তা একত্র করে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন।’ (সহিহুত তারগিব)
উত্তম সম্পদ দান করা
নিজের পছন্দের সম্পদ দান করে দিলে সওয়াব বেশি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কখনোই কল্যাণ লাভ করবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে দান করবে।’ (সুরা আল ইমরান: ৯২)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘আর সেখান থেকে নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প কোরো না, যা তোমরা নিজেরা গ্রহণ করো না চোখ বন্ধ না করে। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাবমুক্ত ও চির প্রশংসিত।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)
আওফ ইবন মালেক (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) একদিন লাঠি হাতে মসজিদে প্রবেশ করেন। এ সময় মসজিদে নিকৃষ্ট মানের খেজুর ঝোলানো ছিল। তিনি লাঠি দিয়ে খেজুরে আঘাত করে বললেন, ‘দানকারী এর চেয়ে ভালো খেজুর দান করতে পারত। এর কারণে কিয়ামতে দানকারীকে নিকৃষ্ট ফল খেতে হবে।’ (আবু দাউদ)
যে ব্যক্তি পাপের মাধ্যমে আয় করে তা দিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে বা তা দান করে বা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তা একত্র করে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন। (সহিহুত তারগিব)
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করা
কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান-সদকা না করলে তা কবুল হয় না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কাজের প্রাপ্য নির্ধারিত হয় নিয়ত অনুসারে, আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে।’ (বুখারি)। তিনি আরও বলেন, ‘তুমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে যা-ই ব্যয় করো না কেন, তোমাকে তার প্রতিদান নিশ্চিতরূপে দেওয়া হবে। এমনকি তোমার স্ত্রীর মুখে যে (খাবার) তুলে দাও, তারও।’ (বুখারি)
গোপনে দান করতে উৎসাহ
প্রকাশ্য ও গোপন উভয়ভাবে দান করা যায়। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে এমনভাবে দান করা উত্তম, যাতে ডান হাত দান করলে বাঁ হাত না জানে। তবে লৌকিকতা পরিহার করে অন্যকে উৎসাহিত করতে প্রকাশ্যে দান করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি সদকা প্রকাশ করো, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন করে দরিদ্রদের দাও, তাহলে তা-ও তোমাদের জন্য উত্তম এবং তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ মুছে দেবেন। আর তোমরা যে আমল করো, আল্লাহ তা সম্পর্কে সম্যক অবগত।’ (সুরা বাকারা: ২৭১) তবে জাকাত ও অন্যান্য ফরজ সদকা প্রকাশ্যে করা উত্তম।
প্রকৃত হকদারকে দান করা
দান-সদকা গ্রহণ করতে পারে এমন ব্যক্তিকে দান করলে যেমন সওয়াব পাওয়া যায়, তেমনি গ্রহীতাও উপকৃত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘(অনাত্মীয়) গরিব-মিসকিনকে দান করলে তাতে সদকার সওয়াব পাওয়া যায়, আর আত্মীয় গরিবকে দান করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়। একটি দানের, অন্যটি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার।’ (ইবনে মাজাহ)
যৌবনেই দান করা
দান-সদকা করার ইচ্ছা করলে তা দ্রুতই করা উচিত। এক সাহাবি মহানবী (সা.)কে উত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘সুস্থ ও কার্পণ্য অবস্থায় দান করো, যখন তুমি দারিদ্র্যের আশঙ্কা করো এবং ধনী হওয়ার আশা করো। সদকা করতে এ পর্যন্ত বিলম্ব করবে না, যখন তোমার প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে।’ (বুখারি)
দান করে খোঁটা না দেওয়া
দান-সদকা করে খোঁটা দিলে তার সওয়াব বাতিল হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে তোমাদের সদকা বাতিল কোরো না। ওই ব্যক্তির মতো, যে তার সম্পদ ব্যয় করে সুনাম কুড়ানোর জন্য এবং বিশ্বাস করে না আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি।’ (সুরা বাকারা: ২৬৪)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির লোকের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না। যে দান করে খোঁটা দেয়, যে মিথ্যা শপথ করে ক্রয়-বিক্রয় করে এবং যে পায়ের গিঁটের নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা, মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দেন, আবার কাউকে সম্পদ না দিয়ে পরীক্ষা করেন। ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের অধিকার রয়েছে। তাই দান-সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা মুমিনের কর্তব্য। তবে দান হতে হবে মহানবী (সা.)-এর বাতলানো পদ্ধতিতে। অন্যথায় তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না।
হালাল সম্পদ দান করা
হালাল সম্পদ থেকে দান-সদকা করা আবশ্যক। কারণ, আল্লাহ হালাল ও পবিত্র বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিতে উৎপন্ন করি, তা থেকে পবিত্র বস্তু ব্যয় করো।’
(সুরা বাকারা: ২৬৭)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া কোনো কিছু গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম) এমনকি অবৈধ আয় থেকে দান করলে তা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পাপের মাধ্যমে আয় করে তা দিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে বা তা দান করে বা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তা একত্র করে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন।’ (সহিহুত তারগিব)
উত্তম সম্পদ দান করা
