কাউসার লাবীব

মহিমান্বিত রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আসমানি কিতাব তাওরাতও এই পবিত্র মাসেই নাজিল হয়েছে। নবী হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি বাক্যালাপ করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে ‘কালিমুল্লাহ’ বা আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথনকারী বলা হয়।
এক রজবের ২৭ তারিখ আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা (আ.)কে তুর পাহাড়ে ডেকে পাঠান। কঠিন সফর শেষে তিনি সেখানে পৌঁছান। আল্লাহর আদেশে একাধারে ৩০ দিন ইতিকাফসহ রোজা রাখেন। এরপর একইভাবে রোজা ও ইতিকাফ পালন করেন আরও ১০ দিন। তুর পাহাড়ে ৪০ দিনের অবস্থান পূর্ণ হয় রমজানের ৬ তারিখ। অর্থাৎ আজকের এই দিনে। ফলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে তাওরাত দান করলেন। কয়েকটি পাথরের ফলকে অঙ্কিত তাওরাত নিয়ে তিনি ফিরে আসেন নিজের জাতির কাছে।
তাওরাত প্রধান চার আসমানি কিতাবের একটি। এটি হিব্রু ভাষায় ইহুদিদের জন্য নাজিলকৃত ঐশীগ্রন্থ। হিব্রুতে তাওরাতের নাম তোরাহ্। তোরাহ্ শব্দের অর্থ ‘আইন’, ‘নিয়মকানুন’ বা ‘শিক্ষণীয় উপদেশ’। সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে আল্লাহ বেশ কিছু বিধান বা ধর্মীয় অনুশাসন দিয়েছিলেন তাওরাত কিতাবে। যেমন—এক. আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, দুই. মূর্তি তৈরি করা হারাম, তিন. মা-বাবার অবাধ্য হওয়া যাবে না, চার. কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হারাম, পাঁচ. ব্যভিচার করা যাবে না, ছয়. প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে কোনোরূপ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া পাপ, সাত. প্রতিবেশীর পরিবারের প্রতি অন্যায় লালসা করা হারাম ইত্যাদি।
আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.) তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী হজরত হারুন (আ.)কে নিয়ে বনি ইসরাইলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন এসব আসমানি নির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা জানতেন, বনি ইসরাইল ও ফেরাউনের সম্প্রদায় একরোখা। তারা অত সহজে হজরত মুসার দাওয়াত গ্রহণ করবে না। তাই সময়ে সময়ে তাঁকে মহান প্রভু বেশ কিছু মোজেজা দান করেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘এবং অবশ্যই আমি মুসাকে নয়টি মোজেজা দান করেছি।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১০১)
হজরত মুসা (আ.)-এর অন্যতম প্রধান দুটি মোজেজা ছিল তাঁর হাতের লাঠি। এটি প্রয়োজনে সাপে পরিণত হতো। আরেকটি হলো আলোকময় শুভ্র হাত। এসব দিয়ে তিনি অত্যাচারী ফেরাউনকে মোকাবিলা করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর মোজেজার মধ্যে ছিল ফেরাউনের সম্প্রদায়ের হঠকারিতা ও দুরাচারের কারণে দুর্ভিক্ষের আগমন, তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত ও প্লেগজনিত আজাব। এসবের পরও ফেরাউনের অত্যাচার থামছিল না। শেষে নবী মুসা (আ.)-এর বদ দোয়ায় স্বজাতিসহ সলিলসমাধি হয় স্বঘোষিত খোদা ফেরাউনের। এসব আজাবের সময় বনি ইসরাইল ফেরাউনের সম্প্রদায়ের সংলগ্ন থাকলেও তারা মুক্ত ও সুরক্ষিত থাকে।
ফেরাউনের মৃত্যুর পর বনি ইসরাইলকে নিয়ে নতুনভাবে সমাজ সাজাতে শুরু করেন আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই এই অবাধ্য সম্প্রদায় আল্লাহর বাণীকে অবজ্ঞা করতে শুরু করে। এমনকি মুসা (আ.)-এর নবুওয়ত নিয়েও প্রশ্ন তোলে। এত কিছুর পরও আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন। বারবার সঠিক পথ সন্ধানের সুযোগ দেন। নবী মুসা (আ.) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাওরাতের শিক্ষা তাদের মাঝে বিলিয়েছেন। বনি ইসরাইল সম্পর্কে দয়াময় আল্লাহর ক্ষমাশীল বাণী, ‘তার পরও তোমরা মুখ ফেরালে। সুতরাং তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে।’ (সুরা বাকারা: ৬৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

মহিমান্বিত রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আসমানি কিতাব তাওরাতও এই পবিত্র মাসেই নাজিল হয়েছে। নবী হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি বাক্যালাপ করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে ‘কালিমুল্লাহ’ বা আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথনকারী বলা হয়।
এক রজবের ২৭ তারিখ আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা (আ.)কে তুর পাহাড়ে ডেকে পাঠান। কঠিন সফর শেষে তিনি সেখানে পৌঁছান। আল্লাহর আদেশে একাধারে ৩০ দিন ইতিকাফসহ রোজা রাখেন। এরপর একইভাবে রোজা ও ইতিকাফ পালন করেন আরও ১০ দিন। তুর পাহাড়ে ৪০ দিনের অবস্থান পূর্ণ হয় রমজানের ৬ তারিখ। অর্থাৎ আজকের এই দিনে। ফলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে তাওরাত দান করলেন। কয়েকটি পাথরের ফলকে অঙ্কিত তাওরাত নিয়ে তিনি ফিরে আসেন নিজের জাতির কাছে।
তাওরাত প্রধান চার আসমানি কিতাবের একটি। এটি হিব্রু ভাষায় ইহুদিদের জন্য নাজিলকৃত ঐশীগ্রন্থ। হিব্রুতে তাওরাতের নাম তোরাহ্। তোরাহ্ শব্দের অর্থ ‘আইন’, ‘নিয়মকানুন’ বা ‘শিক্ষণীয় উপদেশ’। সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে আল্লাহ বেশ কিছু বিধান বা ধর্মীয় অনুশাসন দিয়েছিলেন তাওরাত কিতাবে। যেমন—এক. আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, দুই. মূর্তি তৈরি করা হারাম, তিন. মা-বাবার অবাধ্য হওয়া যাবে না, চার. কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হারাম, পাঁচ. ব্যভিচার করা যাবে না, ছয়. প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে কোনোরূপ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া পাপ, সাত. প্রতিবেশীর পরিবারের প্রতি অন্যায় লালসা করা হারাম ইত্যাদি।
আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.) তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী হজরত হারুন (আ.)কে নিয়ে বনি ইসরাইলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন এসব আসমানি নির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা জানতেন, বনি ইসরাইল ও ফেরাউনের সম্প্রদায় একরোখা। তারা অত সহজে হজরত মুসার দাওয়াত গ্রহণ করবে না। তাই সময়ে সময়ে তাঁকে মহান প্রভু বেশ কিছু মোজেজা দান করেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘এবং অবশ্যই আমি মুসাকে নয়টি মোজেজা দান করেছি।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১০১)
হজরত মুসা (আ.)-এর অন্যতম প্রধান দুটি মোজেজা ছিল তাঁর হাতের লাঠি। এটি প্রয়োজনে সাপে পরিণত হতো। আরেকটি হলো আলোকময় শুভ্র হাত। এসব দিয়ে তিনি অত্যাচারী ফেরাউনকে মোকাবিলা করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর মোজেজার মধ্যে ছিল ফেরাউনের সম্প্রদায়ের হঠকারিতা ও দুরাচারের কারণে দুর্ভিক্ষের আগমন, তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত ও প্লেগজনিত আজাব। এসবের পরও ফেরাউনের অত্যাচার থামছিল না। শেষে নবী মুসা (আ.)-এর বদ দোয়ায় স্বজাতিসহ সলিলসমাধি হয় স্বঘোষিত খোদা ফেরাউনের। এসব আজাবের সময় বনি ইসরাইল ফেরাউনের সম্প্রদায়ের সংলগ্ন থাকলেও তারা মুক্ত ও সুরক্ষিত থাকে।
ফেরাউনের মৃত্যুর পর বনি ইসরাইলকে নিয়ে নতুনভাবে সমাজ সাজাতে শুরু করেন আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই এই অবাধ্য সম্প্রদায় আল্লাহর বাণীকে অবজ্ঞা করতে শুরু করে। এমনকি মুসা (আ.)-এর নবুওয়ত নিয়েও প্রশ্ন তোলে। এত কিছুর পরও আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন। বারবার সঠিক পথ সন্ধানের সুযোগ দেন। নবী মুসা (আ.) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাওরাতের শিক্ষা তাদের মাঝে বিলিয়েছেন। বনি ইসরাইল সম্পর্কে দয়াময় আল্লাহর ক্ষমাশীল বাণী, ‘তার পরও তোমরা মুখ ফেরালে। সুতরাং তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে।’ (সুরা বাকারা: ৬৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
কাউসার লাবীব

মহিমান্বিত রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আসমানি কিতাব তাওরাতও এই পবিত্র মাসেই নাজিল হয়েছে। নবী হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি বাক্যালাপ করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে ‘কালিমুল্লাহ’ বা আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথনকারী বলা হয়।
এক রজবের ২৭ তারিখ আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা (আ.)কে তুর পাহাড়ে ডেকে পাঠান। কঠিন সফর শেষে তিনি সেখানে পৌঁছান। আল্লাহর আদেশে একাধারে ৩০ দিন ইতিকাফসহ রোজা রাখেন। এরপর একইভাবে রোজা ও ইতিকাফ পালন করেন আরও ১০ দিন। তুর পাহাড়ে ৪০ দিনের অবস্থান পূর্ণ হয় রমজানের ৬ তারিখ। অর্থাৎ আজকের এই দিনে। ফলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে তাওরাত দান করলেন। কয়েকটি পাথরের ফলকে অঙ্কিত তাওরাত নিয়ে তিনি ফিরে আসেন নিজের জাতির কাছে।
তাওরাত প্রধান চার আসমানি কিতাবের একটি। এটি হিব্রু ভাষায় ইহুদিদের জন্য নাজিলকৃত ঐশীগ্রন্থ। হিব্রুতে তাওরাতের নাম তোরাহ্। তোরাহ্ শব্দের অর্থ ‘আইন’, ‘নিয়মকানুন’ বা ‘শিক্ষণীয় উপদেশ’। সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে আল্লাহ বেশ কিছু বিধান বা ধর্মীয় অনুশাসন দিয়েছিলেন তাওরাত কিতাবে। যেমন—এক. আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, দুই. মূর্তি তৈরি করা হারাম, তিন. মা-বাবার অবাধ্য হওয়া যাবে না, চার. কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হারাম, পাঁচ. ব্যভিচার করা যাবে না, ছয়. প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে কোনোরূপ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া পাপ, সাত. প্রতিবেশীর পরিবারের প্রতি অন্যায় লালসা করা হারাম ইত্যাদি।
আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.) তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী হজরত হারুন (আ.)কে নিয়ে বনি ইসরাইলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন এসব আসমানি নির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা জানতেন, বনি ইসরাইল ও ফেরাউনের সম্প্রদায় একরোখা। তারা অত সহজে হজরত মুসার দাওয়াত গ্রহণ করবে না। তাই সময়ে সময়ে তাঁকে মহান প্রভু বেশ কিছু মোজেজা দান করেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘এবং অবশ্যই আমি মুসাকে নয়টি মোজেজা দান করেছি।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১০১)
হজরত মুসা (আ.)-এর অন্যতম প্রধান দুটি মোজেজা ছিল তাঁর হাতের লাঠি। এটি প্রয়োজনে সাপে পরিণত হতো। আরেকটি হলো আলোকময় শুভ্র হাত। এসব দিয়ে তিনি অত্যাচারী ফেরাউনকে মোকাবিলা করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর মোজেজার মধ্যে ছিল ফেরাউনের সম্প্রদায়ের হঠকারিতা ও দুরাচারের কারণে দুর্ভিক্ষের আগমন, তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত ও প্লেগজনিত আজাব। এসবের পরও ফেরাউনের অত্যাচার থামছিল না। শেষে নবী মুসা (আ.)-এর বদ দোয়ায় স্বজাতিসহ সলিলসমাধি হয় স্বঘোষিত খোদা ফেরাউনের। এসব আজাবের সময় বনি ইসরাইল ফেরাউনের সম্প্রদায়ের সংলগ্ন থাকলেও তারা মুক্ত ও সুরক্ষিত থাকে।
ফেরাউনের মৃত্যুর পর বনি ইসরাইলকে নিয়ে নতুনভাবে সমাজ সাজাতে শুরু করেন আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই এই অবাধ্য সম্প্রদায় আল্লাহর বাণীকে অবজ্ঞা করতে শুরু করে। এমনকি মুসা (আ.)-এর নবুওয়ত নিয়েও প্রশ্ন তোলে। এত কিছুর পরও আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন। বারবার সঠিক পথ সন্ধানের সুযোগ দেন। নবী মুসা (আ.) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাওরাতের শিক্ষা তাদের মাঝে বিলিয়েছেন। বনি ইসরাইল সম্পর্কে দয়াময় আল্লাহর ক্ষমাশীল বাণী, ‘তার পরও তোমরা মুখ ফেরালে। সুতরাং তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে।’ (সুরা বাকারা: ৬৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

মহিমান্বিত রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আসমানি কিতাব তাওরাতও এই পবিত্র মাসেই নাজিল হয়েছে। নবী হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি বাক্যালাপ করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে ‘কালিমুল্লাহ’ বা আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথনকারী বলা হয়।
এক রজবের ২৭ তারিখ আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা (আ.)কে তুর পাহাড়ে ডেকে পাঠান। কঠিন সফর শেষে তিনি সেখানে পৌঁছান। আল্লাহর আদেশে একাধারে ৩০ দিন ইতিকাফসহ রোজা রাখেন। এরপর একইভাবে রোজা ও ইতিকাফ পালন করেন আরও ১০ দিন। তুর পাহাড়ে ৪০ দিনের অবস্থান পূর্ণ হয় রমজানের ৬ তারিখ। অর্থাৎ আজকের এই দিনে। ফলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে তাওরাত দান করলেন। কয়েকটি পাথরের ফলকে অঙ্কিত তাওরাত নিয়ে তিনি ফিরে আসেন নিজের জাতির কাছে।
তাওরাত প্রধান চার আসমানি কিতাবের একটি। এটি হিব্রু ভাষায় ইহুদিদের জন্য নাজিলকৃত ঐশীগ্রন্থ। হিব্রুতে তাওরাতের নাম তোরাহ্। তোরাহ্ শব্দের অর্থ ‘আইন’, ‘নিয়মকানুন’ বা ‘শিক্ষণীয় উপদেশ’। সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে আল্লাহ বেশ কিছু বিধান বা ধর্মীয় অনুশাসন দিয়েছিলেন তাওরাত কিতাবে। যেমন—এক. আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, দুই. মূর্তি তৈরি করা হারাম, তিন. মা-বাবার অবাধ্য হওয়া যাবে না, চার. কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হারাম, পাঁচ. ব্যভিচার করা যাবে না, ছয়. প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে কোনোরূপ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া পাপ, সাত. প্রতিবেশীর পরিবারের প্রতি অন্যায় লালসা করা হারাম ইত্যাদি।
আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.) তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী হজরত হারুন (আ.)কে নিয়ে বনি ইসরাইলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন এসব আসমানি নির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা জানতেন, বনি ইসরাইল ও ফেরাউনের সম্প্রদায় একরোখা। তারা অত সহজে হজরত মুসার দাওয়াত গ্রহণ করবে না। তাই সময়ে সময়ে তাঁকে মহান প্রভু বেশ কিছু মোজেজা দান করেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘এবং অবশ্যই আমি মুসাকে নয়টি মোজেজা দান করেছি।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১০১)
হজরত মুসা (আ.)-এর অন্যতম প্রধান দুটি মোজেজা ছিল তাঁর হাতের লাঠি। এটি প্রয়োজনে সাপে পরিণত হতো। আরেকটি হলো আলোকময় শুভ্র হাত। এসব দিয়ে তিনি অত্যাচারী ফেরাউনকে মোকাবিলা করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর মোজেজার মধ্যে ছিল ফেরাউনের সম্প্রদায়ের হঠকারিতা ও দুরাচারের কারণে দুর্ভিক্ষের আগমন, তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত ও প্লেগজনিত আজাব। এসবের পরও ফেরাউনের অত্যাচার থামছিল না। শেষে নবী মুসা (আ.)-এর বদ দোয়ায় স্বজাতিসহ সলিলসমাধি হয় স্বঘোষিত খোদা ফেরাউনের। এসব আজাবের সময় বনি ইসরাইল ফেরাউনের সম্প্রদায়ের সংলগ্ন থাকলেও তারা মুক্ত ও সুরক্ষিত থাকে।
ফেরাউনের মৃত্যুর পর বনি ইসরাইলকে নিয়ে নতুনভাবে সমাজ সাজাতে শুরু করেন আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই এই অবাধ্য সম্প্রদায় আল্লাহর বাণীকে অবজ্ঞা করতে শুরু করে। এমনকি মুসা (আ.)-এর নবুওয়ত নিয়েও প্রশ্ন তোলে। এত কিছুর পরও আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন। বারবার সঠিক পথ সন্ধানের সুযোগ দেন। নবী মুসা (আ.) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাওরাতের শিক্ষা তাদের মাঝে বিলিয়েছেন। বনি ইসরাইল সম্পর্কে দয়াময় আল্লাহর ক্ষমাশীল বাণী, ‘তার পরও তোমরা মুখ ফেরালে। সুতরাং তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে।’ (সুরা বাকারা: ৬৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহিমান্বিত রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আসমানি কিতাব তাওরাতও এই পবিত্র মাসেই নাজিল হয়েছে। নবী হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি বাক্যালাপ করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে ‘কালিমুল্লাহ’ বা আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথনকারী বলা হয়।
২৯ মার্চ ২০২৩
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মহিমান্বিত রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আসমানি কিতাব তাওরাতও এই পবিত্র মাসেই নাজিল হয়েছে। নবী হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি বাক্যালাপ করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে ‘কালিমুল্লাহ’ বা আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথনকারী বলা হয়।
২৯ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

মহিমান্বিত রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আসমানি কিতাব তাওরাতও এই পবিত্র মাসেই নাজিল হয়েছে। নবী হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি বাক্যালাপ করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে ‘কালিমুল্লাহ’ বা আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথনকারী বলা হয়।
২৯ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহিমান্বিত রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আসমানি কিতাব তাওরাতও এই পবিত্র মাসেই নাজিল হয়েছে। নবী হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি বাক্যালাপ করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে ‘কালিমুল্লাহ’ বা আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথনকারী বলা হয়।
২৯ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৮ ঘণ্টা আগে