আবদুল আযীয কাসেমি
জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।
লেখক: শিক্ষক
জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।
লেখক: শিক্ষক
আবদুল আযীয কাসেমি
জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।
লেখক: শিক্ষক
জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।
লেখক: শিক্ষক
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ কর
২৪ মার্চ ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ কর
২৪ মার্চ ২০২৪একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
৯ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ কর
২৪ মার্চ ২০২৪একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)
জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ কর
২৪ মার্চ ২০২৪একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগে