ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহার
ভূমির যথাযথ ও পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত হলে পরিবেশের ভারসাম্য সহজেই ফিরে আসবে। এ জন্য কৃষি জমিতে চাষাবাদ ও বনায়ন করতে হবে। নিজে আবাদ করতে না পারলে অন্যকে বর্গা অথবা এমনিতেই আবাদ করতে দিতে হবে। অকৃষি জমিতে ঘরবাড়ি, খামার, বাণিজ্যিক অথবা অবাণিজ্যিক স্থাপনা অথবা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করতে হবে। বাড়ির আশপাশের খালি জায়গা, বাড়ির ছাদ, বাড়ি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পাওয়া ফাঁকা প্লট এবং নিজ নিজ মালিকানাধীন জায়গা-জমির যথার্থ ব্যবহার হলে জাতির অবস্থা কখনোই শোচনীয় হবে না। জমির পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হাদিসে বারবার বলা হয়েছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার কাছে জমি আছে সে যেন তা (নিজে) চাষাবাদ করে। যদি সে (নিজে) চাষাবাদ না করে তবে যেন তার কোনো ভাইকে চাষাবাদ করতে দেয়।’ (মুসলিম: ১৫৩৬)
বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন
বৃক্ষ-তরুলতা প্রকৃতির প্রাণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। কাজেই বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করতে হবে। অপ্রয়োজনে বৃক্ষ-তরুলতা নষ্ট করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষ রোপণ করতে উৎসাহ দিয়েছেন। একে সদকা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে মুসলমান কোনো বৃক্ষ রোপণ করে, তারপর তা থেকে কোনো মানুষ, পশু বা পাখি ভক্ষণ করে, এর বিনিময়ে কিয়ামতে তার জন্য একটি সদকার সওয়াব রয়েছে।’ (মুসলিম: ১৫৫২)
প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার
জীবন ধারণের মূল উপাদানগুলো মহান আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। যেমন—পানি, বাতাস ইত্যাদি। এসবের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সহজলভ্য বলে অপচয় ও অপব্যবহার করা যাবে না। বর্ষায় চারদিকে পানি বেড়ে গেলেও পানির অপচয় ও অপব্যবহার রোধ করতে হবে। অপচয় সব সময়ই নিষেধ। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) সাআদ (রা.)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যখন তিনি অজু করছিলেন। রাসুল (সা.) বললেন, ‘কেন এই অপচয়?’ সাআদ (রা.) বললেন, ‘অজুতেও কি অপচয় হয়?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, এমনকি প্রবাহিত নদীতে অজু করলেও।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৫)
পানিদূষণ প্রতিরোধ
পানি পরিবেশের প্রধান উপাদান। পানি ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সে জন্য পানিকে নিরাপদ ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে। নিজেদের কোনো কর্মে যেন পানি দূষিত না হয় সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) পানিকে পবিত্র, নিরাপদ ও দূষণমুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন আবদ্ধ পানিতে প্রস্রাব করে অতঃপর সেখানে গোসল না করে।’ (বুখারি: ২৩৬; মুসলিম: ২৮২)
বায়ুদূষণ প্রতিরোধ
মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন বাতাস প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। পক্ষান্তরে দূষিত বাতাস স্বল্প সময়ে প্রকৃতির নির্মলতা নষ্ট করে দেয়। বায়ুদূষণের ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, পরিবেশ ও সম্পদ নষ্ট হয়। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে ওজন স্তর পাতলা হয়ে যায়। এসব বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হয়। বায়ুকে দূষণমুক্ত রাখতে ইসলামের যথেষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা অভিশাপ ডেকে আনে এমন তিনটি কাজ থেকে বিরত থাকো। চলাচলের রাস্তায়, রাস্তার মোড়ে অথবা ছায়াদার স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা থেকে।’ (আবু দাউদ: ২৬)
জীবজন্তুর প্রতি নিষ্ঠুরতা পরিহার
