তানবিরুল হক আবিদ
দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম ইবাদত পশু কোরবানি করা—তাই পশু কিনতে ভিড় বাড়ছে হাটমুখী মানুষের। কোরবানির পশুর বিধান হলো, তা যদি এই পরিমাণ ল্যাংড়া হয় যে, জবাই করার স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে অক্ষম—তাহলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
হাট থেকে পশু কিনে বাড়ি আনার সময় ধ্বস্তাধ্বস্তি বা অন্য কোনো কারণে কখনো যদি পশুর পা ভেঙে যায়—সেই পশু দিয়ে কি কোরবানি শুদ্ধ হবে?
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, হাট থেকে আনার সময় কোরবানির পশুর পা ভেঙে যাওয়ার পর ওই পশু যদি এক পা খুড়ায় এবং ভাঙা পা মাটিতে লাগিয়ে হাটে—তাহলে উক্ত পশু দিয়ে কোরবানি করা শুদ্ধ হবে। যদিও সেই পায়ে পূর্ণ ভর না দেয়।
আর যদি ওই পশু তিন পায়ের ওপর ভর দিয়ে চলে এবং আক্রান্ত পা মাটিতে ফেলতে না পারে, বরং মাটি থেকে উঠিয়ে চলে—তবে সে পশু দিয়ে কোরবানি করা শুদ্ধ হবে না।
তবে কোরবানির জন্য পশু মাটিতে শোয়ানোর সময় ধস্তাধস্তির কারণে যদি পা ভেঙে যায়, তাহলে সে পশু দিয়ে কোরবানি করা শুদ্ধ হবে।
সতর্কতার বিষয় হলো, পশুকে কখনোই অহেতুক কষ্ট দেওয়া যাবে না। যথেষ্ট পরিমাণ মানুষ মিলে সতর্কতার সঙ্গে পশু মাটিতে শোয়াতে হবে। এবং ধারালো ছুরি দিয়ে দ্রুত জবাই করতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব জিনিস উত্তম পদ্ধতিতে করার বিধান দিয়েছেন। সুতরাং যখন তুমি জবাই করবে, তখন উত্তম পদ্ধতিতে জবাই করবে। জবাইয়ের বস্তু ভালোভাবে ধার দিয়ে নেবে আর পশুটিকে স্বাভাবিকভাবে প্রাণ বের হওয়ার সুযোগ দেবে। (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৫)।
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (কোরবানির আগে) ছুরি ধারালো করতে এবং তা পশুর দৃষ্টির অগোচরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তোমাদের কেউ জবাই করার সময় যেন তা দ্রুত সম্পন্ন করে (যাতে পশু অধিক পরিমাণে কষ্ট না পায়)। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৭২)
তথ্য সূত্র: সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকি: ১৯৬৪, জামে তিরমিজি: ১৫৩৯, বাহরুর রায়েক: ৮ / ১৭৭, মাজমাউল আনহুর: ৪ / ১৭১ ও ১৭৩, দুররুল মুখতার: ৬ / ৩২৫ ও ৯ / ৪২৮, ফাতাওয়া কাসিমিয়া: ২২ / ৪৩২-৪৩৩, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬ / ৩০০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫ / ৯২৭, রদ্দুল মুহতার: ৯ / ৪৬৮, তাতারখানিয়া: ১৭ / ৪২৬
আরও পড়ুন:
দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম ইবাদত পশু কোরবানি করা—তাই পশু কিনতে ভিড় বাড়ছে হাটমুখী মানুষের। কোরবানির পশুর বিধান হলো, তা যদি এই পরিমাণ ল্যাংড়া হয় যে, জবাই করার স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে অক্ষম—তাহলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
হাট থেকে পশু কিনে বাড়ি আনার সময় ধ্বস্তাধ্বস্তি বা অন্য কোনো কারণে কখনো যদি পশুর পা ভেঙে যায়—সেই পশু দিয়ে কি কোরবানি শুদ্ধ হবে?
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, হাট থেকে আনার সময় কোরবানির পশুর পা ভেঙে যাওয়ার পর ওই পশু যদি এক পা খুড়ায় এবং ভাঙা পা মাটিতে লাগিয়ে হাটে—তাহলে উক্ত পশু দিয়ে কোরবানি করা শুদ্ধ হবে। যদিও সেই পায়ে পূর্ণ ভর না দেয়।
আর যদি ওই পশু তিন পায়ের ওপর ভর দিয়ে চলে এবং আক্রান্ত পা মাটিতে ফেলতে না পারে, বরং মাটি থেকে উঠিয়ে চলে—তবে সে পশু দিয়ে কোরবানি করা শুদ্ধ হবে না।
তবে কোরবানির জন্য পশু মাটিতে শোয়ানোর সময় ধস্তাধস্তির কারণে যদি পা ভেঙে যায়, তাহলে সে পশু দিয়ে কোরবানি করা শুদ্ধ হবে।
সতর্কতার বিষয় হলো, পশুকে কখনোই অহেতুক কষ্ট দেওয়া যাবে না। যথেষ্ট পরিমাণ মানুষ মিলে সতর্কতার সঙ্গে পশু মাটিতে শোয়াতে হবে। এবং ধারালো ছুরি দিয়ে দ্রুত জবাই করতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব জিনিস উত্তম পদ্ধতিতে করার বিধান দিয়েছেন। সুতরাং যখন তুমি জবাই করবে, তখন উত্তম পদ্ধতিতে জবাই করবে। জবাইয়ের বস্তু ভালোভাবে ধার দিয়ে নেবে আর পশুটিকে স্বাভাবিকভাবে প্রাণ বের হওয়ার সুযোগ দেবে। (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৫)।
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (কোরবানির আগে) ছুরি ধারালো করতে এবং তা পশুর দৃষ্টির অগোচরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তোমাদের কেউ জবাই করার সময় যেন তা দ্রুত সম্পন্ন করে (যাতে পশু অধিক পরিমাণে কষ্ট না পায়)। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৭২)
তথ্য সূত্র: সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকি: ১৯৬৪, জামে তিরমিজি: ১৫৩৯, বাহরুর রায়েক: ৮ / ১৭৭, মাজমাউল আনহুর: ৪ / ১৭১ ও ১৭৩, দুররুল মুখতার: ৬ / ৩২৫ ও ৯ / ৪২৮, ফাতাওয়া কাসিমিয়া: ২২ / ৪৩২-৪৩৩, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬ / ৩০০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫ / ৯২৭, রদ্দুল মুহতার: ৯ / ৪৬৮, তাতারখানিয়া: ১৭ / ৪২৬
আরও পড়ুন:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে