Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রে বয়স্ক দম্পতিদের বিচ্ছেদ বাড়ছে যেসব কারণে

যুক্তরাষ্ট্রে বয়স্ক দম্পতিদের বিচ্ছেদ বাড়ছে যেসব কারণে

যুক্তরাষ্ট্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্কদের মধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদের হার বাড়ছে। একে বলা হচ্ছে ‘ধূসর বা প্রৌঢ় বিচ্ছেদ’। বৌলিং গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটির সুসান ব্রাউন এবং আই–ফেন লিনের এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। 

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সের প্রায় দেড় কোটি মানুষ একা বসবাস করছিল। ১৯৬০–এর দশকের তুলনায় এই সংখ্যা তিনগুণ বেশি বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রবণতা বলছে, ভবিষ্যতে এই সংখ্যা নিশ্চিত আরও বাড়বে। 

ধূসর বিচ্ছেদ ও এর বৃদ্ধির কারণ
পঞ্চাশোর্ধ্ব দুইজনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটলে তাকে ‘ধূসর বিচ্ছেদ’ বা ‘প্রৌঢ় বিচ্ছেদ’ বলে অভিহিত করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত এমন বিচ্ছেদগুলো ছিল—বিল–মেলিন্ডা গেটস, বিলি রে–টিশ সাইরাস এবং আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার–মারিয়া শ্রিভা। 

যুক্তরাষ্ট্রে প্রৌঢ়কালে বিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ শনাক্ত করেছেন গবেষকেরা। নিপীড়ন ও আসক্তি এর মধ্যে অন্যতম। 

আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দ্য ক্লার্ক ল ফার্ম পারিবারিক নিপীড়ন নিয়ে বলছে, ‘একপক্ষ মানসিক, শারীরিক বা মনস্তাত্ত্বিক নিপীড়নের শিকার হলে তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে পারেন। সঙ্গীর ওপর কর্তৃত্ব খাটানো বা ছোট করাও এর অন্তর্ভুক্ত।’ 

আসক্তি নিয়ে তাঁরা বলেন, ‘যেকোনো এক সঙ্গী পর্নো, মদ, জুয়া বা মাদক জাতীয় দ্রব্যে আসক্ত হলে তা দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। আসক্তির জন্য তাঁরা বিবাহ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি অপচয় করতে পারেন, মিথ্যাচার করতে পারেন বা সঙ্গীকে কোণঠাসা করে রাখতে পারেন। এর ফলাফল হয় হতাশা ও বিচ্ছেদ।’ 

বিচ্ছেদের অন্যান্য কারণের মধ্যে থাকতে পারে—সুখের আকাঙ্ক্ষা ও অর্থ–সম্পদের মালিকানায় ফারাক বেড়ে যাওয়া। 

দ্য ক্লার্ক ল ফার্ম ‘এম্পটি নেস্ট সিনড্রোম’ নামের আরও এক সম্ভাব্য কারণের উল্লেখ করেছে। সন্তানেরা বড় হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এতে বয়স্ক মা–বাবারা একা হয়ে পড়েন। তখন এই বয়স্ক যুগল বাড়িতে সন্তান ছাড়া একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বা জীবনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন না। 

এই পরিস্থিতিতে তাঁদের মধ্যে কলহ বেড়ে যায়। হঠাৎই আবিষ্কার করেন তাঁদের মধ্যে আর কোনো কিছুতে মিল নেই। একসঙ্গে এক সময় যা উপভোগ করতেন, সন্তান দূরে চলে যাওয়ায় তা আর করছেন না। এর কারণে বাড়ে টানাপোড়েন। শেষ পর্যন্ত তা বিচ্ছেদে গড়ায়। 

এই বিচ্ছেদ আরও অনেক কারণে হতে পারে। যেমন, দূরত্ব বেড়ে যাওয়া বা পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা কমে যাওয়া, অবিশ্বাস ও অন্তরঙ্গতা কমে যাওয়া। 

পরস্পরের আচরণ সম্পর্কে অনুমান–যোগ্যতা স্বামী–স্ত্রীর একে অপরের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার আরেকটি কারণ। 

দ্য ক্লার্ক ল ফার্ম বলে, ‘কখনো কখনো বয়স্ক যুগলদের জীবন ছকে বাঁধা মনে হতে পারে। প্রত্যেক দিন একই কাজ বা একই বার্ষিক পরিকল্পনার ফলে সম্পর্কে একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। যদি যেকোনো একপক্ষ ভাবে যে, সম্পর্কে আর স্বতঃস্ফূর্ততা নেই, তখন তাঁরা বিচ্ছেদের কথা ভাবতে পারেন।’ 

আমেরিকার টেক্সাসের শহর অস্টিনের কাপলস থেরাপিস্ট ক্রিস্টা জর্ডান যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম গিডিকে বলেন, ‘সাধারণত বিয়েতে দীর্ঘ সময় ধরে অসুখী থাকলে কোনো দম্পতির মধ্যে প্রৌঢ়কালে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। ক্যারিয়ার ও সন্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময় বৈবাহিক এই সমস্যাগুলো চোখে পড়ে না। এই বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে সঙ্গীরা সম্পর্ক কোনোরকম টিকিয়ে রাখেন। তবে দীর্ঘ মেয়াদে তা আর টিকিয়ে রাখতে পারেন না।’ 

এ রকম বয়সে বিচ্ছেদ ঠেকিয়ে রাখতে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। বার্ধক্যজনিত রোগ বিশেষজ্ঞ ড. কার্ল পিলেমার ৬০ বছর বা এর বেশি বয়সের ৭০০ জন নারী–পুরুষের মধ্যে একটি জরিপ চালান। এই জরিপে তাঁদের মতে কোন জিনিস দাম্পত্য সম্পর্কে আগ্রহ টিকিয়ে রাখতে পারে তা জানতে চাওয়া হয়। 

বৃদ্ধ বয়সে সম্পর্ক অটুট রাখার দাওয়াই হিসেবে কয়েকটি উপায়ের কথা উঠে আসে জরিপে: 

প্রত্যেকের উচিত তাঁর সঙ্গীর প্রিয় শখ, খেলা বা আগ্রহের অন্যান্য বিষয়ে অংশ নেওয়া। যদি এতে কাজ না হয়, তবে একসঙ্গে নতুন কোনো বিষয় শেখা যাতে দুজনেরই আগ্রহ আছে। 

সঙ্গীর পছন্দ এমন দৈনন্দিনের ছোট ছোট বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই ছোট বিষয়গুলো ইতিবাচক সংযোগ গড়ে তুলতে পারে। যা পরে সম্পর্কে বেশ বড় প্রভাব ফেলে। 

সঙ্গীকে চমকে দেবে এমনসব উপহার দিতে হবে। উপহারগুলো হতে হবে বিশেষ অর্থবহ। এটা হতে পারে বেশ কয়দিন ধরে তাঁর নজর ছিল এমন কোনো জিনিস। 

সপ্তাহে অন্তত একদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া। এটা হতে পারে আশপাশেই কোথাও হেঁটে আসা। 

সঙ্গীর নিয়মিত প্রশংসা করা। নিজের জীবনে তাঁর উপস্থিতি কতটা মূল্যবান তা প্রকাশ করা। কারণ সবাই নিজের গুরুত্ব অনুভব করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাফালে উড়লেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু, পাশে আলোচিত সেই পাইলট শিবাঙ্গী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটিতে আজ বুধবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং। ছবি: এনডিটিভি
হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটিতে আজ বুধবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং। ছবি: এনডিটিভি

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আজ বুধবার হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে একটি রাফাল যুদ্ধবিমানে উড়ান দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাফাল বিমানে উড়ান দেওয়া প্রথম ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন। রাফাল যুদ্ধবিমানটি ব্যবহৃত হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুরে’।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।

পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন শিবাঙ্গী। দাবি করা হয়েছিল, তিনি যুদ্ধবন্দী; তাঁর ফাইটার জেট ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় গুলি করে নামানো হয়েছে।

তবে আজ সকালে আম্বালা বিমানঘাঁটিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছবি তুলে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন বারানসিতে জন্ম হওয়া স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।

ছবিতে দেখা যায়, রাফাল যুদ্ধবিমানের সামনে উড়োজাহাজ চালনার পোশাক পরে দাঁড়িয়ে আছেন শিবাঙ্গী, পাশে দ্রোপদী মুর্মু।

গত মে মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিসংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান শুরু করে ভারত।

পাকিস্তান সে সময় দাবি করেছিল, ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা, যার মধ্যে একটি নতুন কেনা ফরাসি রাফালও রয়েছে। কিন্তু এসব দাবির একটিও সত্য প্রমাণ হয়নি।

ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও সরকার বিস্তারিত প্রমাণসহ জানায়, পাকিস্তান ভারতের একটি বিমানও নামাতে পারেনি; বরং নিজেরাই ছয়টি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে।

পাকিস্তানের আরও একটি দাবি ছিল, শিবাঙ্গীর রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে এবং তাঁকে বন্দী করা হয়েছে।

এমনকি একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যাতে দেখা যায়, ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন শোকাহত পরিবারের সদস্যরা।

পরে তদন্তে দেখা যায়, ভিডিওটিতে শিবাঙ্গীর পরিবার ছিল না। ছিল সার্জেন্ট সুরেন্দ্র কুমারের পরিবার। সুরেন্দ্র কুমার ‘অপারেশন সিঁদুরে’ শহীদ হয়েছিলেন।

ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, ফার্স্টপোস্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এবার কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে হত্যা করল বিষ্ণোই গ্যাং

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের আটক লরেন্স বিষ্ণোই। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের আটক লরেন্স বিষ্ণোই। ছবি: সংগৃহীত

কানাডায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। স্থানীয় সময় গত সোমবার এই গ্যাং কানাডার অ্যাবটসফোর্ড-ভিত্তিক এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া এক পাঞ্জাবি গায়কের বাড়িতে গুলি ছোড়ার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। ঘটনার মাত্র এক দিন আগেই রাজস্থান পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সক্রিয় সদস্য জগদীপ সিং ওরফে জগ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য গোল্ডি ঢিলোঁ দাবি করেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতি দর্শন সিং সাহসিকে হত্যার পেছনে তাদের গোষ্ঠী দায়ী। গ্যাংয়ের দাবি, সাহসি (৬৮) মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁদের কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। সেই অর্থ না দেওয়ায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

জানা যায়, ব্রিটিশ কলম্বিয়ার অ্যাবটসফোর্ডে নিজের বাড়ির বাইরে সাহসিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, হত্যাকারী তাঁর গাড়ির কাছে অপেক্ষা করছিল। সাহসি গাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই হামলাকারী গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সাহসিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া যায়, পরে হাসপাতালে মারা যান।

এই ঘটনার জেরে আশপাশে থাকা তিনটি স্কুলকে সতর্কতামূলক ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ প্রোটোকলের অধীনে লকডাউন করা হয়। অবশ্য এ ঘটনায় কোনো শিক্ষার্থী আহত হয়নি।

দর্শন সিং সাহসি ছিলেন বিখ্যাত টেক্সটাইল রিসাইক্লিং কোম্পানি ক্যানাম ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রেসিডেন্ট। ১৯৯১ সালে তিনি কানাডায় অভিবাসী হন। একটি লোকসানে থাকা টেক্সটাইল রিসাইক্লিং ইউনিটকে বিশ্বমানের কোম্পানিতে রূপান্তরিত করেন। একজন সফল শিল্পপতির পাশাপাশি তিনি জনহিতকর কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন।

কমিউনিটির নেতারা এই ঘটনাটিকে কানাডায় বসবাসরত ভারতীয় অভিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

একই সময়ে পাঞ্জাবি গায়ক চন্নি নাট্টানের বাড়ির বাইরে গুলি ছুড়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।

গ্যাং সদস্য ঢিলোঁ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, গায়ক সর্দার খেরার সঙ্গে নাট্টান ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ঢিলোঁ সতর্ক করে বলেন, নাট্টানের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই, তবে যে গায়কই খেরার সঙ্গে কাজ করবে, তার ক্ষতির জন্য সে নিজেই দায়ী থাকবেন।