জলবায়ু পরিবর্তন বা পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার জন্য জীববৈচিত্র ধ্বংস অনেকাংশে দায়ী। এ জন্য বন্য ও গৃহপালিত পশুপাখির প্রতিও ভালোবাসা প্রদর্শন ও দয়াশীল আচরণ করতে হবে। কোনো প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর অচরণ করা যাবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘একদিন এক ব্যক্তি রাস্তায় চলার পথে অত্যন্ত তৃষ্ণার্ত হলো। তারপর একটি কুয়া দেখতে পেয়ে তাতে সে নেমে পড়ল এবং পানি পান করল। ওপরে উঠে এসে সে দেখতে পেল একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে আর পিপাসার দরুন ভিজে মাটি চেটে খাচ্ছে। লোকটি (মনে মনে) বলল, এ কুকুরটির তেমনি পিপাসা পেয়েছে, যেমনি আমার পিপাসা পেয়েছিল। তারপর সে কুয়ার মধ্যে নামল এবং নিজের মোজায় পানি ভর্তি করে এনে কুকুরটিকে পান করাল। আল্লাহ তার এ কাজ কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।’ সাহাবিগণ বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পশুদের ব্যাপারেও কি আমাদের জন্য পুণ্য রয়েছে?’ তিনি (সা.) বললেন, ‘প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীর জন্যই পুরস্কার রয়েছে।’ (বুখারি: ৬০০৯) এভাবে বিভিন্ন নির্দেশনার মাধ্যমে জীবজন্তুর প্রতি নিষ্ঠুরতা পরিহার করতে বলা হয়েছে।
ইসলামের নির্দেশনাগুলোর সফল বাস্তবায়ন পরিবেশদূষণ রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহার
ভূমির যথাযথ ও পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত হলে পরিবেশের ভারসাম্য সহজেই ফিরে আসবে। এ জন্য কৃষি জমিতে চাষাবাদ ও বনায়ন করতে হবে। নিজে আবাদ করতে না পারলে অন্যকে বর্গা অথবা এমনিতেই আবাদ করতে দিতে হবে। অকৃষি জমিতে ঘরবাড়ি, খামার, বাণিজ্যিক অথবা অবাণিজ্যিক স্থাপনা অথবা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করতে হবে। বাড়ির আশপাশের খালি জায়গা, বাড়ির ছাদ, বাড়ি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পাওয়া ফাঁকা প্লট এবং নিজ নিজ মালিকানাধীন জায়গা-জমির যথার্থ ব্যবহার হলে জাতির অবস্থা কখনোই শোচনীয় হবে না। জমির পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হাদিসে বারবার বলা হয়েছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার কাছে জমি আছে সে যেন তা (নিজে) চাষাবাদ করে। যদি সে (নিজে) চাষাবাদ না করে তবে যেন তার কোনো ভাইকে চাষাবাদ করতে দেয়।’ (মুসলিম: ১৫৩৬)
বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন
বৃক্ষ-তরুলতা প্রকৃতির প্রাণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। কাজেই বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করতে হবে। অপ্রয়োজনে বৃক্ষ-তরুলতা নষ্ট করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষ রোপণ করতে উৎসাহ দিয়েছেন। একে সদকা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে মুসলমান কোনো বৃক্ষ রোপণ করে, তারপর তা থেকে কোনো মানুষ, পশু বা পাখি ভক্ষণ করে, এর বিনিময়ে কিয়ামতে তার জন্য একটি সদকার সওয়াব রয়েছে।’ (মুসলিম: ১৫৫২)
প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার
জীবন ধারণের মূল উপাদানগুলো মহান আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। যেমন—পানি, বাতাস ইত্যাদি। এসবের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সহজলভ্য বলে অপচয় ও অপব্যবহার করা যাবে না। বর্ষায় চারদিকে পানি বেড়ে গেলেও পানির অপচয় ও অপব্যবহার রোধ করতে হবে। অপচয় সব সময়ই নিষেধ। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) সাআদ (রা.)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যখন তিনি অজু করছিলেন। রাসুল (সা.) বললেন, ‘কেন এই অপচয়?’ সাআদ (রা.) বললেন, ‘অজুতেও কি অপচয় হয়?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, এমনকি প্রবাহিত নদীতে অজু করলেও।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৫)
পানিদূষণ প্রতিরোধ
পানি পরিবেশের প্রধান উপাদান। পানি ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সে জন্য পানিকে নিরাপদ ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে। নিজেদের কোনো কর্মে যেন পানি দূষিত না হয় সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) পানিকে পবিত্র, নিরাপদ ও দূষণমুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন আবদ্ধ পানিতে প্রস্রাব করে অতঃপর সেখানে গোসল না করে।’ (বুখারি: ২৩৬; মুসলিম: ২৮২)
বায়ুদূষণ প্রতিরোধ
মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন বাতাস প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। পক্ষান্তরে দূষিত বাতাস স্বল্প সময়ে প্রকৃতির নির্মলতা নষ্ট করে দেয়। বায়ুদূষণের ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, পরিবেশ ও সম্পদ নষ্ট হয়। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে ওজন স্তর পাতলা হয়ে যায়। এসব বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হয়। বায়ুকে দূষণমুক্ত রাখতে ইসলামের যথেষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা অভিশাপ ডেকে আনে এমন তিনটি কাজ থেকে বিরত থাকো। চলাচলের রাস্তায়, রাস্তার মোড়ে অথবা ছায়াদার স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা থেকে।’ (আবু দাউদ: ২৬)
জীবজন্তুর প্রতি নিষ্ঠুরতা পরিহার
জলবায়ু পরিবর্তন বা পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার জন্য জীববৈচিত্র ধ্বংস অনেকাংশে দায়ী। এ জন্য বন্য ও গৃহপালিত পশুপাখির প্রতিও ভালোবাসা প্রদর্শন ও দয়াশীল আচরণ করতে হবে। কোনো প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর অচরণ করা যাবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘একদিন এক ব্যক্তি রাস্তায় চলার পথে অত্যন্ত তৃষ্ণার্ত হলো। তারপর একটি কুয়া দেখতে পেয়ে তাতে সে নেমে পড়ল এবং পানি পান করল। ওপরে উঠে এসে সে দেখতে পেল একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে আর পিপাসার দরুন ভিজে মাটি চেটে খাচ্ছে। লোকটি (মনে মনে) বলল, এ কুকুরটির তেমনি পিপাসা পেয়েছে, যেমনি আমার পিপাসা পেয়েছিল। তারপর সে কুয়ার মধ্যে নামল এবং নিজের মোজায় পানি ভর্তি করে এনে কুকুরটিকে পান করাল। আল্লাহ তার এ কাজ কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।’ সাহাবিগণ বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পশুদের ব্যাপারেও কি আমাদের জন্য পুণ্য রয়েছে?’ তিনি (সা.) বললেন, ‘প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীর জন্যই পুরস্কার রয়েছে।’ (বুখারি: ৬০০৯) এভাবে বিভিন্ন নির্দেশনার মাধ্যমে জীবজন্তুর প্রতি নিষ্ঠুরতা পরিহার করতে বলা হয়েছে।
ইসলামের নির্দেশনাগুলোর সফল বাস্তবায়ন পরিবেশদূষণ রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের আকাশে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল রোববার (২ মার্চ) থেকে শুরু হবে মাহে রমজানের সিয়াম সাধনা। আজ শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশে রমজানের চাঁদ দেখা যায়। বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরমজান সংযমের মাস, বরকতের মাস। এ মাসে রোজা রাখা আবশ্যক করেছেন আল্লাহ তাআলা। তবে সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং যাদের মধ্যে নিচের ৫টি শর্ত পাওয়া যাবে, কেবল তাঁদেরই রমজানের রোজা রাখতে হবে। শর্তগুলো হলো—
৭ ঘণ্টা আগেপবিত্র রমজানের বিশেষ ইবাদত তারাবির নামাজ। আরবি তারবিহা শব্দের বহুবচন তারাবি, যার অর্থ বিশ্রাম করা, আরাম করা। যেহেতু এই নামাজে চার রাকাত পরপর বিশ্রাম নেওয়া হয়, তাই এর নাম তারাবি। পবিত্র রমজান মাসে এশা ও বিতরের নামাজের মাঝে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, শরিয়তের পরিভাষায় এই নামাজকেই তারাবির নামাজ..
১৫ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। দেশটির চাঁদ দেখা কমিটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, ইসলামিক হিজরি ক্যালেন্ডারের নবম মাস রমজান শুরু হবে আগামীকাল শনিবার (১ মার্চ) থেকে...
১ দিন আগে