ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: অনেকের কাছে শুনেছি, আগের রাতে তারাবির নামাজ আদায় না করলে পরদিনের রোজা শুদ্ধ হয় না। এই কথা কি সঠিক? ইসলামের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
তারিক মাহফুজ, ফেনী
উত্তর: রোজা হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত করে পুরো দিন পানাহার ও যৌনাচার ত্যাগ করা। রোজা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো, পুরো দিন সব ধরনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ এবং যৌনাচার থেকে বিরত থাকা। আর নারীদের জন্য বিশেষ শর্ত হলো, ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব থেকে মুক্ত থাকা। এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া তথা পাগল না হওয়া চাই। সুতরাং যার রোজায় এই শর্তগুলো পাওয়া যাবে, তার রোজা শুদ্ধ হবে।
অতএব, আপনার প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, তারাবির নামাজ আদায় করা বা না করা এই শর্তগুলোর অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ তারাবি রমজানের একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। এর সঙ্গে রোজার শুদ্ধ হওয়া না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। রোজা একটি স্বতন্ত্র ফরজ ইবাদত। তারাবির নামাজ একটি স্বতন্ত্র সুন্নতে মুআক্কাদা ইবাদত। দুটির সময়কাল রমজান মাস হলেও একটির শুদ্ধ হওয়া আরেকটির ওপর নির্ভর করে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা রোজা রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের মানুষের জন্য ফরজ করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩) এটিই রোজার আবশ্যকতার মূল বিধান। এখানে তারাবির নামাজ আদায় করার কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। তাই রোজা শুদ্ধ হওয়ার জন্য তারাবির নামাজ আদায় করা জরুরি নয়।
তবে রোজার সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও তারাবির নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সুন্নতে মুআক্কাদা। ইসলামি শরিয়ত অনুমোদিত একান্ত অপারগতা ছাড়া তা পরিত্যাগকারী গুনাহগার হবেন। পুরুষের জন্য জামাতের সঙ্গে তারাবি আদায় করা সুন্নতে মুআক্কাদা কেফায়া। যদি মহল্লার কিছু লোক জামাতের সঙ্গে আদায় করেন, তাহলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। নতুবা সবাই গুনাহগার হবেন। অবশ্য একাকী আদায় করলেও তারাবি শুদ্ধ হবে। (কিতাবুল মাবসুত: ২/১৪৫, রদ্দুল মুখতার: ১/৬৫৩, ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৫/৭৭)
তারাবির গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবির নামাজকে সুন্নত করেছি। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে দিনে রোজা পালন করবে এবং রাতে তারাবির নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এমন পবিত্র হবে, যেমন নবজাতক শিশু মায়ের গর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়।’ (নাসায়ি)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া, পটিয়া, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: অনেকের কাছে শুনেছি, আগের রাতে তারাবির নামাজ আদায় না করলে পরদিনের রোজা শুদ্ধ হয় না। এই কথা কি সঠিক? ইসলামের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
তারিক মাহফুজ, ফেনী
উত্তর: রোজা হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত করে পুরো দিন পানাহার ও যৌনাচার ত্যাগ করা। রোজা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো, পুরো দিন সব ধরনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ এবং যৌনাচার থেকে বিরত থাকা। আর নারীদের জন্য বিশেষ শর্ত হলো, ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব থেকে মুক্ত থাকা। এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া তথা পাগল না হওয়া চাই। সুতরাং যার রোজায় এই শর্তগুলো পাওয়া যাবে, তার রোজা শুদ্ধ হবে।
অতএব, আপনার প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, তারাবির নামাজ আদায় করা বা না করা এই শর্তগুলোর অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ তারাবি রমজানের একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। এর সঙ্গে রোজার শুদ্ধ হওয়া না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। রোজা একটি স্বতন্ত্র ফরজ ইবাদত। তারাবির নামাজ একটি স্বতন্ত্র সুন্নতে মুআক্কাদা ইবাদত। দুটির সময়কাল রমজান মাস হলেও একটির শুদ্ধ হওয়া আরেকটির ওপর নির্ভর করে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা রোজা রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের মানুষের জন্য ফরজ করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩) এটিই রোজার আবশ্যকতার মূল বিধান। এখানে তারাবির নামাজ আদায় করার কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। তাই রোজা শুদ্ধ হওয়ার জন্য তারাবির নামাজ আদায় করা জরুরি নয়।
তবে রোজার সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও তারাবির নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সুন্নতে মুআক্কাদা। ইসলামি শরিয়ত অনুমোদিত একান্ত অপারগতা ছাড়া তা পরিত্যাগকারী গুনাহগার হবেন। পুরুষের জন্য জামাতের সঙ্গে তারাবি আদায় করা সুন্নতে মুআক্কাদা কেফায়া। যদি মহল্লার কিছু লোক জামাতের সঙ্গে আদায় করেন, তাহলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। নতুবা সবাই গুনাহগার হবেন। অবশ্য একাকী আদায় করলেও তারাবি শুদ্ধ হবে। (কিতাবুল মাবসুত: ২/১৪৫, রদ্দুল মুখতার: ১/৬৫৩, ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৫/৭৭)
তারাবির গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবির নামাজকে সুন্নত করেছি। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে দিনে রোজা পালন করবে এবং রাতে তারাবির নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এমন পবিত্র হবে, যেমন নবজাতক শিশু মায়ের গর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়।’ (নাসায়ি)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া, পটিয়া, চট্টগ্রাম
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।
২ ঘণ্টা আগেজীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
২ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
২ দিন আগে