মুফতি আবু দারদা

আরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণী প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, যারা মানুষকে কল্যাণের পথে ডাকবে এবং অন্যায় করতে নিষেধ করবে। মূলত তারাই সফল।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০৪)
মানুষকে আলোর পথ দেখাতে শেষ নবী হিসেবে পৃথিবীতে এসেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর প্রধান দায়িত্বই ছিল মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা এবং সমাজে ইসলামের মহান বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার পালনকর্তার পথে মানুষকে ডাকো। ...’ (সুরা কাসাস: ৮৭) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী, বলো, এটিই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীরা আল্লাহর পথে সুস্পষ্ট দলিল দিয়ে ডাকি। ...’ (ইউসুফ: ১০৮) অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি এবং আল্লাহর আদেশে তাঁর পথে আহ্বানকারী ও উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে।’ (আহজাব: ৪৪-৪৫)
দাওয়াতের কাজে অবহেলা না করার জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে রাসুল, তোমার প্রতি তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাজিল হয়েছে, তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি না দাও, তাহলে তুমি বার্তা পৌঁছে দিলে না।’ (সুরা মায়েদা: ৬৭) আল্লাহর দেওয়া এই দায়িত্ব মহানবী (সা.) অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন এবং মৃত্যুর আগে সাহাবায়ে কিরামকে ইসলামের প্রচার-প্রসার করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একটি আয়াত জানা থাকলেও তা আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও। ...’ (বুখারি)
মহানবী (সা.)-এর পর যেহেতু আর কোনো নবী আসবেন না, তাই এ দায়িত্ব তাঁর অনুসারীদের কাঁধেই অর্পিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানবজাতির কল্যাণেই তোমাদের উদ্ভব হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো, অন্যায় কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তার কথার চেয়ে কার কথা আর উত্তম হতে পারে, যে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয়, সৎ কাজ করে এবং বলে—নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।’ (হামিম সাজদা: ৩৩)
মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি মহানবী (সা.) নবুয়তের ২৩ বছরে হাতে-কলমে শিখিয়ে গেছেন। কোরআন-হাদিসের অসংখ্য বাণী থেকে আমরা দাওয়াতের পথ-পদ্ধতি ও শিষ্টাচারের কথা জানতে পারি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে ডাকো এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর পন্থায় বিতর্ক করো।’ (সুরা নাহল: ১২৫)
আয়াত থেকে বোঝা যায়, প্রথমে মানুষকে ইমানের দাওয়াত দিতে হবে। তারপর অন্যান্য ফরজ বিধানের কথা তুলে ধরতে হবে। মহানবী (সা.) হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে ইয়েমেনের শাসক হিসেবে পাঠানোর সময় বলেছিলেন, ‘সেখানকার অধিবাসীদের এ সাক্ষ্যদানের প্রতি আহ্বান জানাবে যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল। যদি তারা তা মেনে নেয়, তবে তাদের জানাবে যে আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যদি সেটাও তারা মেনে নেয়, তবে তাদের জানাবে যে আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পদে জাকাত ফরজ করেছেন; যা তাদের ধনীদের থেকে নিয়ে গরিবদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।’ 
(বুখারি ও মুসলিম)
ইসলামের প্রচার-প্রসারের কাজ করা সবার জন্য জরুরি। ভালো কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করার এই মহান কাজ বন্ধ হয়ে গেলে পৃথিবীতে অন্যায়-অনাচার ছেয়ে যাবে। তাই মহানবী (সা.) বলেন, ‘সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং খারাপ কাজে নিষেধ করবে। অন্যথায় শিগগিরই আল্লাহ তাআলা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের ওপর আজাব পাঠাবেন। এরপর তোমরা (মুক্তির জন্য) তাঁর কাছে দোয়া করবে, তবে তোমাদের দোয়া কবুল হবে না।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক

আরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণী প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, যারা মানুষকে কল্যাণের পথে ডাকবে এবং অন্যায় করতে নিষেধ করবে। মূলত তারাই সফল।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০৪)
মানুষকে আলোর পথ দেখাতে শেষ নবী হিসেবে পৃথিবীতে এসেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর প্রধান দায়িত্বই ছিল মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা এবং সমাজে ইসলামের মহান বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার পালনকর্তার পথে মানুষকে ডাকো। ...’ (সুরা কাসাস: ৮৭) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী, বলো, এটিই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীরা আল্লাহর পথে সুস্পষ্ট দলিল দিয়ে ডাকি। ...’ (ইউসুফ: ১০৮) অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি এবং আল্লাহর আদেশে তাঁর পথে আহ্বানকারী ও উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে।’ (আহজাব: ৪৪-৪৫)
দাওয়াতের কাজে অবহেলা না করার জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে রাসুল, তোমার প্রতি তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাজিল হয়েছে, তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি না দাও, তাহলে তুমি বার্তা পৌঁছে দিলে না।’ (সুরা মায়েদা: ৬৭) আল্লাহর দেওয়া এই দায়িত্ব মহানবী (সা.) অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন এবং মৃত্যুর আগে সাহাবায়ে কিরামকে ইসলামের প্রচার-প্রসার করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একটি আয়াত জানা থাকলেও তা আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও। ...’ (বুখারি)
মহানবী (সা.)-এর পর যেহেতু আর কোনো নবী আসবেন না, তাই এ দায়িত্ব তাঁর অনুসারীদের কাঁধেই অর্পিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানবজাতির কল্যাণেই তোমাদের উদ্ভব হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো, অন্যায় কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তার কথার চেয়ে কার কথা আর উত্তম হতে পারে, যে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয়, সৎ কাজ করে এবং বলে—নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।’ (হামিম সাজদা: ৩৩)
মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি মহানবী (সা.) নবুয়তের ২৩ বছরে হাতে-কলমে শিখিয়ে গেছেন। কোরআন-হাদিসের অসংখ্য বাণী থেকে আমরা দাওয়াতের পথ-পদ্ধতি ও শিষ্টাচারের কথা জানতে পারি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে ডাকো এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর পন্থায় বিতর্ক করো।’ (সুরা নাহল: ১২৫)
আয়াত থেকে বোঝা যায়, প্রথমে মানুষকে ইমানের দাওয়াত দিতে হবে। তারপর অন্যান্য ফরজ বিধানের কথা তুলে ধরতে হবে। মহানবী (সা.) হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে ইয়েমেনের শাসক হিসেবে পাঠানোর সময় বলেছিলেন, ‘সেখানকার অধিবাসীদের এ সাক্ষ্যদানের প্রতি আহ্বান জানাবে যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল। যদি তারা তা মেনে নেয়, তবে তাদের জানাবে যে আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যদি সেটাও তারা মেনে নেয়, তবে তাদের জানাবে যে আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পদে জাকাত ফরজ করেছেন; যা তাদের ধনীদের থেকে নিয়ে গরিবদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।’ 
(বুখারি ও মুসলিম)
ইসলামের প্রচার-প্রসারের কাজ করা সবার জন্য জরুরি। ভালো কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করার এই মহান কাজ বন্ধ হয়ে গেলে পৃথিবীতে অন্যায়-অনাচার ছেয়ে যাবে। তাই মহানবী (সা.) বলেন, ‘সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং খারাপ কাজে নিষেধ করবে। অন্যথায় শিগগিরই আল্লাহ তাআলা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের ওপর আজাব পাঠাবেন। এরপর তোমরা (মুক্তির জন্য) তাঁর কাছে দোয়া করবে, তবে তোমাদের দোয়া কবুল হবে না।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক

মুফতি আবু দারদা

আরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণী প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, যারা মানুষকে কল্যাণের পথে ডাকবে এবং অন্যায় করতে নিষেধ করবে। মূলত তারাই সফল।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০৪)
মানুষকে আলোর পথ দেখাতে শেষ নবী হিসেবে পৃথিবীতে এসেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর প্রধান দায়িত্বই ছিল মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা এবং সমাজে ইসলামের মহান বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার পালনকর্তার পথে মানুষকে ডাকো। ...’ (সুরা কাসাস: ৮৭) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী, বলো, এটিই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীরা আল্লাহর পথে সুস্পষ্ট দলিল দিয়ে ডাকি। ...’ (ইউসুফ: ১০৮) অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি এবং আল্লাহর আদেশে তাঁর পথে আহ্বানকারী ও উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে।’ (আহজাব: ৪৪-৪৫)
দাওয়াতের কাজে অবহেলা না করার জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে রাসুল, তোমার প্রতি তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাজিল হয়েছে, তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি না দাও, তাহলে তুমি বার্তা পৌঁছে দিলে না।’ (সুরা মায়েদা: ৬৭) আল্লাহর দেওয়া এই দায়িত্ব মহানবী (সা.) অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন এবং মৃত্যুর আগে সাহাবায়ে কিরামকে ইসলামের প্রচার-প্রসার করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একটি আয়াত জানা থাকলেও তা আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও। ...’ (বুখারি)
মহানবী (সা.)-এর পর যেহেতু আর কোনো নবী আসবেন না, তাই এ দায়িত্ব তাঁর অনুসারীদের কাঁধেই অর্পিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানবজাতির কল্যাণেই তোমাদের উদ্ভব হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো, অন্যায় কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তার কথার চেয়ে কার কথা আর উত্তম হতে পারে, যে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয়, সৎ কাজ করে এবং বলে—নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।’ (হামিম সাজদা: ৩৩)
মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি মহানবী (সা.) নবুয়তের ২৩ বছরে হাতে-কলমে শিখিয়ে গেছেন। কোরআন-হাদিসের অসংখ্য বাণী থেকে আমরা দাওয়াতের পথ-পদ্ধতি ও শিষ্টাচারের কথা জানতে পারি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে ডাকো এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর পন্থায় বিতর্ক করো।’ (সুরা নাহল: ১২৫)
আয়াত থেকে বোঝা যায়, প্রথমে মানুষকে ইমানের দাওয়াত দিতে হবে। তারপর অন্যান্য ফরজ বিধানের কথা তুলে ধরতে হবে। মহানবী (সা.) হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে ইয়েমেনের শাসক হিসেবে পাঠানোর সময় বলেছিলেন, ‘সেখানকার অধিবাসীদের এ সাক্ষ্যদানের প্রতি আহ্বান জানাবে যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল। যদি তারা তা মেনে নেয়, তবে তাদের জানাবে যে আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যদি সেটাও তারা মেনে নেয়, তবে তাদের জানাবে যে আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পদে জাকাত ফরজ করেছেন; যা তাদের ধনীদের থেকে নিয়ে গরিবদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।’ 
(বুখারি ও মুসলিম)
ইসলামের প্রচার-প্রসারের কাজ করা সবার জন্য জরুরি। ভালো কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করার এই মহান কাজ বন্ধ হয়ে গেলে পৃথিবীতে অন্যায়-অনাচার ছেয়ে যাবে। তাই মহানবী (সা.) বলেন, ‘সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং খারাপ কাজে নিষেধ করবে। অন্যথায় শিগগিরই আল্লাহ তাআলা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের ওপর আজাব পাঠাবেন। এরপর তোমরা (মুক্তির জন্য) তাঁর কাছে দোয়া করবে, তবে তোমাদের দোয়া কবুল হবে না।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক

আরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণী প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, যারা মানুষকে কল্যাণের পথে ডাকবে এবং অন্যায় করতে নিষেধ করবে। মূলত তারাই সফল।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০৪)
মানুষকে আলোর পথ দেখাতে শেষ নবী হিসেবে পৃথিবীতে এসেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর প্রধান দায়িত্বই ছিল মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা এবং সমাজে ইসলামের মহান বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার পালনকর্তার পথে মানুষকে ডাকো। ...’ (সুরা কাসাস: ৮৭) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী, বলো, এটিই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীরা আল্লাহর পথে সুস্পষ্ট দলিল দিয়ে ডাকি। ...’ (ইউসুফ: ১০৮) অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি এবং আল্লাহর আদেশে তাঁর পথে আহ্বানকারী ও উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে।’ (আহজাব: ৪৪-৪৫)
দাওয়াতের কাজে অবহেলা না করার জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে রাসুল, তোমার প্রতি তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাজিল হয়েছে, তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি না দাও, তাহলে তুমি বার্তা পৌঁছে দিলে না।’ (সুরা মায়েদা: ৬৭) আল্লাহর দেওয়া এই দায়িত্ব মহানবী (সা.) অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন এবং মৃত্যুর আগে সাহাবায়ে কিরামকে ইসলামের প্রচার-প্রসার করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একটি আয়াত জানা থাকলেও তা আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও। ...’ (বুখারি)
মহানবী (সা.)-এর পর যেহেতু আর কোনো নবী আসবেন না, তাই এ দায়িত্ব তাঁর অনুসারীদের কাঁধেই অর্পিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানবজাতির কল্যাণেই তোমাদের উদ্ভব হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো, অন্যায় কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তার কথার চেয়ে কার কথা আর উত্তম হতে পারে, যে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয়, সৎ কাজ করে এবং বলে—নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।’ (হামিম সাজদা: ৩৩)
মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি মহানবী (সা.) নবুয়তের ২৩ বছরে হাতে-কলমে শিখিয়ে গেছেন। কোরআন-হাদিসের অসংখ্য বাণী থেকে আমরা দাওয়াতের পথ-পদ্ধতি ও শিষ্টাচারের কথা জানতে পারি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে ডাকো এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর পন্থায় বিতর্ক করো।’ (সুরা নাহল: ১২৫)
আয়াত থেকে বোঝা যায়, প্রথমে মানুষকে ইমানের দাওয়াত দিতে হবে। তারপর অন্যান্য ফরজ বিধানের কথা তুলে ধরতে হবে। মহানবী (সা.) হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে ইয়েমেনের শাসক হিসেবে পাঠানোর সময় বলেছিলেন, ‘সেখানকার অধিবাসীদের এ সাক্ষ্যদানের প্রতি আহ্বান জানাবে যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল। যদি তারা তা মেনে নেয়, তবে তাদের জানাবে যে আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যদি সেটাও তারা মেনে নেয়, তবে তাদের জানাবে যে আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পদে জাকাত ফরজ করেছেন; যা তাদের ধনীদের থেকে নিয়ে গরিবদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।’ 
(বুখারি ও মুসলিম)
ইসলামের প্রচার-প্রসারের কাজ করা সবার জন্য জরুরি। ভালো কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করার এই মহান কাজ বন্ধ হয়ে গেলে পৃথিবীতে অন্যায়-অনাচার ছেয়ে যাবে। তাই মহানবী (সা.) বলেন, ‘সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং খারাপ কাজে নিষেধ করবে। অন্যথায় শিগগিরই আল্লাহ তাআলা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের ওপর আজাব পাঠাবেন। এরপর তোমরা (মুক্তির জন্য) তাঁর কাছে দোয়া করবে, তবে তোমাদের দোয়া কবুল হবে না।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক


নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ | 
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট | 
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট | 
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট | 
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট | 
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট | 
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট | 
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ | 
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট | 
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট | 
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট | 
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট | 
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট | 
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট | 
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।


আরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণী প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, য
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেআবরার নাঈম

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)


আরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণী প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, য
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।


আরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণী প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, য
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ | 
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট | 
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট | 
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট | 
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট | 
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট | 
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট | 
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ | 
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট | 
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট | 
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট | 
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট | 
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট | 
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট | 
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।


আরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণী প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, য
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে