মুফতি ইশমাম আহমেদ
আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করা বড় গুনাহ। মিথ্যা শপথ করার অর্থ হলো, এমন কোনো বিষয়ে আল্লাহর নামে কসম খাওয়া, যা বাস্তব নয় বা বাস্তবায়ন করার সদিচ্ছা শপথকারীর নেই। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কবিরা গুনাহ হলো, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, মা-বাবার অবাধ্য হওয়া, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা এবং মিথ্যা শপথ করা।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে মিথ্যা শপথকারীর প্রতি আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা এসেছে। আবু জর গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির সঙ্গে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেনও না, এমনকি গুনাহ থেকে তাদের পবিত্রও করবেন না। তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।’ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কথাটি তিনবার বললেন। আবু জর (রা.) বলেন, ‘তারা সত্যিই ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা কারা, হে আল্লাহর রাসুল।’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী, কাউকে কোনো কিছু দিয়ে খোঁটা দানকারী এবং মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রেতা।’ (মুসলিম)
মিথ্যা শপথ করে অন্যের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া বড় অন্যায়। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ (মিথ্যা) শপথের মাধ্যমে কোনো মুসলিমের অধিকার হরণ করলে আল্লাহ তাঁর জন্য জাহান্নাম অবধারিত করে দেন। এবং তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে আরও বলা হয়েছে, তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তা যদি খুব সামান্য জিনিস হয়, তবুও?’ তিনি বললেন, ‘যদি একটা গাছের ডালও হয়, তবুও।’ (মুসলিম)
মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করা বড় গুনাহ। মিথ্যা শপথ করার অর্থ হলো, এমন কোনো বিষয়ে আল্লাহর নামে কসম খাওয়া, যা বাস্তব নয় বা বাস্তবায়ন করার সদিচ্ছা শপথকারীর নেই। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কবিরা গুনাহ হলো, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, মা-বাবার অবাধ্য হওয়া, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা এবং মিথ্যা শপথ করা।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে মিথ্যা শপথকারীর প্রতি আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা এসেছে। আবু জর গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির সঙ্গে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেনও না, এমনকি গুনাহ থেকে তাদের পবিত্রও করবেন না। তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।’ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কথাটি তিনবার বললেন। আবু জর (রা.) বলেন, ‘তারা সত্যিই ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা কারা, হে আল্লাহর রাসুল।’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী, কাউকে কোনো কিছু দিয়ে খোঁটা দানকারী এবং মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রেতা।’ (মুসলিম)
মিথ্যা শপথ করে অন্যের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া বড় অন্যায়। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ (মিথ্যা) শপথের মাধ্যমে কোনো মুসলিমের অধিকার হরণ করলে আল্লাহ তাঁর জন্য জাহান্নাম অবধারিত করে দেন। এবং তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে আরও বলা হয়েছে, তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তা যদি খুব সামান্য জিনিস হয়, তবুও?’ তিনি বললেন, ‘যদি একটা গাছের ডালও হয়, তবুও।’ (মুসলিম)
মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিয়ের বর-কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বিয়েতে কারও পছন্দের ব্যাপারে মানুষ চারটি বিষয় দেখে। যথা—সম্পদ, আভিজাত্য, সৌন্দর্য এবং খোদাভীতি। এর মধ্যে ভাগ্যবান এবং শ্রেষ্ঠ সে, যে একজন ধার্মিক মেয়েকে বিয়ে করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষকে আরও সতর্ক করে দেন...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
১ দিন আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
১ দিন আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
১ দিন আগে