নিজের পছন্দের সম্পদ দান করে দিলে সওয়াব বেশি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কখনোই কল্যাণ লাভ করবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে দান করবে।’ (সুরা আল ইমরান: ৯২)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘আর সেখান থেকে নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প কোরো না, যা তোমরা নিজেরা গ্রহণ করো না চোখ বন্ধ না করে। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাবমুক্ত ও চির প্রশংসিত।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)
আওফ ইবন মালেক (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) একদিন লাঠি হাতে মসজিদে প্রবেশ করেন। এ সময় মসজিদে নিকৃষ্ট মানের খেজুর ঝোলানো ছিল। তিনি লাঠি দিয়ে খেজুরে আঘাত করে বললেন, ‘দানকারী এর চেয়ে ভালো খেজুর দান করতে পারত। এর কারণে কিয়ামতে দানকারীকে নিকৃষ্ট ফল খেতে হবে।’ (আবু দাউদ)
যে ব্যক্তি পাপের মাধ্যমে আয় করে তা দিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে বা তা দান করে বা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তা একত্র করে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন। (সহিহুত তারগিব)
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করা
কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান-সদকা না করলে তা কবুল হয় না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কাজের প্রাপ্য নির্ধারিত হয় নিয়ত অনুসারে, আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে।’ (বুখারি)। তিনি আরও বলেন, ‘তুমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে যা-ই ব্যয় করো না কেন, তোমাকে তার প্রতিদান নিশ্চিতরূপে দেওয়া হবে। এমনকি তোমার স্ত্রীর মুখে যে (খাবার) তুলে দাও, তারও।’ (বুখারি)
গোপনে দান করতে উৎসাহ
প্রকাশ্য ও গোপন উভয়ভাবে দান করা যায়। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে এমনভাবে দান করা উত্তম, যাতে ডান হাত দান করলে বাঁ হাত না জানে। তবে লৌকিকতা পরিহার করে অন্যকে উৎসাহিত করতে প্রকাশ্যে দান করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি সদকা প্রকাশ করো, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন করে দরিদ্রদের দাও, তাহলে তা-ও তোমাদের জন্য উত্তম এবং তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ মুছে দেবেন। আর তোমরা যে আমল করো, আল্লাহ তা সম্পর্কে সম্যক অবগত।’ (সুরা বাকারা: ২৭১) তবে জাকাত ও অন্যান্য ফরজ সদকা প্রকাশ্যে করা উত্তম।
প্রকৃত হকদারকে দান করা
দান-সদকা গ্রহণ করতে পারে এমন ব্যক্তিকে দান করলে যেমন সওয়াব পাওয়া যায়, তেমনি গ্রহীতাও উপকৃত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘(অনাত্মীয়) গরিব-মিসকিনকে দান করলে তাতে সদকার সওয়াব পাওয়া যায়, আর আত্মীয় গরিবকে দান করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়। একটি দানের, অন্যটি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার।’ (ইবনে মাজাহ)
যৌবনেই দান করা
দান-সদকা করার ইচ্ছা করলে তা দ্রুতই করা উচিত। এক সাহাবি মহানবী (সা.)কে উত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘সুস্থ ও কার্পণ্য অবস্থায় দান করো, যখন তুমি দারিদ্র্যের আশঙ্কা করো এবং ধনী হওয়ার আশা করো। সদকা করতে এ পর্যন্ত বিলম্ব করবে না, যখন তোমার প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে।’ (বুখারি)
দান করে খোঁটা না দেওয়া
দান-সদকা করে খোঁটা দিলে তার সওয়াব বাতিল হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে তোমাদের সদকা বাতিল কোরো না। ওই ব্যক্তির মতো, যে তার সম্পদ ব্যয় করে সুনাম কুড়ানোর জন্য এবং বিশ্বাস করে না আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি।’ (সুরা বাকারা: ২৬৪)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির লোকের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না। যে দান করে খোঁটা দেয়, যে মিথ্যা শপথ করে ক্রয়-বিক্রয় করে এবং যে পায়ের গিঁটের নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা, মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দেন, আবার কাউকে সম্পদ না দিয়ে পরীক্ষা করেন। ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের অধিকার রয়েছে। তাই দান-সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা মুমিনের কর্তব্য। তবে দান হতে হবে মহানবী (সা.)-এর বাতলানো পদ্ধতিতে। অন্যথায় তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না।
হালাল সম্পদ দান করা
হালাল সম্পদ থেকে দান-সদকা করা আবশ্যক। কারণ, আল্লাহ হালাল ও পবিত্র বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিতে উৎপন্ন করি, তা থেকে পবিত্র বস্তু ব্যয় করো।’
(সুরা বাকারা: ২৬৭)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া কোনো কিছু গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম) এমনকি অবৈধ আয় থেকে দান করলে তা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পাপের মাধ্যমে আয় করে তা দিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে বা তা দান করে বা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তা একত্র করে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন।’ (সহিহুত তারগিব)
উত্তম সম্পদ দান করা
নিজের পছন্দের সম্পদ দান করে দিলে সওয়াব বেশি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কখনোই কল্যাণ লাভ করবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে দান করবে।’ (সুরা আল ইমরান: ৯২)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘আর সেখান থেকে নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প কোরো না, যা তোমরা নিজেরা গ্রহণ করো না চোখ বন্ধ না করে। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাবমুক্ত ও চির প্রশংসিত।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)
