মুফতি আবু দারদা
পৃথিবীর সব মানুষই দায়িত্বশীল। সবাইকে নিজেদের দায়িত্বের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। পরিবারের কর্তা থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল–সবাইকে নিজেদের দায়িত্ব কতটুকু পালন করেছে, তাঁর হিসাব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যার দায়িত্ব যত বড়, তার হিসাবও হবে তত বেশি। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি: ২৫৫৪)
ক্ষমতা, পদমর্যাদা ও দায়িত্ব একটি পবিত্র আমানত। তাই ক্ষমতার জন্য লালায়িত হওয়া এবং দায়িত্ব পেতে নিজে থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা ইসলামে নিন্দনীয়। সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। আর যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি: ৬৬২২)
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করলে তাকে পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। বিশেষ করে রাষ্ট্রনায়ক ও শাসকদের সম্পর্কে হাদিসে কঠোর হুঁশিয়ারির কথা এসেছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তিকে আল্লাহ জাতির দায়িত্ব অর্পণ করেন; কিন্তু সে তাদের কল্যাণকর নিরাপত্তা বিধান করল না, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (মিশকাত: ৩৫১৮)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি মুসলিম জনগণের শাসক নিযুক্ত হয়, এরপর সে প্রতারক বা আত্মসাৎকারীরূপে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি: ৭২৩৯)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পৃথিবীর সব মানুষই দায়িত্বশীল। সবাইকে নিজেদের দায়িত্বের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। পরিবারের কর্তা থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল–সবাইকে নিজেদের দায়িত্ব কতটুকু পালন করেছে, তাঁর হিসাব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যার দায়িত্ব যত বড়, তার হিসাবও হবে তত বেশি। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি: ২৫৫৪)
ক্ষমতা, পদমর্যাদা ও দায়িত্ব একটি পবিত্র আমানত। তাই ক্ষমতার জন্য লালায়িত হওয়া এবং দায়িত্ব পেতে নিজে থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা ইসলামে নিন্দনীয়। সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। আর যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি: ৬৬২২)
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করলে তাকে পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। বিশেষ করে রাষ্ট্রনায়ক ও শাসকদের সম্পর্কে হাদিসে কঠোর হুঁশিয়ারির কথা এসেছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তিকে আল্লাহ জাতির দায়িত্ব অর্পণ করেন; কিন্তু সে তাদের কল্যাণকর নিরাপত্তা বিধান করল না, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (মিশকাত: ৩৫১৮)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি মুসলিম জনগণের শাসক নিযুক্ত হয়, এরপর সে প্রতারক বা আত্মসাৎকারীরূপে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি: ৭২৩৯)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম শুধু বিশ্বাসের নয়, বরং ভালোবাসা, সৌহার্দ্য ও মানবিক সম্পর্কের ধর্ম। এ ধর্ম মানুষের অন্তরের বন্ধনকে দৃঢ় করার জন্য কিছু অনন্য আচার বা সুন্নাহ শিক্ষা দিয়েছে; যার মধ্যে একটি হলো মুআনাকা—অর্থাৎ কোলাকুলি করা।
২৭ মিনিট আগেইসলামের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো পবিত্রতা। পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ। সার্বক্ষণিক পবিত্রতা রক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। যারা সর্বদা পবিত্র থাকে ফেরেশতারা তাদের সঙ্গ পছন্দ করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’
১৪ ঘণ্টা আগেএই দুনিয়ায় আমরা ক্লান্ত হই। অসুস্থ হই। হারিয়ে ফেলি প্রিয়জন। লড়াই করি প্রতিনিয়ত। জান্নাত হলো সেই পুরস্কার, যেখানে ক্লান্তি নেই, আছে প্রশান্তি। যেখানে প্রতিটি নিশ্বাস হবে স্বস্তির। সেখানে দেখা হবে ভালোবাসার। কোনো হিংসা থাকবে না, পাপ থাকবে না, থাকবে কেবল ভালোবাসার মানুষগুলো নিয়ে অনন্ত বসবাস।
১৫ ঘণ্টা আগেযাপিত জীবনে অনেক সময় মানুষ নানা বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাই তা থেকে মুক্তি সম্পর্কিত কোরআনে বর্ণিত চারটি পরীক্ষিত দোয়া ও আমলের কথা তুলে ধরা হলো। এক. মুসিবত: যখন নানা ধরনের বালা-মুসিবত ও চিন্তা পেরেশানের মধ্যে পতিত হবে, তখন নিম্নোক্ত দোয়া পড়া...
১৫ ঘণ্টা আগে