মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১৮ ঘণ্টা আগে
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ

একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।

একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১৮ ঘণ্টা আগে
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১৮ ঘণ্টা আগে
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা

বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ

চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)

চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১৮ ঘণ্টা আগে