কানাডা সরকার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই গ্যাং বিশ্বব্যাপী সক্রিয় ৭০০-এরও বেশি শুটারের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করে ভারত।

বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দ্বারা সংঘটিত বহু আলোচিত অপরাধমূলক ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে: র‍্যাপার ও রাজনীতিবিদ সিধু মুসওয়ালার হত্যাকাণ্ড; বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে হত্যার হুমকি।

তাদের স্বাধীন পাঞ্জাবের দাবিতে খালিস্তানপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যোগসূত্র থাকারও অভিযোগ করে ভারত সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কোলাকুলি করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি
কোলাকুলি করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ বন্ধে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এ সময় তিনি মোদিকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন। খবর বিবিসির।

দক্ষিণ কোরিয়া সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ বুধবার সিউলে এক বক্তৃতায় বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছিল। এ সময় তিনি মোদিকে ‘সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যক্তিদের একজন’ এবং ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি একেবারে ভয়ংকর, দারুণ কঠিন মানুষ।’ এরপর তিনি মোদির কথা বলার ঢং নকল করে বলেন, ‘না, আমরা লড়ব না।’ ট্রাম্প ফের ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ প্রসঙ্গ টেনে আরও বলেন, তিনি ফোন করার দুদিন পর ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে ফোন করে জানায় যে, তারা তাদের অবস্থান কিছুটা নরম করবে। তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এটা কি অবিশ্বাস্য না?’

একইদিনে ট্রাম্প বলেন, চীন–যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করা মোটেও ভালো বিষয় নয়। তাই তিনি দেশটির সঙ্গে চুক্তি করতে চান, যা দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। ট্রাম্প জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং আগামীকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, এটি হবে ‘দুই পক্ষের জন্যই ভালো চুক্তি।’

ট্রাম্পের ভাষায়, এটি এমন এক ফলাফল হবে যা ‘লড়াই করার চেয়ে ভালো’ এবং ‘বিভিন্ন সমস্যায় জড়ানোর চেয়ে অনেক যুক্তিসংগত।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমার বিশ্বাস, আমরা এমন কিছু পেতে যাচ্ছি যা সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হবে।’

এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের আসন্ন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা। এর আগে, বৈঠকটি নিয়ে কথা বলেছিল শুধু হোয়াইট হাউস।

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর বুসানে। সি এপেক সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর পরপরই এই বৈঠক হবে। ২০২৫ সালে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর এবং বিশ্বের সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এটাই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘লড়াই’ ভালো নয়, চীনের সঙ্গে ‘ভালো চুক্তিতে’ পৌঁছানোর আশা ট্রাম্পের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীন–যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করা মোটেও ভালো বিষয় নয়। তাই তিনি দেশটির সঙ্গে চুক্তি করতে চান, যা দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। দক্ষিণ কোরিয়া সফররত ট্রাম্প আজ বুধবার এই কথা বলেছেন। খবর বিবিসির।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং আগামীকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, এটি হবে ‘দুই পক্ষের জন্যই ভালো চুক্তি।’

ট্রাম্পের ভাষায়, এটি এমন এক ফলাফল হবে যা ‘লড়াই করার চেয়ে ভালো’ এবং ‘বিভিন্ন সমস্যায় জড়ানোর চেয়ে অনেক যুক্তিসংগত।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমার বিশ্বাস, আমরা এমন কিছু পেতে যাচ্ছি যা সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হবে।’

এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের আসন্ন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা। এর আগে, বৈঠকটি নিয়ে কথা বলেছিল শুধু হোয়াইট হাউস।

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর বুসানে। সি এপেক সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর পরপরই এই বৈঠক হবে। ২০২৫ সালে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর এবং বিশ্বের সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এটাই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।

অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ট্রাম্পকে দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘গ্র্যান্ড অর্ডার অব মুগুংহোয়া’ প্রদান করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট এই পদক প্রথমবারের মতো পেলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ভাষ্যে, ‘কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।’

পুরস্কারটি হাতে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা সত্যিই সুন্দর। আমি এখনই এটা পরতে পারি।’ তাঁর এই মন্তব্যে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত