Ajker Patrika

আমাদের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ দাও: ইউক্রেনকে ট্রাম্প

ট্রাম্পের এবারের মেয়াদে বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অম্লমধুর হবে? ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের এবারের মেয়াদে বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অম্লমধুর হবে? ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের কাছে বিরল খনিজ চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প—এটি বেশ পুরোনো খবর। তবে এবার তিনি দেশটিকে সরাসরি অর্থের পরিমাণও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা চায় তবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বিরল খনিজ ওয়াশিংটনকে দিতে হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজে গতকাল সোমবার রাতে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশ প্রচারিত হয়। সেখানেই রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনকে পরমাণু আক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে শত শত বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, তার প্রতিদানে ইউক্রেনের বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের একটি অংশ পাওয়ার কথা দেশটিকে জানিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের (ইউক্রেনকে) বলেছি, আমি চাই ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিরল পৃথিবী খনিজ চাই। আর তারা আসলে এটা করতে সম্মত হয়েছে, যাতে অন্তত আমরা বোকা না হয়ে থাকি। এমনটা না হলে আমরা আসলেই বোকা। আমি তাদের বলেছি, আমাদের কিছু পেতে হবে, কারণ আমরা এত অর্থ তাদের পেছনে (বিনা লাভে) খরচ করতে পারি না।’

ইউক্রেনের ব্যাপক পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ও খনিজ, যেমন লিথিয়াম থেকে টাইটানিয়াম আছে। এগুলো আধুনিক প্রযুক্তি পণ্য তৈরিতে অপরিহার্য। এ ছাড়া দেশটিতে আছে বিশাল কয়লার মজুত। পাশাপাশি তেল, গ্যাস ও ইউরেনিয়ামও আছে দেশটির। তবে বর্তমানে এর অধিকাংশই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পকে নিজেদের পাশে রাখতে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়নের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই ধারণাটি ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ নামক একটি অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা নীতিমালার অংশও ছিল। গত বছর ইউক্রেনের মিত্রদের কাছে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন জেলেনস্কি।

গত শুক্রবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমেরিকানরা সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে, সুতরাং আমেরিকানদের সবচেয়ে বেশি লাভ করা উচিত। আমি এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথাও বলতে চাই।’

এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ট্রাম্প ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চাই। যেখানে তারা আমাদের দেওয়া সহায়তার বিনিময়ে তাদের বিরল মৃত্তিকা খনিজ ও অন্যান্য সম্পদ দেবে।’ তাঁর এই মন্তব্যের পর জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি ট্রাম্পের লেনদেন ভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতিকে ‘খুব স্বার্থপর, খুব আত্মকেন্দ্রিক’ বলে সমালোচনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত