অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, মস্কো এখনো দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। আর তাই তিনি দেশটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১২ মাস তথা এক বছরের জন্য বাড়িয়েছেন। এই বিষয়ে মার্কিন ফেডারেল সরকারের রেজিস্ট্রারের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া অধিগ্রহণের পর রাশিয়ার ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করে। এর আগে, সেখানে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেই গণভোটের ফলে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ হিসেবে পরিণত হয়। পরে, মস্কোর বিরুদ্ধে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন সংঘাত ব্যাপকভাবে বাড়ার পর নিষেধাজ্ঞাগুলো ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করা হয়।
ট্রাম্পের অনুমোদিত সর্বশেষ এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শুরু হবে ২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল থেকে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রুশ ফেডারেশন সরকারের নির্দিষ্ট ক্ষতিকর বৈদেশিক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে জাতীয় জরুরি অবস্থার ধারাবাহিকতা’—শীর্ষক একটি নির্দিষ্ট নির্বাহী আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ এপ্রিল জারি করা ‘রুশ ফেডারেশনের সরকারের নির্দিষ্ট ক্ষতিকর বিদেশি কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে ঘোষিত জাতীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা’—শীর্ষক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সিজ অ্যাক্ট-এর ২০২ (ডি) ধারা (৫০ ইউএসসি ১৬২২ (ডি)) অনুযায়ী নির্বাহী আদেশ ১৪০২৪–এ ঘোষিত জাতীয় জরুরি অবস্থা আমি আরও এক বছরের জন্য বহাল রাখছি।’
এই ঘোষণায় মূলত ২০২১ সালের এপ্রিলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত ১৪০২৪ নম্বর নির্বাহী আদেশের কথা বলা হয়েছে। বাইডেন রাশিয়াকে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, বৈদেশিক নীতি এবং অর্থনীতির জন্য অস্বাভাবিক এবং নজিরবিহীন হুমকি’ বলে মনে করেছিলেন।
সেই নির্বাহী আদেশে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেসব ‘ক্ষতিকর’ কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে—‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ও অংশীদারদের অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা’—অন্যতম।
মস্কোর বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও অঞ্চলের নিরাপত্তাকে দুর্বল করার চেষ্টা এবং রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মানসহ আন্তর্জাতিক আইনের সুপ্রতিষ্ঠিত নীতিগুলো লঙ্ঘন করা।’
গত মাসের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে এখনো ‘অনেক তিক্ততা’ রয়েছে। ট্রাম্প মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছেন। যদি তিনি মনে করেন যে, ইউক্রেন সংঘাতের যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য রাশিয়া দায়ী।
ট্রাম্পের হুমকির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘আমেরিকান পক্ষের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’ এবং মস্কো কূটনৈতিকভাবে ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে আগ্রহী।
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন ও রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোগুলোর ওপর হামলা বন্ধের প্রস্তাব করেছিলেন। মস্কো ও কিয়েভ উভয়েই প্রকাশ্যে এই প্রস্তাবের সমর্থন করেছিল। রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির জন্য আংশিক যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, মস্কো এখনো দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। আর তাই তিনি দেশটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১২ মাস তথা এক বছরের জন্য বাড়িয়েছেন। এই বিষয়ে মার্কিন ফেডারেল সরকারের রেজিস্ট্রারের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া অধিগ্রহণের পর রাশিয়ার ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করে। এর আগে, সেখানে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেই গণভোটের ফলে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ হিসেবে পরিণত হয়। পরে, মস্কোর বিরুদ্ধে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন সংঘাত ব্যাপকভাবে বাড়ার পর নিষেধাজ্ঞাগুলো ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করা হয়।
ট্রাম্পের অনুমোদিত সর্বশেষ এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শুরু হবে ২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল থেকে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রুশ ফেডারেশন সরকারের নির্দিষ্ট ক্ষতিকর বৈদেশিক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে জাতীয় জরুরি অবস্থার ধারাবাহিকতা’—শীর্ষক একটি নির্দিষ্ট নির্বাহী আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ এপ্রিল জারি করা ‘রুশ ফেডারেশনের সরকারের নির্দিষ্ট ক্ষতিকর বিদেশি কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে ঘোষিত জাতীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা’—শীর্ষক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সিজ অ্যাক্ট-এর ২০২ (ডি) ধারা (৫০ ইউএসসি ১৬২২ (ডি)) অনুযায়ী নির্বাহী আদেশ ১৪০২৪–এ ঘোষিত জাতীয় জরুরি অবস্থা আমি আরও এক বছরের জন্য বহাল রাখছি।’
এই ঘোষণায় মূলত ২০২১ সালের এপ্রিলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত ১৪০২৪ নম্বর নির্বাহী আদেশের কথা বলা হয়েছে। বাইডেন রাশিয়াকে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, বৈদেশিক নীতি এবং অর্থনীতির জন্য অস্বাভাবিক এবং নজিরবিহীন হুমকি’ বলে মনে করেছিলেন।
সেই নির্বাহী আদেশে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেসব ‘ক্ষতিকর’ কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে—‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ও অংশীদারদের অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা’—অন্যতম।
মস্কোর বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও অঞ্চলের নিরাপত্তাকে দুর্বল করার চেষ্টা এবং রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মানসহ আন্তর্জাতিক আইনের সুপ্রতিষ্ঠিত নীতিগুলো লঙ্ঘন করা।’
গত মাসের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে এখনো ‘অনেক তিক্ততা’ রয়েছে। ট্রাম্প মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছেন। যদি তিনি মনে করেন যে, ইউক্রেন সংঘাতের যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য রাশিয়া দায়ী।
ট্রাম্পের হুমকির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘আমেরিকান পক্ষের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’ এবং মস্কো কূটনৈতিকভাবে ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে আগ্রহী।
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন ও রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোগুলোর ওপর হামলা বন্ধের প্রস্তাব করেছিলেন। মস্কো ও কিয়েভ উভয়েই প্রকাশ্যে এই প্রস্তাবের সমর্থন করেছিল। রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির জন্য আংশিক যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তিনি ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো যুগের পর যুগ ধরে রাশিয়ার প্রতি অবিশ্বাস ও শত্রুতার মনোভাব পোষণ করে এসেছে। পিটার দা গ্রেটের আমল থেকেই তারা রাশিয়াকে ইউরোপীয় পরিবারে উপযুক্তভাবে স্থান দিতে চায়নি। বরং একে দুর্বল করে রাখার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছে।’
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার তরুণ উদ্যোক্তা ও আইসক্রিম দোকানের মালিক ছিলেন ২০ বছর বয়সী সাইফোল্লাহ মুসাল্লেত। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। তাঁর শোকবিহ্বল পরিবারের আশা—এই তরুণ যেন ‘শুধু আরেকটি সংখ্যা’ হয়ে হারিয়ে না যান।
৮ ঘণ্টা আগেসাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে আরআইসিকে পুনরুজ্জীবিত করার আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষত ভারতের কোয়াড সদস্য হওয়ার পর। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার এই জোটকে বেইজিং মনে করে নিজেদের উত্থান ঠেকানোর জন্য গঠিত একটি জোট। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা...
৯ ঘণ্টা আগেসিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলাকে কেন্দ্র করে তুরস্ক তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে তুরস্ক তাদের এই অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, আঙ্কারা আঞ্চলিক শক্তি...
১০ ঘণ্টা আগে