Ajker Patrika

‘উসকানির’ প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার কাছাকাছি সাবমেরিন মোতায়েন ট্রাম্পের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের ‘চরম উসকানিমূলক’ মন্তব্যের জবাবে তিনি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘এই বেপরোয়া ও আগুন ঝরানো বক্তব্যগুলো কেবল কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে—এই আশঙ্কায় আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শব্দের গুরুত্ব অনেক, অনেক সময় তা অনিচ্ছাকৃত বিপর্যয়ের পথও খুলে দিতে পারে। আমি আশা করি, এবার তেমন কিছু ঘটবে না।’

তবে কোন অঞ্চলে সাবমেরিন দুটি মোতায়েন করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রটোকল অনুযায়ী এসব তথ্য গোপন রাখা হয়। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এবং দুই দেশেরই রয়েছে শক্তিশালী পারমাণবিক সাবমেরিন বহর।

সম্প্রতি মেদভেদেভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি না মানলে রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। তাঁর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে লেখেন, ‘রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভের চরম উসকানিমূলক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন প্রয়োজনীয় অঞ্চলে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছি।’

তবে ট্রাম্প তাঁর পোস্টে স্পষ্ট করে বলেননি, তিনি পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন বোঝাতে চেয়েছেন, নাকি কেবল পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের কথা বলেছেন। পরে গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘একটি হুমকি উচ্চারিত হয়েছে (অপর পক্ষ থেকে), যা আমরা যথাযথ মনে করিনি। তাই আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্ত নিই আমাদের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে। রাশিয়ার এক সাবেক প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছেন। আমরা আমাদের জনগণকে সুরক্ষিত রাখব।’

সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প ও মেদভেদেভ একে অপরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে এই ইস্যুতে এখনো পর্যন্ত রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর মস্কোর শেয়ারবাজারে বড় ধস নেমেছে।

এর আগে, ট্রাম্প ৮ আগস্টের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সময়সীমা বেঁধে দেন। তবে পুতিন এই সময়সীমার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। গত সোমবার ট্রাম্প বলেন, ‘১০-১২ দিনের মধ্যে’ যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। আর জুলাইয়ের শুরুতে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ না করলে তাদের তেলের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে এবং অন্যান্য রপ্তানিও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।

২০০৮-২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা মেদভেদেভ গত সপ্তাহে ট্রাম্প ‘রাশিয়ার সঙ্গে চরম আলটিমেটামের খেলায় মেতে উঠেছেন’ বলে অভিযোগ করেন। এক্সে দেওয়া পোস্টে মেদভেদেভ লিখেছিলেন, ‘প্রতিটি নতুন আলটিমেটামই একেকটি হুমকি এবং যুদ্ধের পথে একেকটি পদক্ষেপ।’

জুলাইয়ের শুরুতে ট্রাম্পের হুমকিকে তিনি ‘নাটকীয়’ বলে উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার তাতে কিছু আসে যায় না।’ গত বৃহস্পতিবার টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় মেদভেদেভ ‘ডেড হ্যান্ড’ হুমকির কথা বলেন। অনেক সামরিক বিশ্লেষকের মতে, এই ডেড হ্যান্ড রাশিয়ার পাল্টা পারমাণবিক হামলার নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার সাংকেতিক নাম।

শুক্রবারের আগেও মেদভেদেভের মন্তব্যের জবাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি মেদভেদেভকে ‘রাশিয়ার ব্যর্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট, যিনি নিজেকে এখনো প্রেসিডেন্ট ভাবেন’ বলে কটাক্ষ করেন। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তাঁর শব্দচয়নের প্রতি সতর্ক হওয়া উচিত। সে খুবই বিপজ্জনক সীমার মধ্যে ঢুকে পড়ছে!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম নিষেধাজ্ঞা এটি। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল বিক্রির আয় বন্ধ করা, যা দেশটির যুদ্ধ পরিচালনার অর্থ জোগায়।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এখন হত্যাযজ্ঞ বন্ধের সময়। প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ থামাতে অস্বীকৃতি জানানোয় ট্রেজারি রাশিয়ার দুটি বড় তেল কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ব্রিটেন গত সপ্তাহে রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তবে বেসরকারি লুকওয়েলকে ছাড় দিয়েছে—হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার জন্য বিশেষ অনুমতির কারণে।

হোয়াইট হাউসে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘বৈঠকটা ঠিক মনে হয়নি, তাই বাতিল করেছি। তবে ভবিষ্যতে করব।’

এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্রিটেনের দেওয়া স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ মিসাইল রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। তবে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবরকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছেন।

নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার তেল রপ্তানি থেকে আয় কমানোর সবচেয়ে সরাসরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কারণ, ভারত কম দামে রুশ তেল কিনছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ফিশম্যান বলেন, ‘রসনেফট ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি, যেটি এখন পর্যন্ত পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল।’ তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্তের পর স্বল্পমেয়াদে অনেক প্রতিষ্ঠান রুশ তেল কেনা থেকে বিরত থাকতে পারে।

এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইউক্রেন কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিলে এবং পশ্চিমা অংশীদারিত্ব সীমিত করলে শান্তি আসতে পারে। তবে বিষয়টি পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ বাড়ায়।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়ন বলেন, ইইউর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজও শিগগির গৃহীত হবে। এতে রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ, ‘শ্যাডো ফ্লিট’ তেলবাহী জাহাজ কালো তালিকাভুক্ত, রসনেফট ও গ্যাজপ্রম নেফটের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিষিদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাওয়া ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রুশ কূটনীতিকদের শেনজেন এলাকায় অবাধ চলাচলেও বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশ্চিম তীর সংযুক্ত করতে ইসরায়েলি পার্লামেন্টে বিল পাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পশ্চিম তীরের একটি এলাকায় অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের সময় অস্ত্র হাতে টহল দিচ্ছে এক ইসরায়েলি সেনা। ছবি: এএফপি
পশ্চিম তীরের একটি এলাকায় অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের সময় অস্ত্র হাতে টহল দিচ্ছে এক ইসরায়েলি সেনা। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের একটি বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। সোজা কথা পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিলে অনুমোদন দিয়েছে। এক আন্তর্জাতিক আইনের এক প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর দল লিকুদ পার্টির বিরোধিতা সত্ত্বেও গত মঙ্গলবার ১২০ আসনের পার্লামেন্টে ২৫-২৪ ভোটে বিলটি পাস হয়। এটি আইন হিসেবে কার্যকর হতে মোট চার দফা ভোট প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ।

পার্লামেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিলটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব জুডিয়া ও সামারিয়া (পশ্চিম তীর) অঞ্চলে প্রয়োগের জন্য।’ এখন বিলটি পরবর্তী আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে যাবে।

এই ভোটটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যার একমাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্ত না করতে সতর্ক করেছিলেন। এ ছাড়া এই বিল পাশের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েলে উপস্থিত ছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখা।

লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে এই বিল পাশকে আখ্যা দিয়েছে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য বিরোধীদলের আরেকটি উসকানি’ হিসেবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রকৃত সার্বভৌমত্ব অর্জিত হবে মাঠপর্যায়ে সঠিক কাজের মাধ্যমে, কোনো চোখে লাগার মতো আইন পাশ করে নয়।’

অধিকৃত পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করা মানে কার্যত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে চূড়ান্তভাবে শেষ করে দেওয়া, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবনায় নির্ধারিত ছিল।

নেতানিয়াহুর জোটের কয়েকজন সদস্য—জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের ‘ইহুদি শক্তি’ দল এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচের ‘ধর্মীয় জায়নবাদ’ দলের সদস্যরা—বিলটির পক্ষে ভোট দেন।

বিলটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন কট্টর-ডানপন্থী নোআম পার্টির নেতা আভি মাওজ, যিনি সরকার জোটের অংশ নন।

বেশিরভাগ লিকুদ এমপি ভোটে অংশ নেননি বা বিরত থাকেন, তবে একজন—ইউলি এডেলস্টাইন—নেতানিয়াহুর বিরোধিতা করে বিলের পক্ষে ভোট দেন এবং সেটিই ছিল নির্ধারক ভোট। তিনি এক্সে লেখেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের মাতৃভূমির প্রতিটি ইঞ্চিতে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বই সময়ের দাবি।’

বিরোধী দলের আরেকটি বিল, যাতে মা’আলে আদুমিম বসতিও ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব ছিল, সেটিও পাস হয়েছে। গত আগস্টে ইসরায়েল মা’আলে আদুমিম ও জেরুজালেমের মাঝখানে একটি বৃহৎ বসতি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। সে সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্ক করে বলেছিল, এতে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভৌগোলিক টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এই ভোটের পর ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হামাস, কাতার, সৌদি আরব ও জর্ডান তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ‘পার্লামেন্টের ফিলিস্তিনি ভূমি সংযুক্ত করার প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পশ্চিম তীরে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, যার মধ্যে জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকাও অন্তর্ভুক্ত, একটি একক ভৌগোলিক একক—যার ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।’

হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, এই বিলগুলো ‘উপনিবেশিক দখলের কদর্য দিক’ প্রকাশ করছে। তারা আরও বলেছে, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি, পশ্চিম তীর সংযুক্ত করার দখলদারদের অস্থির প্রচেষ্টা অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য।’

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ভোটের ‘তীব্রতম নিন্দা’ জানিয়ে একে বলেছে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের ঐতিহাসিক অধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ২৩
ছোট্ট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছে অবৈধ অভিবাসীরা। ছবি: বিবিসি
ছোট্ট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছে অবৈধ অভিবাসীরা। ছবি: বিবিসি

যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো এক অভিবাসী মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আবার ছোট নৌকায় করে ব্রিটেনে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।

দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার বরাতে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ফ্রান্সে মানবপাচারকারীদের হাতে আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা আমাকে পণ্যের মতো ব্যবহার করেছে, জোর করে কাজ করিয়েছে, নির্যাতন করেছে, বন্দুক তাক করে বলেছে—একটা কথা বললেও মেরে ফেলবে।’

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস সরাসরি ঘটনাটি স্বীকার না করলেও জানিয়েছে, এক অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে এবং দ্রুত তাঁকে আবারও ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের সীমান্ত অপব্যবহার করা হবে না। যাদের এখানে থাকার আইনি অধিকার নেই, আমরা তাদের সরিয়ে দেব।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ‘হিউম্যানস ফর রাইটস নেটওয়ার্ক’-এর পরিচালক ম্যাডি হ্যারিস বলেছেন, তাঁর সংস্থা ওই ইরানি ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে। ফ্রান্সে ফেরত পাঠানোর পর থেকেই তিনি তীব্র আতঙ্কে ভুগছিলেন। তিনি ধারণা করছিলেন ফ্রান্সে পাচারকারীরা আবারও তাকে নির্যাতন করতে পারে।

যুক্তরাজ্য–ফ্রান্সের এই ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ স্কিম চালু হয়েছে গত জুলাই মাসে। এর অধীনে অবৈধভাবে আসা ব্যক্তিদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং বিনিময়ে যুক্তরাজ্য গ্রহণ করছে এমন আশ্রয়প্রার্থীদের, যাদের প্রকৃত সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪২ জনকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং ফ্রান্স থেকে ২৩ জনকে গ্রহণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্বে পুলিশ হেফাজতে দেবী কালী

কলকাতা প্রতিনিধি  
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘তোষণ নীতি’র অভিযোগ তুলেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি এ ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করে একাধিক অভিযোগ এনেছে। বিজেপি নেতা অমিতাভ মালব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অভিযোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মা কালীকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গেছে! লজ্জা, লজ্জা—এই কলঙ্ক লুকানোর কোনো জায়গা নেই।’

বিজেপির এ নেতা আরও অভিযোগ করেন, ‘প্রশাসন প্রথমে গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে মন্দিরের গেটে তালা লাগায়। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তা আবার খুলতে বাধ্য হয়।’

বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘দোষীদের গ্রেপ্তার না করে মা কালীর প্রতিমা পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে! সাতজন হিন্দুরক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপনাদের রাজ্য, আপনারা যা চান, তা-ই করতে পারেন!’

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করেন, ‘রাজ্য সরকার কট্টরপন্থীদের তোষণে ব্যস্ত। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার দলের নেতারা বারবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত হেনেছেন। কিন্তু মা কালীকে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার মতো লজ্জাজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।’

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং প্রতিটি ভক্তের মাথা লজ্জায় নত করার মতো।’

এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছে। দলের পক্ষ থেকে এক মুখপাত্র বলেন, পুলিশ এর ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু কিছু লোক একে বিকৃত রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত