Ajker Patrika

নিয়মিত দরুদ পাঠ: দোয়া কবুলের সহজ উপায়

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুমিনের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা। এটি এমন এক আমল, যা সরাসরি কোরআনের নির্দেশ এবং অসংখ্য সহিহ হাদিসে এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর ওপর দরুদ পাঠ করেন। হে ইমানদারগণ! তোমরাও তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করো এবং সালাম প্রেরণ করো।’ (সুরা আহজাব: ৫৬)

রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও দরুদ পাঠের ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত পাঠাবেন।’ (সহিহ মুসলিম)।

এ ছাড়া, দোয়া কবুলের জন্যও দরুদ পাঠ অত্যন্ত কার্যকর। হাদিসে এসেছে, ‘প্রতিটি দোয়া আসমান ও জমিনের মাঝে ঝুলে থাকে, যতক্ষণ না আমার ওপর দরুদ পাঠ করা হয়। যখন দরুদ পাঠ করা হয়, তখন দোয়া আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায়।’ (জামে তিরমিজি)

দরুদ পাঠের আরও কিছু উল্লেখযোগ্য ফজিলত হলো গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধি। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে একবার আমার ওপর দরুদ পাঠ করবে, তার জন্য ১০ নেকি লেখা হবে, ১০ গুনাহ মাফ হবে এবং মর্যাদা ১০ ধাপ বৃদ্ধি পাবে।’ (সুনান নাসায়ি)। কিয়ামতের দিন তাঁর নৈকট্য লাভের জন্যও বেশি বেশি দরুদ পাঠের নির্দেশ রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আমার কাছে সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে সেই ব্যক্তি, যে আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠ করেছে।’ (জামে তিরমিজি)।

দরুদ পাঠ আমাদের দুশ্চিন্তা ও কষ্ট দূর করে। উবাই ইবনে কাব (রা.) যখন তাঁর অধিকাংশ দোয়া দরুদে উৎসর্গ করার কথা জানালেন, তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাহলে তোমার দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে এবং তোমার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (জামে তিরমিজি)।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত