ইসলাম ডেস্ক
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এই নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
এ নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। নিয়ত করে তাকবির বেঁধে নামাজ শুরু করবে। দুই রাকাতেই ফাতেহার পর অন্য সুরা মেলাবে। বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরিফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। তবে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে অজু করলে তখন এই নামাজ আদায় করা যাবে না।
উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে তাহিয়্যাতুল অজুর ফজিলত সম্পর্কে জানা যায়। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান ভালোভাবে অজু করে শরীর ও মনকে পুরোপুরি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৩৪)
একবার উসমান (রা.) ভালোভাবে অজু করে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে এভাবে অজু করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার পেছনের সব (ছগিরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫৯)
একদিন ফজরের নামাজের পর বেলাল (রা.)-কে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘বেলাল, আমাকে বলো দেখি, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে নিজের কোন আমল তোমার কাছে (সওয়াবের আশার দিক থেকে) সবচেয়ে উত্তম বলে মনে হয়? কারণ, আমি জান্নাতে আমার সামনে সামনে তোমার হাঁটার আওয়াজ শুনেছি।’ বেলাল (রা.) বললেন, ‘তেমন কোনো আমল আমার নেই; যার ফলে আমি (বিপুল সওয়াবের) আশা করতে পারি। তবে দিনরাতে যখনই অজু করি; সেই অজুর মাধ্যমে যে কয় রাকাত সম্ভব হয়, (নফল) নামাজ আদায় করি।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৪৯)
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এই নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
এ নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। নিয়ত করে তাকবির বেঁধে নামাজ শুরু করবে। দুই রাকাতেই ফাতেহার পর অন্য সুরা মেলাবে। বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরিফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। তবে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে অজু করলে তখন এই নামাজ আদায় করা যাবে না।
উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে তাহিয়্যাতুল অজুর ফজিলত সম্পর্কে জানা যায়। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান ভালোভাবে অজু করে শরীর ও মনকে পুরোপুরি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৩৪)
একবার উসমান (রা.) ভালোভাবে অজু করে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে এভাবে অজু করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার পেছনের সব (ছগিরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫৯)
একদিন ফজরের নামাজের পর বেলাল (রা.)-কে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘বেলাল, আমাকে বলো দেখি, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে নিজের কোন আমল তোমার কাছে (সওয়াবের আশার দিক থেকে) সবচেয়ে উত্তম বলে মনে হয়? কারণ, আমি জান্নাতে আমার সামনে সামনে তোমার হাঁটার আওয়াজ শুনেছি।’ বেলাল (রা.) বললেন, ‘তেমন কোনো আমল আমার নেই; যার ফলে আমি (বিপুল সওয়াবের) আশা করতে পারি। তবে দিনরাতে যখনই অজু করি; সেই অজুর মাধ্যমে যে কয় রাকাত সম্ভব হয়, (নফল) নামাজ আদায় করি।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৪৯)
নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং মুমিনের আত্মিক প্রশান্তি, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার একটি মহান উপায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
৪ ঘণ্টা আগেআমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১ দিন আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগে