আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুদিন ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিষয়ে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। তাঁর ধারণা, এই পুরস্কারের মর্যাদা তাঁকে বিশ্বমঞ্চে এক বিশেষ ও নির্বাচিত ক্লাবের সদস্য করবে। তবে মার্কিন ট্রাম্পের নোবেল জয়, কোনো নির্বাচনের ওপর নয়, নির্ভর করে মাত্র পাঁচজন ব্যক্তির সিদ্ধান্তের ওপর। আর এই ব্যক্তিদের বাছাইয়ে ট্রাম্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন কি না, তা অনিশ্চিত।
ট্রাম্প তাঁর আগের মেয়াদেও নোবেল পাওয়ার আকুলতা প্রকাশ করেছেন। এই মেয়াদেও তাঁর সেই ধারা অব্যাহত। সাম্প্রতিক সময়ে সেই প্রচেষ্টা আরও তীব্র হয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ইউক্রেন শান্তিচুক্তি হতে পারে পুরস্কার জয়ের চাবিকাঠি। কিন্তু নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। ফলে তাঁদের সমর্থন পাওয়া সহজ নয়।
নোবেল পাওয়ার প্রচেষ্টায় ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সমর্থন কুড়ানোর চেষ্টা করছেন। এমনকি নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ও সাবেক ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গেও ব্যক্তিগতভাবে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। স্টলটেনবার্গ ন্যাটো মহাসচিব হিসেবে ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। নরওয়েতে ক্ষমতাসীন স্টলটেনবার্গের দল লেবার পার্টির হাতেই নোবেল কমিটিতে সদস্য নিয়োগের ক্ষমতা। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি একাধিক সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন। গত সপ্তাহে তাঁর তালিকায় ছিল ছয়টি যুদ্ধ। তবে শুক্রবার তিনি বললেন, ‘যদি আপনি যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই সেটিকে থামিয়ে দেওয়ার কথা বিবেচনা করেন, তাহলে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ এ।’
তবে ট্রাম্প এটিও স্বীকার করেছেন যে, নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা হয়তো ক্ষীণ। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে, আমি যা-ই করি না কেন, ওরা আমাকে এটা দেবে না। আমি নিজে এর জন্য রাজনীতি করছি না। তবে অনেকেই করছে। এটা অবশ্যই এক বিশাল সম্মান হবে।’
নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রতি এই আগ্রহই সম্ভবত ট্রাম্পকে ইউক্রেন যুদ্ধ মীমাংসার প্রচেষ্টায় ধরে রেখেছে। বিশেষ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় মনোযোগী হচ্ছেন তিনি। কিছু পশ্চিমা কূটনীতিকও মনে করেন, যেহেতু পুতিনের একক নিয়ন্ত্রণেই যুদ্ধ চলছে, তাই সরাসরি আলোচনা বাস্তবসম্মত হতে পারে।
কিন্তু তাঁকে এখনো সংশয়ী কমিটির সদস্যদের মন জয় করতে হবে। কমিটির চেয়ারম্যান ইয়র্গেন ভাটনে ফ্রিডনেস গত ডিসেম্বরে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষয় হচ্ছে।’ সেসময় তিনি ট্রাম্পের নাম সরাসরি উল্লেখ করেছিলেন। ফ্রিডনেস বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প গণমাধ্যমের ওপর ১০০ বারেরও বেশি মৌখিক হামলা চালিয়েছেন।’ ৪০ বছর বয়সী ফ্রিডনেস পেন নরওয়ের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা নিয়ে কাজ করে। তিনি লেবার পার্টির মনোনীত সদস্য।
নরওয়ের সাধারণ জনগণের মনোভাবও ট্রাম্প বিরোধী। গত অক্টোবরের এক জরিপে দেখা যায়, বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বিপরীতে মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পকে ভোট দিতেন। নোবেল কমিটির কয়েকজন সদস্যও একই রকম সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
কমিটির আরেক সদস্য ও নরওয়ের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ক্লেমেট মে মাসে লিখেছিলেন, ‘মাত্র ১০০ দিনের মাথায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প আমেরিকান গণতন্ত্র ভেঙে ফেলতে শুরু করেছেন। তিনি উদারনৈতিক ও নিয়মভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।’
কমিটির তৃতীয় এক সদস্য ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেই বহুবার সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের নির্বাচনের আগের দিন ফেসবুকে পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা যায় কমিটির সদস্য গ্রি লারসেন লাল রঙের একটি ক্যাপ পরেছেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘মেক হিউম্যান রাইটস গ্রেট অ্যাগেইন।’ ২০১৭ সালে তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, ‘ট্রাম্প লাখো মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলছেন।’ তখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্য কমানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
অবশ্য কমিটির অন্য দুই সদস্যের ট্রাম্প বিরোধী মন্তব্যের স্পষ্ট ইতিহাস নেই। তাঁদের একজন, শিক্ষাবিদ অসলে তোইয়ে। তিনি বাইডেন প্রশাসনের সময় ট্রাম্পের আইনি সংকট নিয়ে সহানুভূতিশীল লেখা লিখেছিলেন। কমিটির কোনো সদস্যই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেননি। নোবেল ইনস্টিটিউটও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের নোবেল আকাঙ্ক্ষা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, চেয়ারম্যান ফ্রিডনেস সরাসরি উত্তর দেননি।
ফ্রিডনেস বলেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া হলে তা অনেক সময়েই বিতর্ক তৈরি করে। কারণ, রাষ্ট্রপ্রধান হলে ক্ষমতা থাকে। সেই ক্ষমতা ব্যবহারও করা হয়। যদি কোনো সংঘাত থাকে, তবে প্রায়ই তাঁর হাতে রক্তও লেগে যায়। আবার সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি পরবর্তী সময়ে অনেক কিছু করতে পারেন। ফলে বিষয়টা জটিল হয়ে ওঠে।’
তবে নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন কমিটির পাঁচজনের সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, হোয়াইট হাউসে সফররত অনেক বিশ্বনেতার কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশংসা করা এবং তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য বলে ঘোষণা করাটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। আবার অনেকে সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। তিনি ২০০৯ সালে মাত্র কয়েক মাস ক্ষমতায় আসার পরই নোবেল পান। ওবামা নিজেও স্বীকার করেছিলেন, এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘বেশ বিতর্ক’ হয়েছিল।
ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার পক্ষে উকালতি করে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না পান, তবে কে পাওয়ার যোগ্য?’ কিছুদিন আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নোবেল কমিটির ইতিহাসে কিছু অদ্ভুত সিদ্ধান্তের কথা তুলতে চাই না, যেখানে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল এমন কাউকে, যিনি কিছুই করেননি।’
আলিয়েভের প্রতিপক্ষ, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানও একই কথা বলেন। তিনি ট্রাম্পকে বলেন, ‘আশা করি আপনি আমাদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডাকবেন।’ হাসতে হাসতে ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘সামনের সারিতেই থাকবেন। আপনাদের সামনের সারির আসন।’
তবে ট্রাম্পের এই প্রচারণা কেবল হাসি–তামাশায় শেষ হয়নি। গত মাসে তিনি ন্যাটোর মহাসচিব স্টলটেনবার্গের কাছে ফোনে বিষয়টি তুলেছিলেন। আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে এক বিবৃতিতে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা শুল্ক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছি। এটি ছিল নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোরের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপের প্রস্তুতির অংশ।’ তবে তিনি বিস্তারিত তথ্য দেননি।
নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্টলটেনবার্গ নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির সদস্য নিয়োগে ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে একবার নরওয়েজিয়ান সংসদ কমিটিকে নিয়োগ দিলে এর সদস্যরা তাদের কাজের স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে রক্ষা করে। তাই এমন চাপ প্রয়োগ তাঁরা ভালো চোখে নাও দেখতে পারেন।
এই বিষয়ে পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অসলোর পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, ‘কোনো প্রার্থী এভাবে সরাসরি কথা বলেন, এটা খুব অস্বাভাবিক।’ নিনার প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টা নিয়ে গবেষণা করে এবং প্রতিবছর সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপকদের একটি তালিকা প্রকাশ করে।
ট্রাম্প নোবেল পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের সমালোচনা করেছেন, তাঁদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারও রয়েছেন। তিনি ২০০২ সালে শান্তি পুরস্কার পান। নোবেল জয়ীদের তালিকায় আরও আছেন উড্রো উইলসন ও থিওডোর রুজভেল্ট। সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারও এই পুরস্কার পেয়েছেন। তবে কেউই বিতর্ক এড়াতে পারেননি।
চলতি বছর ট্রাম্প যে শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন না, তা প্রায় নিশ্চিত। কারণ মনোনয়নের শেষ তারিখ ছিল জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের শর্টলিস্টে আছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি (গাজায় শান্তি মধ্যস্থতায় ভূমিকার জন্য), জিমি কার্টার প্রতিষ্ঠিত কার্টার সেন্টার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ট্রাম্প নিজে এই আদালতের কর্মকর্তাদের টার্গেট করেছিলেন, কারণ তারা মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তদন্ত করছিলেন।
তবে হয়তো আগামী বছর সুযোগ থাকতে পারে। কিছু নরওয়েজিয়ান এখনো ইউক্রেনে শান্তির দরজা খোলা রাখার চেষ্টা করছেন। নিনা গ্রেগার বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে ইউরোপীয় নেতাদের একত্রিত করার যে উদ্যোগটি এই সপ্তাহে হয়েছে, তার জন্য আমি ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুব অপ্রচলিত এক উপায়ে শান্তিচুক্তি আনার চেষ্টা। নিয়ম মেনে নয়। কখনো কখনো তা কাজে লাগতে পারে। আমি সেটার কৃতিত্ব তাঁকে দিতে চাই।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুদিন ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিষয়ে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। তাঁর ধারণা, এই পুরস্কারের মর্যাদা তাঁকে বিশ্বমঞ্চে এক বিশেষ ও নির্বাচিত ক্লাবের সদস্য করবে। তবে মার্কিন ট্রাম্পের নোবেল জয়, কোনো নির্বাচনের ওপর নয়, নির্ভর করে মাত্র পাঁচজন ব্যক্তির সিদ্ধান্তের ওপর। আর এই ব্যক্তিদের বাছাইয়ে ট্রাম্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন কি না, তা অনিশ্চিত।
ট্রাম্প তাঁর আগের মেয়াদেও নোবেল পাওয়ার আকুলতা প্রকাশ করেছেন। এই মেয়াদেও তাঁর সেই ধারা অব্যাহত। সাম্প্রতিক সময়ে সেই প্রচেষ্টা আরও তীব্র হয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ইউক্রেন শান্তিচুক্তি হতে পারে পুরস্কার জয়ের চাবিকাঠি। কিন্তু নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। ফলে তাঁদের সমর্থন পাওয়া সহজ নয়।
নোবেল পাওয়ার প্রচেষ্টায় ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সমর্থন কুড়ানোর চেষ্টা করছেন। এমনকি নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ও সাবেক ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গেও ব্যক্তিগতভাবে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। স্টলটেনবার্গ ন্যাটো মহাসচিব হিসেবে ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। নরওয়েতে ক্ষমতাসীন স্টলটেনবার্গের দল লেবার পার্টির হাতেই নোবেল কমিটিতে সদস্য নিয়োগের ক্ষমতা। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি একাধিক সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন। গত সপ্তাহে তাঁর তালিকায় ছিল ছয়টি যুদ্ধ। তবে শুক্রবার তিনি বললেন, ‘যদি আপনি যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই সেটিকে থামিয়ে দেওয়ার কথা বিবেচনা করেন, তাহলে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ এ।’
তবে ট্রাম্প এটিও স্বীকার করেছেন যে, নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা হয়তো ক্ষীণ। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে, আমি যা-ই করি না কেন, ওরা আমাকে এটা দেবে না। আমি নিজে এর জন্য রাজনীতি করছি না। তবে অনেকেই করছে। এটা অবশ্যই এক বিশাল সম্মান হবে।’
নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রতি এই আগ্রহই সম্ভবত ট্রাম্পকে ইউক্রেন যুদ্ধ মীমাংসার প্রচেষ্টায় ধরে রেখেছে। বিশেষ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় মনোযোগী হচ্ছেন তিনি। কিছু পশ্চিমা কূটনীতিকও মনে করেন, যেহেতু পুতিনের একক নিয়ন্ত্রণেই যুদ্ধ চলছে, তাই সরাসরি আলোচনা বাস্তবসম্মত হতে পারে।
কিন্তু তাঁকে এখনো সংশয়ী কমিটির সদস্যদের মন জয় করতে হবে। কমিটির চেয়ারম্যান ইয়র্গেন ভাটনে ফ্রিডনেস গত ডিসেম্বরে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষয় হচ্ছে।’ সেসময় তিনি ট্রাম্পের নাম সরাসরি উল্লেখ করেছিলেন। ফ্রিডনেস বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প গণমাধ্যমের ওপর ১০০ বারেরও বেশি মৌখিক হামলা চালিয়েছেন।’ ৪০ বছর বয়সী ফ্রিডনেস পেন নরওয়ের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা নিয়ে কাজ করে। তিনি লেবার পার্টির মনোনীত সদস্য।
নরওয়ের সাধারণ জনগণের মনোভাবও ট্রাম্প বিরোধী। গত অক্টোবরের এক জরিপে দেখা যায়, বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বিপরীতে মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পকে ভোট দিতেন। নোবেল কমিটির কয়েকজন সদস্যও একই রকম সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
কমিটির আরেক সদস্য ও নরওয়ের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ক্লেমেট মে মাসে লিখেছিলেন, ‘মাত্র ১০০ দিনের মাথায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প আমেরিকান গণতন্ত্র ভেঙে ফেলতে শুরু করেছেন। তিনি উদারনৈতিক ও নিয়মভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।’
কমিটির তৃতীয় এক সদস্য ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেই বহুবার সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের নির্বাচনের আগের দিন ফেসবুকে পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা যায় কমিটির সদস্য গ্রি লারসেন লাল রঙের একটি ক্যাপ পরেছেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘মেক হিউম্যান রাইটস গ্রেট অ্যাগেইন।’ ২০১৭ সালে তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, ‘ট্রাম্প লাখো মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলছেন।’ তখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্য কমানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
অবশ্য কমিটির অন্য দুই সদস্যের ট্রাম্প বিরোধী মন্তব্যের স্পষ্ট ইতিহাস নেই। তাঁদের একজন, শিক্ষাবিদ অসলে তোইয়ে। তিনি বাইডেন প্রশাসনের সময় ট্রাম্পের আইনি সংকট নিয়ে সহানুভূতিশীল লেখা লিখেছিলেন। কমিটির কোনো সদস্যই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেননি। নোবেল ইনস্টিটিউটও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের নোবেল আকাঙ্ক্ষা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, চেয়ারম্যান ফ্রিডনেস সরাসরি উত্তর দেননি।
ফ্রিডনেস বলেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া হলে তা অনেক সময়েই বিতর্ক তৈরি করে। কারণ, রাষ্ট্রপ্রধান হলে ক্ষমতা থাকে। সেই ক্ষমতা ব্যবহারও করা হয়। যদি কোনো সংঘাত থাকে, তবে প্রায়ই তাঁর হাতে রক্তও লেগে যায়। আবার সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি পরবর্তী সময়ে অনেক কিছু করতে পারেন। ফলে বিষয়টা জটিল হয়ে ওঠে।’
তবে নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন কমিটির পাঁচজনের সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, হোয়াইট হাউসে সফররত অনেক বিশ্বনেতার কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশংসা করা এবং তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য বলে ঘোষণা করাটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। আবার অনেকে সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। তিনি ২০০৯ সালে মাত্র কয়েক মাস ক্ষমতায় আসার পরই নোবেল পান। ওবামা নিজেও স্বীকার করেছিলেন, এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘বেশ বিতর্ক’ হয়েছিল।
ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার পক্ষে উকালতি করে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না পান, তবে কে পাওয়ার যোগ্য?’ কিছুদিন আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নোবেল কমিটির ইতিহাসে কিছু অদ্ভুত সিদ্ধান্তের কথা তুলতে চাই না, যেখানে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল এমন কাউকে, যিনি কিছুই করেননি।’
আলিয়েভের প্রতিপক্ষ, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানও একই কথা বলেন। তিনি ট্রাম্পকে বলেন, ‘আশা করি আপনি আমাদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডাকবেন।’ হাসতে হাসতে ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘সামনের সারিতেই থাকবেন। আপনাদের সামনের সারির আসন।’
তবে ট্রাম্পের এই প্রচারণা কেবল হাসি–তামাশায় শেষ হয়নি। গত মাসে তিনি ন্যাটোর মহাসচিব স্টলটেনবার্গের কাছে ফোনে বিষয়টি তুলেছিলেন। আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে এক বিবৃতিতে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা শুল্ক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছি। এটি ছিল নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোরের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপের প্রস্তুতির অংশ।’ তবে তিনি বিস্তারিত তথ্য দেননি।
নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্টলটেনবার্গ নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির সদস্য নিয়োগে ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে একবার নরওয়েজিয়ান সংসদ কমিটিকে নিয়োগ দিলে এর সদস্যরা তাদের কাজের স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে রক্ষা করে। তাই এমন চাপ প্রয়োগ তাঁরা ভালো চোখে নাও দেখতে পারেন।
এই বিষয়ে পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অসলোর পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, ‘কোনো প্রার্থী এভাবে সরাসরি কথা বলেন, এটা খুব অস্বাভাবিক।’ নিনার প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টা নিয়ে গবেষণা করে এবং প্রতিবছর সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপকদের একটি তালিকা প্রকাশ করে।
ট্রাম্প নোবেল পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের সমালোচনা করেছেন, তাঁদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারও রয়েছেন। তিনি ২০০২ সালে শান্তি পুরস্কার পান। নোবেল জয়ীদের তালিকায় আরও আছেন উড্রো উইলসন ও থিওডোর রুজভেল্ট। সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারও এই পুরস্কার পেয়েছেন। তবে কেউই বিতর্ক এড়াতে পারেননি।
চলতি বছর ট্রাম্প যে শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন না, তা প্রায় নিশ্চিত। কারণ মনোনয়নের শেষ তারিখ ছিল জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের শর্টলিস্টে আছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি (গাজায় শান্তি মধ্যস্থতায় ভূমিকার জন্য), জিমি কার্টার প্রতিষ্ঠিত কার্টার সেন্টার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ট্রাম্প নিজে এই আদালতের কর্মকর্তাদের টার্গেট করেছিলেন, কারণ তারা মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তদন্ত করছিলেন।
তবে হয়তো আগামী বছর সুযোগ থাকতে পারে। কিছু নরওয়েজিয়ান এখনো ইউক্রেনে শান্তির দরজা খোলা রাখার চেষ্টা করছেন। নিনা গ্রেগার বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে ইউরোপীয় নেতাদের একত্রিত করার যে উদ্যোগটি এই সপ্তাহে হয়েছে, তার জন্য আমি ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুব অপ্রচলিত এক উপায়ে শান্তিচুক্তি আনার চেষ্টা। নিয়ম মেনে নয়। কখনো কখনো তা কাজে লাগতে পারে। আমি সেটার কৃতিত্ব তাঁকে দিতে চাই।’

জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২২ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। টোকিও এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে এই ঘটনা ঘটল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম টুপোলভ-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে উড়ে যায় এবং সেখানে দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ‘দীর্ঘ দূরত্বের যৌথ উড্ডয়ন’ সম্পন্ন করে।
টোকিও আরও জানিয়েছে, বোমারু বিমানগুলো যখন জাপানের ওকিনাওয়া এবং মিয়াকো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে চক্কর কেটে যাচ্ছিল, তখন চারটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই দুটি দ্বীপের মধ্যবর্তী মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচিত। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাপান সাগরে একই সময়ে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর আরও কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আর্লি-ওয়ার্নিং বিমান এ-৫০ এবং দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বুধবার এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানগুলো স্পষ্টতই আমাদের জাতির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ ইজুমি যোগ করেন, জাপানের যুদ্ধবিমানগুলো ‘আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা কঠোরভাবে কার্যকর করেছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জাপানের কাছে রাশিয়া-চীনের যৌথ এই উড্ডয়ন আট ঘণ্টা ধরে চলেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মঙ্গলবার জানিয়েছে, সাতটি রুশ বিমান ও দুটি চীনা বিমান তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সীমায় প্রবেশ করেছিল।
জাপান রোববার জানায়, এর আগের দিন চীনা বিমানবাহী জাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত যুদ্ধবিমান জাপানি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে রাডার তাক করেছিল; যদিও বেইজিং সেই দাবি অস্বীকার করেছে। গত মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর জাপানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেল। সানায়ে বলেছিলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক পদক্ষেপ যদি জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তবে টোকিও তার প্রত্যুত্তর দিতে পারে।
চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য স্থানে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে রুশ ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে লাইভ ফায়ার নৌ মহড়ার মতো যৌথ অভিযান অন্তর্ভুক্ত।

জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। টোকিও এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে এই ঘটনা ঘটল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম টুপোলভ-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে উড়ে যায় এবং সেখানে দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ‘দীর্ঘ দূরত্বের যৌথ উড্ডয়ন’ সম্পন্ন করে।
টোকিও আরও জানিয়েছে, বোমারু বিমানগুলো যখন জাপানের ওকিনাওয়া এবং মিয়াকো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে চক্কর কেটে যাচ্ছিল, তখন চারটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই দুটি দ্বীপের মধ্যবর্তী মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচিত। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাপান সাগরে একই সময়ে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর আরও কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আর্লি-ওয়ার্নিং বিমান এ-৫০ এবং দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বুধবার এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানগুলো স্পষ্টতই আমাদের জাতির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ ইজুমি যোগ করেন, জাপানের যুদ্ধবিমানগুলো ‘আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা কঠোরভাবে কার্যকর করেছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জাপানের কাছে রাশিয়া-চীনের যৌথ এই উড্ডয়ন আট ঘণ্টা ধরে চলেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মঙ্গলবার জানিয়েছে, সাতটি রুশ বিমান ও দুটি চীনা বিমান তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সীমায় প্রবেশ করেছিল।
জাপান রোববার জানায়, এর আগের দিন চীনা বিমানবাহী জাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত যুদ্ধবিমান জাপানি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে রাডার তাক করেছিল; যদিও বেইজিং সেই দাবি অস্বীকার করেছে। গত মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর জাপানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেল। সানায়ে বলেছিলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক পদক্ষেপ যদি জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তবে টোকিও তার প্রত্যুত্তর দিতে পারে।
চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য স্থানে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে রুশ ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে লাইভ ফায়ার নৌ মহড়ার মতো যৌথ অভিযান অন্তর্ভুক্ত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুদিন ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিষয়ে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। তাঁর ধারণা, এই পুরস্কারের মর্যাদা তাঁকে বিশ্বমঞ্চে এক বিশেষ ও নির্বাচিত ক্লাবের সদস্য করবে। তবে মার্কিন ট্রাম্পের নোবেল জয়, কোনো নির্বাচনের ওপর নয়, নির্ভর করে মাত্র পাঁচজন ব্যক্তির সিদ্ধান্তের
২৬ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসাগুলো বাতিল করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের অভিযোগ মাদক বা অন্য নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, আক্রমণ, এবং চুরির মতো অপরাধের কারণে হয়েছে। কর্মকর্তাটি আরও জানান, ভিসা বাতিলের এই সংখ্যাটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে গত বছরের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
সাম্প্রতিককালে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে—তারা ডানপন্থী মার্কিন রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের মৃত্যু উদযাপনকারী কয়েকজনের ভিসা বাতিল করেছে।
বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর প্রায় ১০ শতাংশ ছিল শিক্ষার্থীদের, যা সংখ্যায় ৮ হাজারের বেশি।
যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে ক্যাম্পাসে তাদের সক্রিয়তার কারণে লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই ধরনের ‘বহিরাগত শিক্ষার্থীদের’ ইহুদি-বিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং প্রয়োজন হলে, ‘এই বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনপন্থী কাজকর্মের জন্য যাদের বহিষ্কারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জনি শ্রীনিবাসন এবং রুমেইসা ওজতুর্ক, সেইসাথে মাহমুদ খলিলের মতো শিক্ষার্থীরা, যারা স্থায়ী বৈধ বাসিন্দা ছিলেন।
সমালোচকরা বলেছেন, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য বহিষ্কার করাটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন, এবং ফিলিস্তিন-পন্থী সক্রিয়তার জন্য লক্ষ্যবস্তু হওয়া অনেক শিক্ষার্থীই এর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
আগস্ট মাসে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, তারা ৬ হাজার ভিসা বাতিল করেছে, এবং বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ নাকি শিক্ষার্থীদের মার্কিন আইন লঙ্ঘনের কারণে হয়েছে, যার অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পরেও অবস্থান, চুরি, আক্রমণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন।
তবে, কেবল দেশের অভ্যন্তরের বিদেশী নাগরিকরাই লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন না। জুন মাস থেকে, সম্ভাব্য ছাত্র ভিসার আবেদনকারীরা তাদের রাজনৈতিক মতামত যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান কঠোরতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মার্কিন সরকার এইচ১-বি ভিসা ধারীদের আরও বেশি করে যাচাই করার, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে শরণার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়া ব্যক্তিদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়ার, এবং সম্পূর্ণ বা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোর তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
প্রশাসন এইচ১-বি ভিসার খরচও বাড়িয়েছে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে চাওয়া বিদেশী নাগরিকদের কাছে এটি কম আকর্ষণীয় হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্সির সময় তাঁর প্রধান এজেন্ডাগুলোর একটি ছিল অভিবাসীদের লক্ষ্য করা। ট্রাম্প তথাকথিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয়, আরও পরিমার্জিত সংস্করণ কার্যকর করেছিলেন এবং দেশে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন সীমান্তে প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার চেষ্টা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন আফগান এবং সিরিয়ান নাগরিকদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু করে অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা (টিপিএস) অপসারণের চেষ্টাও করেছে, যা গৃহযুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অস্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিকদের দেওয়া হয়েছিল।
মিডল ইস্ট আই স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো উত্তর পায়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসাগুলো বাতিল করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের অভিযোগ মাদক বা অন্য নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, আক্রমণ, এবং চুরির মতো অপরাধের কারণে হয়েছে। কর্মকর্তাটি আরও জানান, ভিসা বাতিলের এই সংখ্যাটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে গত বছরের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
সাম্প্রতিককালে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে—তারা ডানপন্থী মার্কিন রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের মৃত্যু উদযাপনকারী কয়েকজনের ভিসা বাতিল করেছে।
বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর প্রায় ১০ শতাংশ ছিল শিক্ষার্থীদের, যা সংখ্যায় ৮ হাজারের বেশি।
যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে ক্যাম্পাসে তাদের সক্রিয়তার কারণে লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই ধরনের ‘বহিরাগত শিক্ষার্থীদের’ ইহুদি-বিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং প্রয়োজন হলে, ‘এই বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনপন্থী কাজকর্মের জন্য যাদের বহিষ্কারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জনি শ্রীনিবাসন এবং রুমেইসা ওজতুর্ক, সেইসাথে মাহমুদ খলিলের মতো শিক্ষার্থীরা, যারা স্থায়ী বৈধ বাসিন্দা ছিলেন।
সমালোচকরা বলেছেন, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য বহিষ্কার করাটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন, এবং ফিলিস্তিন-পন্থী সক্রিয়তার জন্য লক্ষ্যবস্তু হওয়া অনেক শিক্ষার্থীই এর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
আগস্ট মাসে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, তারা ৬ হাজার ভিসা বাতিল করেছে, এবং বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ নাকি শিক্ষার্থীদের মার্কিন আইন লঙ্ঘনের কারণে হয়েছে, যার অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পরেও অবস্থান, চুরি, আক্রমণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন।
তবে, কেবল দেশের অভ্যন্তরের বিদেশী নাগরিকরাই লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন না। জুন মাস থেকে, সম্ভাব্য ছাত্র ভিসার আবেদনকারীরা তাদের রাজনৈতিক মতামত যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান কঠোরতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মার্কিন সরকার এইচ১-বি ভিসা ধারীদের আরও বেশি করে যাচাই করার, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে শরণার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়া ব্যক্তিদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়ার, এবং সম্পূর্ণ বা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোর তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
প্রশাসন এইচ১-বি ভিসার খরচও বাড়িয়েছে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে চাওয়া বিদেশী নাগরিকদের কাছে এটি কম আকর্ষণীয় হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্সির সময় তাঁর প্রধান এজেন্ডাগুলোর একটি ছিল অভিবাসীদের লক্ষ্য করা। ট্রাম্প তথাকথিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয়, আরও পরিমার্জিত সংস্করণ কার্যকর করেছিলেন এবং দেশে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন সীমান্তে প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার চেষ্টা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন আফগান এবং সিরিয়ান নাগরিকদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু করে অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা (টিপিএস) অপসারণের চেষ্টাও করেছে, যা গৃহযুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অস্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিকদের দেওয়া হয়েছিল।
মিডল ইস্ট আই স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো উত্তর পায়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুদিন ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিষয়ে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। তাঁর ধারণা, এই পুরস্কারের মর্যাদা তাঁকে বিশ্বমঞ্চে এক বিশেষ ও নির্বাচিত ক্লাবের সদস্য করবে। তবে মার্কিন ট্রাম্পের নোবেল জয়, কোনো নির্বাচনের ওপর নয়, নির্ভর করে মাত্র পাঁচজন ব্যক্তির সিদ্ধান্তের
২৬ আগস্ট ২০২৫
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২২ মিনিট আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুদিন ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিষয়ে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। তাঁর ধারণা, এই পুরস্কারের মর্যাদা তাঁকে বিশ্বমঞ্চে এক বিশেষ ও নির্বাচিত ক্লাবের সদস্য করবে। তবে মার্কিন ট্রাম্পের নোবেল জয়, কোনো নির্বাচনের ওপর নয়, নির্ভর করে মাত্র পাঁচজন ব্যক্তির সিদ্ধান্তের
২৬ আগস্ট ২০২৫
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২২ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র এবং পুরোনো মিত্রদের মধ্যকার ফাটলকে আরও গভীর করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও নির্বাচন করার আহ্বান জানান এবং বলেন যে মস্কোই ‘সুবিধা পাচ্ছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রশাসনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে শীর্ষ মার্কিন অংশীদারদের ওপর অস্বাভাবিক সমালোচনার পর, এই মন্তব্যগুলো আরও জোরালো হয়েছে, যেখানে ইউরোপে সভ্যতার ‘বিলুপ্তি’ সম্পর্কে কট্টর ডানপন্থী শব্দ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পলিটিকোকে বলেন, ‘বেশির ভাগ ইউরোপীয় জাতি এখন ক্ষয়িষ্ণু।’
৭৯ বছর বয়সী এই বিলিয়নিয়ারের রাজনৈতিক উত্থান অভিবাসীদের নিয়ে উসকানিমূলক ভাষার ওপর ভিত্তি করে হয়েছিল। ইউরোপের অভিবাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, ইউরোপের অভিবাসী নীতি একটি ‘বিপর্যয়।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ হতে চায়, এবং এটিই তাদের দুর্বল করে তোলে। এটাই তাদের দুর্বল করে তোলে’ এবং যোগ করেন, ইউরোপের নেতাদের মধ্যে ‘কিছু সত্যিকারের বোকাও’ আছেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। একটি মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের মধ্যে এই সমালোচনা আসে, যে পরিকল্পনাটি নিয়ে ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এর ফলে কিয়েভকে রাশিয়ার কাছে অঞ্চল হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হবে। রাশিয়া ২০২২ সালে দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল।
সামরিক জোট ন্যাটোর নেতা মার্ক রুট একটি শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বানে সমর্থন জানালে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘ন্যাটো আমাকে ড্যাডি বলে ডাকে’ ট্রাম্প এই কথাটি উল্লেখ করেন কিন্তু তিনি আরও যোগ করেন, ‘তারা কথা বলে কিন্তু কাজ করে না। এবং যুদ্ধ চলতেই থাকে।’
জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইউরোপীয় নেতারা তাঁকে তোয়াজ করার চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন বজায় রাখার জন্য।
ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারটি গত সপ্তাহে মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলের কারণে ইউরোপীয় রাজধানীগুলোতে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল, তা আরও বাড়িয়ে দেবে। ওই কৌশলে অভিবাসন নিয়ে ইউরোপে ‘প্রতিরোধ গড়ে তোলার’ আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তথাকথিত ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর কিছু অংশ ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট থিওরির’ উপাদানগুলোকে প্রতিফলিত করে, যা কট্টর ডানপন্থীদের এবং ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্ক ব্যাপকভাবে প্রচার করে থাকেন। এই তত্ত্বে বলা হয় অভিযোগ, শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যাকে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে।
পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইডেনসহ দেশগুলো অভিবাসনের কারণে ‘ধ্বংস’ হচ্ছে।
তিনি লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র ‘ভয়ংকর, বিদ্বেষপূর্ণ, জঘন্য’ সাদিক খানের ওপরও নতুন করে আক্রমণ করেন। খান পলিটিকোকে বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে নিয়ে ‘মোহাবিষ্ট’ এবং বলেছিলেন যে মার্কিন নাগরিকেরা লন্ডনে থাকার জন্য ‘ভিড় করছে।’
ইউক্রেন এবং জেলেনস্কিকেও ট্রাম্প কঠোর শব্দবাণে বিদ্ধ করেন ট্রাম্প। জানুয়ারিতে তিনি জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন একনায়ক’ বলেছিলেন এবং ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে তাঁকে তিরস্কার করেছিলেন, যার পর জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সর্বশেষ এই উত্থান-পতন দেখা গেল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটি নির্বাচন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারা নির্বাচন না করার জন্য যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘এটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায়, যেখানে এটা আর গণতন্ত্র থাকে না।’
ইউক্রেনে নির্বাচন ২০২৪ সালের মার্চে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর সামরিক আইন জারির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলের অধীনে রয়েছে।
যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন পরিকল্পনার খসড়ায় নতুন নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন পরিকল্পনা না পড়ার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ভালো হবে যদি তিনি এটা পড়েন। আপনারা জানেন, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’
শীর্ষ মার্কিন আলোচকেরা গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন, তারপর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে আলোচনা করেছেন, কিন্তু কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তিনি ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র এবং পুরোনো মিত্রদের মধ্যকার ফাটলকে আরও গভীর করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও নির্বাচন করার আহ্বান জানান এবং বলেন যে মস্কোই ‘সুবিধা পাচ্ছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রশাসনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে শীর্ষ মার্কিন অংশীদারদের ওপর অস্বাভাবিক সমালোচনার পর, এই মন্তব্যগুলো আরও জোরালো হয়েছে, যেখানে ইউরোপে সভ্যতার ‘বিলুপ্তি’ সম্পর্কে কট্টর ডানপন্থী শব্দ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পলিটিকোকে বলেন, ‘বেশির ভাগ ইউরোপীয় জাতি এখন ক্ষয়িষ্ণু।’
৭৯ বছর বয়সী এই বিলিয়নিয়ারের রাজনৈতিক উত্থান অভিবাসীদের নিয়ে উসকানিমূলক ভাষার ওপর ভিত্তি করে হয়েছিল। ইউরোপের অভিবাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, ইউরোপের অভিবাসী নীতি একটি ‘বিপর্যয়।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ হতে চায়, এবং এটিই তাদের দুর্বল করে তোলে। এটাই তাদের দুর্বল করে তোলে’ এবং যোগ করেন, ইউরোপের নেতাদের মধ্যে ‘কিছু সত্যিকারের বোকাও’ আছেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। একটি মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের মধ্যে এই সমালোচনা আসে, যে পরিকল্পনাটি নিয়ে ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এর ফলে কিয়েভকে রাশিয়ার কাছে অঞ্চল হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হবে। রাশিয়া ২০২২ সালে দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল।
সামরিক জোট ন্যাটোর নেতা মার্ক রুট একটি শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বানে সমর্থন জানালে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘ন্যাটো আমাকে ড্যাডি বলে ডাকে’ ট্রাম্প এই কথাটি উল্লেখ করেন কিন্তু তিনি আরও যোগ করেন, ‘তারা কথা বলে কিন্তু কাজ করে না। এবং যুদ্ধ চলতেই থাকে।’
জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইউরোপীয় নেতারা তাঁকে তোয়াজ করার চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন বজায় রাখার জন্য।
ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারটি গত সপ্তাহে মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলের কারণে ইউরোপীয় রাজধানীগুলোতে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল, তা আরও বাড়িয়ে দেবে। ওই কৌশলে অভিবাসন নিয়ে ইউরোপে ‘প্রতিরোধ গড়ে তোলার’ আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তথাকথিত ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর কিছু অংশ ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট থিওরির’ উপাদানগুলোকে প্রতিফলিত করে, যা কট্টর ডানপন্থীদের এবং ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্ক ব্যাপকভাবে প্রচার করে থাকেন। এই তত্ত্বে বলা হয় অভিযোগ, শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যাকে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে।
পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইডেনসহ দেশগুলো অভিবাসনের কারণে ‘ধ্বংস’ হচ্ছে।
তিনি লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র ‘ভয়ংকর, বিদ্বেষপূর্ণ, জঘন্য’ সাদিক খানের ওপরও নতুন করে আক্রমণ করেন। খান পলিটিকোকে বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে নিয়ে ‘মোহাবিষ্ট’ এবং বলেছিলেন যে মার্কিন নাগরিকেরা লন্ডনে থাকার জন্য ‘ভিড় করছে।’
ইউক্রেন এবং জেলেনস্কিকেও ট্রাম্প কঠোর শব্দবাণে বিদ্ধ করেন ট্রাম্প। জানুয়ারিতে তিনি জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন একনায়ক’ বলেছিলেন এবং ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে তাঁকে তিরস্কার করেছিলেন, যার পর জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সর্বশেষ এই উত্থান-পতন দেখা গেল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটি নির্বাচন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারা নির্বাচন না করার জন্য যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘এটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায়, যেখানে এটা আর গণতন্ত্র থাকে না।’
ইউক্রেনে নির্বাচন ২০২৪ সালের মার্চে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর সামরিক আইন জারির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলের অধীনে রয়েছে।
যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন পরিকল্পনার খসড়ায় নতুন নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন পরিকল্পনা না পড়ার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ভালো হবে যদি তিনি এটা পড়েন। আপনারা জানেন, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’
শীর্ষ মার্কিন আলোচকেরা গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন, তারপর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে আলোচনা করেছেন, কিন্তু কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তিনি ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুদিন ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিষয়ে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। তাঁর ধারণা, এই পুরস্কারের মর্যাদা তাঁকে বিশ্বমঞ্চে এক বিশেষ ও নির্বাচিত ক্লাবের সদস্য করবে। তবে মার্কিন ট্রাম্পের নোবেল জয়, কোনো নির্বাচনের ওপর নয়, নির্ভর করে মাত্র পাঁচজন ব্যক্তির সিদ্ধান্তের
২৬ আগস্ট ২০২৫
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২২ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
২ ঘণ্টা আগে