অনলাইন ডেস্ক
একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কার্বন ডাই-অক্সাইডের (CO₂) অর্ধেকই নিঃসরিত হয় ৩৬টি জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানির কারণে। গবেষকেরা মত দিয়েছেন, নতুন তথ্য আরও জোরালোভাবে প্রমাণ করে যে জলবায়ু সংকটের জন্য এসব কোম্পানিকে জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি।
এ বিষয়ে বুধবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরামকো, কয়লা উৎপাদনকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কোল-ইন্ডিয়া, অ্যাক্সনমোবিল, শেলসহ ৩৬টি প্রধান জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি মিলে ২০২৩ সালে ২ হাজার কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের জন্য দায়ী।
তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরামকো কোম্পানি যদি একটি দেশ হতো, তবে এটি চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পরে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দূষণকারী হতো। আর অপর মার্কিন জ্বালানি কোম্পানি অ্যাক্সনমোবিলের এককভাবে জার্মানির সমান কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের জন্য দায়ী। জার্মানি বিশ্বের নবম বৃহত্তম দূষণকারী দেশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পযুগ শুরু হওয়ার আগের সময়ের তুলনায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখতে চাইলে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমানো প্রয়োজন। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও কার্বন নির্গমন এখনো বাড়ছে এবং এটি চরম আবহাওয়ার কারণ হয়ে উঠছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলেছে, ২০২১ সালের পর নতুন জীবাশ্ম জ্বালানির প্রকল্প শুরু করা হলে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন সম্ভব হবে না। ২০২৩ সাল ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর এবং সেই বছরটিতেই ‘কার্বন মেজরস ডেটাবেইস’-এর ১৬৯টি কোম্পানির বেশির ভাগই তাদের নির্গমন আরও বাড়িয়েছে।
জাতিসংঘের সাবেক জলবায়ু প্রধান ক্রিস্টিয়ানা ফিগুয়েরেস বলেছেন, ‘এই কোম্পানিগুলো পৃথিবীকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল করে রেখেছে এবং তাদের উৎপাদন কমানোর কোনো পরিকল্পনাও নেই। আমরা পেছনের দিকে যেতে পারি না। আমাদের টেকসই অর্থনীতির দিকে এগোতে হবে।’
এদিকে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেল দাবি করেছে, তারা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তবে সৌদি আরামকো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি কোল-ইন্ডিয়া, অ্যাক্সনমোবিল, শেভরন, বিপি এবং টোটাল এনার্জিও।
এই গবেষণার তথ্য ইতিমধ্যে নিউইয়র্ক ও ভারমন্ট রাজ্যে পাস হওয়া জলবায়ুসংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ আইনে ব্যবহৃত হয়েছে। এই আইনে জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করার অভিযোগে ব্ল্যাকরকের বিরুদ্ধে বিশ্ব কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার অংশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে তথ্যগুলো।
২০২৩ সালে জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প থেকে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়েছে, তার ৪১ শতাংশ এসেছে কয়লা থেকে, ৩২ শতাংশ জ্বালানি তেল থেকে, ২৩ শতাংশ গ্যাস পুড়িয়ে এবং সিমেন্ট উৎপাদন থেকে এসেছে ৪ শতাংশ।
কার্বন মেজরস ডেটাবেইসের তথ্য অনুসারে, শিল্পবিপ্লবের পর থেকে নিঃসৃত কার্বনের দুই-তৃতীয়াংশই এসেছে মাত্র ১৮০টি কোম্পানি থেকে। এগুলোর মধ্যে ১১টি কোম্পানি এখন অস্তিত্বহীন।
একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কার্বন ডাই-অক্সাইডের (CO₂) অর্ধেকই নিঃসরিত হয় ৩৬টি জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানির কারণে। গবেষকেরা মত দিয়েছেন, নতুন তথ্য আরও জোরালোভাবে প্রমাণ করে যে জলবায়ু সংকটের জন্য এসব কোম্পানিকে জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি।
এ বিষয়ে বুধবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরামকো, কয়লা উৎপাদনকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কোল-ইন্ডিয়া, অ্যাক্সনমোবিল, শেলসহ ৩৬টি প্রধান জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি মিলে ২০২৩ সালে ২ হাজার কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের জন্য দায়ী।
তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরামকো কোম্পানি যদি একটি দেশ হতো, তবে এটি চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পরে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দূষণকারী হতো। আর অপর মার্কিন জ্বালানি কোম্পানি অ্যাক্সনমোবিলের এককভাবে জার্মানির সমান কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের জন্য দায়ী। জার্মানি বিশ্বের নবম বৃহত্তম দূষণকারী দেশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পযুগ শুরু হওয়ার আগের সময়ের তুলনায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখতে চাইলে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমানো প্রয়োজন। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও কার্বন নির্গমন এখনো বাড়ছে এবং এটি চরম আবহাওয়ার কারণ হয়ে উঠছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলেছে, ২০২১ সালের পর নতুন জীবাশ্ম জ্বালানির প্রকল্প শুরু করা হলে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন সম্ভব হবে না। ২০২৩ সাল ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর এবং সেই বছরটিতেই ‘কার্বন মেজরস ডেটাবেইস’-এর ১৬৯টি কোম্পানির বেশির ভাগই তাদের নির্গমন আরও বাড়িয়েছে।
জাতিসংঘের সাবেক জলবায়ু প্রধান ক্রিস্টিয়ানা ফিগুয়েরেস বলেছেন, ‘এই কোম্পানিগুলো পৃথিবীকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল করে রেখেছে এবং তাদের উৎপাদন কমানোর কোনো পরিকল্পনাও নেই। আমরা পেছনের দিকে যেতে পারি না। আমাদের টেকসই অর্থনীতির দিকে এগোতে হবে।’
এদিকে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেল দাবি করেছে, তারা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তবে সৌদি আরামকো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি কোল-ইন্ডিয়া, অ্যাক্সনমোবিল, শেভরন, বিপি এবং টোটাল এনার্জিও।
এই গবেষণার তথ্য ইতিমধ্যে নিউইয়র্ক ও ভারমন্ট রাজ্যে পাস হওয়া জলবায়ুসংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ আইনে ব্যবহৃত হয়েছে। এই আইনে জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করার অভিযোগে ব্ল্যাকরকের বিরুদ্ধে বিশ্ব কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার অংশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে তথ্যগুলো।
২০২৩ সালে জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প থেকে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়েছে, তার ৪১ শতাংশ এসেছে কয়লা থেকে, ৩২ শতাংশ জ্বালানি তেল থেকে, ২৩ শতাংশ গ্যাস পুড়িয়ে এবং সিমেন্ট উৎপাদন থেকে এসেছে ৪ শতাংশ।
কার্বন মেজরস ডেটাবেইসের তথ্য অনুসারে, শিল্পবিপ্লবের পর থেকে নিঃসৃত কার্বনের দুই-তৃতীয়াংশই এসেছে মাত্র ১৮০টি কোম্পানি থেকে। এগুলোর মধ্যে ১১টি কোম্পানি এখন অস্তিত্বহীন।
১৯৯৮ সালের ৩ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম নেওয়া প্যারিস তাঁর ভাইদের সঙ্গে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত হোম স্কুলিং করেছেন। মাইকেল তাঁর সন্তানদের ব্যক্তিগত জীবন রক্ষা করতে খুব সচেতন ছিলেন। তাই তিনি প্রায় সময়ই ক্যামেরার সামনে পড়ে গেলে সন্তানদের লুকিয়ে ফেলতেন কিংবা মুখ ঢেকে দিতেন।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসনকে বৈদেশিক সহায়তা চালু রাখার জন্য সাময়িক অনুমতি দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন জেলা জজ আমির আলী। এর বিপরীতে করা ট্রাম্প প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান...
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন। জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেকোনো ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নতুন বাণিজ্য শুল্কের জবাবে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি।
৭ ঘণ্টা আগেসদ্য সমাপ্ত মহাকুম্ভের সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্য বিধানসভায় দেওয়া এক ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, একজন নৌকার মালিক ও তাঁর পরিবার মেলার ৪৫ দিনে ৩০ কোটি রুপি আয় করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই নৌকার মালিকের ১৩০টি নৌকা ছিল; যার প্রতিটি থেকে তিনি মেলার সময় গড়ে ২৩ লাখ
৯ ঘণ্টা আগে