ইসলাম ডেস্ক
হৃদয়ের সৌন্দর্য প্রকাশ করে মুচকি হাসি। এই হাসি এক নিঃশব্দ ভাষা। একটি মুচকি হাসি অনেক সময় দূরের মানুষকে আপন করে তোলে। কখনো ক্লান্ত মুখে এনে দেয় প্রশান্তি। আবার কখনো এই হাসি উত্তম সদকা। আমাদের নবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজই সদকা। আর অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা—একটি ভালো কাজ।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৭০)
অন্য হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সা.) বলেন, তোমার ভাইয়ের সামনে তোমার মুচকি হাসি সদকাস্বরূপ। সৎ কাজের আদেশ দেওয়া এবং অসৎ কাজের নিষেধ করাও সদকা। পথ-হারানো ব্যক্তিকে পথ দেখিয়ে দেওয়া, দৃষ্টিহীনকে পথ চলতে সহায়তা করা, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়াও সদকা। (জামে তিরমিজি: ১৯৫৬)
আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে হারিস ইবনে জাজয়ি (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর চেয়ে বেশি মুচকি হাসি দিতে আর কাউকে দেখিনি।’ (জামে তিরমিজি: ৩৬৪১)
নবীজি (সা.)-এর মুচকি হাসি ছিল প্রাণজুড়ানো। তিনি কারও দিকে তাকালে, মুচকি হাসি দিয়ে তাকাতেন। জারির (রা.) বলেন, ‘আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করেছি, তখন থেকে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে তাঁর কাছে যেতে বাধা দেননি। তিনি আমার দিকে তাকাতেন মুচকি হাসি দিয়ে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩০৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ধনসম্পদ দ্বারা তোমরা ব্যাপকভাবে লোকদের সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে না; কিন্তু মুখমণ্ডলের প্রসন্ন ও প্রফুল্ল এবং চরিত্র-মাধুর্যের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে তাদের সন্তুষ্ট করতে পারবে।’ (বুলুগুল মারাম: ১৫৩৪)
সামান্য একটু মুচকি হাসির মাধ্যমে যেভাবে সদকার সওয়াব পাওয়া যায়—আবার মানুষের মন জয় করা যায়, অপর ভাইকে খুশি করা যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের কোনো মুসলিম ভাইকে খুশি করার জন্য এমনভাবে সাক্ষাৎ করে, যেমনটি সে নিজের জন্য পছন্দ করে। কেয়ামতের দিন (বিনিময়ে) আল্লাহ তাআলা তাকে খুশি করবেন। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ১৩৭২১)
পারস্পরিক সাক্ষাতে মুচকি হাসির প্রচলন গড়ে উঠুক আমাদের মাঝে।
হৃদয়ের সৌন্দর্য প্রকাশ করে মুচকি হাসি। এই হাসি এক নিঃশব্দ ভাষা। একটি মুচকি হাসি অনেক সময় দূরের মানুষকে আপন করে তোলে। কখনো ক্লান্ত মুখে এনে দেয় প্রশান্তি। আবার কখনো এই হাসি উত্তম সদকা। আমাদের নবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজই সদকা। আর অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা—একটি ভালো কাজ।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৭০)
অন্য হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সা.) বলেন, তোমার ভাইয়ের সামনে তোমার মুচকি হাসি সদকাস্বরূপ। সৎ কাজের আদেশ দেওয়া এবং অসৎ কাজের নিষেধ করাও সদকা। পথ-হারানো ব্যক্তিকে পথ দেখিয়ে দেওয়া, দৃষ্টিহীনকে পথ চলতে সহায়তা করা, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়াও সদকা। (জামে তিরমিজি: ১৯৫৬)
আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে হারিস ইবনে জাজয়ি (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর চেয়ে বেশি মুচকি হাসি দিতে আর কাউকে দেখিনি।’ (জামে তিরমিজি: ৩৬৪১)
নবীজি (সা.)-এর মুচকি হাসি ছিল প্রাণজুড়ানো। তিনি কারও দিকে তাকালে, মুচকি হাসি দিয়ে তাকাতেন। জারির (রা.) বলেন, ‘আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করেছি, তখন থেকে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে তাঁর কাছে যেতে বাধা দেননি। তিনি আমার দিকে তাকাতেন মুচকি হাসি দিয়ে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩০৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ধনসম্পদ দ্বারা তোমরা ব্যাপকভাবে লোকদের সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে না; কিন্তু মুখমণ্ডলের প্রসন্ন ও প্রফুল্ল এবং চরিত্র-মাধুর্যের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে তাদের সন্তুষ্ট করতে পারবে।’ (বুলুগুল মারাম: ১৫৩৪)
সামান্য একটু মুচকি হাসির মাধ্যমে যেভাবে সদকার সওয়াব পাওয়া যায়—আবার মানুষের মন জয় করা যায়, অপর ভাইকে খুশি করা যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের কোনো মুসলিম ভাইকে খুশি করার জন্য এমনভাবে সাক্ষাৎ করে, যেমনটি সে নিজের জন্য পছন্দ করে। কেয়ামতের দিন (বিনিময়ে) আল্লাহ তাআলা তাকে খুশি করবেন। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ১৩৭২১)
পারস্পরিক সাক্ষাতে মুচকি হাসির প্রচলন গড়ে উঠুক আমাদের মাঝে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে