মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া এবং এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের অনেক বিষয়েই নাক গলিয়েছেন ইলন মাস্ক। মার্কিন প্রশাসনের দক্ষতা বিভাগের দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউস বলছে, প্রশাসনের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই ইলন মাস্কের।
গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউস এক আদালতের নথিতে এ তথ্য জানিয়েছে, ইলন মাস্কের ভূমিকা ট্রাম্প প্রশাসনে একজন হোয়াইট হাউস কর্মী ও প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে নির্ধারিত। তিনি সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) কোনো কর্মচারী নন এবং কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখেন না।
হোয়াইট হাউসের প্রশাসনিক কার্যালয়ের পরিচালক জোশুয়া ফিশার সই করা এক নথিতে বলা হয়েছে, মাস্ক কেবলমাত্র প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিতে পারেন এবং প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা পৌঁছে দিতে পারেন। অন্যান্য জ্যেষ্ঠ হোয়াইট হাউস উপদেষ্টাদের মতো, মাস্কের নিজস্ব বা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই।
মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্য। ওই মামলার নথিতে ফিশার বলেন, মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের ডিওজিই সার্ভিসের কোনো কর্মচারী নন এবং ডিওজিইর প্রশাসকও নন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের কিছু পদক্ষেপের মধ্যে একটি হলো মার্কিন প্রশাসন সংকুচিত করা। আর এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইলন মাস্ককে। তারই অংশ হিসেবে ডিওজিই সরকারি সংস্থাগুলোর ভেতরে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। সংস্কার আনতে ছাঁটাই করা হয়েছে হাজারো কর্মী।
গতকাল ডিওজিই এবং মার্কিন প্রশাসনে ইলন মাস্কের কার্যক্রম নিয়ে এক মামলা আদালতে ওঠে। মামলার উদ্দেশ্য, ইলন মাস্কের থেকে সরকারি সংস্থাগুলোর তথ্য ব্যবস্থা রক্ষা করা। ১৩ জন ডেমোক্রেটিক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জরুরি আদেশ চেয়ে মামলা করেছেন, যাতে মাস্ক এবং ডিওজিইকে সরকারি সিস্টেমে প্রবেশ করা এবং সাতটি সংস্থার কর্মীদের বরখাস্ত করা থেকে বিরত রাখা যায়।
অ্যাটর্নি জেনারেলরা ইলন মাস্কের ডিওজিই দলকে শ্রম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসেবা, জ্বালানি, পরিবহন, বাণিজ্য বিভাগ এবং কর্মী ব্যবস্থাপনা দপ্তরের তথ্য ব্যবস্থায় প্রবেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে চান। তাঁরা আরও দাবি করেছেন, বিচারক যেন মাস্ক ও ডিওজিই দলের সদস্যদের সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করা বা ছুটিতে পাঠানো থেকে বিরত রাখেন।
অঙ্গরাজ্যগুলো যুক্তি দিয়েছে, তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তারা মাস্কের দলকে সংস্থাগুলোর তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন উদ্যোগ বাতিল করা এবং ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করার অভিযোগ এনেছে।
মার্কিন জেলা বিচারক তানিয়া চাটকান বলেন, ‘আমি যা শুনছি তা অবশ্যই উদ্বেগজনক, তবে আমি কোনো আদেশ দেওয়ার আগে আমাকে যথাযথ প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্ত পেতে হবে।’ অঙ্গরাজ্যগুলো জরুরি নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি মানদণ্ড পূরণ করতে পেরেছে কি না এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিচারক চাটকান বলেন, এটি অনেকটা প্রতিরোধমূলক নিষেধাজ্ঞার মতো, যা আইনত অনুমোদিত নয়। যদি রাজ্যগুলো শেষ পর্যন্ত মামলায় জয়ী হয়, তবে তিনি প্রোগ্রামগুলো পুনর্বহাল করার আদেশ দিতে পারেন।
মাস্কের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন ফেডারেল আদালতে এ নিয়ে প্রায় ২০টি মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার ডিওজিইর ওপর একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছেন নিউইয়র্কের মার্কিন জেলা বিচারক জেনেট ভার্গাস। এ নিষেধাজ্ঞায় মাস্কের দলকে ট্রেজারি বিভাগের সেই সিস্টেমে প্রবেশ থেকে বিরত রেখেছে। এই সিস্টেমে প্রতিদিন কোটি কোটি ডলারের লেনদেন হয়।
ডিওজিই নিয়ে বেশির ভাগ মামলায় বিচারকেরা এখনো চূড়ান্ত রায় দেননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া এবং এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের অনেক বিষয়েই নাক গলিয়েছেন ইলন মাস্ক। মার্কিন প্রশাসনের দক্ষতা বিভাগের দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউস বলছে, প্রশাসনের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই ইলন মাস্কের।
গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউস এক আদালতের নথিতে এ তথ্য জানিয়েছে, ইলন মাস্কের ভূমিকা ট্রাম্প প্রশাসনে একজন হোয়াইট হাউস কর্মী ও প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে নির্ধারিত। তিনি সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) কোনো কর্মচারী নন এবং কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখেন না।
হোয়াইট হাউসের প্রশাসনিক কার্যালয়ের পরিচালক জোশুয়া ফিশার সই করা এক নথিতে বলা হয়েছে, মাস্ক কেবলমাত্র প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিতে পারেন এবং প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা পৌঁছে দিতে পারেন। অন্যান্য জ্যেষ্ঠ হোয়াইট হাউস উপদেষ্টাদের মতো, মাস্কের নিজস্ব বা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই।
মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্য। ওই মামলার নথিতে ফিশার বলেন, মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের ডিওজিই সার্ভিসের কোনো কর্মচারী নন এবং ডিওজিইর প্রশাসকও নন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের কিছু পদক্ষেপের মধ্যে একটি হলো মার্কিন প্রশাসন সংকুচিত করা। আর এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইলন মাস্ককে। তারই অংশ হিসেবে ডিওজিই সরকারি সংস্থাগুলোর ভেতরে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। সংস্কার আনতে ছাঁটাই করা হয়েছে হাজারো কর্মী।
গতকাল ডিওজিই এবং মার্কিন প্রশাসনে ইলন মাস্কের কার্যক্রম নিয়ে এক মামলা আদালতে ওঠে। মামলার উদ্দেশ্য, ইলন মাস্কের থেকে সরকারি সংস্থাগুলোর তথ্য ব্যবস্থা রক্ষা করা। ১৩ জন ডেমোক্রেটিক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জরুরি আদেশ চেয়ে মামলা করেছেন, যাতে মাস্ক এবং ডিওজিইকে সরকারি সিস্টেমে প্রবেশ করা এবং সাতটি সংস্থার কর্মীদের বরখাস্ত করা থেকে বিরত রাখা যায়।
অ্যাটর্নি জেনারেলরা ইলন মাস্কের ডিওজিই দলকে শ্রম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসেবা, জ্বালানি, পরিবহন, বাণিজ্য বিভাগ এবং কর্মী ব্যবস্থাপনা দপ্তরের তথ্য ব্যবস্থায় প্রবেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে চান। তাঁরা আরও দাবি করেছেন, বিচারক যেন মাস্ক ও ডিওজিই দলের সদস্যদের সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করা বা ছুটিতে পাঠানো থেকে বিরত রাখেন।
অঙ্গরাজ্যগুলো যুক্তি দিয়েছে, তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তারা মাস্কের দলকে সংস্থাগুলোর তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন উদ্যোগ বাতিল করা এবং ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করার অভিযোগ এনেছে।
মার্কিন জেলা বিচারক তানিয়া চাটকান বলেন, ‘আমি যা শুনছি তা অবশ্যই উদ্বেগজনক, তবে আমি কোনো আদেশ দেওয়ার আগে আমাকে যথাযথ প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্ত পেতে হবে।’ অঙ্গরাজ্যগুলো জরুরি নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি মানদণ্ড পূরণ করতে পেরেছে কি না এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিচারক চাটকান বলেন, এটি অনেকটা প্রতিরোধমূলক নিষেধাজ্ঞার মতো, যা আইনত অনুমোদিত নয়। যদি রাজ্যগুলো শেষ পর্যন্ত মামলায় জয়ী হয়, তবে তিনি প্রোগ্রামগুলো পুনর্বহাল করার আদেশ দিতে পারেন।
মাস্কের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন ফেডারেল আদালতে এ নিয়ে প্রায় ২০টি মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার ডিওজিইর ওপর একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছেন নিউইয়র্কের মার্কিন জেলা বিচারক জেনেট ভার্গাস। এ নিষেধাজ্ঞায় মাস্কের দলকে ট্রেজারি বিভাগের সেই সিস্টেমে প্রবেশ থেকে বিরত রেখেছে। এই সিস্টেমে প্রতিদিন কোটি কোটি ডলারের লেনদেন হয়।
ডিওজিই নিয়ে বেশির ভাগ মামলায় বিচারকেরা এখনো চূড়ান্ত রায় দেননি।
অবৈধ অভিবাসী আটকে দেশজুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে মালয়েশিয়া। গত বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে ২২ হাজার অবৈধ অভিবাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম নিউ স্ট্রেট টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আটক অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ১৬৫ জ
৯ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ত রাস্তায় গত ক’দিন ধরে দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রমী এক দৃশ্য। ব্যস্ততম ম্যানহাটনের পথে পথে একটি বুনো টার্কি আপন মনে হাঁটছে, উড়ছে কিংবা ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাদে ছাদে। এটি একটি নামও পেয়ে গেছে—অ্যাস্টোরিয়া। শহরের মানুষ অ্যাস্টোরিয়ার এমন সাহসিক অভিযানে এখন রীতিমতো অভিভূত।
৯ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের করাচিতে সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্র ইসলামপন্থীরা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ শুক্রবার করাচির একটি মোবাইল মার্কেটের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে উগ্রপন্থীরা এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি উপাসনালয় ঘেরাও করে।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালার নিচে পৃথিবীর ভূত্বক যে ধীরে ধীরে খসে পড়ছে বা খোসা ছাড়াচ্ছে, তার বিরল ও শক্তিশালী প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ৪০ বছরের ভূমিকম্পের রেকর্ড ঘাঁটতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আনেন ভূকম্পবিদ ডেবোরাহ কিলব।
১০ ঘণ্টা আগে