আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী অর্থনীতিবিদ দম্পতি, নোবেলজয়ী এস্থার দুফলো ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ছেড়ে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন। আগামী বছর জুলাই থেকে তাঁরা জুরিখের অর্থনীতি অনুষদে কাজ শুরু করবেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফরাসি-মার্কিন নাগরিক দুফলো এমন এক সময়ে এই সিদ্ধান্ত নিলেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গবেষণা তহবিলে ব্যাপক কাটছাঁট এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণায় স্বাধীনতার ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ শুরু করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ব্রেইন ড্রেন’ বা মেধা পাচারের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
মার্কিন নীতির কঠোর সমালোচক দুফলো নিজেও এই উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছেন। এর আগে মার্চ মাসে তিনি ফরাসি সংবাদপত্র লা মঁদে একটি সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান গবেষণার ‘নজিরবিহীন হস্তক্ষেপের’ তীব্র নিন্দা জানান। এই পরিস্থিতিতে জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রখ্যাত দম্পতিকে আকৃষ্ট করতে সফল হলো। অবশ্য জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন পদে যোগ দিলেও এই দম্পতি এমআইটিতে খণ্ডকালীন পদে যুক্ত থাকবেন।
এস্থার দুফলো ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালে মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে যৌথভাবে অর্থনীতিতে নোবেল পান। ‘বিশ্বে দারিদ্র্য লাঘবে পরীক্ষামূলক পদ্ধতি’ প্রয়োগের জন্য তাঁরা নোবেল পান। তাঁদের গবেষণা উন্নয়ন অর্থনীতির ক্ষেত্রে র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোলড ট্রায়াল পদ্ধতি ব্যবহারের পথ উন্মুক্ত করে। এই পদ্ধতি কঠোর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে কোন পদক্ষেপ কাজ করে এবং কোনটি করে না, তা যাচাই করতে সাহায্য করে।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর লেম্যান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে দুজনেই বিশেষ অধ্যাপক পদ লাভ করবেন। তাঁরা সেখানে একটি নতুন গবেষণা কেন্দ্র—‘লেম্যান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট, এডুকেশন অ্যান্ড পাবলিক পলিসি’ প্রতিষ্ঠা ও যৌথভাবে নেতৃত্ব দেবেন। লেম্যান ফাউন্ডেশন এই কর্মসূচিতে সহায়তা করার জন্য ২৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ অনুদান দিয়েছে।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মাইকেল শ্যাপম্যান এই যোগদানকে ‘বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দুই অর্থনীতিবিদের আগমন’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন।
ড. ডুফলো জানান, এই নতুন কেন্দ্র তাঁদের কাজকে আরও সম্প্রসারিত করতে সাহায্য করবে। লেম্যান সেন্টারের মূল লক্ষ্য থাকবে: গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে সরাসরি জননীতি প্রণয়নে কাজে লাগানো; উন্নয়ন অর্থনীতিতে আগ্রহী পরবর্তী প্রজন্মের গবেষকদের মেন্টরশিপ দেওয়া; বিশ্বজুড়ে গবেষক এবং শিক্ষা নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ তৈরি করা, যাতে তাঁদের গবেষণা বাস্তবে নীতিগত প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে দুফলো এমআইটিতে উন্নয়ন অর্থনীতি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের ‘আব্দুল লতিফ জামিল অধ্যাপক’। তিনি কলেজ ডি ফ্রান্সের দারিদ্র্য ও জননীতি বিভাগের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া দুফলো প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিকসের সভাপতি। তিনি ইকোনমেট্রিক সোসাইটি, আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের ফেলো।
অভিজিৎ ভারতের মুম্বাইয়ে অর্থনীতির শিক্ষাবিদদের একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৯৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি প্রিন্সটন এবং হার্ভার্ডে অধ্যাপক হন।
এরপর তিনি এমআইটিতে ফোর্ড ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল প্রফেসর অব ইকোনমিকস হন। ২০১৫ সালে বিয়ের পর অভিজিৎ এবং দুফলো ‘আব্দুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব’ প্রতিষ্ঠায় সেন্দিল মুল্লাইনাথনের সঙ্গে যোগ দেন।
এ ছাড়া অভিজিৎ ইকোনমেট্রিক সোসাইটি, আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের ফেলো।
উল্লেখ্য, এবারের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম আগামীকাল সোমবার ঘোষণা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী অর্থনীতিবিদ দম্পতি, নোবেলজয়ী এস্থার দুফলো ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ছেড়ে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন। আগামী বছর জুলাই থেকে তাঁরা জুরিখের অর্থনীতি অনুষদে কাজ শুরু করবেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফরাসি-মার্কিন নাগরিক দুফলো এমন এক সময়ে এই সিদ্ধান্ত নিলেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গবেষণা তহবিলে ব্যাপক কাটছাঁট এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণায় স্বাধীনতার ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ শুরু করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ব্রেইন ড্রেন’ বা মেধা পাচারের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
মার্কিন নীতির কঠোর সমালোচক দুফলো নিজেও এই উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছেন। এর আগে মার্চ মাসে তিনি ফরাসি সংবাদপত্র লা মঁদে একটি সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান গবেষণার ‘নজিরবিহীন হস্তক্ষেপের’ তীব্র নিন্দা জানান। এই পরিস্থিতিতে জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রখ্যাত দম্পতিকে আকৃষ্ট করতে সফল হলো। অবশ্য জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন পদে যোগ দিলেও এই দম্পতি এমআইটিতে খণ্ডকালীন পদে যুক্ত থাকবেন।
এস্থার দুফলো ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালে মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে যৌথভাবে অর্থনীতিতে নোবেল পান। ‘বিশ্বে দারিদ্র্য লাঘবে পরীক্ষামূলক পদ্ধতি’ প্রয়োগের জন্য তাঁরা নোবেল পান। তাঁদের গবেষণা উন্নয়ন অর্থনীতির ক্ষেত্রে র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোলড ট্রায়াল পদ্ধতি ব্যবহারের পথ উন্মুক্ত করে। এই পদ্ধতি কঠোর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে কোন পদক্ষেপ কাজ করে এবং কোনটি করে না, তা যাচাই করতে সাহায্য করে।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর লেম্যান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে দুজনেই বিশেষ অধ্যাপক পদ লাভ করবেন। তাঁরা সেখানে একটি নতুন গবেষণা কেন্দ্র—‘লেম্যান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট, এডুকেশন অ্যান্ড পাবলিক পলিসি’ প্রতিষ্ঠা ও যৌথভাবে নেতৃত্ব দেবেন। লেম্যান ফাউন্ডেশন এই কর্মসূচিতে সহায়তা করার জন্য ২৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ অনুদান দিয়েছে।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মাইকেল শ্যাপম্যান এই যোগদানকে ‘বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দুই অর্থনীতিবিদের আগমন’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন।
ড. ডুফলো জানান, এই নতুন কেন্দ্র তাঁদের কাজকে আরও সম্প্রসারিত করতে সাহায্য করবে। লেম্যান সেন্টারের মূল লক্ষ্য থাকবে: গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে সরাসরি জননীতি প্রণয়নে কাজে লাগানো; উন্নয়ন অর্থনীতিতে আগ্রহী পরবর্তী প্রজন্মের গবেষকদের মেন্টরশিপ দেওয়া; বিশ্বজুড়ে গবেষক এবং শিক্ষা নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ তৈরি করা, যাতে তাঁদের গবেষণা বাস্তবে নীতিগত প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে দুফলো এমআইটিতে উন্নয়ন অর্থনীতি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের ‘আব্দুল লতিফ জামিল অধ্যাপক’। তিনি কলেজ ডি ফ্রান্সের দারিদ্র্য ও জননীতি বিভাগের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া দুফলো প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিকসের সভাপতি। তিনি ইকোনমেট্রিক সোসাইটি, আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের ফেলো।
অভিজিৎ ভারতের মুম্বাইয়ে অর্থনীতির শিক্ষাবিদদের একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৯৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি প্রিন্সটন এবং হার্ভার্ডে অধ্যাপক হন।
এরপর তিনি এমআইটিতে ফোর্ড ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল প্রফেসর অব ইকোনমিকস হন। ২০১৫ সালে বিয়ের পর অভিজিৎ এবং দুফলো ‘আব্দুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব’ প্রতিষ্ঠায় সেন্দিল মুল্লাইনাথনের সঙ্গে যোগ দেন।
এ ছাড়া অভিজিৎ ইকোনমেট্রিক সোসাইটি, আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের ফেলো।
উল্লেখ্য, এবারের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম আগামীকাল সোমবার ঘোষণা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:
গত সপ্তাহে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। কিন্তু সেই নথি খোলা যাচ্ছে না মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কিংবা অন্য কোনো মার্কিন সফটওয়্যারে। প্রথমবারের মতো মন্ত্রণালয় এমন ফাইল ফরম্যাটে নথি প্রকাশ করেছে, যা কেবলমাত্র চীনের নিজস্ব সফটওয়্যার ‘ডব্লিউপিএস অফিস’—এ খোলা যায়।
১ ঘণ্টা আগেবিহারের বর্তমান সরকার নিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, রাজ্যে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জোট এনডিএ নিশ্চিতভাবে পরাজিত হতে যাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, ‘নিতীশ কুমারের নেতৃত্বে জেডি-ইউ (জনতা দল-ইউনাইটেড) ২৫টি আসনও পাবে না। এনডিএর এবার বিদায় নিশ্চিত, নিতীশ কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না।’
৩ ঘণ্টা আগেসুপরিচিত পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিরক্ষা কৌশলবিদ অ্যাশলে জে. টেলিসকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গোপনীয় জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য বেআইনিভাবে নিজের কাছে রাখার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভার্জিনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় জেলার মার্কিন অ্যাটর্নির কার্যালয় সংবাদমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি ও মানবিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। হামাস রেডক্রসের হাতে আরও চারজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। ফলে মোট মৃত জিম্মির সংখ্যা দাঁড়াল ৮-এ। এদিকে গাজায় ভয়াবহ খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটের মধ্যে তুরস্ক ৯০০ টন মানবিক সাহায্যের একটি জাহাজ পাঠিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে