হুসাইন আহমদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ কালিমা। এই কালেমার মাধ্যমে মানুষ স্বীকার করে নেয়—তার রব একমাত্র আল্লাহ তাআলা, দ্বিতীয় আর কেউ নয়। এরপরই অন্যতম একটি স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ। নামাজ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আর আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র ইবাদতের জন্য।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি জিন ও মানুষ সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের উদ্দেশ্যে। (সুরা জারিয়াত: ৫৬)
নামাজের রয়েছে অসংখ্য বৈশিষ্ট্য। এর মধ্যে অন্যতম—নামাজ নামাজ অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
নবী করিম (সা.) বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ—এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান পর্যন্ত সব গুনাহের কাফফারা হয়, যদি কবিরা গুনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকা হয়। (সহিহ্ মুসলিম: ২৩৩)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে অভিযোগ করল—অমুক ব্যক্তি রাতে নামাজ আদায় করে আর দিনের বেলায় চুরি করে। নবীজি (সা.) বললেন, ‘তুমি যা বলছ (অর্থাৎ তার নামাজ) তা শিগগিরই তাকে (এ অন্যায় থেকে) বিরত রাখবে। (মুসনাদে আহমাদ: ৯৭৭৮)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজ (আমল) আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়?’ তিনি বললেন, ‘সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করা।’ আমি বললাম, ‘এরপর কোন কাজ?’ তিনি বললেন, ‘মা–বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোন কাজ?’ তিনি বললেন, আল্লাহর পথে লড়াই করা। (সহিহ্ বুখারি: ৫২৭)
কেউ নামাজ ছেড়ে দিলে, তার জন্য হাদিসে এসেছে কঠিন সতর্কবার্তা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, (মোমিন) বান্দা ও কুফরির মধ্যে পার্থক্য হলো—নামাজ পরিত্যাগ করা। (সহিহ্ মুসলিম: ৮২, জামে তিরমিজি: ২৬২০)
এ ছাড়া নামাজ নিয়ে উদাসীনতা কাম্য নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, দুর্ভোগ ওই সব মুসল্লির জন্য, যারা তাদের নামাজ থেকে উদাসীন। যারা শুধু (মানুষকে) দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। (সুরা মাউন: ৪-৫)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ কালিমা। এই কালেমার মাধ্যমে মানুষ স্বীকার করে নেয়—তার রব একমাত্র আল্লাহ তাআলা, দ্বিতীয় আর কেউ নয়। এরপরই অন্যতম একটি স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ। নামাজ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আর আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র ইবাদতের জন্য।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি জিন ও মানুষ সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের উদ্দেশ্যে। (সুরা জারিয়াত: ৫৬)
নামাজের রয়েছে অসংখ্য বৈশিষ্ট্য। এর মধ্যে অন্যতম—নামাজ নামাজ অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
নবী করিম (সা.) বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ—এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান পর্যন্ত সব গুনাহের কাফফারা হয়, যদি কবিরা গুনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকা হয়। (সহিহ্ মুসলিম: ২৩৩)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে অভিযোগ করল—অমুক ব্যক্তি রাতে নামাজ আদায় করে আর দিনের বেলায় চুরি করে। নবীজি (সা.) বললেন, ‘তুমি যা বলছ (অর্থাৎ তার নামাজ) তা শিগগিরই তাকে (এ অন্যায় থেকে) বিরত রাখবে। (মুসনাদে আহমাদ: ৯৭৭৮)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজ (আমল) আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়?’ তিনি বললেন, ‘সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করা।’ আমি বললাম, ‘এরপর কোন কাজ?’ তিনি বললেন, ‘মা–বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোন কাজ?’ তিনি বললেন, আল্লাহর পথে লড়াই করা। (সহিহ্ বুখারি: ৫২৭)
কেউ নামাজ ছেড়ে দিলে, তার জন্য হাদিসে এসেছে কঠিন সতর্কবার্তা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, (মোমিন) বান্দা ও কুফরির মধ্যে পার্থক্য হলো—নামাজ পরিত্যাগ করা। (সহিহ্ মুসলিম: ৮২, জামে তিরমিজি: ২৬২০)
এ ছাড়া নামাজ নিয়ে উদাসীনতা কাম্য নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, দুর্ভোগ ওই সব মুসল্লির জন্য, যারা তাদের নামাজ থেকে উদাসীন। যারা শুধু (মানুষকে) দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। (সুরা মাউন: ৪-৫)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে