Ajker Patrika

বৈঠক করলেন ট্রাম্প-পুতিন, আলাস্কার এই লোককে কেন বাইক উপহার দিল রাশিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাশিয়ার উপহার দেওয়া মোটরসাইকেলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন ওয়ারেন। ছবি: সিএনএন
রাশিয়ার উপহার দেওয়া মোটরসাইকেলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন ওয়ারেন। ছবি: সিএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক শীর্ষ বৈঠক থেকে আলাস্কার এক সাধারণ বাসিন্দা যেন অপ্রত্যাশিতভাবে লাভবান হলেন। দুই নেতার আলোচনার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে তিনি উপহার হিসেবে পেলেন একটি নতুন মোটরসাইকেল!

বুধবার রাতে সিএনএন জানিয়েছে, উপহারটি পেয়েছেন মার্ক ওয়ারেন। আলাস্কার অ্যানকারেজ শহরের অবসরপ্রাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শক তিনি। রাশিয়ার সরকার তাঁকে একটি ইউরাল গিয়ার আপ মোটরসাইকেল দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত আছে একটি সাইডকারও। বাইকটির মূল্য প্রায় ২২ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

প্রশ্ন হলো—বৈঠক করলেন ট্রাম্প-পুতিন, কিন্তু ওই ব্যক্তি কেন এত দামি উপহার পেল? আসলে ঘটনাটির সূত্রপাত এক সপ্তাহ আগে। ওয়ারেন তখনো একটি ইউরাল মোটরসাইকেলের মোটরসাইকেলের মালিক ছিলেন। তবে এটি ছিল বেশ পুরোনো। কিনেছিলেন প্রতিবেশীর কাছ থেকে। সেই বাইক নিয়ে বের হলে তাঁকে রাস্তায় পেয়ে রাশিয়ার একটি টেলিভিশন ক্রু তাঁর সাক্ষাৎকার নেন। ওয়ারেন ওই ক্রুকে বলেন—রাশিয়ায় তৈরি এই বাইকের যন্ত্রাংশ পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরোনো লক্কড়ঝক্কর গাড়িটির কিছু যন্ত্রাংশ পরিবর্তন না করলেই নয়।

পুতিনের আলাস্কা সফরকে সামনে রেখে ওয়ারেনের ওই সাক্ষাৎকারটি অল্প সময়ের মধ্যেই রাশিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরই ফলস্বরূপ নতুন মোটরসাইকেল উপহার পান তিনি। ওয়ারেন বলেন, ‘আমি তো একেবারে সাধারণ একজন মানুষ। কেন এত গুরুত্ব পেলাম, বুঝলাম না কিছু!’

জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট অর্থাৎ ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের দুই দিন আগে রাশিয়ান ওই সাংবাদিক ওয়ারেনকে ফোন করে বলেন, ‘তারা আপনাকে একটি বাইক উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

প্রথমে বিষয়টিকে প্রতারণা ভেবেছিলেন ওয়ারেন। কিন্তু বৈঠকের পরদিন আলাস্কার অ্যানকারেজের এক হোটেলে তাঁকে উপহার হস্তান্তরের জন্য ডাকা হয়। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, ছয়জন রাশিয়ান নাগরিক নতুন একটি অলিভ-গ্রিন রঙের মোটরসাইকেলটি নিয়ে অপেক্ষা করছেন।

ওয়ারেন বলেন, ‘আমি অবাক হলাম। ভাবলাম, নিশ্চয়ই মজা করছে।’

রাশিয়ান লোকগুলো ওয়ারেনের কাছ থেকে বিশেষ কোনো কিছু চাননি, শুধু ছবি তোলা ও ছোট্ট একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এরপর দুই সাংবাদিক ও কনস্যুলেটের এক কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে বাইকে চড়ে সামান্য পথ ঘুরেছেন, আর ক্যামেরাম্যান সেটি ধারণ করেছেন।

উপহার পেয়েও বেকুব বনে যাওয়া ওয়ারেন স্বীকার করেছেন—তিনি সামান্য শঙ্কিতও বোধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, রাশিয়ান মোটরসাইকেল পাওয়ার কারণে কেউ আমার বা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা কিছু ভাবুক।’

বাইকটির কাগজপত্রে ওয়ারেন দেখেন, এটি তৈরি হয়েছে গত ১২ আগস্ট! অর্থাৎ যেদিন এটি হস্তান্তর করা হলো, তার ঠিক আগের দিন! তাঁর ধারণা, বাইকটি সরাসরি কারখানা থেকে এনে বিমানে তুলে দ্রুত আলাস্কায় পাঠানো হয়েছে।

এভাবেই এক সাধারণ সাক্ষাৎকারের জেরে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আলোচনার বাইরেও তৈরি হলো এক ব্যতিক্রমী গল্প, যার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন আলাস্কার মার্ক ওয়ারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্যকলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

গভর্নর আমাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার কে: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুল

সেই রুহুল আমিনের বসুন্ধরা, বনানী ও উত্তরার জমিসহ ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে বিয়ে

ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনেই জয়ী হবে জামায়াত: মাওলানা হালিম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত