Ajker Patrika

ট্রাম্পের ইউটার্ন, আবার চালু হচ্ছে এনজিওর সহায়তা কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬: ৫৩
ট্রাম্পের ইউটার্ন, আবার চালু হচ্ছে এনজিওর সহায়তা কর্মসূচি

বাতিল হওয়া জরুরি খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির অন্তত ছয়টি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার কর্মসূচিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছয়টি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, কর্মসূচিগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার অল্প কিছুদিনের ব্যবধানেই তা থেকে সরে আসায় বিদেশি সহায়তা নীতি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে যে অস্থিরতা আছে, তা আরও স্পষ্ট হলো। এতে আন্তর্জাতিক মানবিক তৎপরতা বারবার ব্যাহত হচ্ছে বলেও মনে করেন তাঁরা।

আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) ভারপ্রাপ্ত উপপ্রশাসক জেরেমি লিউইন এক ই–মেইলের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে কর্মীদের জানান। লিউইন আগে ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি—ডিওজিইর সদস্য ছিলেন। লিউইন ই–মেইলে লেখেন, ‘বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য দুঃখিত। আমাদের অনেক অংশীজন আছেন এবং সবার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হয় আমাদের। ভুল স্বীকার করে সম্পূর্ণ দায় আমি নিচ্ছি।’

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তের আওতায় লেবানন, সিরিয়া, সোমালিয়া, জর্ডান, ইরাক ও ইকুয়েডরে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) অর্থায়ন পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) চারটি প্রকল্পও ফের চালু হচ্ছে।

রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও সিরিয়াসহ ১২ টির বেশি দেশের ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য বাতিল করেছিল। ‘স্ট্যান্ড আপ ফর এইড’ নামের এক সংগঠন জানায়, শুধু ডব্লিউএফপির চারটি প্রকল্পেই প্রায় ৪৬৩ মিলিয়ন ডলারের কাটছাঁট হয়েছিল।

তবে বাতিল হওয়া প্রকল্পগুলো এখনো ‘চূড়ান্তভাবে বাতিল’ বিবেচিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

মূলত কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানদের ভেতরকার চাপেই কিছু সহায়তা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত এসেছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের দুটি সূত্র।

এর আগে ডব্লিউএফপি জানায়, ১৪টি দেশে জরুরি খাদ্য সহায়তা বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা বাস্তবায়িত হলে অনাহারে মৃত্যু হতে পারে লাখ লাখ মানুষের।

তবে আফগানিস্তান ও ইয়েমেনে এখনো সহায়তা পুনরায় চালু করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে ছিল এই দুটি দেশ। তালেবান এবং হুতি বিদ্রোহীদের তৎপরতার কারণেই দেশ দুটিতে সহায়তা বন্ধ করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এর আগে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছিলেন, এই দুই দেশে পাঠানো সহায়তাগুলো তালেবান ও হুতিদের হাতে যায় বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। ।

এ ছাড়া, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সোমালিয়া প্রকল্পে ১৭০ মিলিয়ন ডলার এবং সিরিয়া প্রকল্পে ১১১ মিলিয়ন ডলার কাটছাঁট করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএআইডিকে এবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। রিপাবলিকানদের এই পরিকল্পনাকে ‘অসাংবিধানিক, অবৈধ, অযৌক্তিক, ক্ষতিকর এবং অকার্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন তাঁরা।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত