মুহাম্মাদ রাহাতুল ইসলাম

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা এক শিল্পিত রূপ লাভ করেছিল।
এটি ছিল গভীর মননশীল সাহিত্য-আন্দোলন, যা আত্মবিস্মৃত জাতিকে তার স্বকীয়তা পুনরুদ্ধারে অনুপ্রাণিত করে।
ফররুখ আহমদের আবির্ভাবকাল ছিল বাংলার মুসলিম সমাজের জন্য এক ঘোর সংকটকাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পঞ্চাশের মন্বন্তর, ঔপনিবেশিক শোষণ ও মুসলিম সমাজের অভ্যন্তরীণ আত্মবিস্মৃতি—এই চতুর্মুখী অন্ধকারে কবি অনুভব করেছিলেন জাতির গভীর নিস্তব্ধতা। এই জরাগ্রস্ত ও হতাশাজনক বাস্তবতা তাঁকে স্থির থাকতে দেয়নি। তাঁর কবিতায় তিনি এই ঐতিহাসিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী দামামা বাজিয়েছেন।
কবির দৃষ্টিতে, মুসলিমদের অতীত ইতিহাস ছিল শৌর্য, বীরত্ব ও মানবতার। সেই ঐতিহ্য ভেঙে যাওয়ায় জাতির যে অধঃপতন, তা কবিকে ব্যথিত ও উদ্বেলিত করে তোলে।
তিনি উপলব্ধি করেন, এই জাতিকে জাগাতে হলে শুধু রোমান্টিকতা নয়, চাই এমন এক ‘পাঞ্জেরি’ (দিকনির্দেশক), যে অন্ধকার পেরিয়ে মঞ্জিলে পৌঁছানোর পথ দেখাবে। তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪)-এর কালজয়ী কবিতা ‘পাঞ্জেরি’তে এই আর্তিই ধ্বনিত হয়:
‘রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলার এখনো ওঠেনি জেগে?’
এই ‘পাঞ্জেরি’ কবিতা কেবল একটি আশার বাণী নয়, বরং তা একটি জাতীয় আত্মসচেতনতার প্রতীক—যা বাঙালি মুসলিম সমাজকে তার সমৃদ্ধ অতীত ও ইসলামি সভ্যতা-সংস্কৃতির দিকে ফিরে তাকিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শেখায়। এটি ছিল অস্তিত্ব রক্ষার এক তীব্র ব্যাকুলতা।
রেনেসাঁর দার্শনিক ভিত্তি: ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন
ফররুখ আহমদের রেনেসাঁ চেতনা কেবল অতীত রোমন্থন ছিল না, বরং তা ছিল প্রাচীনকে ধ্বংস না করে পুরোনো ঐতিহ্যের ভিত্তির ওপর নতুন আদর্শ সৃষ্টি করার এক তাত্ত্বিক প্রয়াস। তাঁর চিন্তা ছিল আল্লামা ইকবালের মতো, যিনি পতনোন্মুখ মুসলিমদের মধ্যে আত্মমর্যাদা ও নতুন জীবনবোধ সঞ্চার করতে চেয়েছিলেন। ফররুখ বিশ্বাস করতেন, ইসলামের আদর্শই মানবমুক্তি, স্বাধীনতা ও চিন্তার মুক্তির প্রথম উদ্যোক্তা।
তাঁর এই বিশ্বাস কবিকে মানবতাবাদের প্রেরণা জুগিয়েছে, যা তাঁকে তৎকালীন ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার নির্মম শোষণ ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হতে সাহায্য করেছে। ‘লাশ’ কবিতায় তিনি যে অমানবিকতার চিত্র এঁকেছেন, তা প্রমাণ করে তাঁর কাব্য শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক মুক্তির জন্যও নিবেদিত ছিল। তিনি লেখেন:
‘আজ এই উৎপীড়িত মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের অভিশাপ বও
ধ্বংস হও, তুমি ধ্বংস হও।’
তাঁর কাব্যচেতনা ছিল একটি বিশ্বজনীন আদর্শের প্রতিচ্ছবি, যা নিম্নোক্ত দুটি ধারায় প্রস্ফুটিত হয়েছে—
ফররুখ আহমদের কাব্যচেতনার একটি মৌলিক দিক হলো—তাঁর কাব্যভাষা নির্মাণে স্বাতন্ত্র্যবাদী অবস্থান। তিনি সচেতনভাবে বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দের প্রয়োগে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। এই শব্দভান্ডার কেবল ভাষার অলংকার ছিল না, বরং তা ছিল তাঁর সংস্কৃতি ও তাহজিব-তামাদ্দুনের প্রতি গভীর আস্থার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি জাতির স্বকীয় সাহিত্য নির্মাণের জন্য তার নিজস্ব শব্দভান্ডার ও ঐতিহ্যের মিশ্রণ অপরিহার্য। এই প্রয়াস ছিল কাজী নজরুল ইসলামের হাতে শুরু হওয়া বাংলা কাব্যের সেই ধারার সম্প্রসারণ, যেখানে আরবি-ফারসি মিশ্রিত একটি প্রাণের ভাষা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সবশেষে বলা যায়, কবি ফররুখ আহমদের কাব্যচেতনা ছিল বস্তুত এক বৈপ্লবিক প্রত্যয় ও শৈল্পিক সংগ্রাম। তাঁর সাহিত্যকর্ম সেই সময়ের বাঙালি মুসলিম সমাজকে আত্ম-অনুসন্ধান ও আত্ম-প্রত্যয়ের পথে চালিত করেছিল। একদিকে তিনি ছিলেন ইসলামি আদর্শ ও ঐতিহ্যের প্রতি দ্বিধাহীনভাবে অনুরক্ত, অন্যদিকে ছিলেন আধুনিক কাব্যশৈলী ও মানবিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় আপসহীন। এই দুই আপাত-বিপরীতমুখী চিন্তাধারার শৈল্পিক ও দার্শনিক সমন্বয়ের ফলেই ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে ‘মুসলিম রেনেসাঁর কণ্ঠস্বর’ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর কবিতা প্রমাণ করে—আত্মপরিচয় ও আধুনিকতা একে অপরের পরিপূরক হতে পারে, যা একটি জাতির জাগরণের পথ দেখায়।
লেখক: রিসার্চ ফেলো, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা এক শিল্পিত রূপ লাভ করেছিল।
এটি ছিল গভীর মননশীল সাহিত্য-আন্দোলন, যা আত্মবিস্মৃত জাতিকে তার স্বকীয়তা পুনরুদ্ধারে অনুপ্রাণিত করে।
ফররুখ আহমদের আবির্ভাবকাল ছিল বাংলার মুসলিম সমাজের জন্য এক ঘোর সংকটকাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পঞ্চাশের মন্বন্তর, ঔপনিবেশিক শোষণ ও মুসলিম সমাজের অভ্যন্তরীণ আত্মবিস্মৃতি—এই চতুর্মুখী অন্ধকারে কবি অনুভব করেছিলেন জাতির গভীর নিস্তব্ধতা। এই জরাগ্রস্ত ও হতাশাজনক বাস্তবতা তাঁকে স্থির থাকতে দেয়নি। তাঁর কবিতায় তিনি এই ঐতিহাসিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী দামামা বাজিয়েছেন।
কবির দৃষ্টিতে, মুসলিমদের অতীত ইতিহাস ছিল শৌর্য, বীরত্ব ও মানবতার। সেই ঐতিহ্য ভেঙে যাওয়ায় জাতির যে অধঃপতন, তা কবিকে ব্যথিত ও উদ্বেলিত করে তোলে।
তিনি উপলব্ধি করেন, এই জাতিকে জাগাতে হলে শুধু রোমান্টিকতা নয়, চাই এমন এক ‘পাঞ্জেরি’ (দিকনির্দেশক), যে অন্ধকার পেরিয়ে মঞ্জিলে পৌঁছানোর পথ দেখাবে। তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪)-এর কালজয়ী কবিতা ‘পাঞ্জেরি’তে এই আর্তিই ধ্বনিত হয়:
‘রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলার এখনো ওঠেনি জেগে?’
এই ‘পাঞ্জেরি’ কবিতা কেবল একটি আশার বাণী নয়, বরং তা একটি জাতীয় আত্মসচেতনতার প্রতীক—যা বাঙালি মুসলিম সমাজকে তার সমৃদ্ধ অতীত ও ইসলামি সভ্যতা-সংস্কৃতির দিকে ফিরে তাকিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শেখায়। এটি ছিল অস্তিত্ব রক্ষার এক তীব্র ব্যাকুলতা।
রেনেসাঁর দার্শনিক ভিত্তি: ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন
ফররুখ আহমদের রেনেসাঁ চেতনা কেবল অতীত রোমন্থন ছিল না, বরং তা ছিল প্রাচীনকে ধ্বংস না করে পুরোনো ঐতিহ্যের ভিত্তির ওপর নতুন আদর্শ সৃষ্টি করার এক তাত্ত্বিক প্রয়াস। তাঁর চিন্তা ছিল আল্লামা ইকবালের মতো, যিনি পতনোন্মুখ মুসলিমদের মধ্যে আত্মমর্যাদা ও নতুন জীবনবোধ সঞ্চার করতে চেয়েছিলেন। ফররুখ বিশ্বাস করতেন, ইসলামের আদর্শই মানবমুক্তি, স্বাধীনতা ও চিন্তার মুক্তির প্রথম উদ্যোক্তা।
তাঁর এই বিশ্বাস কবিকে মানবতাবাদের প্রেরণা জুগিয়েছে, যা তাঁকে তৎকালীন ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার নির্মম শোষণ ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হতে সাহায্য করেছে। ‘লাশ’ কবিতায় তিনি যে অমানবিকতার চিত্র এঁকেছেন, তা প্রমাণ করে তাঁর কাব্য শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক মুক্তির জন্যও নিবেদিত ছিল। তিনি লেখেন:
‘আজ এই উৎপীড়িত মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের অভিশাপ বও
ধ্বংস হও, তুমি ধ্বংস হও।’
তাঁর কাব্যচেতনা ছিল একটি বিশ্বজনীন আদর্শের প্রতিচ্ছবি, যা নিম্নোক্ত দুটি ধারায় প্রস্ফুটিত হয়েছে—
ফররুখ আহমদের কাব্যচেতনার একটি মৌলিক দিক হলো—তাঁর কাব্যভাষা নির্মাণে স্বাতন্ত্র্যবাদী অবস্থান। তিনি সচেতনভাবে বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দের প্রয়োগে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। এই শব্দভান্ডার কেবল ভাষার অলংকার ছিল না, বরং তা ছিল তাঁর সংস্কৃতি ও তাহজিব-তামাদ্দুনের প্রতি গভীর আস্থার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি জাতির স্বকীয় সাহিত্য নির্মাণের জন্য তার নিজস্ব শব্দভান্ডার ও ঐতিহ্যের মিশ্রণ অপরিহার্য। এই প্রয়াস ছিল কাজী নজরুল ইসলামের হাতে শুরু হওয়া বাংলা কাব্যের সেই ধারার সম্প্রসারণ, যেখানে আরবি-ফারসি মিশ্রিত একটি প্রাণের ভাষা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সবশেষে বলা যায়, কবি ফররুখ আহমদের কাব্যচেতনা ছিল বস্তুত এক বৈপ্লবিক প্রত্যয় ও শৈল্পিক সংগ্রাম। তাঁর সাহিত্যকর্ম সেই সময়ের বাঙালি মুসলিম সমাজকে আত্ম-অনুসন্ধান ও আত্ম-প্রত্যয়ের পথে চালিত করেছিল। একদিকে তিনি ছিলেন ইসলামি আদর্শ ও ঐতিহ্যের প্রতি দ্বিধাহীনভাবে অনুরক্ত, অন্যদিকে ছিলেন আধুনিক কাব্যশৈলী ও মানবিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় আপসহীন। এই দুই আপাত-বিপরীতমুখী চিন্তাধারার শৈল্পিক ও দার্শনিক সমন্বয়ের ফলেই ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে ‘মুসলিম রেনেসাঁর কণ্ঠস্বর’ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর কবিতা প্রমাণ করে—আত্মপরিচয় ও আধুনিকতা একে অপরের পরিপূরক হতে পারে, যা একটি জাতির জাগরণের পথ দেখায়।
লেখক: রিসার্চ ফেলো, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
১৪ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের...
২৩ অক্টোবর ২০২৫
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
১৪ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সাভারদিয়া ঈদগাহ মাঠে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মনোহরদী উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সজিব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের মধ্যে নামাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কারণে এটি এলাকায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোররা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানায়, এমন আয়োজন তাদের নিয়মিতভাবে জামাতে নামাজ আদায়ে আরও বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সাভারদিয়া ঈদগাহ মাঠে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মনোহরদী উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সজিব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের মধ্যে নামাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কারণে এটি এলাকায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোররা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানায়, এমন আয়োজন তাদের নিয়মিতভাবে জামাতে নামাজ আদায়ে আরও বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের...
২৩ অক্টোবর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
১৪ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

দোয়া ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। মুমিনের জীবনে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মুমিন তার সকল চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই হাত তোলেন।
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ওহি মুখস্থ করতেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁর কষ্ট হতো। সেই সময় আল্লাহ তাআলা এই দোয়াটি নাজিল করেন—‘রাব্বি জিদনি ইলমা।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’ (সুরা তোহা: ১১৪)
এই দোয়াটি নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) এটি বেশি বেশি পাঠ করা শুরু করেন। এর ফলে তিনি ওহি আয়ত্ত করে প্রশান্তি লাভ করেন। এই ছোট্ট দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া আল্লাহর কাছে নিয়মিত দোয়া, গুনাহ বর্জন, জিকির এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

দোয়া ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। মুমিনের জীবনে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মুমিন তার সকল চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই হাত তোলেন।
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ওহি মুখস্থ করতেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁর কষ্ট হতো। সেই সময় আল্লাহ তাআলা এই দোয়াটি নাজিল করেন—‘রাব্বি জিদনি ইলমা।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’ (সুরা তোহা: ১১৪)
এই দোয়াটি নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) এটি বেশি বেশি পাঠ করা শুরু করেন। এর ফলে তিনি ওহি আয়ত্ত করে প্রশান্তি লাভ করেন। এই ছোট্ট দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া আল্লাহর কাছে নিয়মিত দোয়া, গুনাহ বর্জন, জিকির এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের...
২৩ অক্টোবর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের ইতিহাসে তওবার রাজনীতির প্রবর্তক, প্রখ্যাত আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের যে ভূমিকা, হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন তার অগ্রদূত। একসময় আলেম-ওলামারা শুধু দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলেম সমাজকে যুক্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাফেজ্জী হুজুর দেশের সব আলেম-ওলামার কাছেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাঁর অবদান স্মরণ করেই সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আজমপুর থেকে কলোনি পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণমুখী প্রধান সড়কটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের নামে নামকরণ করা হবে।’
এ সময় হাফেজ্জী হুজুরের নাতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে তওবার রাজনীতির প্রবর্তক, প্রখ্যাত আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের যে ভূমিকা, হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন তার অগ্রদূত। একসময় আলেম-ওলামারা শুধু দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলেম সমাজকে যুক্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাফেজ্জী হুজুর দেশের সব আলেম-ওলামার কাছেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাঁর অবদান স্মরণ করেই সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আজমপুর থেকে কলোনি পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণমুখী প্রধান সড়কটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের নামে নামকরণ করা হবে।’
এ সময় হাফেজ্জী হুজুরের নাতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের...
২৩ অক্টোবর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
১৪ ঘণ্টা আগে