কাউসার লাবীব
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মানবজীবনের অন্যতম পবিত্র ও মধুর বন্ধন। এটি নিছক আক্দ নয়, বরং ভালোবাসা, সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক। একটি আদর্শ দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি তৈরি হয় পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরকে বুঝে নেওয়ার মানসিকতার মাধ্যমে। স্বামী যেন স্ত্রীর শ্রেষ্ঠ আশ্রয় হয়, আর স্ত্রী যেন স্বামীর প্রশান্তির উৎস হয়; এটাই ইসলামের শিক্ষা।
সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও ভালোবাসার মর্যাদা ব্যাপক। দাম্পত্য জীবনে উত্তম আচার-আচরণে রয়েছে সওয়াব, কল্যাণ ও ভালোবাসার হাতছানি। আমাদের নবী করিম (সা.) স্ত্রীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন, বিভিন্ন কাজে তাঁদের সহযোগিতা করতেন, সুন্দর নামে ডাকতেন, প্রশংসা করতেন, খেলাধুলা করতেন, একসঙ্গে খেতেন, এক পেয়ালায় পান করতেন, কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতেন, চুল আঁচড়ে দিতেন; যা আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক খরচ বহন এবং একে অপরের মুখে খাবার তুলে দেওয়ায় রয়েছে সদকার সওয়াব পাওয়ার সুযোগ। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ সদকা হলো, একজন মানুষ তার স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেবে।’ (সহিহ্ বুখারি)। তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সর্বোত্তম মুদ্রা সেটি, যা সে তার পরিবারের খরচে ব্যয় করে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
হজরত সাদ (রা.)-কে একবার নবী করিম (সা.) বলেন, পরিবারের জন্য যা তুমি খরচ করবে, তা তোমার জন্য সদকা হবে। এমনকি যে লোকমাটি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দেবে সেটিও। (সহিহ্ বুখারি)
ছোটখাটো ভুল বা ত্রুটি ক্ষমা করে, একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই এই সম্পর্কের সৌন্দর্য। সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি হলো আত্মিক সংযোগ, আল্লাহভীতি এবং পারস্পরিক ভালোবাসা। এই বন্ধন যতটা হৃদয়ের, ততটা দায়িত্বেরও। তাই এই সম্পর্কের যত্ন নেওয়া, তা ধরে রাখা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একসঙ্গে পথচলা প্রত্যেক মুসলিম দম্পতির লক্ষ্য হওয়া উচিত।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মানবজীবনের অন্যতম পবিত্র ও মধুর বন্ধন। এটি নিছক আক্দ নয়, বরং ভালোবাসা, সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক। একটি আদর্শ দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি তৈরি হয় পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরকে বুঝে নেওয়ার মানসিকতার মাধ্যমে। স্বামী যেন স্ত্রীর শ্রেষ্ঠ আশ্রয় হয়, আর স্ত্রী যেন স্বামীর প্রশান্তির উৎস হয়; এটাই ইসলামের শিক্ষা।
সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও ভালোবাসার মর্যাদা ব্যাপক। দাম্পত্য জীবনে উত্তম আচার-আচরণে রয়েছে সওয়াব, কল্যাণ ও ভালোবাসার হাতছানি। আমাদের নবী করিম (সা.) স্ত্রীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন, বিভিন্ন কাজে তাঁদের সহযোগিতা করতেন, সুন্দর নামে ডাকতেন, প্রশংসা করতেন, খেলাধুলা করতেন, একসঙ্গে খেতেন, এক পেয়ালায় পান করতেন, কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতেন, চুল আঁচড়ে দিতেন; যা আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক খরচ বহন এবং একে অপরের মুখে খাবার তুলে দেওয়ায় রয়েছে সদকার সওয়াব পাওয়ার সুযোগ। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ সদকা হলো, একজন মানুষ তার স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেবে।’ (সহিহ্ বুখারি)। তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সর্বোত্তম মুদ্রা সেটি, যা সে তার পরিবারের খরচে ব্যয় করে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
হজরত সাদ (রা.)-কে একবার নবী করিম (সা.) বলেন, পরিবারের জন্য যা তুমি খরচ করবে, তা তোমার জন্য সদকা হবে। এমনকি যে লোকমাটি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দেবে সেটিও। (সহিহ্ বুখারি)
ছোটখাটো ভুল বা ত্রুটি ক্ষমা করে, একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই এই সম্পর্কের সৌন্দর্য। সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি হলো আত্মিক সংযোগ, আল্লাহভীতি এবং পারস্পরিক ভালোবাসা। এই বন্ধন যতটা হৃদয়ের, ততটা দায়িত্বেরও। তাই এই সম্পর্কের যত্ন নেওয়া, তা ধরে রাখা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একসঙ্গে পথচলা প্রত্যেক মুসলিম দম্পতির লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বিশুদ্ধ ও পবিত্র পানির মধ্য অন্যতম হলো আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি। বৃষ্টির পানি দিয়ে সব অবস্থায় অজু করা যায়। আল্লাহ তাআলা এই পানিকে পবিত্রতম ঘোষণা করে বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তাঁর অনুগ্রহের পূর্বাভাসস্বরূপ বায়ু প্রেরণ করেন, এবং আমি আকাশ থেকে শুদ্ধকারী পানি বর্ষণ করি। এর মাধ্যমে আমি...
১০ ঘণ্টা আগেহাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে মন ভালো থাকে, আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং আয়ু বাড়ে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে—তার রিজিক (জীবিকায়) সচ্ছলতা দেওয়া হোক এবং তার অবদান আলোচিত হোক (দীর্ঘায়ু দেওয়া হোক) সে যেন তার...
১০ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে জীবনই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। এই জীবনকে অন্যায়ভাবে কেড়ে নেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে এক ভয়াবহ ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ইসলাম শান্তির ধর্ম; মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মান রক্ষাই এর অন্যতম লক্ষ্য। তাই কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে কেবল নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার...
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম জীবনের মর্যাদা রক্ষায় কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা এবং নবী করিম (সা.) স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অন্যায়ভাবে কারও জীবন নেওয়া এক ভয়াবহ পাপ, যা শিরকের পরে সবচেয়ে বড় অপরাধ। এই কাজ শুধু ব্যক্তির ক্ষতি করে না, পুরো সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তাকে ভয়ংকরভাবে বিপন্ন করে।
১ দিন আগে