আওফ ইবন মালেক (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) একদিন লাঠি হাতে মসজিদে প্রবেশ করেন। এ সময় মসজিদে নিকৃষ্ট মানের খেজুর ঝোলানো ছিল। তিনি লাঠি দিয়ে খেজুরে আঘাত করে বললেন, ‘দানকারী এর চেয়ে ভালো খেজুর দান করতে পারত। এর কারণে কিয়ামতে দানকারীকে নিকৃষ্ট ফল খেতে হবে।’ (আবু দাউদ)
যে ব্যক্তি পাপের মাধ্যমে আয় করে তা দিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে বা তা দান করে বা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তা একত্র করে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন। (সহিহুত তারগিব)
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করা
কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান-সদকা না করলে তা কবুল হয় না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কাজের প্রাপ্য নির্ধারিত হয় নিয়ত অনুসারে, আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে।’ (বুখারি)। তিনি আরও বলেন, ‘তুমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে যা-ই ব্যয় করো না কেন, তোমাকে তার প্রতিদান নিশ্চিতরূপে দেওয়া হবে। এমনকি তোমার স্ত্রীর মুখে যে (খাবার) তুলে দাও, তারও।’ (বুখারি)
গোপনে দান করতে উৎসাহ
প্রকাশ্য ও গোপন উভয়ভাবে দান করা যায়। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে এমনভাবে দান করা উত্তম, যাতে ডান হাত দান করলে বাঁ হাত না জানে। তবে লৌকিকতা পরিহার করে অন্যকে উৎসাহিত করতে প্রকাশ্যে দান করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি সদকা প্রকাশ করো, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন করে দরিদ্রদের দাও, তাহলে তা-ও তোমাদের জন্য উত্তম এবং তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ মুছে দেবেন। আর তোমরা যে আমল করো, আল্লাহ তা সম্পর্কে সম্যক অবগত।’ (সুরা বাকারা: ২৭১) তবে জাকাত ও অন্যান্য ফরজ সদকা প্রকাশ্যে করা উত্তম।
প্রকৃত হকদারকে দান করা
দান-সদকা গ্রহণ করতে পারে এমন ব্যক্তিকে দান করলে যেমন সওয়াব পাওয়া যায়, তেমনি গ্রহীতাও উপকৃত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘(অনাত্মীয়) গরিব-মিসকিনকে দান করলে তাতে সদকার সওয়াব পাওয়া যায়, আর আত্মীয় গরিবকে দান করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়। একটি দানের, অন্যটি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার।’ (ইবনে মাজাহ)
যৌবনেই দান করা
দান-সদকা করার ইচ্ছা করলে তা দ্রুতই করা উচিত। এক সাহাবি মহানবী (সা.)কে উত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘সুস্থ ও কার্পণ্য অবস্থায় দান করো, যখন তুমি দারিদ্র্যের আশঙ্কা করো এবং ধনী হওয়ার আশা করো। সদকা করতে এ পর্যন্ত বিলম্ব করবে না, যখন তোমার প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে।’ (বুখারি)
দান করে খোঁটা না দেওয়া
দান-সদকা করে খোঁটা দিলে তার সওয়াব বাতিল হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে তোমাদের সদকা বাতিল কোরো না। ওই ব্যক্তির মতো, যে তার সম্পদ ব্যয় করে সুনাম কুড়ানোর জন্য এবং বিশ্বাস করে না আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি।’ (সুরা বাকারা: ২৬৪)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির লোকের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না। যে দান করে খোঁটা দেয়, যে মিথ্যা শপথ করে ক্রয়-বিক্রয় করে এবং যে পায়ের গিঁটের নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১৫ মিনিট আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগেআবরার নাঈম

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা, মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দেন, আবার কাউকে সম্পদ না দিয়ে পরীক্ষা করেন। ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের অধিকার রয়েছে। তাই দান-সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহর সন
০৫ জানুয়ারি ২০২৪
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা, মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দেন, আবার কাউকে সম্পদ না দিয়ে পরীক্ষা করেন। ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের অধিকার রয়েছে। তাই দান-সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহর সন
০৫ জানুয়ারি ২০২৪
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১৫ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা, মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দেন, আবার কাউকে সম্পদ না দিয়ে পরীক্ষা করেন। ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের অধিকার রয়েছে। তাই দান-সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহর সন
০৫ জানুয়ারি ২০২৪
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১৫ মিনিট আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা, মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দেন, আবার কাউকে সম্পদ না দিয়ে পরীক্ষা করেন। ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের অধিকার রয়েছে। তাই দান-সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহর সন
০৫ জানুয়ারি ২০২৪
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১৫ মিনিট আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে