ব্রিটেনের ন্যায়বিচারের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি বলা হচ্ছে বিষয়টিকে। যুক্তরাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পোস্ট অফিসের শত শত কর্মীকে ভুলবশত দোষী সাব্যস্ত ও শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। একটি টিভি নাটকের সূত্র ধরে সেই কেলেঙ্কারি এখন দেশের সাধারণ মানুষও জেনে গেছে। যুক্তরাজ্যজুড়ে এবার বিষয়টির ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে।
‘মিস্টার বেটস ভার্সেস দ্য পোস্ট অফিস: দ্য রিয়েল স্টোরি’ নামের ওই টিভি সিরিয়ালটিতে পোস্ট অফিসের বিরুদ্ধে অ্যালান বেটস নামে এক সাব-পোস্টমাস্টারের আইনি লড়াইকে দেখানো হয়েছে। বেটস সহ তাঁর মতো আরও প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের বিরুদ্ধে এই প্রতারণার অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাজ্যের ডাক বিভাগ।
এ বিষয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সাল থেকে জাপানের ফুজিৎসু কোম্পানির দ্বারা তৈরি একটি হরাইজন কম্পিউটার অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের সাহায্যে মানুষের সঞ্চয় ও পেনশনের হিসেব রাখত ব্রিটিশ ডাক পরিষেবা। সেই কম্পিউটার সিস্টেমেই ছিল গোলমাল। এর ফলে দেখা যেতো—অনেকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ খোয়া গেছে।
ডাক বিভাগের কর্মীরাও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সফটওয়্যারে ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি করছিলেন। তবে সিস্টেমে ত্রুটি থাকার বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।
পরে অসংগতির মুখোমুখি হয়ে এবং ঊর্ধ্বতনদের সহযোগিতা না পেয়ে কিছু সাব-পোস্টমাস্টার এবং সাব-পোস্টমিস্ট্রেস নিজের পকেট থেকে অর্থ দিয়ে খোয়া যাওয়া অর্থ পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডাক বিভাগের প্রধানেরা অর্থ খোয়া যাওয়ার বিষয়টিকে ‘প্রতারণা করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ তোলেন এবং কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন।
ব্রিটেনজুড়ে পোস্ট অফিস শাখার ব্যবস্থাপককে পোস্টমাস্টার বা পোস্টমিস্ট্রেস বলা হয়। এ ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত সমাজের সবার কাছে খুব প্রিয় এবং বিশ্বস্ত হন। কারণ অসংখ্য মানুষের সঞ্চয় এবং পেনশন তাঁদেরই পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু শত শত ডাক কর্মীকে ১৯৯৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মিথ্যা হিসেব, চুরি এবং জালিয়াতিতে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তাঁদের অনেকেই কারাগারে গেছেন, চাকরি হারিয়ে অনেকেই দেউলিয়া হয়েছেন, কারও সংসার ভেঙে গেছে, এমনকি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই কেউ কেউ মারা গেছেন।
২০১৯ সালে ব্রিটিশ আদালত কম্পিউটার সফটওয়্যার ত্রুটির বিষয়টি সামনে আনে এবং ডাক কর্মীদের ভুলবশত শাস্তি ও বিচারের মুখোমুখি করায় সরকারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ প্রদান করে। তবে এ ধরনের কেলেঙ্কারির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো জবাবদিহি ও শাস্তি পেতে হয়নি।
‘মিস্টার বেটস ভার্সেস দ্য পোস্ট অফিস: দ্য রিয়েল স্টোরি’ নামক টিভি সিরিয়ালের সূত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় টনক নড়েছে যুক্তরাজ্যের বর্তমান ঋষি সুনাক সরকারের। তোড় জোর শুরু হয়েছে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার।
প্রধানমন্ত্রী সুনাক বলেছেন, তার সরকার অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়া পোস্টমাস্টারদের অব্যাহতি দেওয়ার একটি পদক্ষেপ বিবেচনা করছে। এই কেলেঙ্কারিকে তিনি ‘বিচারের ভয়ংকর গর্ভপাত’ বলে অভিহিত করেছেন।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশও নিশ্চিত করেছে, ভুল বিচারের বিষয়ে ডাক বিভাগও নিজস্ব তদন্ত পরিচালনা করছে।
পোস্ট অফিসের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী পাওলা ভেনেলসকে এই কেলেঙ্কারির জন্য বিশেষভাবে দায়ী করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁর অফিশিয়াল সম্মান ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ মানুষ।
ব্রিটেনের ন্যায়বিচারের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি বলা হচ্ছে বিষয়টিকে। যুক্তরাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পোস্ট অফিসের শত শত কর্মীকে ভুলবশত দোষী সাব্যস্ত ও শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। একটি টিভি নাটকের সূত্র ধরে সেই কেলেঙ্কারি এখন দেশের সাধারণ মানুষও জেনে গেছে। যুক্তরাজ্যজুড়ে এবার বিষয়টির ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে।
‘মিস্টার বেটস ভার্সেস দ্য পোস্ট অফিস: দ্য রিয়েল স্টোরি’ নামের ওই টিভি সিরিয়ালটিতে পোস্ট অফিসের বিরুদ্ধে অ্যালান বেটস নামে এক সাব-পোস্টমাস্টারের আইনি লড়াইকে দেখানো হয়েছে। বেটস সহ তাঁর মতো আরও প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের বিরুদ্ধে এই প্রতারণার অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাজ্যের ডাক বিভাগ।
এ বিষয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সাল থেকে জাপানের ফুজিৎসু কোম্পানির দ্বারা তৈরি একটি হরাইজন কম্পিউটার অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের সাহায্যে মানুষের সঞ্চয় ও পেনশনের হিসেব রাখত ব্রিটিশ ডাক পরিষেবা। সেই কম্পিউটার সিস্টেমেই ছিল গোলমাল। এর ফলে দেখা যেতো—অনেকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ খোয়া গেছে।
ডাক বিভাগের কর্মীরাও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সফটওয়্যারে ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি করছিলেন। তবে সিস্টেমে ত্রুটি থাকার বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।
পরে অসংগতির মুখোমুখি হয়ে এবং ঊর্ধ্বতনদের সহযোগিতা না পেয়ে কিছু সাব-পোস্টমাস্টার এবং সাব-পোস্টমিস্ট্রেস নিজের পকেট থেকে অর্থ দিয়ে খোয়া যাওয়া অর্থ পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডাক বিভাগের প্রধানেরা অর্থ খোয়া যাওয়ার বিষয়টিকে ‘প্রতারণা করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ তোলেন এবং কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন।
ব্রিটেনজুড়ে পোস্ট অফিস শাখার ব্যবস্থাপককে পোস্টমাস্টার বা পোস্টমিস্ট্রেস বলা হয়। এ ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত সমাজের সবার কাছে খুব প্রিয় এবং বিশ্বস্ত হন। কারণ অসংখ্য মানুষের সঞ্চয় এবং পেনশন তাঁদেরই পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু শত শত ডাক কর্মীকে ১৯৯৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মিথ্যা হিসেব, চুরি এবং জালিয়াতিতে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তাঁদের অনেকেই কারাগারে গেছেন, চাকরি হারিয়ে অনেকেই দেউলিয়া হয়েছেন, কারও সংসার ভেঙে গেছে, এমনকি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই কেউ কেউ মারা গেছেন।
২০১৯ সালে ব্রিটিশ আদালত কম্পিউটার সফটওয়্যার ত্রুটির বিষয়টি সামনে আনে এবং ডাক কর্মীদের ভুলবশত শাস্তি ও বিচারের মুখোমুখি করায় সরকারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ প্রদান করে। তবে এ ধরনের কেলেঙ্কারির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো জবাবদিহি ও শাস্তি পেতে হয়নি।
‘মিস্টার বেটস ভার্সেস দ্য পোস্ট অফিস: দ্য রিয়েল স্টোরি’ নামক টিভি সিরিয়ালের সূত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় টনক নড়েছে যুক্তরাজ্যের বর্তমান ঋষি সুনাক সরকারের। তোড় জোর শুরু হয়েছে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার।
প্রধানমন্ত্রী সুনাক বলেছেন, তার সরকার অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়া পোস্টমাস্টারদের অব্যাহতি দেওয়ার একটি পদক্ষেপ বিবেচনা করছে। এই কেলেঙ্কারিকে তিনি ‘বিচারের ভয়ংকর গর্ভপাত’ বলে অভিহিত করেছেন।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশও নিশ্চিত করেছে, ভুল বিচারের বিষয়ে ডাক বিভাগও নিজস্ব তদন্ত পরিচালনা করছে।
পোস্ট অফিসের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী পাওলা ভেনেলসকে এই কেলেঙ্কারির জন্য বিশেষভাবে দায়ী করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁর অফিশিয়াল সম্মান ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ মানুষ।
আনোয়ার ইব্রাহিম একটি সংস্কারবাদী স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং দেশের ভঙ্গুর রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে অনেকের দাবি, তিনি এসব প্রতিশ্রুতির কোনোটাও পূরণ করতে পারেননি।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানে চার দিনের ব্যক্তিগত সফরে স্কটল্যান্ডে অবস্থান করছেন। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে প্রেসউইক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর থেকে তাঁকে ঘিরে দেশটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঅঞ্জলী শীল জানিয়েছেন, তাঁর বাবা, ভাই, মামা—সবাই আসামে বাস করেন এবং তাঁরা সেখানকার ভূমিপুত্র। তাঁদের কাছে কোনো চিঠি না এসে একমাত্র তাঁর কাছেই কেন চিঠি এল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
৮ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী সোনা কমস্টারের প্রয়াত নির্বাহী সঞ্জয় কাপুর মারা যাওয়ার পর তাঁর মা রানী কাপুর অভিযোগ করেছেন, তাঁকে একঘরে আটকে রেখে জোর করে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর পুত্রবধূ প্রিয়া সাচদেব কাপুরসহ কিছু ব্যক্তি সোনা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য এসব করেছেন। তিনি
৯ ঘণ্টা আগে