ইসলাম ডেস্ক
মিরাজ সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখা মুমিনের কর্তব্য। তবে মিরাজকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিহীন আমল ও বেশ কিছু বানোয়াট কথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। যেমন বলা হয়, নবী (সা.) এত দ্রুত সময়ে মিরাজ থেকে ফিরলেন যে বিছানার চাদর তখনো উষ্ণ ছিল, উপুড় করে রেখে যাওয়া পানির পাত্রটি থেকে তখনো মাটির ওপর ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছিল, দরজার শিকল তখনো কাঁপছিল ইত্যাদি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কোরআন-হাদিসে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। মিরাজ-সম্পর্কিত হাদিসগুলোতে এসব কথার উল্লেখ নেই। তাই এমন কথা প্রচার অনুচিত।
চাদর বলতে আরবিতে মুলাআ শব্দটি বলা হয়েছে, যেটি একটি নতুন সংযোজিত শব্দ; মহানবী (সা.)-এর যুগে এর প্রচলন ছিল না। মুলাআ বলতে বিছানার চাদর বা লুঙ্গি বোঝানো হয়। (লিসানুল আরব: ১/১৬০; আল-নিহায়া: ৪/৩৫২) শাইখ শুকাইরি (রহ.) বলেন, ‘মহানবী (সা.)-এর রাতের বেলায় মিরাজে যাওয়া এবং ফিরে এসে বিছানা উষ্ণ পাওয়ার বিষয়টি সাব্যস্ত নয়; বরং এটি মানুষের বানানো মিথ্যা কথা।’ (আস-সুনান ওয়াল মুবতাদিআত: পৃ. ১৪৩)
একইভাবে মহানবী (সা.)-এর ঘরে দরজা বন্ধ রাখার জন্য শিকল ছিল—এ বিষয়টি প্রমাণিত নয়। বরং ইসলামের প্রথম যুগে ঘরের দরজাই থাকত না। যেমন পবিত্র কোরআনের সুরা নুরের ৬১ নম্বর আয়াত ‘তোমাদের নিজেদের জন্যও খাওয়াদাওয়া করতে দোষ নেই তোমাদের ঘরে...অথবা তোমাদের বন্ধুদের ঘরে’ এর ব্যাখ্যায় আবদুর রহমান ইবনে যাইদ বলেন, ‘এটি ছিল ইসলামের প্রথম যুগে। তখন তাদের ঘরের দরজা থাকত না; পর্দা টানিয়ে রাখা হতো।’ (তাফসিরে তাবারি: ১৯/২২১)
এ ছাড়া হাদিস থেকে এ কথা প্রমাণিত হয় যে মহানবী (সা.)-কে ছাদ খুলেই মিরাজে নেওয়া হয়। দরজা দিয়ে নয়। আনাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আবু জর বলতেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তখন মক্কায় ছিলাম। আমার ঘরের ছাদ উন্মুক্ত হয়ে গেল এবং জিবরাইল এলেন। তিনি আমার বুক ফাঁড়লেন। এরপর সেটাকে জমজমের পানি দিয়ে ধুলেন। তারপর তিনি সোনার তৈরি পাত্র আনলেন। সেটি হেকমত ও ইমানে পরিপূর্ণ ছিল। সেগুলো আমার বুকে ভরে দিলেন। এরপর বুক লাগিয়ে দিলেন। এরপর হাত ধরে আমাকে নিয়ে আকাশের দিকে উঠতে থাকলেন।...’ এভাবেই মিরাজের পুরো ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি: ৩৩৪২; মুসলিম: ১৬৩)
বোঝা গেল, জিবরাইল (আ.) সরাসরি ছাদের ছিদ্রপথ দিয়ে নবী (সা.)-কে নিয়ে মিরাজের ভ্রমণে বেরিয়েছেন; দরজা দিয়ে নয়। সুতরাং এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়, দরজার শিকল নড়ার কথাটি বানোয়াট।
মিরাজ সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখা মুমিনের কর্তব্য। তবে মিরাজকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিহীন আমল ও বেশ কিছু বানোয়াট কথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। যেমন বলা হয়, নবী (সা.) এত দ্রুত সময়ে মিরাজ থেকে ফিরলেন যে বিছানার চাদর তখনো উষ্ণ ছিল, উপুড় করে রেখে যাওয়া পানির পাত্রটি থেকে তখনো মাটির ওপর ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছিল, দরজার শিকল তখনো কাঁপছিল ইত্যাদি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কোরআন-হাদিসে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। মিরাজ-সম্পর্কিত হাদিসগুলোতে এসব কথার উল্লেখ নেই। তাই এমন কথা প্রচার অনুচিত।
চাদর বলতে আরবিতে মুলাআ শব্দটি বলা হয়েছে, যেটি একটি নতুন সংযোজিত শব্দ; মহানবী (সা.)-এর যুগে এর প্রচলন ছিল না। মুলাআ বলতে বিছানার চাদর বা লুঙ্গি বোঝানো হয়। (লিসানুল আরব: ১/১৬০; আল-নিহায়া: ৪/৩৫২) শাইখ শুকাইরি (রহ.) বলেন, ‘মহানবী (সা.)-এর রাতের বেলায় মিরাজে যাওয়া এবং ফিরে এসে বিছানা উষ্ণ পাওয়ার বিষয়টি সাব্যস্ত নয়; বরং এটি মানুষের বানানো মিথ্যা কথা।’ (আস-সুনান ওয়াল মুবতাদিআত: পৃ. ১৪৩)
একইভাবে মহানবী (সা.)-এর ঘরে দরজা বন্ধ রাখার জন্য শিকল ছিল—এ বিষয়টি প্রমাণিত নয়। বরং ইসলামের প্রথম যুগে ঘরের দরজাই থাকত না। যেমন পবিত্র কোরআনের সুরা নুরের ৬১ নম্বর আয়াত ‘তোমাদের নিজেদের জন্যও খাওয়াদাওয়া করতে দোষ নেই তোমাদের ঘরে...অথবা তোমাদের বন্ধুদের ঘরে’ এর ব্যাখ্যায় আবদুর রহমান ইবনে যাইদ বলেন, ‘এটি ছিল ইসলামের প্রথম যুগে। তখন তাদের ঘরের দরজা থাকত না; পর্দা টানিয়ে রাখা হতো।’ (তাফসিরে তাবারি: ১৯/২২১)
এ ছাড়া হাদিস থেকে এ কথা প্রমাণিত হয় যে মহানবী (সা.)-কে ছাদ খুলেই মিরাজে নেওয়া হয়। দরজা দিয়ে নয়। আনাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আবু জর বলতেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তখন মক্কায় ছিলাম। আমার ঘরের ছাদ উন্মুক্ত হয়ে গেল এবং জিবরাইল এলেন। তিনি আমার বুক ফাঁড়লেন। এরপর সেটাকে জমজমের পানি দিয়ে ধুলেন। তারপর তিনি সোনার তৈরি পাত্র আনলেন। সেটি হেকমত ও ইমানে পরিপূর্ণ ছিল। সেগুলো আমার বুকে ভরে দিলেন। এরপর বুক লাগিয়ে দিলেন। এরপর হাত ধরে আমাকে নিয়ে আকাশের দিকে উঠতে থাকলেন।...’ এভাবেই মিরাজের পুরো ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি: ৩৩৪২; মুসলিম: ১৬৩)
বোঝা গেল, জিবরাইল (আ.) সরাসরি ছাদের ছিদ্রপথ দিয়ে নবী (সা.)-কে নিয়ে মিরাজের ভ্রমণে বেরিয়েছেন; দরজা দিয়ে নয়। সুতরাং এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়, দরজার শিকল নড়ার কথাটি বানোয়াট।
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
৬ ঘণ্টা আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
১ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
১ দিন আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরির বিষয়টি ইসলাম কীভাবে দেখে?
১ দিন আগে