আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টস গার্ড ও ইমিগ্রেশন এজেন্টদের দিয়ে অভিবাসীদের আটক নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এসব বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট বা বিদ্রোহ দমন আইন’ প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন।
এই আইনের প্রয়োগ হলে মার্কিন ইতিহাসে তা হবে এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ। এটি নাগরিকদের স্বাধীনতা ও ফেডারেল ব্যবস্থার ভারসাম্য নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দেবে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন শহরগুলোতে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে চান বলে জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট’ নামে একটি পুরোনো আইনের কথা বলেছেন—যা দুই শতাব্দীর বেশি আগে পাস হয়েছিল। এই আইন বিশেষ পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দমনে প্রেসিডেন্টকে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করার ক্ষমতা দেয়।
ট্রাম্প গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে ইনসারেকশন অ্যাক্ট আছে একটা কারণেই। যদি মানুষ মারা যায় আর আদালত, গভর্নর বা মেয়ররা আমাদের থামাতে চায়, তাহলে অবশ্যই আমি সেটা ব্যবহার করব।’
এই আইন সাধারণত শুধু চরম পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয় এবং প্রায় সব সময় রাজ্য গভর্নরের অনুরোধে। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ লস অ্যাঞ্জেলেস দাঙ্গার সময় এটি ব্যবহার করেছিলেন।
কিন্তু ট্রাম্পের এ ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। কারণ, তিনি ডেমোক্রেটিক শহরগুলোতে সেনা পাঠিয়ে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে এক বক্তৃতায় তিনি এমনকি মার্কিন শহরগুলোকে সেনাদের ‘প্রশিক্ষণক্ষেত্র’ হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন।
এরই মধ্যে ট্রাম্প শিকাগো ও ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে ন্যাশনাল গার্ড সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটন ডিসিতে একই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এসব শহরের ডেমোক্র্যাট মেয়র ও গভর্নররা বলছেন, ট্রাম্প যে ‘অরাজকতা ও সহিংসতার’ কথা বলছেন, এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, এসব শহরে এ বছর সহিংস অপরাধ বরং কমেছে, আর অভিবাসনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে অধিকাংশ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ফেডারেল এজেন্টদের সংঘর্ষ হয়েছে; টিয়ার গ্যাস ও অন্যান্য বিক্ষোভ দমনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট গভর্নর জে বি প্রিটজকার অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প ইচ্ছা করেই সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন, যেন পরে সেটাকে অজুহাত করে শহরগুলো আরও সামরিকীকরণ করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের সেনাদের রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহার করছেন, আমাদের শহরগুলোকে সামরিকীকরণের চেষ্টা করছেন, এটা বেআইনি।’
ইলিনয় অঙ্গরাজ্য ও শিকাগো সিটি এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যাতে ইলিনয়ের ৩০০ সেনাকে ফেডারেল সরকারের অন্তর্ভুক্ত করা বন্ধ করা যায় ও টেক্সাসের ৪০০ ন্যাশনাল গার্ড সেনা শিকাগোতে পাঠানো বন্ধ করা যায়। আদালত আপাতত সেনা পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন, তবে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে সরকারকে জবাব দিতে বলেছেন।
অন্য দিকে ওরেগনের একটি ফেডারেল আদালত পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েন অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
ন্যাশনাল গার্ড সাধারণত অঙ্গরাজ্য সরকারের অধীনে থাকে এবং দুর্যোগ বা জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তা দেয়। মার্কিন আইনে (Posse Comitatus Act) সেনাবাহিনীকে সাধারণত দেশের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবহার নিষিদ্ধ, তবে ইনসারেকশন অ্যাক্ট সেই নিষেধাজ্ঞার ব্যতিক্রম তৈরি করে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টস গার্ড ও ইমিগ্রেশন এজেন্টদের দিয়ে অভিবাসীদের আটক নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এসব বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট বা বিদ্রোহ দমন আইন’ প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন।
এই আইনের প্রয়োগ হলে মার্কিন ইতিহাসে তা হবে এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ। এটি নাগরিকদের স্বাধীনতা ও ফেডারেল ব্যবস্থার ভারসাম্য নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দেবে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন শহরগুলোতে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে চান বলে জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট’ নামে একটি পুরোনো আইনের কথা বলেছেন—যা দুই শতাব্দীর বেশি আগে পাস হয়েছিল। এই আইন বিশেষ পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দমনে প্রেসিডেন্টকে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করার ক্ষমতা দেয়।
ট্রাম্প গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে ইনসারেকশন অ্যাক্ট আছে একটা কারণেই। যদি মানুষ মারা যায় আর আদালত, গভর্নর বা মেয়ররা আমাদের থামাতে চায়, তাহলে অবশ্যই আমি সেটা ব্যবহার করব।’
এই আইন সাধারণত শুধু চরম পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয় এবং প্রায় সব সময় রাজ্য গভর্নরের অনুরোধে। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ লস অ্যাঞ্জেলেস দাঙ্গার সময় এটি ব্যবহার করেছিলেন।
কিন্তু ট্রাম্পের এ ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। কারণ, তিনি ডেমোক্রেটিক শহরগুলোতে সেনা পাঠিয়ে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে এক বক্তৃতায় তিনি এমনকি মার্কিন শহরগুলোকে সেনাদের ‘প্রশিক্ষণক্ষেত্র’ হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন।
এরই মধ্যে ট্রাম্প শিকাগো ও ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে ন্যাশনাল গার্ড সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটন ডিসিতে একই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এসব শহরের ডেমোক্র্যাট মেয়র ও গভর্নররা বলছেন, ট্রাম্প যে ‘অরাজকতা ও সহিংসতার’ কথা বলছেন, এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, এসব শহরে এ বছর সহিংস অপরাধ বরং কমেছে, আর অভিবাসনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে অধিকাংশ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ফেডারেল এজেন্টদের সংঘর্ষ হয়েছে; টিয়ার গ্যাস ও অন্যান্য বিক্ষোভ দমনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট গভর্নর জে বি প্রিটজকার অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প ইচ্ছা করেই সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন, যেন পরে সেটাকে অজুহাত করে শহরগুলো আরও সামরিকীকরণ করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের সেনাদের রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহার করছেন, আমাদের শহরগুলোকে সামরিকীকরণের চেষ্টা করছেন, এটা বেআইনি।’
ইলিনয় অঙ্গরাজ্য ও শিকাগো সিটি এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যাতে ইলিনয়ের ৩০০ সেনাকে ফেডারেল সরকারের অন্তর্ভুক্ত করা বন্ধ করা যায় ও টেক্সাসের ৪০০ ন্যাশনাল গার্ড সেনা শিকাগোতে পাঠানো বন্ধ করা যায়। আদালত আপাতত সেনা পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন, তবে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে সরকারকে জবাব দিতে বলেছেন।
অন্য দিকে ওরেগনের একটি ফেডারেল আদালত পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েন অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
ন্যাশনাল গার্ড সাধারণত অঙ্গরাজ্য সরকারের অধীনে থাকে এবং দুর্যোগ বা জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তা দেয়। মার্কিন আইনে (Posse Comitatus Act) সেনাবাহিনীকে সাধারণত দেশের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবহার নিষিদ্ধ, তবে ইনসারেকশন অ্যাক্ট সেই নিষেধাজ্ঞার ব্যতিক্রম তৈরি করে।
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন সিনিয়র আইপিএস কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লারকে আটক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি
১৯ মিনিট আগেভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয়
২৪ মিনিট আগেদুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
১ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে